হজের নিয়মাবলী এবং হজ প্যাকেজ ২০২৪

হজের নিয়মাবলী এবং হজ প্যাকেজ ২০২৩৪: এবারে হজে যাওইয়ার জন্য সরকার সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে হজ প্যাকেজ ২০২৪ ও হজের সামগ্রিক নিয়মাবলী ঘোষনা করেছে।

হজের নিয়মাবলী / হজ প্যাকেজ ২০২৩

এবারে সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ২০২৪ এর মোট এমাউন্ট= ৬,৮্‌৩০১৫/- টাকা(ছয় লাখ তিরাশি হাজার পনর টাকা মাত্র) নিচে হজ প্যাকেজ ২০২৩ এর সরকার কর্তৃক প্রনীত বিজ্ঞপ্তির PDF কপি দেওয়া হল।

হজ প্যাকেজ ২০২৩ ডাউনলোড

হজের নিয়মাবলী

হজ ইসলামের পাঁচটি পীলারের মধ্যে একটি। মুসলিম উম্মাহের বড় অংশ হজ করতে চায়। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করে হলে সম্পূর্ণ হজ সম্পন্ন হয়। নিচে হজের কিছু প্রধান নিয়মাবলী উল্লেখ করা হলো:

ইহরাম: প্রথম ধাপ হল ইহরাম অবস্থায় প্রবেশ করা, যাতে গোসল করা এবং পুরুষদের জন্য দুটি সাদা কাপড় এবং মহিলাদের জন্য উপযুক্ত শালীন পোশাক পরিধান করা অন্তর্ভুক্ত। ইহরাম অবস্থায় কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে যেমন চুল বা নখ না কাটা, সুগন্ধি বা সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার না করা, যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত না হওয়া এবং কোনো জীবন্ত প্রাণীকে শিকার বা হত্যা না করা।

Read more:

তাওয়াফ: একবার ইহরাম অবস্থায়, তীর্থযাত্রীরা মক্কার মসজিদ আল-হারামের কেন্দ্রস্থলে কাবার দিকে অগ্রসর হন এবং তাওয়াফ করেন, যার মধ্যে প্রার্থনা এবং প্রার্থনা পাঠ করার সময় ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে কাবাকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা হয়।

সাঈ: তাওয়াফের পরে, তীর্থযাত্রীরা সাঈ করেন, যার মধ্যে সাফা এবং মারওয়াহ পাহাড়ের মধ্যে সাতবার হাঁটা জড়িত, যা কাবার কাছে অবস্থিত। এটি হযরত ইব্রাহিমের স্ত্রী হাজরের কর্মের স্মরণে করা হয়, যিনি তার পুত্র ইসমাইলের জন্য পানির সন্ধানে পাহাড়ের মধ্যে দৌড়েছিলেন।

উকুফ আরাফাত: হজের প্রধান অনুষ্ঠান হল ওকুফ আরাফাত, যার মধ্যে ইসলামিক ক্যালেন্ডারের 12 তম মাস ধু আল-হিজ্জাহ মাসের 9 তারিখে দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে দাঁড়ানো জড়িত। তীর্থযাত্রীরা দিনটি প্রার্থনা, মিনতি এবং চিন্তায় কাটায়, আল্লাহর কাছে ক্ষমা এবং নির্দেশনা কামনা করে।

মুজদালিফাঃ উকুফ আরাফাতের পরে, তীর্থযাত্রীরা মুজদালিফায় চলে যান, যেখানে তারা খোলা বাতাসে রাত কাটায়, পরের দিনের অনুষ্ঠানের জন্য নুড়ি সংগ্রহ করে।

শয়তানের পাথর মারা: পরের দিন, তীর্থযাত্রীরা মিনায় যান এবং শয়তানকে পাথর মারার আচার পালন করেন, যার মধ্যে রয়েছে জামারাত নামক তিনটি স্তম্ভে সাতটি নুড়ি নিক্ষেপ, যা শয়তান এবং তার প্রলোভনের প্রত্যাখ্যানের প্রতীক।

