জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স

জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স টি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়েছে যাতে তোমরা ভালো কন্সেপ্ট ও প্রস্তুতি নিতে পারো।

টিস্যু কালচারের পদ্ধতিসমূহ

প্রশ্ন ১। ক্যালাস কী—ব্যাখ্যা কর। [চ, বাে, ‘১৯]

উত্তর : মিডিয়ামে এক্সপ্লান্ট তথা টিস্য স্থাপনের পর পাত্রটিকে একটি বৈদ্যুতিক আলাে, তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখা হয় । কয়েকদিন পর টিস্যুটি বারবার বিভাজিত হয়ে একটি অবয়বহীন অবিন্যস্ত টিস্যু গুচ্ছে পরিণত হয়; একে ক্যালাস বলে। ক্যালাস থেকে একসময় অসংখ্য মুকুল সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন ২। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্তকরণ গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর : টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে পুষ্টিমাধ্যম ব্যবহার করা হয়।নির্বাচিত এক্সপ্লান্টে যদি জীবাণু থেকে যায় তাহলে পুষ্টিমাধ্যমে জীবাণু খুব দ্রুতই বংশ বিস্তার করবে। ফলে উৎপাদিত নতুন উদ্ভিদটিও জীবাণু দ্বারা খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তাই টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্তকরণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৩। সােমাক্লোনাল ভেরিয়েশন বলতে কী বুঝ?

উত্তর : কালচার মিডিয়ামে একই উদ্ভিদের কোষসমস্টি বা ক্যালাসের মধ্যে কখনাে কখনাে কিছু বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়। একে সােমাক্রোনাল ভ্যারিয়েশন বলে। এভাবে পছন্দসই কোনাে বৈচিত্র্যের আবির্ভাব হলে তা কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায়। সােমাক্লোনাল ভ্যারিয়েশনের মাধ্যমে রােগ প্রতিরােধী, পেস্টিসাইড প্রতিরােধী উদ্ভিদ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। এক্সপ্ল্যান্টকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়?

উত্তর : এক্সপ্ল্যান্টকে মাতৃ উদ্ভিদ থেকে জীবাণুমুক্ত ছুরি দিয়ে কেটে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে এক্সপ্ল্যান্টকে সােডিয়াম হাইপােক্লোরাইড, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ব্রোমিন পানি বা ৭০% অ্যালকোহল ইত্যাদির যেকোনাে একটি ব্যবহার করে পৃষ্ঠ নির্জীবন করে নিতে হয় ।

টিস্যু কালচারের ব্যবহার

প্রশ্ন ৫। টিস্যু কালচারের মাধ্যমে কি রােগমুক্ত চারা তৈরি সম্ভব? [রা. বাে: ‘১৭]

উত্তর : টিস্যু কালচারের মাধ্যমে রােগমুক্ত চারা তৈরি করা সম্ভব। টিস্যু কালচারে সাধারণত ভাজক টিস্যু ব্যবহৃত হয়। ভাজক টিস্যুতে ভাস্কুলার বান্ডল সুগঠিত নয়। ফলে সহজে রােগ জীবাণুর অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে না। তাছাড়া টিস্যু কালচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত পরিবেশে করা হয়। ফলে এ প্রক্রিয়ায় সংক্রমিত উদ্ভিদ থেকেও রােগমুক্ত চারা উৎপন্ন করা যায়। আলু, আখ প্রভৃতির ক্ষেত্রে রােগমুক্ত চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রশ্ন ৬। প্রােটোপ্লাস্ট ফিউশন বলতে কী বুঝ?

উত্তর : প্রােটোপ্লাস্ট ফিউশন পদ্ধতি প্রয়ােগ করে দুটি ভিন্ন প্রজাতির প্রােটোপ্লাস্ট সংযুক্তি ও তা থেকে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সংকর উদ্ভিদ উৎপন্ন করা যায়। প্রােটোপ্লাস্টের মিলনে সােমাটিক হাইব্রিড তৈরি হলে সেখানে দুটি প্রজাতির সম্পূর্ণ সাইটোপ্লাজমের মিলন ঘটে। প্রােটোপ্লাস্ট মিলনের মাধ্যমেই সাইটোপ্লাজমের বিশেষ গুণ স্থানান্তরের সুযােগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্লোরােপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ড্রিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ স্থানান্তর ঘটিয়ে নতুন জাতের উদ্ভিদ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। আলু ও টমেটো উদ্ভিদের প্রােটোপ্লাস্ট ফিউশন করে সৃষ্ট নতুন উদ্ভিদের নাম দেয়া হয়েছে পােমাটো।

And : জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর সাজেশান্স

রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং

প্রশ্ন ৭। রেস্ট্রিকশন এনজাইমকে আণবিক কাঁচি বলা হয় কেন? ‘কু, বাে, ‘১৯

উত্তর : রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিতে DNA কর্তন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজ। আর এ কাজে রেস্ট্রিকশন এনজাইম ব্যবহার করে DNA অণুর একটি সুনির্দিষ্ট সাজানাে অংশকে কাটা হয়। যেহেতু DNA কাটার কাজে এ রেস্ট্রিকশন এনজাইম ব্যবহার করা হয়, তাই একে DNA অণু কর্তনের সূক্ষ্ম ছুরিকা বা আনবিক কাঁচি বলা হয় ।

প্রশ্ন ৮। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কী বুঝ? (ঢা, বাে, ‘১৫)

উত্তর : কোনাে জীব কোষ থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খণ্ডাণু পৃথক করে ভিন্ন একটি জীব কোষের DNA এর সাথে জোড়া দিয়ে এতে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটার কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। অর্থাৎ কোনাে জীবের DNA তে অন্য কোনাে জীবের কাঙ্ক্ষিত DNA অংশ স্থাপনের মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটানােকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।

প্রশ্ন ৯। রেস্ট্রিকশন এনজাইম বলতে কী বােঝ? [দি, বাে, ‘১৫]

উত্তর : যে এনজাইম প্রয়ােগ করে DNA অণুর সুনির্দিষ্ট অংশ কর্তন করা যায় তাকে রেস্ট্রিকশন এনজাইম বলে। একটি নির্দিষ্ট রেস্ট্রিকশন এনজাইম দ্বারা DNA-এর সুনির্দিষ্ট অংশ কাটা যায়। এরা সাধারণত ৪-৬ জোড়া বেস কেটে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি রেস্ট্রিকশন এনজাইম পৃথক করা হয়েছে।

প্রশ্ন ১০। রেস্ট্রিকশন এনজাইমকে DNA কর্তনের ছুরি বলা হয় কেন?

উত্তর : রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তিতে DNA কে কর্তন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল একটি কাজ। আর এ কাজে রেস্ট্রিকশন এনজাইম ব্যবহার করে DNA অণুর একটি সুনির্দিষ্ট সাজানাে অংশকে কাটা হয়। যেহেতু DNA কাটার কাজে এ রেস্ট্রিকশন এনাইম ব্যবহার করা হয়, তাই একে DNA কর্তনের ছুরি বলে।

প্লাজমিড

প্রশ্ন ১১। প্লাজমিডকে ভেক্টর বলা হয় কেন? [সি. বাে, ‘১৯]

উত্তর : জিন প্রকৌশলে কাঙ্ক্ষিত DNA-এর প্রয়ােজনীয় অংশ বহন করার জন্য একটি বাহক ভেক্টর নির্বাচন করা হয়। সাধারণত এ কাজে প্লাজমিড ব্যবহৃত হয়। এজন্য প্লাজমিডকে ভেক্টর বলা হয়।

জিন ক্লোনিং

প্রশ্ন ১২। জিন ক্লোনিং-এ প্লাজমিড ব্যবহৃত হয় কেন?

উত্তর : কোনাে জীবের কাক্ষিত DNA খণ্ড কেটে উপযুক্ত ব্যাকটেরিয়ামের প্লাজমিড DNA তে প্রতিস্থাপন করা হয়। ফলে প্লাজমিড DNAটি একটি রিকম্বিনেন্ট DNA তে পরিণত হয়। উপযুক্ত মাধ্যমে এ রিকম্বিনেন্ট DNA যুক্ত ব্যাকটেরিয়াম আবাদ করলে অল্প সময়ে হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হবে এবং প্রতিটি ব্যাকটেরিয়ামে ঐ কাঙ্ক্ষিত জিন থাকবে। এভাবে কাক্ষিত জিনের অসংখ্য কপি করা হয়। আর এ জন্যই জিন ক্লোনিং-এ প্লাজমিড ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ১৩ PCR বলতে কী বােঝ?

