আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন । সৃজনশীল উত্তরসহ। উত্তরসহ

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন । সৃজনশীল উত্তরসহ। উত্তরসহঃ এইচএসসি শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য আইসিটি ২য় অধ্যায়ের জন্য সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্নে আশা বিভিন্ন প্রশ্ন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে তোমাদের আসন্ন পরিক্ষার জন্য।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০১

১। ‘ক’ কলেজের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত ভবনগুলো স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত বর্তমানে প্রতিটি ভবনের কম্পিউটারগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। অধ্যক্ষ মহোদয় এখন সকল কম্পিউটারকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন। DH23

ক. পিকোনেট কী?
খ. ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন’। ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কলেজের একাডেমিক ভবনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা সবচেয়ে কম খরচে বাস্তবায়নের জন্য কোন ট্রান্সমিশন মিডিয়া উত্তম? যৌক্তিক ব্যাখ্যা কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর :

ক) বু-টুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাই পিকোনেট । ব্লু-টুথ সিস্টেমের মৌলিক উপাদান হলো পিকোনেট ।

খ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্বল্প খরচে সফটওয়্যার সার্ভিস এবং প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যবহারকারীর অপারেটিং খরচ অনেক কমে যায়। আবার সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সার্ভিস ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে পারে। তাই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ের জন্যই লাভজনক।

গ. উদ্দীপকে ‘ক’ কলেজটির বর্তমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হলো LAN (Local Area Network)। এ ব্যবস্থায় অনেক ডিভাইস একসেস পাওয়া যায় এবং রিপিটার ব্যবহার করে এর বিস্তৃতি সর্বোচ্চ ১কি. মি. করা যায়। ‘ক’ কলেজটির বিস্তৃতি ১কি. মি. এর মধ্যে বিদ্যমান থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই ব্যবস্থাটি LAN হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ছোট অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ক্যাম্পাস কিংবা একটি বিল্ডিং বা স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত কয়েকটি ভবনে স্থাপিত অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে এ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN তারের মাধ্যমে, তারবিহীন বা উভয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায়।

ঘ) উদ্দীপকের “ক’ কলেজের ভবনসমূহ পরস্পর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত। কলেজটির আন্তঃভবন দূরত্ব বিবেচনায় কলেজের সকল কম্পিউটারসমূহের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে, অভিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপনে ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা সব থেকে বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

যুক্তিসহ মতামত : কলেজটির নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হলো LAN এ নেটওয়ার্কে তার মাধ্যম হিসেবে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। এ তার মাধ্যমগুলোর মধ্যে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে সস্তা। স্বল্প দূরত্বে নেটওয়ার্কিং-এর জন্য টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সহজে স্থাপন এবং মেরামতও করা যায়। অন্যদিকে কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল ও ফাইবার অপটিক ক্যাবলের দাম ও স্থাপন খরচ বেশি হওয়ায় এ তার দিয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা পূরণ হবে না।

সুতরাং কলেজটির স্বল্পদূরত্বে অবস্থিত ভবনগুলোর মাঝে কম খরচে অভিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে উত্তম।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

ক. ডি-মডুলেশন কী?
খ. মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ধরন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-১ এবং চিত্র-২ এর টপোলজির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। DH23

২ নং প্রশ্নের উত্তর

ক প্রাপক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত মডেম কর্তৃক অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডি-মডুলেশন।

খ মালিকানার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।
যথা— ১ প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ও ২. পাবলিক নেটওয়ার্ক।

প্রাইভেট নেটওয়ার্ক : যে নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত এবং কোনো কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়, তাই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ।

পাবলিক নেটওয়ার্ক : যে নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত নয় এবং যেকোনো সময় যেকেনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে, তাকে পাবলিক নেটওয়ার্ক বলে।

গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি । যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে নিউটন সৃজনশীল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয়। নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

ঘ উদ্দীপকের চিত্র-১ হলো বাস টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো স্টার টপোলজি। বাস ও স্টার টপোলজির মধ্যে বাস টপোলজি অধিক সুবিধাজনক। নিচে তা বর্ণনা করা হলো-

বাস টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। যার প্রধান ক্যাবলটিকে ব্যাকবোন বলে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়। ফলে খরচও সাশ্রয় হয়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় ‘না। অপরদিকে স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাবে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্ককে অকেজো করে দেয় এবং স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

সুতরাং উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায় যে, উদ্দীপকের টপোলোজিদ্বয়ের মধ্যে বাস টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

দৃশ্যকল্প-১ : শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক এক ধরনের ক্যাবল দেখালেন যা, স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি।

দৃশ্যকল্প-২

ক. Wi-MAX কী?
খ. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা কর ।
ঘ) উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যমে দুইটির মধ্যে কোনটি উত্তম? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও । RJ23

প্রশ্নের উত্তর

ক) WiMax দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেটি প্রচলিত DSL এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে।

খ) অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ হলো দুটি ক্যারেক্টারের মাঝখানে অসমান বিরতি। অর্থাৎ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলে সময় বেশি লাগে।

গ উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত তার মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। নিচে অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু, যদিও বিশেষায়িত কাজের জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের তৈরি ফাইবার অপটিক ক্যাবলও পাওয়া যায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm ) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কেন্দ্রের অংশটুকুর প্রতিসরাংক বাইরের অংশের প্রতিসরাংক থেকে বেশি। যে অংশের প্রতিসরাংক বেশি তাকে কোর (Core) বলে এবং যে অংশের প্রতিসরাংক কম তাকে ক্ল্যাড (Clad) বলে। প্রতিসরাংকের পার্থক্যের কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে কোনো লস ছাড়াই কোরের ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে। এখানে কোনো তড়িৎ সিগন্যাল প্রবাহিত হয় না। ফলে এর চারপাশ দিয়ে কোনো তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি হয় না।

ঘ। উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম দুটি হলো রেডিও ওয়েভ এবং স্যাটেলাইট। রেডিও ওয়েভ ও স্যাটেলাইটের মধ্যে স্যাটেলাইট উত্তম। নিচে তা বিশ্লেষণপূর্বক আলোচনা করা হলো-

3 কিলোহার্টজ থেকে 300 গিগাহার্টজের মধ্যে সীমিত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে রেডিও ওয়েভ বলে। রেডিও ওয়েভ পাঠানোর জন্য যে এন্টেনার প্রয়োজন হয় তার দৈর্ঘ্য তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আনুমানিক চার ভাগের এক ভাগ হতে হয়। সে কারণে কম ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও ওয়েভ খুব বাস্তবসম্মত নয়। রেডিও ওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি কম বলে এক সাথে বেশি ডেটা পাঠানো যায় না এবং এটি মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

অপরদিকে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ডেটা পাঠানো যায়। ভয়েস কল, ভিডিও কল ইত্যাদি সেবা প্রদান করা যায়। প্রতিরক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যোগাযোগ করা যায় এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়। অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, রেডিও ওয়েভ ও স্যাটেলাইটের মধ্যে স্যাটেলাইট উত্তম।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৪

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. “ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এ ব্যবহৃত D ডিভাইসটির ভূমিকা এই টপোলজির ক্ষেত্রে আলোচনা কর।
ঘ. চিত্র-১ এবং চিত্র-২ এর মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইসসমূহের তুলনামূলক আলোচনা করতঃ উত্তমটি নির্বাচন করো।

