বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ বায়ান্নর দিনগুলো এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।

বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

সাজেশন

আরো পড়ুনঃ

বোর্ড প্রশ্ন সাজেশন

প্রশ্ন ১। “বেশি জোরে চালাবেন না, কারণ বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।” – ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন ২। “ভরসা হলো, আর দমাতে পারবে না।”- বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৩। “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে”- ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন ৪। ‘নাশতা খাবার ইচ্ছা আমাদের নাই।’- কে, কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছে?

প্রশ্ন ৫। “যদি এই পথে মৃত্যু এসে থাকে তবে তাই হবে”- ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন ৬। “….. অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শান্তি আছে।”— লেখক এ কথা বলেছিলেন কেন?

প্রশ্ন ৭। “আমরা অনশন ভাঙব না”- উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।

শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ৮। “ইয়ে কেয়া বাত হ্যায়, আপ জেলখানা মে।” উক্তিটির

তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। [বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]

উত্তর : ‘ইয়ে কেয়া বাত হ্যায়, আপ জেলখানা মে।’- বঙ্গবন্ধু

শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে দেখে সুবেদার বিস্মিত হয়ে

এ উক্তিটি করেছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদ যাতে

অনশন ধর্মঘট করতে না পারেন, সেজন্য তাঁদেরকে দ্রুত অন্য

জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য আর্মড পুলিশের

সুবেদার ও গোয়েন্দা কর্মচারীরা তাড়াতাড়ি করছিল। পাকিস্তান

হওয়ার সময় সুবেদার গোপালগঞ্জে ছিল এবং বাঙালি জাতির

মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুবই ভালোবাসত

এবং শ্রদ্ধা করত। আর তাই বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে দেখে সে

অবাক হয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিল।

প্রশ্ন ৯। “মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়”– কেন?

[ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ

উত্তর : বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহকর্মীদের বিনা বিচারে আটকে রাখা

সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্তিমিত করতে বাঙালি নেতা-

কর্মীদের বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটক রেখেছিল

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং

তাঁর সহকর্মীকে বিনা বিচারে তারা প্রায় সাত-আট মাস আটক

রাখে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ফরিদপুর জেলে বসে

অনশন করেন। এক পর্যায়ে তারা তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে তিনি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে

গিয়ে বলেন— “রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি

করে রাখা আর তার আত্মীয়-স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে

দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের

জন্য অন্ধ হয়ে যায়।” মূলত এই কথার মাধ্যমে তিনি

পাকিস্তানিদের স্বার্থপরতার দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

প্রশ্ন ১০। এদের কথা হলো ‘মরতে দেব না’- কাদের কথা, কী

প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?

[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা

উত্তর : তৎকালীন জেল কর্তৃপক্ষের কথা হলো শেখ মুজিব ও

তাঁর সহবন্দিকে মরতে দেবে না।

জেলখানায় অনশন ধর্মঘট শুরু করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান এবং সহকর্মী মহিউদ্দিন আহমদের স্বাস্থ্য দ্রুত অবনতি

হলে তাঁদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কারাকর্তৃপক্ষ

জোর করে নাক দিয়ে তাঁদের খাওয়াতে আরম্ভ করে। নাকের

ভিতরে নল দিয়ে পেটে তরল খাবার দেওয়া হয়। তাদের এ

ধরনের কলাকৌশল আর জবরদস্তি দেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমানের মনে হয়, এরা তাদের মরতেও দেবে না। এ প্রসঙ্গেই

তিনি এ কথা বলেন।

বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

প্রশ্ন ১১। শেখ মুজিবের নাশতা করতে যাওয়ার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা

কর।

[বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]

উত্তর : সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অবস্থান ও

কর্মপরিকল্পনা জানানোই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

নাশতা করতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায়ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমানকে জেলে বন্দি করে। তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে

ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু তাঁদের জাহাজ রাতে

ফরিদপুর পৌঁছলে সেই রাতে জেল কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রহণ করেন

না। ফলে তাদের পুলিশ ব্যারাকে থাকতে হয়। সকালে বঙ্গবন্ধু

শেখ মুজিবুর রহমান সুবেদারকে প্রস্তাব করেন নাশতা খাওয়ার

জন্য। তাঁর নাশতা খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল সেখানে

সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হলে তিনি ফরিদপুর জেলে আছেন এবং