উত্তর : ১৯৮৪ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানী Kary Mullis কোষ বহির্ভূতভাবে DNA ক্লোনিং এর দ্রুততম এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এ প্রযুক্তিকে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা PCR বলা হয়। PCR প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত কোনাে DNA টুকরাকে অল্প সময়ের মধ্যে বহুগুণ বৃদ্ধি করা যায়।

But : জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স

রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির প্রয়ােগ

প্রশ্ন ১৪। GM শস্য বলতে কী বােঝায়? কু, বাে, ‘১৬; ‘১৯;

উত্তর : GM মানের Genetically Modified । জেনেটিক মডিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন শস্যের রােগ-বালাই ক্ষমতা বৃদ্ধি যে শস্য উৎপাদন করা হয় তাকে GM শস্য বলে। যেমন- B+ বেগুন,গােল্ডেন রাইস, transgenic ভুট্টা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৫। ইন্টারফেরন (Interferon) এর গুরুত্ব কী কী? [দি, বাে, ‘১৯]

উত্তর : ইন্টারফেরন এর গুরুত্ব হলাে-
১, অনাক্রম্যতন্ত্র-কে নিয়ন্ত্রণ করে।
২. B ও T লিম্ফোসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধিকে দমন করে।
৩. অ্যান্টিবডি উৎপাদনে বাধা দেয়।
৪. পােষকের অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।

প্রশ্ন ১৬। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল প্রচলিত পন্থা থেকে উন্নত কেন? (ব, বাে, ‘১৬)

উত্তর : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল প্রচলিত পন্থা থেকে উন্নত । কারণ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে উন্নত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদের জিনকে পৃথক করে অন্য উদ্ভিদের DNA-তে প্রতিস্থাপন করা হয়। ফলে উন্নত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ ও ফসল পাওয়া যায় যা রােগ, পােকামাকড় প্রতিরােধক্ষম, হয় এবং অধিক গুণগত মানসম্পন্ন হয়। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপন্ন ফসলের গুণগত মান আগের মতােই থাকে।

প্রশ্ন ১৭। কৃষি উৎপাদনে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার লিখ।

উত্তর : জীব প্রযুক্তির ব্যবহার করে কোনাে বন্য প্রজাতি থেকে কাঙ্ক্ষিত জিন সংগ্রহ করে ফসলী উদ্ভিদে প্রতিস্থাপন করে বর্তমানে অধিক ফলনশীল জাত উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার করে ট্রান্সজেনিক ফ্রস্টরােধী গােলআলু উৎপাদন শুরু হয়েছে। Flaver SaryTM নামক জাতের টমেটোয় জিন স্থানান্তরের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটানাে সম্ভব হয়েছে। জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে Bacillus thuringiensis-এর একটি জিন ভুট্টা উদ্ভিদের অণু প্রবেশ ঘটিয়ে ক্ষতিকারক কর্ণবােরার প্রতিরােধী ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রশ্ন ১৮। বাংলাদেশের প্রথম GM ফসল কীভাবে তৈরি করা হয়েছে?

উত্তর : জেনেটিক মডিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের রােগ-বালাই প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , যে ফসল উৎপাদন করা হয় তাকে GM ফসল বলে। বাংলাদেশের প্রথম GM ফসল হলাে Bt-বেগুন।Bacillus thuringiensis নামক একটি সয়েল ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিস্টাল প্রােটিনজিন বেগুনের জিনােমে অন্তর্ভুক্ত করে Bt-বেগুন উৎপন্ন করা হয়েছে।

প্রশ্ন ১৯। প্রাণীর ক্ষেত্রে জিন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর : প্রাণীর ক্ষেত্রে জিন প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাণীর উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাত সৃষ্টি করা যায়। যেমন- বড় আকারের প্রাণী, বেশি মাংস উৎপাদনকারী প্রাণী, দুধে বেশি আমিষ সমৃদ্ধ গবাদিপশু, উন্নত পুষ্টিগুণবিশিষ্ট প্রাণী, বেশি পশম উৎপাদনকারী প্রাণী ইত্যাদি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবন করা যায়।

So follow this: জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর সাজেশান্স

চিকিৎসা ও ওষুধ শিল্পে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার

প্রশ্ন ২০। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এনজাইমের ব্যবহার লেখ।

উত্তর : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ব্যবহার করা হয়। এগুলাের মধ্যে রেস্ট্রিকশন এনজাইমের সহায়তায় কাঙ্ক্ষিত জিন এবং বাহক প্লাজমিড় উভয়কে কর্তন করা হয়। DNA লাইগেজ এনজাইমের সহায়তায় উভয় DNA-র সংযােজন এবং রিকম্বিনেন্ট DNA প্লাজমিড সৃষ্টি করা হয়।

প্রশ্ন ২১। মানুষে কোন কোন ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয়?