প্রশ্নের উত্তর

ক প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

খ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এই পদ্ধতিতে প্রথমেই . ডেটাকে প্রাইমারি স্টোরেজ তথা পিরিয়ডিক ফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহৃত র‍্যাম, ক্যাশ অথবা সিপিইউ মেমোরিতে সংরক্ষণ করে অতঃপর তাকে ব্লক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টর থাকে।

গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এ উল্লেখিত টপলোজিটি হলো স্টার টপোলজি এবং ID ডিভাইসটি হলো স্টার টোপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস। স্টার টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে হাব বা সুইচ ব্যবহার করা হয়।নিচে স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে উক্ত ডিভাইসের ভূমিকা আলোচনা করা হলো-

১. এর সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সমূহ পরষ্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্ত থাকে ।
২. প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডাটা সকল পোর্টে প্রেরণ করে।
৩. উক্ত টপোলজিতে ডিভাইসটি LAN ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
৪. স্টার টপোলজিতে হাব নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে পারে।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-১ হলো স্টার টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো মেশ টপোলজি। এদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইস হিসেবে গেটওয়ে বা রাউটার ব্যবহার করা যায়। তবে এদের মধ্যে সংযুক্তি ঘটাতে গেটওয়ে ডিভাইসটি বেশি উপযোগী। রাউটারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় কারণ রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। কিন্তু উদ্দীপকে দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। গেটওয়ে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। যেহেতু উদ্দীপকের চিত্র দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের, তাই এদের জন্য রাউটার থেকে অধিক শক্তিশালী ডিভাইস ব্যবহার করা উপযোগী। আর এ ডিভাইসটি হচ্ছে গেটওয়ে ।

গেটওয়ে হচ্ছে ইন্টারনেটের প্রবেশ পথ অর্থাৎ এমন একটি ডিভাইস যা দুটি ভিন্ন প্রকৃতির নেটওয়ার্ক যেমন— নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর মধ্যে ডেটা বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়, যা রাউটার, সুইচ বা হাব-এ সকল ডিভাইস দ্বারা সম্ভব নয় ।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য গেটওয়ে ডিভাইসটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এর ফলে ডেটার সংঘর্ষ বা কলিশন সম্ভাবনা কম হয় এবং বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। এর ফলে গেটওয়ে ডিভাইসটি উপযোগী।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৫

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বললেন ডেটা ট্রান্সমিশনের একটি পদ্ধতিতে ডেটা একটি তারের মধ্য দিয়ে স্টার্ট ও স্টপ বিটের সমন্বয়ে প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ফ্রেমের সাথে হেডার ও ট্রেইলার যুক্ত হয়ে ট্রান্সমিট হয়। এরপর শিক্ষক এমন একটি প্রযুক্তির কথা বললেন যার মাধ্যমে তারবিহীনভাবে বহুদূর পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় । CU23

ক. ফুল ডুপ্লেক্স কী?
খ. রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত করলে কোন টপোলজি হয়- ব্যাখ্যা কর।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতি দুটোর মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্নের উত্তর

কর যে ব্যবস্থাপনায় দুটি ডিভাইসের মধ্যে একই সাথে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় তাই ফুল-ডুপ্লেক্স। যেমন— টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি।

খ। রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত করলে মেশ টপোলজি গঠিত হয়। যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, তাই মেশ টপোলজি। এ ধরনের সংগঠনে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। এই টপোলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার প্রযুক্তিটি হলো WiMax. নিচে এ প্রযুক্তিটি বর্ণনা করা হলো-

WiMax হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, যা মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যাপক এলাকায় WMAN-Wireless Metropolitan Area Network) ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত 2 থেকে 66 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং ৪০ Mbps থেকে 1 Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম। প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এলাকা 50 থেকে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তিতে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়। এর ডাউনলিংক গতি এবং আপলিংক গতি অপেক্ষাকৃত বেশি। এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো। এর সিগন্যাল নয়েজ সর্বোচ্চ 7 ডেসিবল। এটি অপেক্ষাকৃত অধিক মানসম্মত ও অধিক নিরাপত্তা সুবিধা সংবলিত ওয়্যারলেস প্রটোকল। এ প্রটোকলের ডেটা ট্রান্সমিশন রেট 30 থেকে 70 মেগাবিট/ সেকেন্ড তবে স্থির ক্ষেত্রে গিগাবিট/সে, পর্যন্ত হতে পারে।

ঘ। উদ্দীপকে বর্ণিত ১ম ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা স্টার্ট ও স্টপ বিটের সমন্বয়ে প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয়। এক্ষেত্রে স্টার্ট ও স্টপ বিট ডেটা ট্রান্সমিট হলো অ্যাসিনক্রোনাস এবং প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। যেহেতু এ ট্রান্সমিশন হলো অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাসের সমন্বয়, তাই বলা যায় এটি হলো আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন। অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাসের মিশ্র পদ্ধতি হচ্ছে আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন। অন্যদিকে ২য় ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা ফ্রেমের সাথে হেডার ও ট্রেইলার যুক্ত হয়ে ট্রান্সমিট হয়।

সুতরাং এটি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। নিচে এ দুটি ট্রান্সমিশন পদ্ধতির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয়, পরবর্তীতে ডেটাগুলো ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়। পক্ষান্তরে আইসোক্রোনাসে প্রাইমারি ডিভাইসে ডেটা সংরক্ষণ না করে, যখন প্রয়োজন তখনই ট্রান্সমিট করা যায়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি শনাক্ত করা যায়। পক্ষান্তরে আইসোক্রোনাস পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার শর্তাধীনে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি শনাক্ত করা যায় না। প্রযুক্তিগতভাবে সিনক্রোনাস পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত জটিল ও ব্যয়বহুল হলেও বেশি ব্যান্ডউইথের ডেটা দূরবর্তী স্থানে পাঠানোর জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

তাই বড় ধরনের নেটওয়ার্কসহ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, টিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। কিন্তু আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে প্রেরকের পাঠানো ডেটা ব্লক প্রাপকের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার উপায় ও ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নেই। এজন্য সকল ক্ষেত্রে এটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নয়।

[বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রশ্নটি কিছুটা দ্বিধাপূর্ণ হলেও সঠিক তথ্যানুযায়ী ১ম পদ্ধতি হলো আইসোক্রোনাস এবং ২য় পদ্ধতি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন।]
কুমিল্লা বোর্ডের উত্তরপত্র মূল্যায়নের সহায়ক নির্দেশিকা অনুযায়ীও উদ্দীপকের প্রথম পদ্ধতি হলো ইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন]

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ক্যাবল টিভিতে ব্যবহৃত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি গত ক্লাসে ইন্টারনেটভিত্তিক এক ধরনের পরিসেবা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। উক্ত ব্যবস্থায় ব্যবহারকারী ছোট-বড় যেকোনো চাহিদা মেটাতে পারে এবং ব্যবহারের পরিমাণের উপর বিল নির্ধারিত হয়।

ক. ডেটা চলাচলের মাধ্যম কী?
খ. “ডেটা উভয় দিকে প্রেরণ সম্ভব, কিন্তু একই সময়ে নয়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা কর ।
“ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষক যে পরিসেবার কথা উল্লেখ করেছেন তা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও ।CTG 23

প্রশ্নের উত্তর

ক ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেরক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত যেসব সংযোগ স্থাপন করা হয় তাদেরকে ডেটা চলাচলের মাধ্যম বলে। যেমন— টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