কোরবানি: শয়তানকে পাথর মারার পর, তীর্থযাত্রীরা আল্লাহর আদেশ হিসাবে তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার জন্য নবী ইব্রাহিমের ইচ্ছাকে স্মরণ করার প্রতীকী কাজ হিসাবে একটি পশু কোরবানি করে।

তাওয়াফ আল-ইফাদাহ: কুরবানীর পর, তীর্থযাত্রীরা মক্কায় ফিরে আসেন এবং তাওয়াফ আল-ইফাদাহ করেন, যা প্রথম দিনে সম্পাদিত প্রাথমিক তাওয়াফের চেয়ে ছোট তাওয়াফ।

সাঈ: তাওয়াফ আল-ইফাদার পর, হজযাত্রীরা সাফা ও মারওয়ার মধ্যে আবার সায়ী করে। তাওয়াফ আল-উইদা: হজের শেষ ধাপ হল তাওয়াফ আল-উইদা, যা মক্কা ত্যাগ করার আগে করা হয়। এটি কাবার বিদায়ী প্রদক্ষিণ, যা হজযাত্রার সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।

তাওয়াফ আল-উইদা: হজের শেষ ধাপ হল তাওয়াফ আল-উইদা, যা মক্কা ত্যাগ করার আগে করা হয়। এটি কাবার বিদায়ী প্রদক্ষিণ, যা হজযাত্রার সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়।

হজের সুন্নত

হজের সুন্নত ১০টি

১. তাওয়াফে কুদুম বা প্রথম তাওয়াফ করা( ইফরাদ ও কিরান হজকারীর জন্য) ।
২. তাওয়াফের সময় রমল করা( প্রথম তিন চক্কর সৈনিকের মতো বীরদর্পে চলা) ।
৩. খলিফা অথবা তাঁর প্রতিনিধি তিন দিন তিন স্থানে খুতবা প্রদান করা বা ভাষণ দেওয়া ।( ৭ জিলহজ কাবা শরিফের হারাম শরিফে, ৯ জিলহজ আরাফায় মসজিদে নামিরাতে, ১১ জিলহজ মিনাতে ।)
৪. আট জিলহজ মক্কা শরিফ থেকে মিনাতে গিয়ে জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং রাতে সেখানে অবস্থান করা ।
৫. ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হওয়া ।
৬. অকুফে আরাফা বা আরাফাতে অবস্থানের জন্য সকালে( দুপুরের পূর্বে) গোসল করা ।
৭. ৯ জিলহজ আরাফাতে অবস্থান করে সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার দিকে রওনা করা ।
৯. ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ মিনাতে রাত যাপন করা ।
১০. মিনা থেকে মক্কা শরিফ প্রত্যাবর্তনের সময় ‘ মুহাচ্ছার ’ নামের জায়গায় কিছু সময় অবস্থান করা ।

হজের ফরজসমূহ

হজের ফরজ তিনটি:
১. ইরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা,
২. অকুফে আরাফা করা, ৯ জিলহজ জোহর থেকে ১০ জিলহজ ফজরের আগপর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা,
৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা, ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা।

হজের ওয়াজিবসমূহ

হজের ওয়াজিব সাতটি: ১. আরাফা থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামের স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা, ২. সাফা ও মারওয়া সায়ি করা বা দৌড়ানো, ৩. রমিয়ে জিমার বা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামারায় শয়তানকে পাথর মারা, ৪. তামাত্তু ও কিরান হজে দমে শোকর বা কোরবানি করা, ৫. মাথার চুল মুড়িয়ে বা কেটে ইহরাম সমাপ্ত করা, ৬. বিদায়ী তাওয়াফ করা; ৭. মদিনা শরিফ রওজাতুন নবী (সা.) জিয়ারত করা। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫১)

আরো বিস্তারিত জানতে পারেন সরকারী হজ ওয়েবসাইট থেকে

Leave a Comment

You cannot copy content of this page