কোষ ও এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স

কোষ ও এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশান্স দেওয়া হয়েছে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অনুশীলন এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য।

 কোষের প্রকারভেদ

প্রশ্ন ১। কোষকে জীবদেহের গঠন এবং কাজের একক বলা হয় কেন? [সি, বাে, ‘১৯)
উত্তর : কোষের মধ্যেই জীবদেহের সকল বিপাকীয় কর্মকাণ্ড চলমান কোষের মধ্যে জীবের ধর্মগুলাের প্রতিফলন দেখা যায় । সজীবভেদ্য পর্দা দ্বারা আবৃত কোষের মধ্যেই প্রতিনিয়ত ঘটে চলে জীবনের প্রয়ােজনীয় জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলাে। এ কারণেই কোষকে জীবদেহের গঠন এবং কাজের একক বলা হয় ।

প্রশ্ন ২। কোষকে কী ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা যায়?
উত্তর : কোষ হচ্ছে জীবদেহের যাবতীয় কাজের, যেমন– শ্বসন, পুষ্টি,রেচন, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার প্রভৃতির আধার। কারণ প্রতিটি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যে শক্তির দরকার তা তৈরি হয় কোষের ভেতর রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে। কাজেই এ বিবেচনায় কোষকে একটি ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা যায় ।

কোষ প্রাচীর

প্রশ্ন ৩। র‍্যাফাইড কী—ব্যাখ্যা কর। (চ: বাে, ‘১৯)
উত্তর : প্রােটোপ্লাজমের বিপাক ক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ সৃষ্টি হয়। যেমন- গাম, রেজিন, তরুক্ষীর, ট্যানিন, উদ্বায়ী তেল, জৈব এসিড এবং খনিজ ক্রিস্টাল প্রভৃতি। ক্যালসিয়াম অক্সালেট হলাে প্রধান খনিজ ক্রিস্টাল, এরা সূচের মতাে আকারে থাকলে এদের র‍্যাফাইড বলা হয়।

প্রশ্ন ৪। প্রােটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তর : কোষের অভ্যন্তরে স্বচ্ছ, আঠালাে এবং জেলির ন্যায় অর্ধতরল,কলয়ডাল ধর্মী সজীব পদার্থকে প্রােটোপ্লাজম বলে। প্রােটোপ্লাজমই কোষের তথা দেহের সকল মৌলিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে। এজন্যই প্রােটোপ্লাজমকে জীবনের ভৌত ভিত্তি বলা হয়।

প্লাজমামেমব্রেন বা কোষঝিল্লি

প্রশ্ন ৫। মাইক্রোটিউবিউলসকে কোষের কঙ্কাল বলা হয় কেন?
উত্তর : মাইক্রোটিউবিউলসকে কোষের কঙ্কাল বলার কারণ হলাে, এটি কোষের নিউক্লীয় বিল্লি থেকে কোষঝিল্লি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুসমূহ মাইক্রোটিউবিউলস্-এর সাথে যুক্ত থাকে।

প্রশ্ন ৬। কোষঝিল্পির চারটি কাজ লেখ।

উত্তর : কোষঝিল্লির ‘চারটি কাজ নিম্নরূপ :
১. এটি কোষীয় সব বস্তুকে ঘিরে রাখে ।
২. বাইরের প্রতিকূল অবস্থা হতে অভ্যন্তরীণ বস্তুকে রক্ষা করে।
৩. কোষঝিল্লির মধ্যদিয়ে বস্তু স্থানান্তর এবং ব্যাপন নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় হয়।
৪. ঝিল্লিটি একটি কাঠামাে হিসেবে কাজ করে যাতে বিশেষ বিশেষ এনজাইম এতে বিন্যস্ত থাকতে পারে।

