অভাগীর স্বর্গ গল্পের বিষয়বস্তু বা মূলভাব

অভাগীর স্বর্গ গল্পের বিষয়বস্তু বা মূলভাব এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে। তাই এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করো এবং অনুশীলন অব্যাহত রাখো। তোমাদের জন্য শুভকামনা।

অভাগীর স্বর্গ গল্পের বিষয়বস্তু বা মূলভাব
উৎস পরিচিতি (Source) 

সুকুমার সেন সম্পাদিত ‘শরৎ সাহিত্যসমগ্র’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ড থেকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ নামক গল্পটি সংকলন করা হয়েছে। 

পাঠের উদ্দেশ্য (Objectives) 

শিক্ষার্থীকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে মানবিক করে তোলা। Colo রচনার বক্তব্যবিষয় (Gist) 

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটি অভাগীর মরণোত্তর সৎকারের বাসনাকে ঘিরে ‘গড়ে উঠেছে। ‘অভাগী’ নামটি তার বাবা রেখেছিল, জন্মের পর মায়ের মৃত্যুর কারণে। অভাগীর বিয়ের পর তার স্বামী অন্য স্ত্রীর কাছে চলে যায়। সে তখন অসহায় হয়ে পড়ে।

তা সত্ত্বেও সে তার শিশুপুত্র কাঙালীকে নিয়ে বহুকষ্টে দিনাতিপাত করে। এ গল্পের অভাগী নিচু শ্রেণির হিন্দু পরিবারের হতদরিদ্র মানুষের প্রতিনিধি। উঁচু জাতের হিন্দু পরিবারে মৃতের সৎকারে আড়ম্বর দেখে অভাগীরও তার মতো স্বর্গারোহণের ইচ্ছা হয়। তাই সে তার বাসনার কথা ছেলে কাঙালীকে বলে রাখে।

মায়ের মৃত্যুর পর কাঙালী সেই বাসনা পূরণ করতে চায়। কিন্তু পোড়ানোর কাঠ জোগাড় করতে না পেরে খড়ের আঁটি জ্বালিয়ে মুখাগ্নি করে তাকে নদীর চরে মাটিচাপা দেয়। মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগী নিজেও মৃত্যুর পর চন্দন, সিঁদুর, আলতা, মালা, ঘৃত, মধু, ধূপ, ধুনা, অগ্নির ধোঁয়ায় স্বর্গে গমনের স্বপ্ন দেখেছিল।

মৃত্যুর সময় ছেলে কাঙালী তার বাবাকে হাজির করতে পারলেও সামন্তবাদের নির্মম শিকার হয়ে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। গল্পে জমিদার, গোমস্তা অধর রায়, মুখয্য পরিবারের লোকজন সামন্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেছে। তাদের নির্মম অত্যাচার, যন্ত্রণা, শোষণ, বঞ্চনা, ঘৃণা, অবহেলা গল্পটির একাংশ জুড়ে আছে। অন্য অংশে শোষিত, বঞ্চিত, নীচু জাত বলে ঘৃণিত শ্রেণিভুক্ত অভাগী এবং তার পুত্র কাঙালীর যাপিত জীবন যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

You cannot copy content of this page