হাফ ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা উভয়দিকে প্রেরণ সম্ভব কিন্তু একই সময়ে নয়। যে ব্যবস্থাপনায় দু’টি ডিভাইসের মধ্যে উভয়ের দিকেই ডেটা প্রবাহ করা হয় তাই হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। এতে ডেটা এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর বিপরীত প্রান্তের ডেটা শুরুর দিকের প্রান্তে প্রবাহিত করে। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস.এম.এস প্রেরণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে চলে।

হাফ ডুপ্লেক্স মোডে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস ডেটা হয় গ্রহণ অথবা প্রেরণ করবে। একই সাথে ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারবেনা।

গ উদ্দীপকে উল্লিখিত তার মাধ্যমটি হলো কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, যা দিয়ে ক্যাবল টিভি বা ডিস টিভির সংযোগ দেওয়া হয়। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল তামা বা কপার নির্মিত মূলত তিনটি স্তর বিশিষ্ট তারের ক্যাবল, কেন্দ্রস্থলে একটি শক্ত তামার তারের কন্ডাক্টর, সেটিকে বৃত্তাকারে ঘিরে প্লাস্টিকের অপরিবাহী স্তর এবং এ স্তরকে ঘিরে তামার তারের একটি জাল বা শিল্ড (Braided Shield)। বাইরের শিল্ড এবং কেন্দ্রীয় তামার তারের অক্ষ একই থাকার দরুন এর নামকরণ কো-এক্সিয়াল করা হয়েছে। সবশেষে রাবারের অপরিবাহী পুরু স্তর এ ক্যাবলটিকে আবৃত করে রাখে। এ ক্যাবল ব্যবহার করে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট 10 Mbs পর্যন্ত হতে পারে। Bayonet-Neil-conceiman (BNC) কানেক্টরের সাহায্যে এ নেটওয়ার্কে সংযোগ প্রদান করা হয় । ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে এ ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ঘ উদ্দীপকে শিক্ষক যে পরিসেবার কথা উল্লেখ করেছেন তা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন— নেটওয়ার্ক, সার্ভার,স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি অবকাঠামোগত, প্লাটফর্ম ও সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ পরিসেবায় ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google docs দিয়ে মাইক্রোসফ্ট অফিসের প্রায় সব কাজ করা যায়। এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর যত সুবিধা প্রয়োজন হয় সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারে, এতে ক্রেতার আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হয় না। ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে। এছাড়া এটি সবসময় ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়েই উপকৃত হন ।

সুতরাং উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ছোট-বড় যেকোনো চাহিদা মিটিয়ে ব্যবহারের উপর বিল প্রদান করা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ডগুলো হলো-
i. UMTS (Universal Mobile Telecommunication System)
ii. LTE (Long Term Evolution)
iii. MIMO (Multiple Input Multiple Output)

ক. NIC কী?
খ. কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (i) নং স্ট্যান্ডার্ডটি কোন প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) ও (iii) নং স্ট্যান্টান্ডগুলো যে যে প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। SYl23

প্রশ্নের উত্তর

ক) দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC) বা ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডাল্টার বলে। এটিকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলারও বলা হয়।

খ) কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্যসমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

১.ইন্টারনেট বিভিন্ন তথ্য দেখা বা ওয়েব সার্চের মাধ্যমে তথ্য খোঁজার মাধ্যমে ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার করা।
২. নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করা।
৩. কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন- প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি অন্য কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করে। হার্ডওয়্যার শেয়ার করা। এতে করে খরচ বেঁচে যায়।

গ উদ্দীপকে উল্লিখিত (i) নং স্ট্যান্ডার্ডটি অর্থাৎ UMTS তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়। নিচে তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো-

তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে সার্কিট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার করা হয়েছে। সার্কিট সুইচিং পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কিং রিসোর্স বা ব্যান্ডউইথ বিভিন্ন অংশ বা পার্টে বিভক্ত হয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পথে গন্তব্যে পৌঁছে, যার ফলে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কম। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কিং রিসোর্স বা ব্যান্ডউইথ বিভিন্ন প্যাকেটে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে গন্তব্যে পৌঁছে এবং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ়। এতে অবশ্য উভয় সুইচিং পদ্ধতিই চলে। পূর্বের তুলনায় উচ্চ ব্যান্ডের সিগন্যাল ফ্রিকোয়েন্সির ব্যবহার শুরু হয় (ডেটা ট্রান্সফার রেট 2 Mbps-এর বেশি)। ভিডিও কল, ইন্টারনেট, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং, FOMA ইত্যাদি সুবিধা নিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন চালু হয়। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে মূলত চারটি স্ট্যান্ডার্ড চালু হয়। এগুলো হলো-

1. HSPA (High-Speed Package Access)
২. WCDMA (Wide-band Code Division Multiple Access)
3. 3GPP (3rd Gen Partnership Project)
8. UMTS (Universal Mobile Telecommunication System)

ঘ। উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) ও (iii) নং স্ট্যান্ডার্ডগুলো চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়। প্রজন্ম দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো-

১. চতুর্থ প্রজন্মের সময়কাল ২০০৯ ২০২০ পর্যন্ত। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের সময়কাল ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে চলমান আছে।

২. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্রটোকলভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নেটওয়ার্ক হলো wwww

৩. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে LTE স্ট্যান্ডার্ড কাজ করে। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে MIMO, 5GNR, RAT স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহৃত হয়।

৪. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডেটা ট্রান্সফারের রেট সর্বোচ্চ 1Gbps। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডেটা ট্রান্সফার রেট 20 Gbps।

৫. পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের পারফরম্যান্স চতুর্থ প্রজন্মের তুলনায় অনেকগুণ বেশি।

৬. MIMO প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চতুর্থ প্রজন্মের তুলনায় পঞ্চম প্রজন্ম প্রায় 10 গুণ বেশি কর্মদক্ষতা প্রদানে সক্ষম।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৮

আফনান ও সাফনান দুই ভাই। আফনান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যার মধ্যে ৪টি কমন রঙের (সাদা) তার রয়েছে এবং সাফনান তথ্য স্থানান্তরে বিশেষভাবে তৈরি পরিশুদ্ধ কাচের অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তুবিশিষ্ট ক্যাবল ব্যবহার করে। অন্যদিকে আফনানের বন্ধু রাফসান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এমন এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যা ডিজিটাল ও এনালগ উভয় ধরনের ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।

ক. হাফ ডুপ্লেক্স মোড কী?
খ. ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল ব্যাখ্যা কর।
গ. তথ্য আদান-প্রদানে আফনানের ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তথ্য স্থানান্তরে সাফনান ও রাফসানের ব্যবহৃত ক্যাবলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। Syl23

প্রশ্নের উত্তর

ক যে ব্যবস্থাপনায় দু’টি ডিভাইসের মধ্যে উভয়ের দিকেই ডেটা প্রবাহ করা হয় কিন্তু একই সময়ে সম্ভব নয় তাই হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস.এম.এস প্রেরণ ইত্যাদি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে চলে।

খ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
১. অবকাঠামোগত সেবা : এই মডেলে অবকাঠামো ভাড়া দেওয়া হয় ।
২. প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা: এই মডেলে ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে ভাড়া দেওয়া হয় কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম।
৩. সফটওয়্যারভিত্তিক সেবা: এই মডেলে ব্যবহারকারীরা সার্ভিসদাতা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা সফটওয়্যার ও ডেটাবেজ অ্যাকসেস এবং ব্যবহারের সুযোগ পায় ।

৪. নেটওয়ার্কভিত্তিক সেবা: এটি এমন একটি মডেল, যেখানে গ্রাহকরা তাদের নিজস্ব অবকাঠামো স্থাপনের পরিবর্তে ক্লাউড বিক্রেতার কাছ থেকে নেটওয়ার্ক পরিসেবাগুলো ভাড়া নিয়ে থাকেন।