কোষঝিল্লির গঠনের প্রধান উপাদান হলাে প্রােটিন ও লিপিড

প্রশ্ন ৭। কখন একটি প্রােটিন ট্রান্সপাের্ট প্রােটিন হিসেবে বিবেচিত হয়?
উত্তর : নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি প্রােটিন ট্রান্সপাের্ট প্রােটিন হিসেবে বিবেচিত হয়—

১. ঝিল্লির একপৃষ্ঠ থেকে অপর পৃষ্ঠ পর্যন্ত ব্যাপ্ত ।
২. এক বা একাধিক সুনির্দিষ্ট গাঠনিক স্থান থাকে।
৩. প্রােটিন তার অবস্থান পরিবর্তন করে না, শুধু আকৃতি পরিবর্তন করে পরিবহন কাজ সম্পন্ন করে ।

প্রশ্ন ৮। পলিরাইবােজাম কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : প্রতিটি রাইবােসােম দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে আবৃত এবং দুটি অসমান উপএকক দিয়ে গঠিত গােলাকার বস্তু। এর রাসায়নিক উপাদানের শতকরা ৫০ ভাগ RNA এবং বাকী ৫০ ভাগ হিস্টোন জাতীয় আমিষ । এরূপ রাইবােসােম অনেকগুলাে একত্রে RNA সূত্র দিয়ে সংযুক্ত হয়। RNA সূত্র দিয়ে অনেকগুলাে রাইবােসােম সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে পলিরাইবােজোম সৃষ্টি হয়।

রাইবােসােম

প্রশ্ন ৯। রাইবােসােমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয় কেন?
উত্তর : ঝিল্লীবিহীন যে কোষীয় অগাণুতে প্রােটিন সংশ্লেষণ হয় তাকে রাইবােসােম বলে । ইহাকে প্রােটিন ফ্যাক্টরি ও বলা হয়। উল্লেখ্য যে আদিকোষ ও প্রকৃত কোষে উপস্থিত থাকার কারণে রাইবােসােমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয় । আদিকোষে 70 S ও প্রকৃতকোষে 80 S ধরনের রাইবােসােম থাকে।

প্রশ্ন ১০। কোন অঙ্গাণুকে কেন কোষের প্রােটিন তৈরির কারখানা বলা হয়? [রা, বাে, ‘১৬]
উত্তর : রাইবােসােমকে কোষের প্রােটিন তৈরির কারখানা বলা হয়। সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানাে গােলাকার বা ডিম্বাকার অঙ্গাণুর নাম রাইবােসােম। রাইবােসােমের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলাে RNA এবং প্রােটিন। প্রোটিন সংশ্লেষণ করাই রাইবােসােমের প্রধান কাজ। প্রােটিন সংশ্লেষণের সাথে জড়িত থাকার কারণে রাইবােসােমকে কোষের প্রােটিন তৈরির কারখানা বলা হয়।

লাইসােসােম

প্রশ্ন ১১। লাইসােসােমকে আত্মঘাতী থলিকা বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। (য, ৰাে, ‘১৯; য, বাে, ‘১৭; ব, বাে, ‘১৭)
উত্তর : লাইসােসােমের ভেতর বিভিন্ন ধরনের এনজাইম থাকে। অনেক ও সময় তীব্র খাদ্যাভাবে এর প্রাচীর ফেটে যায় এবং আবদ্ধকৃত এনজাইম ভেতর থেকে বের হয়ে কোষের অন্যান্য ক্ষুদ্রাগুলােকে ধ্বংস করে ফেলে। এজন্য লাইসােসােমকে আত্মঘাতী থলিকা বলা হয়।

প্রশ্ন ১২। আত্মঘাতী কোষ অঙ্গাণুর কাজ লেখ।
উত্তর : আত্মঘাতী কোষ অঙ্গাণুটি হলাে লাইসােসােম। নিচে লাইসােসােমের কাজ উল্লেখ করা হলাে-
১. লাইসােসােম ফ্যাগােমাইটোসিস ও পিনােসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষে আগত আক্রমণকারী জীবাণ ধ্বংস করে বা খাদ্য উপাদনকে ভক্ষণ করে।
২. এটি বিগলকারী এনজাইমসমূহকে আবদ্ধ রেখে কোষের বিভিন্ন অঙ্গাণুকে রক্ষা করে।

