জীববিজ্ঞান ১মপত্র ব্যবহারিক│উদ্ভিদবিজ্ঞান ব্যবহারিক │Biology practical │HSC

জীববিজ্ঞান ১মপত্র ব্যবহারিক│উদ্ভিদবিজ্ঞান ব্যবহারিক │Biology practical │HSC: এইসএসসি ২০২২ এবং ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীবৃন্দ, তোমাদের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের শর্ট সিলেবাস দেওয়া হয়েছে তারই আলোকে সবগুলো ব্যবহারিক চিত্রসহ বিস্তারিত এখানে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ
জীববিজ্ঞান ১মপত্র ব্যবহারিক│উদ্ভিদবিজ্ঞান ব্যবহারিক │Biology practical │HSC

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সবধরনের লিখা ও চিত্র শুধুমাত্র পেন্সিল দিয়ে লিখবে।

পরীক্ষণ নংঃ১ যৌগিক বা জটিল অণুবীক্ষণযন্ত্র (Compound Microscope)

গঠন প্রকৃতি

যেসব বস্তু বা তার অংশবিশেষ খালি চোখে কিছুতেই দেখা যায় না এবং দৃষ্টিগোচরের জন্য তাদের যে যন্ত্রের মাধ্যমে বর্ধিত করতে হয় তাকে যৌগিক অণুবীক্ষণযন্ত্র বলে। ব্যবহারের সুবিধার্থে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের যৌগিক অণুবীক্ষণযন্ত্র নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের গবেষণাগারে সাধারণত যে ধরনের যৌগিক অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহৃত হয়, এখানে তারই বর্ণনা দেওয়া হলো।

যৌগিক অণুবীক্ষণযন্ত্রে সাধারনত নিম্নেবর্ণিত অংশগুলো বিদ্যমান থাকে

i. পাদদেশ (Base) : অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিম্নাঞ্চলের ঘোড়ার খুরের মতো যে অংশটির উপর সমগ্র যন্ত্রটি অবস্থান করে তাকে পাদদেশ বলে।
ii. স্তম্ভ (Pillar) : পাদদেশের উপরে অবস্থিত এটি বেশ দৃঢ় ও চওড়া নিরেট অংশ।
iii. বাহু (Arm) : স্তম্ভের উপরে ইংরেজী “C” অক্ষরের মত বাঁকা অংশটিকে বাহু বলে। এটি স্ক্রুর সাহায্যে স্তম্ভের সাথে যুক্ত থাকে। বাহুটিকে প্রয়োজনমত পেছনের দিকে হেলানো যায়।
iv. মঞ্চ (Stage) : এটি স্তম্ভের উপরিভাগে অবস্থিত আয়তক্ষেত্রাকৃতি একটি প্লেট বিশেষ। এর মধ্যস্থলে একটি বড় ছিদ্র থাকে। অনেকসময় এ ছিদ্রের পরিমাপ অনুসারে একটি স্বচ্ছ কাঁচ আটকানো থাকে।

v. দেহনল (Body-tube) : এটি বাহুর অগ্রভাগে লম্বভাবে অবস্থিত (সাধারণত ১৬০ মিঃ মিঃ দীর্ঘ) ফাঁপা নল বিশেষ।
vi. টানা নল (Draw-tube) : এটি দেহনলের ভেতরে থাকে এবং একে স্থূল ও সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্ক্রু (adjust-ment screw)-এর সাহায্যে উপরে-নিচে নাড়ানো যায়।
vii. স্থূল ও সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্ক্রু (Coarse and fine adjustment screw) : দেহনলের পেছন দিকে দুটি বড় ও ছোট স্ক্রু থাকে। এদের যথাক্রমে স্থূল ও সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্ক্রু বলে। স্থূল সন্নিবেশক স্কুটিকে ঘুরিয়ে টানানলটিকে দ্রুত উপরে-নিচে উঠানামা করানো যায়। কিন্তু সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্ক্রুটিকে ঘুরালে টানানলটি খুব ধীরে ধীরে উঠানামা করে।