উত্তর : মানুষে নিম্নলিখিত তিনটি ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয়। যথা-
১. আলফা ইন্টারফেরন, ২, বিটা ইন্টারফেরন এবং ৩, গামা ইন্টারফেরন

পরিবেশ ব্যবস্থাপনা

প্রশ্ন ২২। পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় জীব প্রযুক্তির ব্যবহার লিখ।
উত্তর : পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় জীবপ্রযুক্তির নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। বায়ু দূষণরােধে জৈব ছাকনি, অণুজীব থেকে জৈব জ্বালানি, পরিবেশের উপাত্ত সংগ্রহকারী জৈব সংবেদক এবং কম্পিউটারের জন্য জৈব চিপস উৎপাদন করা হয় জীবপ্রযুক্তির মাধ্যমে। এছাড়া জিন ব্যাংকে স্থাপন করে জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা করতেও জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রশ্ন ২৩। সিউয়েজ আত্তীকরণ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : ঘরবাড়ি, মহল্লা বা কৃষিখামার হতে নির্গত মলমূত্র ও জঞ্জালকে সিউয়েজ বা নর্দমার ময়লা বলে। বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ নিয়ে সিউয়েজ গঠিত। জৈব পদার্থ পানি দূষণের অন্যতম কারণ। সিউয়েজ পানি যাতে খাবার বা ব্যবহার্য পানির সাথে মিশতে না পারে, সেজন্য উন্নত দেশে জৈবিক উপায়ে পরিশােধন করা হয়। এ প্রক্রিয়াকে বলে সিউয়েজ আত্তীকরণ ।

জিনােম সিকোয়েন্সি-এর প্রয়ােগ

প্রশ্ন ২৪। জিনােম সিকোয়েন্সিং বলতে কী বুঝ? (রা. বাে, ‘১৯, ঢা. বাে, ‘১৭; দি. বাে., য. বাে., সি. বাে.’১৭)

উত্তর : জিনােম সিকোয়েন্সি হচ্ছে- কোনাে DNA অণুর বা DNA খণ্ডের মধ্যে বিদ্যমান ক্ষার অনুক্রম বা নিউক্লিওটাইড নির্ণয়ের পদ্ধতি। এটি রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যার মাধ্যমে অল্প সময়ে সঠিকভাবে DNA অণুর ক্ষার অনুক্রম জানা যায় ।

প্রশ্ন ২৫। জিনােম সিকোয়েন্সিং-এর দুটি গুরুত্ব লেখ।

উত্তর : জিনােম সিকোয়েসিং এর দুটি গুরুত্ব নিম্নরূপ :
১. জিনােম সিকোয়েসিং প্রয়ােগ করে বর্তমানে বিভিন্ন বংশগত রােগ নির্ণয় করে জিন থেরাপির মাধ্যমে রােগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
২. জীবের জিনােম সিকোয়েন্সিং করে কাঙ্ক্ষিত জিনের অবস্থান অনুসন্ধান ও শনাক্ত করা যায়।

প্রশ্ন ২৬। DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট বলতে কী বুঝ?

উত্তর : DNA এর অতি পরিবর্তনশীল অঞ্চল থেকে তেজস্ক্রিয় প্রােবের সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যান্ড চিহ্নিতকরণকে DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট বলে। অর্থাৎ, যে জটিল প্রক্রিয়ার সাহায্যে DNA এর কিছু অংশের ডিঅক্সিরাইবাে নিউক্লিওটাইডের সজ্জারীতি নির্ণয় করে জেনেটিক স্তরে কোনাে ব্যক্তিকে অপর কোনাে ব্যক্তি থেকে পৃথক করা যায় তাকে DNA ফিঙ্গার প্রিন্ট বলে।ট

জীবপ্রযুক্তির প্রয়ােগে জীবনিরাপত্তার বিধানসমূহ

প্রশ্ন ২৭। জীব নিরাপত্তা বিধান বলতে কী বুঝ?

উত্তর : যে বিষয়ের মাধ্যমে গবেষণালব্ধ বিভিন্ন সংক্রামক ও GMO (Genetically modified organisms) এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে সংরক্ষিত করা হয় তাকে জীবনিরাপত্তা বা জীবজ সুরক্ষা বলে। মানুষের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত জীবগােষ্ঠীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার নিশ্চয়তাকে জীবনিরাপত্তা বলা হয়। জীব নিরাপত্তার মূল উদ্দেশ্য হলাে জীব প্রযুক্তি প্রসূত পদার্থ ও জীবপ্রযুক্তি থেকে উদ্ভূত কোনাে বিপদ থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষা করা।

Because of additional knowledge without জীবপ্রযুক্তি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর সাজেশান্স click here:

Leave a Comment

You cannot copy content of this page