মাইটোকন্ড্রিয়ন

প্রশ্ন ১৩। মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন?
উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়াতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপাের্ট সিস্টেম প্রভৃতি ঘটে থাকে। এটি কোষের যাবতীয় বৈজ্ঞানিক কাজ সম্পাদনের প্রয়ােজনীয় শক্তির একমাত্র উৎস। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস বলে ।

প্লাস্টিড

প্রশ্ন ১৪। গাজরের মূলে প্রাপ্ত প্লাস্টিডের কাজ লিখ।
উত্তর : গাজরের মূলে প্রাপ্ত প্লাস্টিডটি হলাে ক্রোমােপ্লাস্ট। ফুলের পরাগায়ন এবং ফল ও বীজ বিস্তারের জন্য কীটপতঙ্গ ও প্রাণিকূলকে আকৃষ্ট করা এর প্রধান কাজ।

প্রশ্ন ১৫। লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন অঙ্গাণু বলা হয় কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের মূল, ভূনিম্নস্থ কাণ্ড প্রভৃতি যেসব অঙ্গে সূর্যালােক পৌঁছায় না।সেসব কোষে লিউকোপ্লাস্ট থাকে। লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন অঙ্গাণু বলা হয়। কারণ এতে কোনাে রঞ্জক পদার্থ থাকে না। আর রঞ্জক পদার্থ না থাকার কারণেই লিউকোপ্লাস্টকে বর্ণহীন ‘অঙ্গাণু বলা হয়।

নিউক্লিয়াস

প্রশ্ন ১৬। কোষের মস্তিষ্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : নিউক্লিয়াস কোষের মস্তিষ্ক নামে পরিচিত। নিউক্লিয়াস একটি কোষের সকল জৈবনিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে কোষকে সজীব রাখে। এজন্য একে কোষের মস্তিষ্ক বা প্রাণকেন্দ্র বুলা হয় ।

প্রশ্ন ১৭। নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?
উত্তর : নিউক্লিয়াস কোষের যাবতীয় কার্যাবলি যেমন, কোষের গঠনগত ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রণ, RNA ও রাইবােসােম গঠন, প্রােটিন সংশ্লেষণ, বংশগতির স্থানান্তর, বংশগতির বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক ক্রোমােসােম ধারণ, কোষ বিভাজনে অংশ গ্রহণ সবই নিয়ন্ত্রণ করে। তাই জীবকোষের সার্বিক কার্য সম্পাদনে জড়িত বলে নিউক্লিয়াসকে কোযের প্রাণকেন্দ্র বলে।

ক্রোমােসােম ও বংশগতীয় বস্তু

প্রশ্ন ১৮। নিউক্লিওটাইড বলতে কী বুঝ? (দি, বাে, ‘১৯; কু, বো, ‘১৬)
উত্তর : এক অণু নিউক্লিওসাইডের সাথে এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে গঠিত যৌগকে নিউক্লিওটাইড বলে। অন্যভাবে বলা যায় নিউক্লিওসাইডের ফসফেট এস্টার হলাে নিউক্লিওটাইড । এটি নিউক্লিক এসিডের গাঠনিক একক। সাধারণত এক অণু পেন্টোজ সুগার, এক অণু নাইট্রোজেন ক্ষারক ও এক অণু অজৈব ফসফেটের সমন্বয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত। এক্ষেত্রে নিউক্লিওসাইডের ৩নং অথবা ৫নং কার্বনের সাথে ফসফেট গ্রুপটি যুক্ত হয়ে নিউক্লিওটাইড গঠন করে ।