viii. নোজ পিস (Nose piece) : এটি দেহনলের নিম্নপ্রান্তে অবস্থিত তিন-ছিদ্রযুক্ত গোলাকৃতির একটি অংশ। একে চক্রাকারে ঘুরানো যায়। ছিদ্রগুলোতে বিভিন্ন বিবর্ধনশক্তি সম্পন্ন অভিলক্ষ্য (objective) লাগানো থাকে।
ix, কনডেন্সার (Condenser) : স্টেজের ছিদ্রের নিচে এটি অবস্থিত। দর্পণ থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মিকে উজ্জ্বলতর করাই এর কাজ।
x. ডায়াফ্রাম (Diaphragm) : এটি কনডেন্সারের নিচে অবস্থিত একটি গোলাকৃতির পর্দা। এর কেন্দ্রস্থলে একটি ছিদ্র থাকে। ছিদ্রের আয়তন ছোট-বড় করা যায়। আলোকরশ্মির তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করাই এর কাজ।

xi. অভিনেত্র (Eye piece) : এটি দেখতে নলাকৃতির, তবে উপরে ও নিচে একটি করে লেন্স লাগানো থাকে। অভিনেত্র টানানলের ভিতরে ঢুকানো থাকে। এটি বিভিন্ন বিবর্ধন শক্তিসম্পন্ন (যেমন- 7×, 10x, 15x, 20x, 40x ইত্যাদি) হয়ে থাকে।
xii. অভিলক্ষ্য (Objective) : এটিও নলাকৃতির ও লেন্সযুক্ত। নোজ পিসের গর্তে বিভিন্ন বিবর্ধনশক্তি সম্পন্ন (যেমন –4x, 10x, 40x, 60x, 100x ইত্যাদি) অভিলক্ষ্য প্যাচের মাধ্যমে যুক্ত থাকে।
xiii. দর্পণ (Mirror) : মঞ্চের নিচে একটি সম-অবতল দর্পণ দত্তের সাহায্যে স্তম্ভের সাথে লাগানো থাকে। দর্পণটি প্রয়োজনমতো বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে মঞ্চের ছিদ্রের ভেতর দিয়ে আলো প্রতিফলনের দিক নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যৌগিক অণুবীক্ষণযন্ত্রের ব্যবহার (Use of Compound Microscope)

১. অণুবীক্ষণযন্ত্রটি আলোকপূর্ণ স্থানে টেবিলের উপর রাখতে হবে।
২. পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে অভিনেত্র ও অভিলক্ষ্যের লেন্সগুলো এবং দর্পণের কাচ পরিষ্কার করতে হবে।
৩. অভিনেত্রের উপর চোখ রেখে নিম্নশক্তিসম্পন্ন অভিলক্ষ্যটিকে ধীরে ধীরে ঘোরাতে হবে। যখন অভিলক্ষ্যটি মঞ্চের ছিদ্রের সাথে লম্বভাবে আসবে, তখন একটি ক্লিক করে শব্দ হবে। অভিলক্ষ্যটিকে ঠিক ঐ অবস্থায় রাখতে হবে।
৪. স্লাইডে কভার স্লিপ দিয়ে ঢাকা নমুনাটিকে মঞ্চের উপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে কভারশিপ ঢাকা অংশটি অভিলক্ষ্যের লেন্সের ঠিক নিচে এবং মঞ্চের ছিদ্রের ঠিক উপরে থাকে। স্লাইডটিকে দুপাশ থেকে ক্লিপ দিয়ে এরূপ ভাবে আটকে দিতে হবে যাতে তা স্থিরভাবে থাকে।

.

৫. এখন অভিনেত্রের উপর চোখ রেখে দর্পণের অবতল দিকটি আলোক উৎসের দিকে ঘুরিয়ে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে মধ্যচ্ছদা, সমাহরণ যন্ত্র ও মঞ্চের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে স্লাইডের কভারশিপ ঢাকা অংশে গিয়ে উজ্জ্বলভাবে পড়ে।
৬. স্থূল সন্নিবেশক স্কু ঘুরিয়ে অভিলক্ষ্যটিকে স্লাইডের খুব নিকটে (স্লাইড থেকে প্রায় আধ ইঞ্চি উপরে) আনতে হবে এবং ঐ স্ক্রু ঘুরিয়ে অভিলক্ষ্যটিকে ধীরে ধীরে উপর নিচে করতে থাকলে দেখা যাবে হঠাৎ স্লাইডে রাখা নমুনাটি স্পষ্ট হয়ে এসেছে। এ পদ্ধতিকে ফোকাস করা (focussing) বলে। এখন সূক্ষ্ম সন্নিবেশক স্ক্রু ঘুরিয়ে দ্রষ্টব্য বস্তুটিকে আরও পরিষ্কার এবং স্পষ্টভাবে দেখতে হবে।
৭. আমাদের স্কুল ও কলেজে ব্যবহৃত অণুবীক্ষণযন্ত্রগুলো মনোকুলার (monocular). তাই এগুলো ব্যবহারের সময় উভয় চোখ খুলে এক চোখ দিয়ে অভিনেত্র দিয়ে দেখতে হয়। চোখে যাতে চাপ (strain) না পড়ে তার জন্য মাঝে মাঝে অভিনেত্রে দেখার জন্য চোখ পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