অনশন ধর্মঘট করছেন এটা জানাতে পারবেন।

কর।

প্রশ্ন ১২। ‘মুক্তি দিলে খাব, না দিলে খাব না।’- উক্তিটি ব্যাখ্যা

[দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ

উত্তর : “মুক্তি দিলে খাব, না দিলে খাব না”- কথাটির মাধ্যমে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি না পেলে অনশন না ভাঙার

দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর

কারাবন্দি ও সংগ্রামী জীবনের কথা তুলে ধরেছেন। বাংলার

নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি হয়ে তিনি তাদের ন্যায্য অধিকার

আদায়ের দাবিতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-

সংগ্রাম করেছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়

আচরণ এবং অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখার প্রতিবাদে

জেলখানায় অনশন ধর্মঘট করেন। অনশনের ফলে তার

শারীরিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে অনশন

ভেঙে খাওয়া-দাওয়া করতে বলেন। তখন তাদের উদ্দেশে তিনি

প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন ।

প্রশ্ন ১৩। শেখ মুজিবুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ থানায় নেওয়া

হয়েছিল কেন?

উত্তর : জাহাজঘাটে পৌঁছানোর আগে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায়

[কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ থানায় নেওয়া

হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে

ফরিদপুর জেলখানায় পাঠানোর হুকুম হয়। ঢাকা থেকে

ফরিদপুর জেলখানায় যেতে হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজে

করে গোয়ালন্দ ঘাটে যেতে হয়। একটি জাহাজ সকাল ১১টায়,

অন্যটি রাত ১টায় ছেড়ে যায়। সামান্য দেরি হওয়ায় তারা সকাল

১১টার জাহাজ ধরতে পারেননি। এ কারণে পুলিশ হেফাজতে

রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ থানায়

নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রশ্ন ১৪। “মুসলিম লীগ সরকার কত বড় অপরিণামদর্শিতার কাজ

করল।”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

[অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়, বরিশাল]

উত্তর : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর

গুলিবর্ষণের বিষয়টিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম

লীগ সরকারের অপরিণামদর্শিতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।

মুসলিম লীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন বাংলা ভাষাকে

রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে রুখতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এতে অনেকে

প্রাণ হারান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলে

বসেই এ খবর পান। এর পরিণাম যে ভালো হবে না তা অনুধাবন

করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

প্রশ্ন ১৫। অনশনকারীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল কেন?

[ডা. আফিল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ, যশোর]

উত্তর : শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনশনকারীদের

হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদ

রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে অনশন ধর্মঘট পালন করছিলেন।

তাঁরা ফরিদপুর জেলে বন্দি অবস্থায় দুই দিন অনশন করেন।

দুই দিন পর তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ কারণে

জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রশ্ন ১৬। “তাদের জন্য জীবন দিতে পারলাম, এই শান্তি।”—

উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। [বি এ এফ শাহীন কলেজ, শমশেরনগর, সিলেট

উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজবন্দিদের মুক্ত করার

লক্ষ্যে নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়াকে শান্তির কাজ মনে করে

প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অপশাসন ও বিনাবিচারে বছরের পর

বছর রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে ১৯৫২

সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।

তাঁর মতে, রাজবন্দিদের মুক্ত করতে অনশন ধর্মঘট করে জীবন

দিতে পারাই শান্তির কাজ ।

প্রশ্ন ১৭। ‘মাতৃভাষা আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই

রক্ত দিল।’— উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

[ঝালকাঠি সরকারি কলেজ।

উত্তর : “মাতৃভাষা আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই

রক্ত দিল।”— উক্তিটি দ্বারা মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির

রক্তদানের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করে

দেখা যায় যে, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য কোনো

জাতিকে রক্ত দিতে হয়নি। বাঙালিরাই প্রথম সেই কাজটি করে।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এদেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে

কেড়ে নেওয়ার জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের ২১

ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্র-জনতা রাজপথে মিছিল

বের করেন। শাসকগোষ্ঠীর হুকুমে পুলিশ সেই মিছিলে গুলি

চালিয়ে অনেককেই হত্যা করে। এ খবর শুনে ফরিদপুরের

জেলখানায় বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কথা

বলেন।

প্রশ্ন ১৮। ফরিদপুর জেলে রওয়ানা হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান দেরি করলেন কেন? [মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ

উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহবন্দি

মহিউদ্দীন আহমদকে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর সেন্ট্রাল জেলে

পাঠানোর বিষয়টি তাঁর দলের নেতাকর্মীদের জানানোর জন্য

তিনি দেরি করলেন।

তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহবন্দি মহিউদ্দিন

আহমদকে হঠাৎ গোপনীয়তার সঙ্গে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর

জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

রওয়ানা হতে দেরি করতে লাগলেন। কারণ নারায়ণগঞ্জ থেকে

বেলা ১১টার জাহাজে ওঠা এড়াতে পারলে রাত ১টায় পরবর্তী

জাহাজ। এর মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে

তাঁর ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার খবরটি পৌঁছে দিতে

পারবেন। –

@ পাঠ্যবই বিশ্লেষিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১৯। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সিওয়ালাকে বেশি

জোরে চালাতে নিষেধ করার মূল কারণ কী?

