আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQঃ অনুধাবন স্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

আরো পড়ুনঃ

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

প্রশ্ন ১। প্রযুক্তির ব্যবহারে মটোর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব— কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মটোর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। প্রশিক্ষণার্থী এ পরিবেশের সাথে একাত্ম হয়ে বাস্তবের ন্যায় মটর ড্রাইভিং কৌশল রপ্ত করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে সহজেই ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব হচ্ছে।

প্রশ্ন ২। বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব’- এটি শুধুম্মাত্র সম্ভব হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখতে, সেই সাথে বাস্তবের মতো শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

প্রশ্ন ৩। ‘ভার্চুয়াল জগৎ এবং বাস্তব জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা – ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রকৃত অর্থে রাস্তবে যা ঘটে তাই বাস্তব জগৎ, পক্ষান্তরে বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল জগৎ বলে। ভার্চুয়াল জগতে বাস্তবকে শুধু উপলব্ধি করা যায়। যেমন—বাস্তব জগতে মানুষ শূন্যে উড়ে যেতে পারে না, ১২০ তলা ভবন থেকে লাফ দেওয়া কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব জগৎ তৈরি করে। এসব বিষয়গুলো উপলব্ধি করা যায়, যা বাস্তবে সম্ভব হয় না।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতা

প্রশ্ন ৪। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা। বুদ্ধিমত্তা বা চিন্তা করার ক্ষমতা প্রাণীর আছে কিন্তু জড়বস্তুর নেই। তবে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন প্রচেষ্টায় যন্ত্রের মধ্যে চিন্তা করার ক্ষমতা প্রদান করতে সম্ভব হয়েছে। এটিই মূলত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অন্যভাবে বলা যায়, মানুষের চিন্তা-ভাবনাগুলো কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারের মধ্যে রূপ দেওয়াকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দরুন কম্পিউটারের ভাবনা-চিন্তাগুলো মানুষের মতোই হয়। উদাহরণ হিসেবে রোবটের কথা বলা যায়, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিত্তা।

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

প্রশ্ন ৫। আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি যখন কোনো একটা বস্তুর কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোনো বিশেষ প্রযুক্তি বা যন্ত্র ব্যবহার করে অণু বা পরমাণুগুলোকে ন্যানোমিটার স্কেলে বা ন্যানো পার্টিকেল রূপে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই প্রযুক্তিকে ন্যানো টেকনোলজি বলে। এ প্রযুক্তির প্রধান সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে কোনো পদার্থের অণু-পরমাণুকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে কাঙ্ক্ষিত রূপ দেওয়া যায়। বর্তমানে জিন প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৬। “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে অনেক যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনই একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র হলো রোবট, যা অত্যন্ত দ্রুত, ক্লান্তিহীন এবং নিখুঁত কর্মক্ষম স্বয়ংক্রিয় আধুনিক যন্ত্র। নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি যন্ত্র বা রোবটে কোনো সমস্যার কী ধরনের সমাধান করতে হবে তার সম্ভাব্য সকল সমাধান প্রোগ্রাম আকারে দেওয়া থাকে। এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী যন্ত্র বা রোবট স্বায়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। প্রোগ্রামের এই কোনো কিছু করা সম্ভব হয় না।

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

প্রশ্ন ৭। রোবট একটি প্রোগ্রাম কন্ট্রোল ডিভাইস ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : রোবট সাধারণত একটি ইলেকট্রো যান্ত্রিক ব্যবস্থা যার কাজকর্ম, অবয়ব ও চলাফেরা সবই নিয়ন্ত্রিত। রোবট হতে পারে.. পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়, আধা-স্বয়ংক্রিয়, রি-প্রোগ্রামেবল অথবা মানব নিয়ন্ত্রিত। রোবট তার স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ করে থাকে। তাই রোবট একটি প্রোগ্রাম কন্ট্রোল ডিভাইস

প্রশ্ন ৮। নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (41°C) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

প্রশ্ন ৯। “দরজায় বিশেষ স্থানে তাকাতেই তা খুলে যায়”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : “দরজায় বিশেষ স্থানে তাকাতেই তা খুলে যায়” এখানে বায়োমেট্রিক্সের চোখের মণি ও রেটিনা বা আইরিশ স্ক্যান পদ্ধতিকে বোঝানো হয়েছে। আইরিস শনাক্তকরণ পদ্ধতিতে চোখের তারার রঙিন অংশকে পরীক্ষা করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মণিতে রক্তের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে মানুষকে শনাক্ত করা হয়। আইরিস বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোনো ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিশ বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যাটার্ন রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়োগে শনাক্তকরণ করা হয়। পরবর্তীতে দরজায় স্থাপিত বিশেষ স্থানে তাকালে দরজা খুলে যায়।

প্রশ্ন ১০। “Finger Print” ব্যক্তি শনাক্তকরণের উন্নত পদ্ধতি” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স। এ পদ্ধতি মানুষকে শারীরিক ও আচরণগত – এ দুভাবে শনাক্ত করে থাকে। বায়োমেট্রিক্স শনাক্তকরণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে Finger Print পদ্ধতিতে হাতের রেখা, হাতের আকার ও আঙ্গুলের দৈর্ঘ্য বিবেচনা করে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে শনাক্তকরণে সময় কম লাগে এবং শতভাগ সফলতার সাথে শনাক্ত করা যায়। তাই ব্যক্তি শনাক্তকরণের আধুনিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এর ব্যবহার সর্বাগ্রে।

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

প্রশ্ন ১১। বায়োইনফরমেটিক্স বলতে কী বুঝ?
উত্তর : বায়োইনফরমেটিক্স হলো জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয় যা জীববিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলো ব্যাখ্যা করে। অন্যভাবে, কম্পিউটার ও পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে জৈব তথ্য বিশ্লেষণ করার প্রক্রিয়া, তথা কম্পিউটার ডেটাবেজ এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে জৈব গবেষণার ক্ষেত্রে যে উন্নত আধুনিক পদ্ধতি জৈব গবেষণার কাজকে ত্বরান্বিত করে তাকেই বায়োইনফরমেটিক্স বলে।

প্রশ্ন ১২। ন্যানো প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে 1 থেকে 100 ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো প্রযুক্তি দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা যায়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির কিছু থেকে শুরু করে তাকে ভেঙে ছোট করতে করতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকৃতিতে পরিণত করা হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্যোৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হচ্ছে।

আইসিটি ১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন (১ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক) ICT 1st chapter CQ

Leave a Comment

You cannot copy content of this page