ডায়াবেটিস হলে চিনির বিকল্প কী খাবেন?
ডায়াবেটিস হলে চিনির বিকল্প কী খাবেন?
ডায়াবেটিস হলে চিনির বিকল্প কী খাবেন?:
প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এই রোগ সরাসরি প্রভাব ফেলে আপনার খাবার টেবিলেও । পছন্দের অনেক খাবারই সরিয়ে ফেলতে হয় এই জন্য । বিশেষ করে সমস্যায় পড়েন যাঁরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তারা।
ডায়াবেটিস হলে জীবন থেকে মিষ্টিকে বিদায় বলে দিতে হয়। একদমই খাওয়া যায় না চিনি বা এ–জাতীয় খাবারসমূহ। তবে তার পরিবর্তে খেতে পারেন প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি কিছু খাবার ও উপাদান । যদি আপনার কিংবা কোনো পরিজনের ডায়াবেটিস থেকে থাকে, তবে জেনে নিন কোনগুলো হতে পারে চিনির বিকল্প।
জটিল কার্বোহাইড্রেট বেছে নিন: জটিল কার্বোহাইড্রেট সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে ধীরে ধীরে ভেঙে যায়, তাই রক্তে শর্করার মাত্রায় তাদের কম প্রভাব পড়ে। জটিল কার্বোহাইড্রেটের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে পুরো শস্যের রুটি, বাদামী চাল, কুইনো এবং মিষ্টি আলু।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ফাইবারের ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং লেবু।
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন: চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে, তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। পরিবর্তে, চিনি-মুক্ত বিকল্প বা খাবার বেছে নিন যেগুলিতে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই কম।
চর্বিহীন প্রোটিন উৎস দেখুন: প্রোটিন রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করতে সহায়তা করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। চিকেন, টার্কি, মাছ এবং টফুর মতো চর্বিহীন প্রোটিন উত্সগুলি বেছে নিন।
খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন: যেকোনো ধরনের খাবার বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অংশের আকার নিয়ন্ত্রণ করতে পরিমাপের কাপ এবং চামচ ব্যবহার করুন এবং কয়েকটি বড় খাবারের পরিবর্তে সারা দিন ছোট, ঘন ঘন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলুন: একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান আপনাকে একটি খাবারের পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তারা বাইরে খাওয়া এবং বিশেষ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য টিপসও দিতে পারে।
আরো খেতে পারেন
নাশপাতি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নাশপাতি হতে পারে ডেজার্টের সেরা অনুষঙ্গ এবং এটা প্রায় সবকিছুর সঙ্গেই খাওয়া যায় এমন একটি বিকল্প।
গ্রিক ইয়োগার্ট/দই
গ্রিক দই বা ছাঁকা দই যেমন পুষ্টিকর, তেমনি বিভিন্ন ফল মিশিয়েও খাওয়া যায়। তখন সেগুলোর স্বাদ ও গন্ধও ভালোভাবেই বলেই এগুলো আপনারা খেতে পারেন।
আপেল
বেশি আপেলও খাওয়া যেতে পারে মিষ্টির বিকল্প হিসেবে। স্লাইস করে কেটে খেলে দারুণ ডেজার্টের কাজ হবে বলে মনে করা হয়।
হিমায়িত ফল
এখন অনেক ফলই হিমায়িত বা ফ্রোজেন অবস্থায় কিনা যায়। এগুলোও হতে পারে মিষ্টির বিকল্প খাবার।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটের ফ্লেভানয়েড আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। অবশ্য অনেকেই এটা ঠিক খেতে পারেন না কিংবা খেতে চাননা।
বাসায় বানানো ডেজার্ট
যদি কোনো বিশেষ মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছেই করে, বাসায় বানিয়ে ফেলুন। ব্যবহার করুন হোল গ্রেইন আটা, তাজা ফলের রস ইত্যাদি।
ট্রেইল মিক্স
বাজারে বাদামের বিভিন্ন মিশ্রণ পাওয়া যায়। ইংরেজিতে বলে ট্রেইল মিক্স। থাকে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ার বিচি ইত্যাদি।
আঙুর/স্ট্রবেরি
মিষ্টির বদলি হিসেবে খেতে পারেন বেরিজাতীয় ফল। যেমন আঙুর, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি।
এনার্জি বাইটস
বাসায় বানাতে পারেন মিষ্টি এনার্জি বাইটস। ওটস, নারকেল, বাদামের মাখন, তিসির বীজ ইত্যাদি দিয়ে। সঙ্গে অল্প করে চকলেট।
চিয়া বীজ
চিয়া বীজকে বলা যায় অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের পাওয়ারহাউস। চিনির বদলে এটা সহজেই রাখতে পারেন আপনার খাবারের তালিকায়।
এই ডায়াবেটিস হলে চিনির বিকল্প কী খাবেন? ছাড়াও আরো পড়ুন