প্রশ্ন ১৯। নিউক্লিওজোম বলতে কী বােঝায়?
উত্তর : ইউক্যারিওটিক ক্রোমােসােম ক্রোমাটিন তন্তু দ্বারা গঠিত। মূলত DNA ও হিস্টোন প্রােটিন দিয়ে গঠিত। হিস্টোন প্রােটিন কেন্দ্রীয় কণা গঠন করে এবং ঐ কেন্দ্রীয় কণাকে বেষ্টন করে DNA এমনভাবে অবস্থান করে যে, ক্রোমাটিন তন্তুকে সুতাের উপর সারিবদ্ধভাবে সজ্জিত নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর পুঁতির দানার মতাে দেখায় এই কণিকাগুলােই হলাে নিউক্লিওজোম ।

প্রশ্ন ২০। ক্রোমােসােমকে বংশগতির বাহক বলা হয় কেন?
উত্তর : ক্রোমােসােম হলাে নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লিক এসিড নির্মিত কোষীয় অঙ্গাণু। সাধারণত প্রজাতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একটি কোষের নিউক্লিয়াসে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমােসােম দেখা যায় । ক্রোমোেসামের গাঠনিক একক হলাে জিন যা পিতামাতা থেকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানসন্ততিতে বহন করে। এ কারণেই ক্রোমােসােমকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়।

DNA (Deoxyribonucleic Acid)

প্রশ্ন ২১। DNA ই হলাে ‘মাস্টার মলিকিউল’ -ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে অণু জীবকোষের সকল রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে মাস্টার মলিকিউল বলে। DNA জীবকোষের সকল ধরনের ক্রয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। জীবকোষের সব ধরনের জৈবিক সংকেত বহন করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি জীবকোষের জৈবিক সংকেত প্রেরক হসেবে কাজ করে। এ কারণে DNA ই হলাে মাস্টার মলিকিউল।

প্রশ্ন ২২। DNA কে বংশগতির ধারক বাহক বলা হয় কেন?
উত্তর : DNA কে বংশগতির ধারক ও বাহক বলার কারণ :
১. DNA দ্বারাই কোষ বিভাজনের সময় এক নির্ভুল প্রতিলিপি সৃষ্টি হয়।
২. DNA বংশগতির সর্বপ্রকার জৈবিক সংকেত বহন করার ক্ষমতা রাখে।
৩. কোনাে জীবের সব কোষে যেকোনাে ধরনের জৈবিক সংকেতের প্রেরক হচ্ছে DNA।
৪. DNA কোষের জন্য নির্দিষ্ট ধরনের প্রােটিন সংশ্লেষ করে।

Biology first paper:কোষ এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

RNA (Ribonucleic Acid)

প্রশ্ন ২৩। রাইবােনিউক্লিও প্রােটিন কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : কোনাে কোষের সমুদয় RNA অণুর শতকরা ৮০-৯০ ভাগ রাইবােজোমাল RNA ।এরা রাইবােসােমে অবস্থান করে রাইবােজোমাল RNA প্রােটিনের সাথে যুক্ত হতে পারে। রাইবােজোমাল RNA প্রােটিনের সাথে যুক্ত হয়ে রাইবােনিউক্লিও প্রােটিন গঠন করে।