উত্তর : পথে চেনাজানা কারও সঙ্গে দেখা হলে নিজের অবস্থান

পরিবর্তনের খবর জানাতে পারবেন এই ভেবে বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিবুর রহমান ট্যাক্সিওয়ালাকে জোরে চালাতে নিষেধ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন যেকোনো উপায়ে

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁর ঢাকা সেন্ট্রাল জেল

থেকে ফরিদপুর জেলে যাওয়ার এবং তাঁদের অনশন ধর্মঘটের

খবরটি পৌঁছে দিতে। ঢাকা জেল থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত

এসেও সেই কাজটি তিনি করতে পারেননি। এ কারণে রাস্তায়

তিনি এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলেন। তখন ট্যাক্সিওয়ালা বেশি

জোরে চালাচ্ছিল। সে কারণে তিনি কৌশল করে

ট্যাক্সিওয়ালাকে বললেন, “বেশি জোরে চালাবেন না, কারণ

বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।”

প্রশ্ন ২০। নানা নির্যাতন, নিপীড়ন এমনকি মরণেও কেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃখ নেই?

উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যায়-অত্যাচারের

বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম,

নির্যাতনের শিকার হন। তাই তিনি মরণকে ভয় পেতেন না।

রাত ১টার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জের

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবার কাছ থেকে বিদায় নেন। এ

সময় তিনি সমবেত সবাইকে উদ্দেশ করে বলেন- জীবনে আর

দেখা না হতেও পারে। তাই সবাই যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেয়।

কারণ তিনি মনে করতেন অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে

প্রতিবাদ করে জীবন গেলেও তাতে আপস করবেন না।

প্রশ্ন ২১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহবন্দিকে

জেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে খাওয়াচ্ছিল?

উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহবন্দিকে

জেল কর্তৃপক্ষ নাকের ভিতর নল দিয়ে জোর করে খাওয়াচ্ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহবন্দি মহিউদ্দিন

আহমদের শরীর খারাপ হওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষ অনশন শুরুর চার

দিন পরে নাক দিয়ে জোর করে খাওয়াতে শুরু করল। নাকের

ভিতর নল ঢুকিয়ে তা পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তারপর

নলের মুখে একটা কাপের মতো লাগিয়ে দেয়। তাতে একটা

ছিদ্র থাকে। সেই কাপের মাধ্যমে দুধের মতো পাতলা করে

খাবার তৈরি করে পেটের ভিতর ঢেলে দেয়।

প্রশ্ন ২২। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন কয়েদিকে দিয়ে

গোপনে কেন কয়েক টুকরা কাগজ আনালেন?

উত্তর : চিঠি লেখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন

কয়েদিকে দিয়ে গোপনে কয়েক টুকরা কাগজ আনালেন।

অনশনরত অবস্থায় বেশি দুর্বল বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান বিছানা থেকে ওঠার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর

হার্টে ভীষণ প্যালপিটিশন হচ্ছিল। নিশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছিল,

দুহাত কাঁপছিল। তখন তিনি ভাবলেন, আর বেশিদিন আয়ু

নেই। এমতাবস্থায় তাঁর একান্ত প্রিয়জন পিতা-মাতা, স্ত্রী এবং

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা

আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে চিঠি লেখার জন্য একজন কয়েদি

মারফত গোপনে কয়েক টুকরা কাগজ আনালেন।

প্রশ্ন ২৩। ২১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহবন্দি উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা

নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন কেন?

উত্তর : নূরুল আমীন সরকারের ১৪৪ ধারা জারির কারণে ২১

ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহবন্দি

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের

অভিজ্ঞতায় দেখেছেন যে, ১৪৪ ধারা জারি করলেই একটা বড়

ধরনের ঘটনা ঘটে। জেলখানার বন্দিজীবনে তিনি বাইরের

কোনো খবরই পাচ্ছিলেন না। ঢাকা থেকে অনেক দূরের শহর

ফরিদপুরেও হরতাল এবং নানা স্লোগান সহকারে ছাত্রছাত্রীদের

শোভাযাত্রা জেলগেটে আসছিল। এতে করে ঢাকার পরিস্থিতি

চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহবন্দি ২১

ফেব্রুয়ারি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছিলেন।

প্রশ্ন ২৪। শোভাযাত্রা থেকে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চারিত স্লোগান শুনে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খারাপ লেগেছিল কেন?