সতর্কতা (Precaution)

অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করার সময় নিম্নরূপ সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন :

১. অণুবীক্ষণযন্ত্রটি কখনও টেবিলের কিণারায় রাখা যাবে না।
২. অণুবীক্ষণযন্ত্রটি সবসময় খাড়াভাবে রাখতে হবে, নচেৎ মঞ্চে রাখা স্লাইডটি পড়ে যেতে পারে।
৩. প্রথমে নিম্ন শক্তিসম্পন্ন অভিলক্ষ্য ব্যবহার করবে। পরে প্রয়োজনবোধে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অভিলক্ষ্য ব্যবহার করবে।
৪ লক্ষ রাখতে হবে যে, পর্যবেক্ষণের কোন পর্যায়েই অভিলক্ষ্যটি দ্রষ্টব্য বস্তু, তরল পদার্থ কভার স্লিপের সংস্পর্শে না আসে।
৫. সরাসরি আপতিত রশ্মি ব্যবহার করতে নেই, এতে লেন্স ও চোখের ক্ষতি হয়।

৬ যন্ত্রের কোন অংশ সন্নিবেশ করতে কখনো শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
৭. স্লাইড মঞ্চে তোলার আগে ব্লটিং পেপার দিয়ে অতিরিক্ত পানি মুছে নিতে হবে।
৮. লেন্স পরিষ্কার করার জন্য সবসময় সিল্কের বা ঐ জাতীয় কোমল কাপড় কিংবা লেন্স টিশ্যু ব্যবহার করবে।
৯. অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করার পর যন্ত্রটি কাপড় বা পলিথিন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। বেলজারের মধ্যে একটি ছোট পাত্রে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড রাখলে বেলজারটি শুষ্ক থাকে। ফলে লেন্স-এর মধ্যে ছত্রাক জন্মায় না।

পরীক্ষণ নংঃ ২ মাইটোসিসের বিভিন্ন ধাপ পর্যবেক্ষণ

ক. প্রোফেজ (Prophase)

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যঃ
১. ক্রোমোজোমগুলো সরু আঁকাবাঁকা সুতার মতো ও বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থিত।
২. প্রতিটি ক্রোমোজোেম দুটি করে ক্রোমাটিড সহযোগে গঠিত এবং এরা সেন্ট্রোমিয়ার নামক বিন্দুতে যুক্ত।
৩. নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দেখা যায়।
(প্রাণিকোষের সেন্ট্রিওল বিভক্ত হয়ে মেরুর দিকে গমন করছে)
—অতএব এটি মাইটোসিস বিভাজনের প্রোফেজ নামক পর্যায়।

খ. মেটাফেজ (Metaphase)

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
১. দুই মেরুবিশিষ্ট মাকুযন্ত্র দেখা যায়।
২. ক্রোমোজোমগুলো খাটো, মোটা, ক্রোমাটিডে বিভক্ত এবং আকর্ষণ তন্তুর সাথে যুক্ত।
৩. ক্রোমোজোমগুলো কোষের বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
৪. নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেন নেই।
(প্রাণিকোষের সেন্ট্রিওল দুই মেরুতে পৌঁছেছে)
—অতএব এটি মাইটোসিস বিভাজনের মেটাফেজ নামক পর্যায়।

গ. অ্যানাফেজ (Anaphase)

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
১. সেন্ট্রোমিয়ার ভেঙে যাওয়ায় ক্রোমাটিডগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম-এ পরিণত হয়েছে।
২. অপত্য ক্রোমোজোমগুলো পরস্পর বিপরীত মেরুর দিকে অবস্থান করছে।
৩. ক্রোমোজোমগুলো দেখতে V বা L-এর মতো।
–অতএব এটি মাইটোসিস বিভাজনের অ্যানাফেজ নামক পর্যায়।