গ তথ্য আদান-প্রদানে আফনানের ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল । নিচে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যাখ্যা করা হলো-

দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয়। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দু’ধরনের হয়ে থাকে, আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এবং শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল । সাধারণ কপার নির্মিত এ সব ক্যাবলে মোট চার জোড়া তার প্রতিটি পৃথক অপরিবাহী পদার্থের আবরণে আবৃত থাকে। প্রতি জোড়া তারে একটি কমন রঙের (সাদা রঙের) আরেকটি ভিন্ন রঙের (যেমন— নীল, সবুজ, কমলা ও বাদামি) তারের সাথে প্যাঁচানো থাকে। প্রতি জোড়া তার পৃথক অপরিবাহী আবরণে আবৃত করা থাকে। এ ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে 100 মিটারের বেশি দূরত্বে কোনো ডেটা প্রেরণ করা যায় না। ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps থেকে 1 Mbps পর্যন্ত হতে পারে, তবে দূরত্ব বাড়তে থাকলে ডেটা ট্রান্সফার রেট কমতে থাকে। বাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।

ঘ তথ্য স্থানান্তরে সাফনান ও রাফসানের ব্যবহৃত ক্যাবলগুলো হলো অপটিক্যাল ফাইবার ও কো-এক্সিয়েল ক্যাবল। নিচে ক্যাবল দুটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

১. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 10 Mbps পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 10 Mbps – 10 Gbps।

২. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের সর্বোচ্চ তারের দৈর্ঘ্য 200 মিটার। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবারের সর্বোচ্চ তারের দৈর্ঘ্য 2 – 100 কিলোমিটার।

৩. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল তামা বা কপার নির্মিত। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু।

৪. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলে তারের দৈর্ঘ্য বেশি হলে নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার রিপিটার ছাড়াই 50 কিলোমিটার পর্যন্ত ডেটা পাঠানো যায়।

৫. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল ইনস্টল করা সহজ। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ইনস্টল পদ্ধতি অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে জটিল।

৬. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল দামে সস্তা। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল অত্যন্ত দামি।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

নিচের চিত্রগুলো লক্ষ কর:

ক. রাউটার কী?
খ. “ক্লাউড কম্পিউটারের তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা কম।” —ব্যাখ্যা কর।
গ. চিত্র-৩ এর টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর মধ্যে কোন টপোলজিটি অধিক সুবিধাজনক? আলোচনা কর। BR23

প্রশ্নের উত্তর

ক একই প্রোটোকলভুক্ত দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার।

খ ক্লাউড কম্পিউটিং তথ্যের জগতে বিশাল নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এই সার্ভিসে আপলোড করা তথ্য কোথায় সংরক্ষিত এবং প্রক্রিয়াকরণ হয়, তা ব্যবহারকারী জানতে পারে না। সেই তথ্য বা ডেটার উপর এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের উপর ব্যবহারকারীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অর্থাৎ তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম।

গ চিত্র-৩ এ যে টপোলজিটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলো একটি হাইব্রিড টপোলজি। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যেমন স্টার, রিং, বাস, ট্রি ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে টপোলজি গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে। ইন্টারনেট হলো হাইব্রিড টপোলজির একটি উদাহরণ কেননা এতে প্রায় সব ধরনের টপোলজির-ই নেটওয়ার্ক যুক্ত রয়েছে।

এ ধরনের টপোলজি বড় আকারের নেটওয়ার্কের জন্য সুবিধাজনক এবং এ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের সমস্যা নির্ণয় করা সহজ। কিন্তু এ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক স্থাপন জটিল ও ব্যয়বহুল। যেহেতু এটি মিশ্র টপোলজি তাই এতে ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর টপোলজিগুলোর সুবিধা ও অসুবিধাগুলোও এতে অন্তর্নিহিত থাকে।

ঘ চিত্র-১ এ মেশ টপোলজি এবং চিত্র-২ এ স্টার টপোলজি রয়েছে। এর মধ্যে স্টার টপোলজি ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। যে টপোলজিতে প্রতিটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি) সরাসরি একটি হাব, স্যুইচ বা সার্ভারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত ডেটা নির্দিষ্ট ডিভাইসে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মধ্য দিয়ে যায় তাই স্টার টপোলজি। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয়। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়।

হাব বা স্যুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে, যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, ফলে যেকোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য যেকোনো কম্পিউটারের সাথে সরাসরি দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে তাই মেশ টপোলজি। এ ধরনের সংগঠনে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট- টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত।

প্রচুর পরিমাণ তারের প্রয়োজন হওয়ায় এই টপোলজি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জটিল কনফিগারেশনের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় না।

উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, মেশ টপোলজির তুলনায় স্টার টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১০

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর—

ক. ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
খ. “বিশেষ কোনো লস ছাড়াই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ভিতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া সম্ভব।” – ব্যাখ্যা কর ।
গ. চিত্র-১ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোড উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের মধ্যে কোনটি বেশি উপযোগী? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। BR 23

প্রশ্নের উত্তর

ক’ এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে ডেটা বিটের বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড।

খ হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বলে। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্ম ব্যবহার করে আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। এ ক্যাবল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় প্রভাব মুক্ত এবং প্রতিকূল পরিবেশে (যেমন— চাপ, তাপ) ইত্যাদি থেকে ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা পায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300 1500 nm ) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়।

গ উদ্দীপকে চিত্র-১ এর ডেটা ট্রান্সমিশনে সিমপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধু একদিকে প্রেরণ করা যায় তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে শুধু একদিকে ডেটা পাঠানো সম্ভব হয়, প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করে এবং গ্রাহক শুধু ডেটা গ্রহণ করে।

অর্থাৎ প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, কিন্তু প্রাপক প্রেরকের কাছে পাঠাতে পারবে না। উদাহরণ- রেডিও, টেলিভিশন।

একইভাবে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা পাঠানো সিমপ্লেক্স মোডের অন্তর্গত। তাছাড়া মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়াও এ মোডের মধ্যে পড়ে।

ঘ উদ্দীপকে চিত্র-২ এ ডেটা ট্রান্সমিশনে হাফ ডুপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরকের ডেটা পাঠানো সম্পন্ন হলে প্রাপক ডেটা পাঠাতে পারবে। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এসএমএস প্রেরণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ক্লাসে পাঠদান ইত্যাদি ।

অপরদিকে চিত্র-৩ এ ডেটা ট্রান্সমিশনে ফুল ডুপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই একসাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর প্রায় সবগুলোর ফুল ডুপ্লেক্স, যেমন-ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন প্রভৃতি।

চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের মধ্যে চিত্র-৩ বা ফুল ডুপ্লেক্স মোড বেশি উপযোগী, কেননা এ মোডে উভয় দিক থেকে একই সাথে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১১

পৌরবাসীর সুবিধার জন্য মেয়র মহোদয় আলোর গতিতে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করলেন। খরচ বেশি হওয়ায় প্রকৌশলীর পরামর্শে তারবিহীন অন্য একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।

ক. রোবোটিক্স কী?
খ. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সম্ভব– ব্যাখ্যা কর ।
গ. মেয়র মহোদয়ের বাস্তবায়িত নেটওয়ার্ক সিস্টেমটির বর্ণনা দাও।
ঘ. প্রকৌশলীর পরামর্শকৃত নেটওয়ার্কটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। DN 23