উত্তর : শোভাযাত্রা থেকে সহবন্দি মহিউদ্দিন আহমদের নামে

স্লোগান উচ্চারিত না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

খারাপ লাগল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদ ছিলেন

সহবন্দি এবং একসাথে অনশন ধর্মঘট পালন করছিলেন। ২১

ফেব্রুয়ারি ঢাকার মতো ফরিদপুর শহরেও হরতাল পালিত

হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীরা শোভাযাত্রা করে জেলগেটে এসে

‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’, ‘শেখ মুজিবের

মুক্তি চাই’— এমনই আরও নানা স্লোগান দিচ্ছিল। শুধু তাঁর নামে

স্লোগান হচ্ছিল, অথচ সহবন্দি মহিউদ্দিন আহমদের নামে

স্লোগান উচ্চারিত হচ্ছিল না। এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চারিত

স্লোগান শুনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খারাপ

লেগেছিল।

প্রশ্ন ২৫। অনশনের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ও মহিউদ্দিন আহমদের শারীরিক অবস্থা কেমন হয়েছিল?

উত্তর : অনশনের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও

মহিউদ্দিন আহমদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি

ঘটেছিল ।

নানা রোগে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশনের

শেষ দিকে জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাত-পা

অবশ হয়ে আসছিল। হার্টের দুর্বলতা থাকায় তিনি খুব দুর্বল

হয়ে পড়েছিলেন। জেলে একজন কয়েদি ছিল, যে তাঁর হাত-

পায়ে সরিষার তেল গরম করে মালিশ করতে শুরু করে। মাঝে

মাঝে তাঁর শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। সহবন্দি মহিউদ্দিন

আহমদের অবস্থাও ভালো ছিল না। কারণ প্লুরিসিস তাঁকে

আবার আক্রমণ করে বসেছিল।

প্রশ্ন ২৬। জেল থেকে মুক্তির সংবাদটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান কীভাবে পেলেন?

উত্তর : ডেপুটি জেলারের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জেল থেকে তাঁর মুক্তির সংবাদটি পেলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ করে ডেপুটি জেলার

বললেন, “আমি পড়ে শোনাই, আপনার মুক্তির অর্ডার এসে

গেছে রেডিওগ্রামে এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের অফিস

থেকেও অর্ডার এসেছে। দুইটা অর্ডার পেয়েছি।” ডেপুটি জেলার

সাহেব পড়ে শোনালেন। তিনি সেসব কথা শুনে বিশ্বাস করতে

চাইলেন না। তখন তাঁর সহবন্দি মহিউদ্দিন আহমদ অর্ডারটা

দেখে তাঁকে নিশ্চিত করলেন যে, তাঁর মুক্তির আদেশ সত্যিই

এসেছে।

8

HD

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মোহনী

ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। তাঁর সম্মোহনী ক্ষমতা এত প্রখর ছিল যে, কেউ তাঁর সংস্পর্শে

এসে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আপন হয়ে যেত। এটা একটা অদ্ভুত গুণ ছিল তাঁর। পরিচিত

মানুষের নাম মনে রাখতে পারতেন। অনুগত প্রায় সকলকেই নাম ধরে ডাকতেন। এ

কারণে সবাই তাঁকে নিজের মানুষ মনে করত। মানুষকে এভাবে কাছে নেয়ার ক্ষমতা

কজন নেতার মধ্যে থাকে?

গ.

ঘ.

8

ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান

রয়েছে। আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের

সূচনাপর্ব এবং পরবর্তী সময় আইনসভার সদস্য হিসেবে এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলা

ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলা ভাষার উন্নয়ন

ও বিকাশে কাজ করে গেছেন এবং বাংলা ভাষা ও বাংলা ভাষাভাষীদের দাবির কথা বলে

গেছেন।

বেলুচি কারা?

পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিয়েছিল কেন?

উদ্দীপকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?

“সবাই তাঁকে নিজের মানুষ মনে করত”- উদ্দীপকের এ কথাটি দ্বারা ‘বায়ান্নর

দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক বিরল গুণ তুলে ধরা

হয়েছে।”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা তুলে ধর।

ঘ.