ঘ. টেলোফেজ (Telophase)

শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
১. অপত্য ক্রোমোজোমগুলো মেরুতে পৌঁছেছে এবং সরু ও লম্বা হয়ে ক্রোমাটিন তন্তু সৃষ্টি করেছে।
২. অপত্য ক্রোমোজোমগুলোকে ঘিরে নতুন নিউক্লিয়ার মেমব্রেন গঠিত হয়েছে এবং কোষের মাঝখানে কোষপ্লেট সৃষ্টি হয়েছে।
৩ নতুন নিউক্লিওলাস দেখা যাচ্ছে।
(প্রাণিকোষে কোষের মাঝখানে খাঁজ সৃষ্টি হয়)
অতএব এটি মাইটোসিসের সর্বশেষ পর্যায়-টেলোফেজ।

পরীক্ষণ নংঃ৩ আবৃতবীজী উদ্ভিদের গোত্র( Family) নির্ণয়।

শ্রেণিবিন্যাস
Division : Magnoliophyta
Class : Magnoliopsida
Subclass Dilleniidae
Order : Malvales
Family : Malvaceae
গোত্র-Malvaceae

সাধারণ বৈশিষ্ট্য (General Characters)

উদ্ভিদ : বীরুৎ, গুল্ম বা বৃক্ষ; রোম ও মিউসিলেজ বা পিচ্ছিল রসযুক্ত।
কাণ্ড : প্রায়ই কাষ্ঠল, তন্তুযুক্ত ও তারকাকার, শঙ্কিত রোমযুক্ত।
পাতা : সরল, একান্তর, মুক্তপার্শ্বীয় উপপত্রযুক্ত, জালিকা শিরাবিন্যাসযুক্ত।
পুষ্পমঞ্জরী : প্রধানত নিয়ত বা সাইমোস, তবে প্রায়ই কাক্ষিক ও এককভাবে উৎপন্ন হয়।
পুষ্প : একক, সুদর্শন, বৃহৎ, সমাঙ্গ, উভলিঙ্গ (একলিঙ্গ—Napaea), উপবৃতি-যুক্ত, গর্ভপাদপুষ্পী।
উপবৃতি : উপবৃত্যংশ ৩-১০টি, মুক্ত অথবা যুক্ত (Sida এবং Abutilon গণে উপবৃতি নেই)।
বৃতি : বৃত্যংশ ৫টি, যুক্ত বা মুক্ত, ভালভেট (প্রান্তস্পর্শী)।

দলমন্ডল : পাপড়ি ৫টি, নিজেদের মধ্যে মুক্ত, কিন্তু তলদেশে পুংকেশরীয় নালি (staminal tube)-এর সাথে যুক্ত, টুইস্টেড (পাকানো)।
পুংস্তবক : পুংকেশর অসংখ্য, একগুচ্ছ, পুংকেশরীয় দণ্ডগুলো যুক্ত হয়ে একটি ফাঁপা পুংকেশরীয় নালি সৃষ্টি করে, পরাগধানী বৃক্কাকার (reniform), একপ্রকোষ্ঠী; পরাগরেণু বৃহৎ ও কণ্টকিত।
স্ত্রীস্তবক : গর্ভপত্র ১–২০ বা এর বেশি, সাধারণত ৫-১০টি, সংযুক্ত, গর্ভাশয় অধিগর্ভ, ১ বা বহুপ্রকোষ্ঠবিশিষ্ট, সাধারণত ৫ প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট; গর্ভদণ্ডের সংখ্যা গর্ভপত্রের সংখ্যার সমান, সংযুক্ত, গর্ভমুন্ডের সংখ্যা গর্ভদণ্ডের সংখ্যার সমান, কখনও দ্বিগুণ। (Plagianthus গণে গর্ভপত্র ১টি বা ২টি, Abutilon গণে গর্ভপত্র ১৫-২০টি এবং Malva গণে গর্ভপত্র অনেক।)
অমরাবিন্যাস : অক্ষীয়।
ফল : ক্যাপসুল, বেরি বা সাইজোকার্প।
বীজ : প্রায়ই রোমশ, সাধারণত সস্যল, সস্য তৈলাক্ত।

পুষ্প সংকেত :