প্রশ্নের উত্তর

ক বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হলো রোবটিক্স।

খ নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (41°C) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে। সুতরাং বলা যায় নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সম্ভব।

গ মেয়র মহোদয়ের বাস্তবায়িত নেটওয়ার্ক সিস্টেমটি হলো মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)`।মেট্রোপলিটন এরিয়া বলতে একটি শহর বা ছোট অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত এলাকাকে বোঝায়, এরকম একটি বড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কতকগুলো কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক হলো MAN। যেহেতু মেয়র সাহেব সমগ্র পৌরসভাকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছেন সুতরাং তার দ্বারা বাস্তবায়িত নেটওয়ার্কটি হলো MAN. MAN এর বিস্তৃতি LAN এর চেয়ে বড় কিন্তু WAN এর চেয়ে ছোট হয়।

প্রায় ৫০ কি. মি. দূরত্ব পর্যন্ত MAN এর নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। এ ধরনের নেটওয়ার্কের জন্য মাধ্যম হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল, টেলিফোন লাইন, মডেম, মাইক্রোওয়েভ, রেডিও ওয়েভ বা টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক ডিভাইস হিসেবে রাউটার, সুইচ, হাব, ব্রিজ, গেটওয়ে ইত্যাদি এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত কোনো বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের শাখা অফিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য MAN নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। একাধিক LAN এর সংযাগ স্থাপন করে MAN নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়।

ঘ) উদ্দীপকের প্রকৌশলী মেয়র মহোদয়কে তারবিহীন অন্য যে নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন তা হলো Wimax। পৌরবাসীর সুবিধার জন্য মেয়র মহোদয় ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তার মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সব থেকে দামি। তাই ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপন অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

অন্যদিকে WiMax তারবিহীনভাবে নেটওয়ার্ক স্থাপনের একটি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া Wi-Max এর মাধ্যমে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রকৌশলীর পরামর্শকৃত নেটওয়ার্কটি যথেষ্ট যৌক্তিক।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১২

নিচের চিত্র দুটি লক্ষ কর-

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা লিখ ।
গ. চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজি বিশ্লেষণ কর।
ঘ. চিত্র-১ ও চিত্র-২ টপোলজিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক? তোমার মতামত দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

ক প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং । ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাসমূহ হলো-

১. ক্রেতার যত সুবিধা প্রয়োজন হবে সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারবে।
২. ক্রেতাকে আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হবে না।
৩. ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে।
৪. ক্রেতা ক্লাউড এর উপর চলছে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে।

গ) চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো রিং টপোলজি। যে টপোলজিতে রিং-এর ন্যায় কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে তাই রিং টপোলজি ।

সাধারণত কাছাকাছি বা একই ভবনের বিভিন্ন কম্পিউটারকে ক্যাবল দ্বারা সংযোগের ক্ষেত্রে রিং টপোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে। এই বৃত্তাকার নেটওয়ার্কে প্রথম ও সর্বশেষ কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং এতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা

চিত্র: রিং টপোলজি

তারের পরিমাণ কম প্রয়োজন হয় বলে এর বাস্তবায়ন খরচ কম লাগে। তবে রিং টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অকেজো হয়ে যায় এবং এদের পরস্পরের মাঝে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। এতে করে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

ঘ। উদ্দীপকে চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর টপোলজি দুটি হলো যথাক্রমে রিং টপোলজি এবং মেশ টপোলজি। রিং টপোলজি ও মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি বেশি সুবিধাজনক।

১. মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি।

২. মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার (১, ২ ও ৩ এর মধ্যে) যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।

৩. মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল ।

৪. মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায় ।

উপরে বর্ণিত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজিই উত্তম।

প্রশ্ন ১৭ ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৩

‘X’ কলেজে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে তৈরি মাধ্যম ব্যবহার করে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কলেজটি 40 km দূরে অবস্থিত ‘Y’ কলেজের সাথে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট কমিউনিকেশন ডিভাইস দ্বারা যুক্ত।

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. ভিন্ন প্রটোকলের নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে কোন ডিভাইস প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘X’ কলেজের নিজস্ব নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

অনুশীলন প্রশ্ন ১ (উত্তরসহ)

১। x কলেজ ঢাকা শহরের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের আরো পাঁচটি শাখা আছে। অধ্যক্ষ সাহেব মূল প্রতিষ্ঠানে বসেই সবগুলো শাখা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বল্প খরচে উন্নত সেবা এবং যতটুকু ব্যবহার ততটুকু বিল প্রদান এমন একটি পরিসেবার কথা ভাবছিলেন।

ক. ব্লুটুথ কী?
খ. ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য কোন ধরনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিল? তার বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে অধ্যক্ষ সাহেব যে নতুন পরিসেবার কথা ভাবছিলেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও

ক ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।

খ) ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক, কারণ—
১। এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ।
২। এ পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানো যায় ।
৩। এর গতি তুলনামূলকভাবে বেশি।
৪। ট্রেইলার ব্লকের শেষ নির্দেশ করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্লকের ভেতরকার ভুল নির্ণয় ও সংশোধন করে ।
৫। ডেটার আকার ছোট এবং ডেটা-রেট বেশি বলে ট্রান্সমিশনে সময় কম লাগে।

গ প্রশ্নের উত্তর

গ) উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য স্থাপনকৃত নেটওয়ার্ক হলো WAN ।একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক শহরের সাথে অন্য শহর, এক দেশের সাথে অন্য দেশ, এক মহাদেশের সাথে অন্য মহাদেশের মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে WAN বলে। ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত একাধিক LAN, ও MAN কে নিয়ে WAN নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। বিস্তৃত এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠে বলে LAN ও MAN-কে সংযুক্ত করার জন্য বিশেষ ডিভাইস ও টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।

এ ধরনের নেটওয়ার্কের জন্য মাধ্যম হিসেবে টেলিফোন লাইন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মডেম, রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার পাঁচটি শাখার মধ্যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তােলা হয়, ফলে মুহূর্তের মধ্যে মূল শাখার সাথে অন্য শাখাগুলো শিক্ষা কার্যক্রম ভাগাভাগি করতে পারে। মেমোরি ব্যবশ্বর মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর সাথে অল্প সময়ের মধ্যে তথ্য পাঠানো যায়। এ নেটওয়ার্কে শিক্ষার্থীরা এক কলেজের শাখায় বসে অন্য শাখার শ্রেণি কক্ষের ক্লাসেও অংশগ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া কলেজে না গিয়েও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। শিক্ষককে প্রশ্ন করতে ও উত্তর জানতে পারবে।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

ঘ উদ্দীপকের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার শাখাগুলোকে পরিচালনার জন্য নতুন গরিসেবা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং । বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার,স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি অবকাঠামোগত, প্লাটফর্ম ও সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতোনিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ পরিসেবায় ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google docs দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজ করা যায়।

এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর যত সুবিধা প্রয়োজন হয় সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারে, এতে ক্রেতার আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হয় না। ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে,শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে। এছাড়া এটি সবসময় ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী সার্ভিস প্রদানকারী উভয়েই উপকৃত হন। ফলে অধ্যক্ষ সাহেব সহজেই নতুন পরিসেবাটি অর্থাৎ ক্লাউড কম্পিউটিং বাস্তবায়ন করতে পারবে ।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ২ (উত্তরসহ)

