সমাসের বিভিন্ন সংজ্ঞা

সমাসের বিভিন্ন সংজ্ঞা

নিত্য সমাস : যেখানে সমস্যমান পদগুলো পাশাপাশি অবস্থান দ্বারাই সমাস হয় অর্থাৎ ব্যাসবাক্যের বিস্তার থাকে না, তাকে নিত্য সমাস বলে। অনেক সমাস প্রথম অংশ প্রাতিপদিক রূপেই থাকে। যেমন- কেবল দর্শন-দর্শনমাত্র; ঈষৎ পিঙ্গল-আপিঙ্গল, তাহা মাত্র-তন্মাত্র, অন্য গ্রাম-গ্রামান্তর ইত্যাদি।

প্রাদি সমাস : প্রাদি সমাস তৎপুরুষের রূপান্তর। একে নিত্য সমাসের অন্তর্ভুক্ত করা চলে। অব্যয়ীভাবে সমাসের মত এই সমাসে পূর্বপদে অব্যয় বা উপসর্গ থাকে। পূর্বপদে উপসর্গ ও পরপদে কৃদন্তপদ যোগে এবং অব্যয়ের সাথে নামপদ যোগে যে সমাস হয় তাকে প্রাদি সমাস বলে। যেমন- প্রকৃষ্টরূপে ভাত (আলোকিত)- প্রভাত, অভি (সম্মুখে) মুখ- অভিমুখ, অনু (পন্ডাৎ) তাপ-অনুতাপ।

অনুরূপ : অতিপ্রাকৃত, অতিমানব, স্বয়ংসিদ্ধ ইত্যাদি।

সহসুপা বা সুপ্সুপা সমাস : এই সমাস তৎপুরুষের অন্তর্গত। ব্যাকরণবিদ পাণিনি একে নামকরণ করেন। সুপ্ অর্থে বিভক্তিযুক্ত এক পদের সাথে আর এক সুপ্ বা বিভক্তিযুক্ত পদের যে সমাস হয় তাকে সুপ্সুপা সমাস বলে। সব সমাসেই বিভক্তি থাকে। সুপসুপাকে সংকোচিত অর্থে গ্রহণ করা হয়। যেমন- পূর্বে ভূত- ভূতপূর্ব, যাচ্ছে তাই-যাচ্ছেতাই, পূর্বে শ্রুত-শ্রুতপূর্ব, প্রত্যক্ষে ভূত-প্রত্যক্ষভূত ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। যেমন: দোয়াত ও কলম = দোয়াতকলম, পীত অম্বর যার = পীতাম্বর।

এই সমাসের বিভিন্ন সংজ্ঞা ছাড়াও আরো পড়ুন

You cannot copy content of this page