Malvaceae গোত্রের শনাক্তকরণ

উপকরণ : Malvaceae গোত্রের ফুল (নমুনা জবা), পেন্সিল, রাবার, সরল অণুবীক্ষণযন্ত্র, ব্যবহারিক শিট ইত্যাদি।

কার্যপদ্ধতি : ফুলের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করে পৃথকভাবে ছবি অঙ্কন করতে হবে। পুষ্প প্রতীক অঙ্কন করতে হবে, পুষ্প সংকেত লিখতে হবে।

শনাক্তকরণ : শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য লিখে শনাক্ত করতে হবে।

কারণসহ শনাক্তকরণ
১. কচি অংশ পিচ্ছিল পদার্থ যুক্ত।
২. পাতায় মুক্তপার্শ্বীয় উপপত্র বিদ্যমান।
৩ ফুলে উপবৃতি আছে।
৪ পাপড়ি পাকানো (টুইস্টেড)।
৫. পুংকেশর অসংখ্য ও একগুচ্ছ, পুংদণ্ডগুলো মিলে একটি পুংদণ্ডীয় নল গঠিত হয়েছে।
৬. পরাগধানী একপ্রকোষ্ঠী ও বৃক্কাকার।
৭ পরাগরেণু বড় ও কণ্টকিত।
উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রদত্ত নমুনাটি Malvaceae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে শনাক্ত করা হলো।

পরীক্ষণ নংঃ ৪ একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের অন্তর্গঠন পর্যবেক্ষণ

(নমুনা-২ : কচুর মূল)

সাধারণ বৈশিষ্ট্য

১. মূলত্বক বা এপিব্লেমা (Epiblema) : একসারি প্যারেনকাইমা কোষ দিয়ে গঠিত সবচেয়ে বাইরের স্তর। কিছু কিছু ত্বক কোষ বাইরের দিকে প্রসারিত হয়ে এককোষী মূলরোম-এ পরিণত হয়। কিউটিকল অনুপস্থিত।
২. কর্টেক্স (Cortex) : এটি মূলত্বকের নিচে গোলাকার বা ডিম্বাকার প্যারেনকাইমা কোষের বহুস্তরযুক্ত অঞ্চল। কোষগুলোর মাঝে সুস্পষ্ট আন্তঃকোষীয় ফাঁক থাকে। পরিণত কচুর মূলের কর্টেক্সে বায়ুপ্রকোষ্ঠ দেখা যায়।
৩. অন্ত:ত্বক বা এন্ডোডার্মিস (Endodermis): কর্টেক্সের সবচেয়ে ভেতরের এই স্তরটি একসারি পিপাকৃতি প্যারেনকাইমা কোষ দিয়ে গঠিত। কোষগুলোর অরীয় প্রাচীর ক্যাসপেরিয়ান স্ট্রিপযুক্ত। অন্তঃত্বক কেন্দ্রীয় স্টিলিকে বলয়াকারে বেষ্টন করে রাখে।

৪. পরিচক্র বা পেরিসাইকল (Pericycle) : এটি অন্তঃত্বকের ঠিক নিচে অবস্থিত একটি বলয়াকার স্তর। কোষগুলো ক্ষুদ্র ও পাতলা প্রাচীরযুক্ত।
৫. যোজক টিস্যু (Conjunctive tissue) : জাইলেম ও ফ্লোয়েম গুচ্ছের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বহু ভূজাকার প্যারেনকাইমা কোষ দিয়ে গঠিত অঞ্চল।
৬. ভাকুলার বাণ্ডল (Vascular bundle) : ৭টি জাইলেম ও ফ্লোয়েমগুচ্ছ অরীয়ভাবে সজ্জিত। জাইলেম এক্সার্ক অর্থাৎ মেটাজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে অবস্থিত।
৭. মজ্জা (Pith) : কেন্দ্রস্থলে প্যারেনকাইমা কোষ দিয়ে গঠিত সুস্পষ্ট ও সুগঠিত মজ্জা থাকে।

কারণসহ শনাক্তকরণ

প্রদত্ত নমুনাটিতে—

১. ত্বক কিউটিকলবিহীন।
২. এককোষী মূলরোম বর্তমান।
৩. কর্টেক্স প্রশস্ত।
৪. ভাকুলার বান্ডল অরীয়, জাইলেম এক্সার্ক।
৫. ভাকুলার বান্ডলের সংখ্যা ৬-এর বেশি।
৬. কেন্দ্রস্থলে সুস্পষ্ট ও সুগঠিত মজ্জা বিদ্যমান।
সুতরাং নমুনাটি মূল।
– সুতরাং নমুনাটি একবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল।