DNA অণুর প্রতিলিপি

প্রশ্ন ২৪। অর্ধ-সংরক্ষণশীল অনুলিপন কিভাবে হয়?
উত্তর : DNA এর দ্বিহেলিক্সের সূত্ৰক দুটি একই সময়ে কীভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজ্ঞানিগণ DNA অনুলিপন সম্পর্কে তিনটি মডেল প্রস্তাব করেন। যার মধ্যে একটি হলাে অর্ধরক্ষণশীল অনুলিপন মডেল। এ ধরনের অনুলিপন পদ্ধতিতে অপত্য DNA এর হেলিক্সের একটি সূত্র মাতৃ DNA থেকে পাওয়া যাবে এবং একে টেমপ্লেট ছাঁচ হিসেবে ব্যবহার করে পরিপূরক সূত্রে সংশ্লেষণ ঘটবে। এ জন্য অনুলিপনের ফলে সৃষ্ট অপত্য DNA অণু দুটি মাতৃ DNA অণুর অনুরূপ গঠন বিশিষ্ট হবে। অপত্য DNA অণুর দুটি সূত্রের একটি মাতৃ DNA অণু থেকে পাওয়া যায় বলে এ পদ্ধতি অর্ধসংরক্ষণশীল অনুলিপন হিসেবে পরিচিত।

প্রশ্ন ২৫। DNA রেপ্লিকেশন কীভাবে হয়?
উত্তর : সূত্র বিসরণ অনুকল্প অনুসারে DNA রেপ্লিকেশন নিম্নলিখিততিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়-

১. হাইড্রোজেন বন্ডের বিলােপ সাধন
২. সম্পূরক সৃষ্টি এবং
৩. ছাঁচের ক্ষারকের অনুক্রম অনুসারে সম্পূরক ক্ষারকের বিন্যাস ও হাইড্রোজেন বন্ডের সৃষ্টি।

ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন

প্রশ্ন ২৬। ট্রান্সলেশন কী? [ঢ়া, বাে, ‘১৯]
উত্তর : DNA এর ভাষাকে RNA এর মাধ্যমে প্রােটিনের ভাষায় রূপান্তরিত করাকে ট্রান্সলেশন বলে। এক কথায় mRNA. থেকে প্রােটিন তৈরির প্রক্রিয়াকে Translation এ প্রক্রিয়াটি রাইবােজোমে সংগঠিত হয়।

প্রশ্ন ২৭। ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝ? (রা, বাে, ‘১৭, ঢা. বাে, ‘১৫)
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় mRNA অণুতে অবস্থিত বেসের অনুক্রম অ্যামিনাে এসিডের অনুক্রমে রূপান্তরিত হয়ে একটি প্রােটিন শৃঙ্খল, গঠন করে তাকে ট্রান্সলেশন বলে। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের tRNA অণুর প্রয়ােজন হয়। নিউক্লিয়াস থেকে সাইটোপ্লাজমে আগত mRNA অণু রাইবােসােমের সঙ্গে যুক্ত হলে তখন এ প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়।

জিন, জেনেটিক কোড

প্রশ্ন ২৮। জেনেটিক কোডকে ট্রিপলেট কোড বলা হয় কেন? [ব. বাে, ‘১৯]
উত্তর : যে সংকেত নিউক্লিক এসিডের নিউক্লিওটাইড অনুক্রমের সাথে অ্যামিনাে এসিডের ক্রমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাকে জেনেটিক কোড বলা হয়। DNA-তে পাশাপাশি তিনটি নাইট্রোজিনাস বেস মিলিত হয়ে ট্রিপলেট কোড গঠিত হয়। অর্থাৎ প্রত্যেকটা ‘জেনেটিক কোড তিন অক্ষর বিশিষ্ট (যেমন— AUG, AAA, UUU) হওয়ায় একে ট্রিপলেট কোড বলা হয়।

প্রশ্ন ২৯। জেনেটিক কোডের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : জেনেটিক কোডের বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলাে-
১. একাধিক কোন একটি অ্যামিনাে এসিডকে কোড করে।
২. একটি কোডন কখনাে একাধিক অ্যামিনাে এসিডকে কোড করে না।
৩. কোড়ন তৈরিতে নিউক্লিওটাইড (এখনে Letter) কখনাে ওভার লেপ করে না বরং ক্ৰমসজ্জা অনুসরণ করে।
৪. কোডনসমূহ সার্বজনীন।

Without this কোষ এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন click bellow:

Leave a Comment

You cannot copy content of this page