২) রহিম সাহেব তার ছয় বছরের ছেলের জন্য একটি খেলনা উড়োজাহাজ কিনে আনেন। তিনি রিমোট ব্যবহার করে উড়োজাহাজটির উড্ডয়ন দেখালেন। অন্য দিকে তাঁর বড় ছেলে ল্যাপটপের সাথে ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। রহিম সাহেব তার স্মার্টফোনে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ।

, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
খ. স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।
ঘ, রহিম সাহেব ও তাঁর বড় ছেলের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৌশলগত পদ্ধতি বিশ্লেষণ কর

ক) দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য ৰা ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড় বলে।

খ) স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভটি হলো স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ।মোটামুটিভাবে 1 গিগাহার্টজ হতে 100 গিগাহার্টজের ভিতরে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডকেই মাইক্রোওয়েভ বলে। এ ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ সাধারণত 2 গিগাহার্টজ বা তার অধিক ফ্রিকোয়েন্সিতে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। এটি রেডিও ওয়েভের মতোচারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে না, সোজাসুজি যায় ।তাই এই কমিউনিকেশনের জন্য ট্রান্সমিটার এন্টেনা ও রিসিভার এন্টেনাকে মুখোমুখি থাকতে হয় বা সংযোগ লাইন অব সাইট (LOS : Line of site) অবলম্বন করতে হয়।

(গ) উদ্দীপকের উড়োজাহাজ উড্ডয়নের প্রযুক্তি হলো ইনফ্রারেড ।ডিভাইস থেকে ডিভাইসে তথ্য পাঠানোর জনপ্রিয় প্রযুক্তি হলো ইনফ্রারেড। এ প্রযুক্তিতে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মাধ্যমে তড়িচ্চুম্বকীয় পদ্ধতিতে তথ্য পাঠানো হয়ে থাকে। ইনফ্রারেড এর ফ্রিকোয়েন্সি 300GHz- 430 THz। এটি সাধারণত 0.7 pm – 300 pm দূরত্বের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। ইনফ্রারেডের ডেটা পারাপারের গতি ক্যাবল মাধ্যমের তুলনায় কম।

তবে এটি স্বল্প বিদ্যুৎ খরচে যেকোনো ডিভাইসের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে। এটি এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে দেয়াল ভেদ করে চলাচল করতে পারে না।সূর্যালোক, কুয়াশা, বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়াতে ইনফ্রারেড প্রযুক্তিতে ডেটা প্রেরণে সমস্যা দেখা দেয়। এটি যেকোনো ডিভাইসের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে। রাস্তার ট্রাফিক সংকেতে, গৃহসামগ্রী ও বিভিন্ন ধরনের খেলনায় এর ব্যবহার রয়েছে ।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

ঘ রহিম সাহেব স্মার্টফোনে রাউটারের সাহায্যে তারবিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অন্যদিকে তার বড় ছেলে ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। রহিম সাহেব ও তার বড় ছেলের ইন্টারনেট ব্যবহারের কৌশলগত পদ্ধতি বিশ্লেষণ করা হলো :

তার মাধ্যমতারবিহীন মাধ্যম
১. ডেটা পারাপারে উচ্চ গতি সম্পন্ন।১. তার মাধ্যমের তুলনায় নিম্ন গতিসম্পন্ন।
২. ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।২. ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয়।
৩. খরচ কম।৩. ব্যয়বহুল।
৪. উচ্চ ব্যান্ডউইথ ফ্রিকোয়েন্সি প্রদান করে।৪. ব্যান্ডউইথ নিম্নগতির।
৫. হাব এবং সুইচ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ এরিয়া এক্সটেনশন করা যায়।৫. পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক ওয়্যারলেস বেজ স্টেশন এর মাধ্যমে বিশাল এলাকাকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের মধ্যে আনা সম্ভব।
৬. সার্ভিস কোয়ালিটি বেশ ভালো৬. সার্ভিস কোয়ালিটি তুলনামূলকভাবে খারাপ।
আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৩ (উত্তরসহ)

৩) দোলনচাঁপা তার বাবা ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোন নিয়ে আলাপ করছেন। দোলনচাঁপার বাবা পূর্বে যে মোবাইলটি ব্যবহার করতেন সেটি আকারে একটু বড় হলেও ঐ মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতাে। দোলনচাঁপা বলল, বর্তমানে আমরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কিছু সুবিধা বা পরিসেবা গ্রহণ করতে পারি।

ক. বুটুথ কী?
খ, যে টপােলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে দোলনচাঁপার বাবার মোবাইল ফোনটি কোন প্রজন্মের সেটির বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ, দোলনচাঁপা বিশ্বব্যাপী সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা বিশ্লেষণ কর

ক ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।

খ যে টপােলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার যুক্ত থাকে তা হলো মেশ টপােলজি। এতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে সরাসরি অপেক্ষাকৃত দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে ।এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এই নেটওয়ার্কভূক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এই টপােলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপােলজি ব্যবহার হয়।

গ উদ্দীপকে দোলনচাঁপার বাবার মোবাইল ফোনটি দ্বিতীয় প্রজন্মের। দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য হলো :
১. ডিজিটাল পদ্ধতির রেডিও সিগন্যাল ব্যবহৃত হয় ।
২. নেটওয়ার্ক GSM এবং CDMA স্ট্যান্ডার্ড ।
৩. সীমিত আকারে রোমিং সুবিধা বিদ্যমান।
৪. সর্বপ্রথম প্রি-পেইড পদ্ধতি চালু এবং এমএমএস এবং এসএমএস সেবা চালু।
৫ Handoff সুবিধা চালু।
৬. ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ব্যাংকিং, নিউজ হেডলাইন ও বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু।
৭. সমসাময়িক অন্যান্য ফোন সেটের তুলনায় আকারে ছোট ও ওজনে হালকা।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

ঘ দোলনচাঁপা বিশ্বব্যাপী সুবিধা গ্রহণ করার জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং পরিসেবা গ্রহণ করেন।বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

এতে ওয়েবে সকল ধরনের কার্যক্রম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে ক্লায়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ক্লাউড শব্দটি ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আকাশে সর্বত্র যেভাবে মেঘ ছড়িয়ে আছে, ইন্টারনেটও ঠিক তেমনি সর্বত্র জালের মত ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের এই ক্লাউড থেকে সর্বনিম্ন খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার উপায় হিসেবেই ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণাটির উৎপত্তি। এ ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্ক এর আওতাভুক্ত সকল কম্পিউটারই একই হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে এবং কম সময়ে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন অন-লাইন কম্পিউটিং সেবা লাভ করে।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৪ (উত্তরসহ)

৪। রাজ আইসিটি ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনা হতে পারে যে, ডেটা কমিউনিকেশনে একটি পদ্ধতিতে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। সে তার বাসায় তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ নেয়। ফলে সে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে ।

ক, ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
খ. আলোক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি কী? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. উদ্দীপকে ট্রান্সমিশন পদ্ধতি দুটির মধ্যে কোনটির দক্ষতা বেশি? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।

ক নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

খ আলোক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি হলো ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ। কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু। এ ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া যায় ।

গ) উদ্দীপকে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো Wi-Fi। Wi-Fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযোগ্য কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগসমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে তাকে Wi-Fi বলে।

এটি ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। একটি নির্দিষ্ট কভারেজ এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। বিগত কয়েক বছরে Wi-Fi প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ISP প্রতিষ্ঠান প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে Wi-Fi সংযোগ দিলেও পরবর্তীতে মাসিক চাদার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা সেলফোনের মতোকাজ করে। পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেইম, স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ারে Wi-Fi এডাপ্টার থাকে তবে এটি অডিও প্লেয়ার ইন্টারনেটের সাথে Wi-Fi যুক্ত করা যায়।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