পরীক্ষণ নংঃ ৫ একবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ডের অন্তর্গঠন পর্যবেক্ষণ

নমুনা-২ : কলাবতী বা সর্বজয়ার ভৌম পুষ্পদণ্ড

সরবরাহকৃত নমুনাটির প্রস্থচ্ছেদ জটিল অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে পর্যবেক্ষণ করলে বাইরে থেকে ভিতরের দিকে টিস্যুগুলোকে নিম্নোক্তভাবে বিন্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

১. ত্বক বা এপিডার্মিস : প্রশস্ত তলবিশিষ্ট একসারি প্যারেনকাইমা কোষে এটি গঠিত। এর বাইরের প্রাচীর কিউটিকলযুক্ত।
২. অধঃত্বক : দু’সারি প্যারেনকাইমা কোষে এটি গঠিত।
৩. ক্লোরেনকাইমা : ঘন সন্নিবিষ্ট এক বা দু’সারি ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত প্যারেনকাইমা কোষে এ স্তর গঠিত।
৪. স্ক্লেরেনকাইমা : ক্লোরেনকাইমার নিচে বিভিন্ন স্থানে স্থূলপ্রাচীরবিশিষ্ট স্ক্লেরেনকাইমাগুচ্ছ রয়েছে।
৫. ভিত্তি বা আদি টিস্যু : ত্বকের নিচ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত গোলাকার পাতলা প্রাচীরযুক্ত ও আন্তঃকোষীয় ফাঁকবিশিষ্ট প্যারেনকাইমা কোষে গঠিত এ অঞ্চলটিই আদি টিস্যু।

৬. ভাস্কুলার বান্ডল বা পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ : বিভিন্ন আয়তনবিশিষ্ট অসংখ্য পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ আদিটিস্যুতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো থাকে। এগুলো সংযুক্ত, সমপার্শ্বীয় ও ক্যাম্বিয়ামবিহীন। টিস্যুগুচ্ছের দু’দিকে স্ক্লেরেনকাইমার আবরণ থাকে। মেটাজাইলেম পরিধির দিকে এবং প্লোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে অবস্থান করে।

একবীজপত্রী উদ্ভিদের (ভূট্টা/কলাবতী) কাণ্ডের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য

১. বহিঃত্বকে কিউটিক্ল বিদ্যমান।
২. অধঃত্বক উপস্থিত।
৩. ভাকুলার বান্ডল সংযুক্ত ও সমপার্শ্বীয়।
৪. প্রোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে এবং মেটাজাইলেম পরিধির দিকে অবস্থান করে।
৫. ভাস্কুলার বান্ডলগুলো ভিত্তিটিস্যুতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো।
৬. ভাকুলার বান্ডল বদ্ধ, অর্থাৎ—জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মাঝখানে ক্যাম্বিয়াম নেই।

অতএব নমুনাটি কাণ্ড।
অতএব নমুনাটি একবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ড।

পরীক্ষণ নং-৬ : সালোকসংশ্লেষণে CO2 এর অপরিহার্যতা প্রমাণের পরীক্ষা

(Experiment to proof the necessity of CO₂ in Photosynthesis)

তত্ত্ব (Theory)

যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ ক্লোরোফিল ও সৌরশক্তির সহায়তায় পানি (H2O) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)। এর বিক্রিয়া ঘটিয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য- গ্লুকোজ উৎপন্ন করে এবং উপজাত হিসেবে অক্সিজেন (O2)-ত্যাগ করে সেই প্রক্রিয়াকে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) বলে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO2 ও H2O হলো প্রধান উপাদান এবং সূর্যালোক ও ক্লোরোফিল সহায়ক উপাদান।

উপকরণ: টবসহ একটি সতেজ গাছ (লম্বা পাতাযুক্ত), বড় মুখওয়ালা কাঁচের বোতল, কাটা ছিপি, পানিসহ পেট্রিডিস, ২০% কস্টিক পটাস দ্রবণ, ভেসলিন বা মোম, ৮০% অ্যালকোহল ও ১% আয়োডিন দ্রবণ।