কী খেয়ে বঙ্গবন্ধু অনশন ভঙ্গ করেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন কেন?

উদ্দীপকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার কোন দিকটি উদ্ভাসিত? ব্যাখ্যা কর।

“উদ্দীপকটি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার ব্যাপকতাকে ধারণ করতে পারেনি।”

মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর।

8

নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর নেতৃত্বে শৃঙ্খলিত দশা থেকে মুক্তির সংগ্রামে জনগণকে সংগঠিত

করেন। ফলে বর্ণবাদী শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ২৭ বছর কারাবন্দি করে রাখে। এর মধ্যে ১৮

বছর নির্জন রোবেন আইল্যান্ডের ৮ ফুট বাই ৮ ফুট আয়তনের একটি ক্ষুদ্র কারা প্রকোষ্ঠে

তাঁকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল। তাঁর দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি),

অন্যতম দল প্যান-আফ্রিকানিস্ট কংগ্রেসসহ (পিএসি) সর্বস্তরের জনগণের সংগ্রাম ও

আন্তর্জাতিক জনমতের চাপে বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকার ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ তারিখে ৭১

বছর বয়সী ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

ক.

খ.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত মাস পর সেই পুরনো জায়গায় ফিরলেন? ১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠের দিনগুলোর কথা

মনে পড়ল কেন? বুঝিয়ে দাও ।

2

গ.

নেলসন ম্যান্ডেলা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে

বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।

“দেশের শোষিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামের দিক থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা এবং

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অভিন্ন ব্যক্তিত্ব।”- মন্তব্যটির যথার্থতা

মূল্যায়ন কর।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। নামটির সঙ্গে অবিভাজ্য বিশেষণ ‘মজলুম

জননেতা’। কিন্তু কেন এ বিশেষণ? বাঙালির দুঃখ-দুর্দশার চিরসাথি যে তিনি! কৃষক

শ্রমিক মেহনতি মানুষের যেখানে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সেখানে সংগ্রামের বাণী ছড়িয়েছেন

তিনি। জেল জুলুম হুলিয়াকে তুচ্ছ করে গেয়েছেন জীবনের জয়গান।

ক.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাতার নাম কী?

‘সরকারের হুকুমেই আপনাদের চলতে হয়।’ কাদের এবং কেন হুকুম মানার

2

কথা বলা হচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।

ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মিল কোথায়?

সাধারণ মানুষের পক্ষে যারা দাঁড়ান তারা সকলে মজলুম (নির্যাতিত)। কেন এ

মন্তব্য, অনুচ্ছেদ এবং ‘বায়ান্নর দিনগুলো’র আলোকে লেখ।

8

১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্র বিক্ষোভের তৃতীয় দিবস। ঐদিন ঢাকায় ছাত্রজনতার

ওপর পুলিশের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। ছাত্রদের এক মিছিলের ওপর নির্বিচারে

গুলি চালায় পুলিশ। ক্রমান্বয়ে এ ছাত্র আন্দোলন একটি গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। শেষ

পর্যন্ত এ গণবিক্ষোভকে দমন করার জন্য শাসকগোষ্ঠী সামরিক বাহিনীকে তলব করে।

সেনাবাহিনী এদেশের বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়ে জনগণের এই দুর্বার আন্দোলনকে স্তব্ধ

করে দিতে চায়। কিন্তু বাংলার জনগণ তা রুখে দেয়।

ক.

বাঙালির মুক্তির সনদ হিসাবে খ্যাত কী?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন কেন?

উদ্দীপকে বাংলার মানুষের ওপর সামরিক বাহিনীর যে দমন-পীড়ন বর্ণিত

হয়েছে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার আলোকে তার চিত্র অঙ্কন কর।

বায়ান্নর রাজনৈতিক বীজমন্ত্র ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণার উৎস-

মূল্যায়ন কর।

8

গ.

ঘ.

৬ মামুন সাহেব গণমানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের সারথি। শাসকের জুলুম-নিপীড়নের

বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার তিনি। বারবার তাই ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষুর ভয়াল দৃষ্টিতে

পড়তে হয়েছে তাঁকে। স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়েছে তাঁর। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়ার দিন

জনগণের উদ্দেশে বলেন- “আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন, আপনাদের প্রাণ দিয়ে

ভালোবাসি। তাই ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। আর হয়তো কোনোদিন দেখা হবে না। তবু

কোনো কষ্ট নেই আমার। আমি সুখী এজন্য যে, জীবনটা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার

সুযোগ পেলাম। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।”

এই বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন

You cannot copy content of this page