ঘ ডেটা কমিউনিকেশনে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়াকে বলা হয় অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড । আর ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হওয়াকে বলা হয় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড ।অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হবার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝখানে বিরতির সময় সমান নাও হতে পারে। ফলে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সময় তুলনামূলক বেশি লাগে।

কিন্তু সিনক্রোনাস মেথডে প্রতি ব্লকে বিরতির সময় সমান থাকে।ফলে সিনক্রোনাস মেথডে সময় তুলনামূলক কম লাগে। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে গতি কম ও দক্ষতা কম। কিন্তু সিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলের গতি বেশি ও দক্ষতা বেশি। তাই সিনক্রোনাস পদ্ধতি তুলনামূলক বেশি ব্যয়বহুল। তবে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যান্ডউইথ বেশি বলে দূরবর্তী স্থানে পাঠানোর জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে বড় ধরনের নেটওয়ার্কসহ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, টিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য।উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে ট্রান্সমিশন পদ্ধতি দুটির মধ্যে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা বেশি।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৫ (উত্তরসহ)

৫।

একটি কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের কম্পিউটারগুলো উপরের প্যাটার্নে সংযুক্ত রয়েছে ।

ক. ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
খ. হাবের চেয়ে সুইচ উত্তম’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিত্রের নেটওয়ার্কটি দূরত্বের বিচারে কোন ধরনের ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিত্রে ১, ২, ৩ নং কম্পিউটার এবং ২, ৩, ৪, ৫নং কম্পিউটারে ডেটা শেয়ারে নেটওয়ার্ক টপােলজির মধ্যে কোনটি উত্তম? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

ক) নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড।

হাব ও সুইচের মূল পার্থক্য বুদ্ধিমত্তায়। হাবের ভেতর বুদ্ধিমত্তানেই, এটি বিভিন্ন ডিভাইসের নেটওয়ার্কিং পাের্টগুলোর ভেতর একধরনের পরিবাহিক যোগাযোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। হাবে ডেটা সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে এবং নেটওয়ার্কে সিগন্যাল জ্যাম বেড়ে যায় । অন্যদিকে সুইচ সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য প্রতিটি কম্পিউটারের MAC অ্যাড্রেস ব্যবহার করে শুধু সুনির্দিষ্ট পাের্টে সিগন্যালটি পাঠায়। এছাড়া।দুর্বল হয়ে পড়া সংকেতকে অ্যামপ্লিফাই করে গন্তব্যে প্রেরণ করে। এসব কারণে ডেটা প্রেরণে হাবের চেয়ে সুইচ উত্তম।

গ) আকার, দূরত্ব ভৌগোলিক বিস্তৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। উদ্দীপকে ব্যবহৃত চিত্রের নেটওয়ার্কটি দূরত্বের বিচারে ল্যান নেটওয়ার্ক। LAN শব্দের পূর্ণনাম Local Area Network। একই ভবনের একইতলায় বা বিভিন্ন তলায়, পাশাপাশি ভবন বা নির্দিষ্ট একটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কম্পিউটারগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করে LAN করা হয় । LAN-এর উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য হলো-

১. সাধারণত ১০০ মিটার বা সীমিত দূরত্বের মধ্যে এ ব্যবস্থা গড়ে উঠে।
২. ছোট অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কিংবা একটি ভবন বা স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত কয়েকটি ভবনে স্থাপিত অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তােলা হয় ।
৩. এতে অনেক ডিভাইস অ্যাকসেস পাওয়া যায় এবং রিপিটার ব্যবহার করে এর বিস্তৃতি সর্বোচ্চ 1 কি.মি. করা যায়।
৪. LAN এর টপােলজি সাধারণত বাস, স্টার, ট্রি ও রিং হয়ে থাকে।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

যেহেতু কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের বিস্তৃতি 50-100 মিটার এর মধ্যে বিদ্যমান থাকে। তাই বলা যায়, নেটওয়ার্কটি ল্যান (LAN)। উদ্দীপকে ১, ২ ও ৩ নং কম্পিউটারে রিং টপােলজি এবং ২,৩, ৪ ও ৫ নং কম্পিউটারে মেশ টপােলজি গঠিত। এদের মধ্যে মেশ টপােলজি উত্তম।

১। মেশ টপােলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপােলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি।

২। মেশ টপােলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্যকম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপােলজিতে কোনো কম্পিউটার (১, ২ ও ৩ এর মধ্যে) যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।

৩। মেশ টপােলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায় ।কিন্তু রিং টপােলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল।

৪। মেশ টপােলজিতে এক নোড় থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায় । কিন্তু রিং টপােলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায় ।উপরে বর্ণিত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপােলজির চেয়ে মেশ টপােলজিই উত্তম।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৬ (উত্তরসহ)

৬। আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বললেন রেডিও , টেলিভিশন, টেলিফোন ও মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা । সাধারণত উক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্যাবলসমূহ তড়িৎ চোম্বকীয় প্রভাব মুক্ত নয়। বর্তমানে ব্যয়বহুল হলেও তড়িৎ চোম্বকীয় প্রভাবমুক্ত বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে।

ক) সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কী?
খ ) ৪জি এঁর গতি ৩জি এঁর থেকে ৫০ গুন বেশি-ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইস সমূহে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা বর্ণনা কর।
ঘ) বিকল্প পদ্ধতিটি কি হতে পারে তার স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

ক ) যেকোনো দূরত্বে অবস্থিত প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ডেটার বিট বিন্যাস অনুক্রমিক বা ধারাবাহিকভাবে এক বিটের পর অপর একটি বিট স্থানান্তরিত হলে তাকে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে ।

4G বা চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য হলো 3G প্রযুক্তির সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে ইন্টানেট প্রােটোকল ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার। এটি উচ্চগতির (100 Mbps – 1 Gbps) ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সার্ভিস । 3G প্রযুক্তির ডেটা ট্রান্সফার রেট মাত্র 2 Mbps । অর্থাৎ 4G এর ক্ষেত্রে এ গতি 3G এর চেয়ে ৫০ গুণ বেশি।

উদ্দীপকে উল্লিখিত ডিভাইসসমূহ হলো রেডিও, টেলিভিশন, টেলিফোন ও মোবাইল ফোন। ডিভাইসমূহের মধ্যে রেডিও ও টেলিভিশনে সিমপ্লেক্স পদ্ধতিতে এবং টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে ডেটা প্রবাহিত হয়।

সিমপ্লেক্স মোড : যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধু একদিকে প্রেরণ করা যায় তাকে সিমপ্লেক্স মোড় বলে। আমরা যখন রেডিও শুনি বা টেলিভিশন দেখি তখন শুধু শোনা বা দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না ।এক্ষেত্রে আমরা শুধু ডেটা পাই, পাঠাতে পারি না। অর্থাৎ প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, কিন্তু প্রাপক প্রেরকের কাছে পাঠাতে পারবে না। অর্থাৎ রেডিও, টেলিভিশনে সিমপ্লেক্স পদ্ধতিতে ডেটা প্রবাহিত হয়।

ফুল-ডুপ্লেক্স মোড় : যে পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয়দিকে আদান-প্রদান করা যায়, তাকে ফুল ডুপ্লেক্স মোড় বলে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য টেলিফোন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও প্রাপক একই সাথে। তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। তাই টেলিফোন এবং মোবাইল ফোনে ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে ডেটা প্রবাহিত হয়।