পরীক্ষা পদ্ধতি

১. পরীক্ষার পূর্বে টবসহ গাছটিকে তিনদিন ধরে অন্ধকার ঘরে রেখে শ্বেতসার বিহীন করতে হবে।
২. টেবিলের ওপর বড় মুখ বিশিষ্ট বোতল কাত করে ওর ভিতরে কিছু কস্টিক পটাশ দ্রবণ দিতে হবে।
৩. এখন অন্ধকারে রাখা গাছটি থেকে একটি পাতা বোটাসহ ছিড়ে নিয়ে এর ফলকের অগ্রভাগ কাটাছিপির ভিতর দিয়ে বোতলের ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে।
৪. পাতার বৃন্তটি পানিপূর্ণ পেট্রিডিসে ডুবিয়ে রাখতে হবে।~
৫. বায়ুরোধক করার জন্য ছিপির কাটা অংশে ভেসলিন বা মোমের প্রলেপ দিয়ে সমস্ত ফাঁকা অংশ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে।
৬. এই অবস্থায় পাতাসহ বোতলটি সূর্যালোকে রাখতে হবে।
৭. ৩-৪ ঘন্টা পর পাতাটিকে বোতল থেকে বের করে ৮০% অ্যালকোহলে সিদ্ধ করতে হবে। এতে পাতাটি ক্লোরোফিল মুক্ত হয়ে বিবর্ণ হয়ে যাবে। এরপর পাতাটিকে পানিতে ভালোভাবে ডুবিয়ে ১% আয়োডিন দ্রবণে ১ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

পর্যবেক্ষণ

কয়েক মিনিট পর পাতাটি আয়োডিন দ্রবণ থেকে তুলে এনে পাতিত পানিতে ধুয়ে একটি পরিষ্কার সাদা কাগজের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। দেখা যাবে পাতার যে অংশটি বোতলের বাইরে ছিল তা আয়োডিন দ্রবণের সংস্পর্শে নীল বা কালো বর্ণ ধারণ করেছে। কিন্তু বোতলের ভেতরে থাকা পাতার অংশটিতে বর্ণের কোনো পরিবর্তন হয়নি (বা হালকা আয়োডিনের হলুদ বা পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করে)।

মন্তব্য

কস্টিক পটাশ দ্রবণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে নেওয়ার ফলে বোতলের ভিতরের বায়ুতে কোনো CO2 ছিল না। তাই বোতলের ভেতরে থাকা পাতার অংশটি অন্যান্য উপকরণ (সূর্যালোক, ক্লোরোফিল, পানি) পেলেও শুধুমাত্র CO2-এর অভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায শ্বেতসার তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু বোতলের বাইরে থাকা পাতার বাকি অংশ বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে যথারীতি শ্বেতসার তৈরি করেছে। এ কারণে আয়োডিন দ্রবণের প্রভাবে পাতার বাইরে অংশটি নীল বা কালো বর্ণ ধারণ করেছে। সুতরাং এই পরীক্ষাটি থেকে প্রমাণিত হলো যে, সালোকসংশ্লেষণের জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড একান্ত প্রয়োজন।

সাবধানতা

১. পরীক্ষায় ব্যবহৃত পাতাটি সম্পূর্ণ শ্বেতসার মুক্ত করে নিতে হবে।
২. সংযোগস্থলগুলো সম্পূর্ণ বায়ুরোধী করতে হবে।
৩. সমস্ত ব্যবস্থাটি কয়েক ঘন্টা সূর্যালোকে রাখতে হবে।
৪. আয়োডিন পরীক্ষার আগে পাতাটি ক্লোরোফিল মুক্ত করে নিতে হবে।
৫. লক্ষ রাখতে হবে যাতে বোতলের ভেতরে পাতার অংশটি KOH দ্রবণের সংস্পর্শে না আসে।

(পাতা ক্লোরোফিল মুক্ত করা : পাতা ক্লোরোফিলমুক্ত না করা হলে আয়োডিন পরীক্ষার ফলাফল ভালোভাবে বোঝা যাবে না। চিত্রে প্রদর্শিত পদ্ধতিতে বিকারের ফুটন্ত পানিতে রাখা উত্তপ্ত মেথিলেটে স্পিরিট বা অ্যালকোহলযুক্ত টেস্ট টিউবে পাতা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে পাতা ক্লোরোফিল হারিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাবে। এই ব্যবস্থাটির নাম ওয়াটার বাথ।)

পরীক্ষণ নং-৭ : অবাত শ্বসনে CO2 গ্যাস নির্গমনের পরীক্ষা

(Experiment of production of CO2 during Anaerobic Respiration)

তত্ত্বঃ শ্বসন একটি জৈবনিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় O2 এর উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে কোষের জৈব খাদ্য জারণের মাধ্যমে শক্তি নির্গত হয় এবং উপজাত দ্রব্য হিসেবে CO2 ও H2O উৎপন্ন হয়।

অবাত শ্বসন O2 এর অনুপস্থিতিতে ঘটে থাকে। এতে শ্বসনিক বস্তু অসম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে C2H5OH (ইথাইল অ্যালকোহল) ও CO2 উৎপন্ন হয় এবং অল্প পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়।

উপকরণ

একটি টেস্ট টিউব, একটি পেট্রিডিস, পারদ, ক্ল্যাম্পসহ স্ট্যান্ড, কয়েকটি অঙ্কুরিত ভেজা ছোলা, একটি বাঁকা চিমটা ও কষ্টিক পটাশ (KOH)-এর টুকরা।

কার্যপদ্ধতি

১. প্রথমে অঙ্কুরিত ছোলাবীজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে রাখতে হবে।
২. এরপর ছোট বিকারটিতে কিছু পারদ ঢালতে হবে।
৩. টেস্ট টিউবটি পারদ দিয়ে সম্পূর্ণ ভর্তি করতে হবে।
৪. এবার টেস্ট টিউবের মুখ বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে পেট্রিডিসে পারদের ওপর উপুড় করে স্ট্যান্ডের সাথে ক্লিপ দিয়ে আটকাতে হবে। টেস্ট টিউবটি এমনভাবে আটকাতে হবে যাতে এর মুখ পারদপূর্ণ পেট্রিডিসের তলা স্পর্শ না করে।
৫. এখন ছোলাবীজগুলো বাঁকা চিমটার সাহায্যে একটা একটা করে টেস্ট টিউবের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে। ছোলাবীজগুলো পারদের চেয়ে হালকা বলে টেস্ট টিউবের উপরের প্রান্তে উঠে যাবে। ছোলাবীজ ঢুকানোর সময় টেস্ট টিউবে যাতে বায়ু প্রবেশ না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এই অবস্থায় পর্যবেক্ষণের জন্য একদিন রেখে দিতে হবে।

পর্যবেক্ষণ

একদিন পর দেখা যাবে টেস্ট টিউবের পারদ স্তম্ভ কিছুটা নিচে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় এক টুকরা কস্টিক পটাশ বাঁকা চিমটার সাহায্যে টেস্ট টিউবে প্রবেশ করালে দেখা যাবে টেস্ট টিউবের ফাঁকা স্থান পুনরায় পারদ দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে।

সিদ্ধান্ত

১. প্রথমে সম্পূর্ণ পারদ দিয়ে পূর্ণ থাকা টেস্ট টিউবের মধ্যে অক্সিজেন ছিল না।
২. টেস্ট টিউবের মধ্যে বাতাস না থাকায় ছোলাবীজের অবাত শ্বসনে যে CO2-গ্যাস নির্গত হয়েছে তার জন্যই পারদ স্তম্ভ নিচে নেমেছে।

৩. কষ্টিক পটাশ প্রবেশ করানোর ফলে ঐ CO2 গ্যাস শোষিত হওয়ায় পারদ স্তম্ভ আবার উপরে উঠেছে।
আমরা জানি কস্টিক পটাশ CO2-গ্যাস শোষণ করে।
অতএব এই পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণিত হলো যে- অবাত শ্বসনে CO2 গ্যাস নির্গত হয়।

সতর্কতা

১. অঙ্কুরিত ছোলাবীজ নিতে হবে এবং ছোলাবীজের খোসা ছাড়িয়ে ফেলতে হবে।
২. টেস্ট টিউবটি সম্পূর্ণভাবে পারদ পূর্ণ করতে হবে যাতে টেস্ট টিউবে বাতাস না থাকে।
৩. টেস্ট টিউবের মুখ যেন পারদের মধ্যে থাকে এবং পেট্রিডিসের+ তলদেশ স্পর্শ না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৪. ছোলাবীজ ঢুকানোর সময় টেস্ট টিউবে যাতে বায়ু প্রবেশ না করে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

You cannot copy content of this page