ঘ প্রশ্নের উত্তর

উদ্দীপকে উল্লিখিত বিকল্প পদ্ধতিটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ।হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে । এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু, যদিও বিশেষায়িত কাজের জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের তৈরি ফাইবার অপটিক ক্যাবলও পাওয়া যায় ।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়।ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কেন্দ্রের অংশটুকুর প্রতিসরাংক বাইরের অংশের প্রতিসরাংক থেকে বেশি। যে অংশের প্রতিসরাংক বেশি তাকে কোর (Core) বলে এবং যে অংশের প্রতিসরাংক কম তাকে ক্ল্যাড(Clad) বলে।

প্রতিসরাংকের পার্থক্যের কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে কোনো লস ছাড়াই কোরের ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে। এখানে কোনো তড়িৎ সিগন্যাল প্রবাহিত হয় না। ফলে এর চারপাশ দিয়ে কোনো তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি হয় না। তাই মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তড়িৎ চৌম্বক প্রভাবমুক্ত।

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৭ (উত্তরসহ)

হাবিব সাহেব তার অফিসে পাশে বসা বন্ধুর সাথে বিনা খরচে তথ্য শেয়ার করছিলেন। এমন সময় অফিসের ২য় তলার এক সহকর্মী তাঁর কাছে একটি ফাইলের তথ্য দেখতে চাইলে, তিনি নিচতলার রুমে বসেই নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় সহকর্মীর কম্পিউটারে তা পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে একজন বিদেশি ক্রেতা ফাইলটি চেয়ে পাঠালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন।

ক. রোমিং কী? 
খ. নন মেটালিক ক্যাবল মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর। 
গ. বন্ধুর সাথে তথ্য শেয়ারিং-এর ক্ষেত্রে হাবিব সাহেবের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটির বর্ণনা দাও। 
ঘ. ফাইলের তথ্য পাঠাতে হাবিব সাহেবের নেটওয়ার্কদ্বয়ের মধ্যে কোনটি উত্তম? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। 

৭ নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক) মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের কভারেজ এরিয়ার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয়ভাবে পরস্পরের সাথে আন্তঃসংযোগের ব্যবস্থাকে রোমিং বলে । 

খ নন মেটালিক ক্যাবল হলো ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল । ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু। এ ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া যায়। 

গ বন্ধুর সাথে তথ্য শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে হাবিব সাহেবের ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো ব্লুটুথ। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং জগতে ব্লুটুথ হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে তারবিহীনভাবে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। ব্লুটুথ নেটওয়ার্কটির ব্যান্ডউইথ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম হলেও এটি বহুল ব্যবহৃত। যে সব ডিভাইসে এই পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলোকে ব্লুটুথ ডিভাইস বলে। বর্তমানে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, স্মার্ট ফোনে ব্লুটুথ প্রযুক্তিসহ আগে থেকে দেওয়া থাকে। এছাড়া ইদানীং মাউস, কীবোর্ড, হেডফোন সেট, স্পীকার ইত্যাদিতেও ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়। 

এটি একটি পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক-প্যান (PAN), 2.45 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং এর ব্যাপ্তি ৩ থেকে ১০ মিটার হয়ে থাকে। হাফ-ডুপ্লেক্সে মোডে এর ডেটা ট্রান্সমিশন রেট প্রায় 1 Mbps বা তারচেয়ে বেশি। এটি স্থাপন করা সহজ এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগারেশন করা যায়।

ঘ হাবিব সাহেব দ্বিতীয় তলার সহকর্মীকে ফাইল পাঠাতে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) এবং ফাইলের তথ্য বিদেশে ক্রেতার কাছে প্রেরণ করতে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) ব্যবহার করে। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্যাবলের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থাকে LAN বলে। একই ভবনের একই তলায় বা বিভিন্ন তলায়, পাশাপাশি ভবন বা নির্দিষ্ট একটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কম্পিউটারগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করে LAN করা হয়। সাধারণত 100 মিটার বা সীমিত দূরত্বের মধ্যে এ ব্যবস্থা গড়ে উঠে। এ ব্যবস্থায় ডেটা স্থানান্তরের হার সাধারণত 10 Mbps থেকে 1000 Mbps | এ ধরনের নেটওয়ার্ক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়। 

বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থিত একাধিক LAN ও MAN কে নিয়ে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) গড়ে ওঠে । বিস্তৃত এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠে বলে LAN ও MAN-কে সংযুক্ত করার জন্য বিশেষ ডিভাইস ও টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের নেটওয়ার্কে টেলিফোন লাইন, মডেম, বেতার তরঙ্গ, স্যাটেলাইট, মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়। তথ্য আদান-প্রদানে এ ধরনের নেটওয়ার্ক বেশি ব্যবহৃত হয়। ক্যাবল সংযোগ সাধারণত  56. Kbps থেকে 1.5 Mbps ব্যান্ডউইথের হতে পারে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদগণ WAN এর মাধ্যমে পৃথিবীকে একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছেন। 

যেহেতু WAN ব্যবহার করে দেশে কিংবা বিদেশে তথ্য আদান-প্রদান করা যায় কিন্তু LAN দ্বারা করা যায় না। তাই তথ্য পাঠাতে হাবিব সাহেবের ব্যবহৃত নেটওয়ার্কদ্বয়ের মধ্যে WAN হচ্ছে উত্তম নেটওয়ার্ক। 

অনুশীলন প্রশ্ন ৮ (উত্তরসহ)

শান্তা তার মোবাইল ফোনে টেলিটক এর সিম ব্যবহার করে। সে এ ফোনটির সাহায্যে ত্রিমাত্রিক পরিবেশের ডেটা স্থানান্তর করতে পারে
ক. ইনফ্রারেড কী? 
খ. চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি বুঝিয়ে লেখ। 
গ. শান্তার মোবাইল ফোনটির প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. শান্তার মোবাইলের প্রজন্মের সাথে প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্যের তুলনা কর। 

৮নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক) ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামে 300 GHz হতে 430 THz পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যান্ডই হলো ইনফ্রারেড। 

খ) চৌম্বকীয় প্রভাবমুক্ত ক্যাবল হলো ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু ।এ ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়। 

গ যেহেতু শান্তা মোবাইল ফোনে টেলিটক এর সিম ব্যবহার করে। সুতরাং শান্তার মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিটি হলো জিএসএম (GSM)। Global System for Mobile Communication এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো GSM এটি FDMA (Frequency Division Multiple Access) এবং TDMA (Time Division Multiple Access) এর সম্মিলিত একটি চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি। GSM প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক যা ২১৮টি দেশে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে টেলিটক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল মোবাইল অপারেটর GSM প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। SIM সহজলভ্যতার কারণে ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছামতো GSM নেটওয়ার্ক এবং হ্যান্ডসেট বা মোবাইল সেট পরিবর্তন করতে পারে। এর সেল কাভারেজ এরিয়া এখন পর্যন্ত কমবেশি ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এতে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি যা গড়ে প্রায় ২ ওয়াট। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলনামূলক কম যা 56 kbps|

ঘ শান্তা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। নিচে চতুর্থ প্রজন্মের সাথে প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্যের তুলনা দেখানো হলো-
চতুর্থ প্রজন্ম প্রথম প্রজন্ম 
LTE. WiMax প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। AMPS, TACS প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।   
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডিজিটাল সিগন্যাল  ব্যবহৃত হয়। প্রথম প্রজন্মে অ্যানালগ সিস্টেমের ব্যবহার হয়।   
ডেটা ট্রান্সমিশনে ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করা হয়। ডেটা ট্রান্সমিশনে সার্কিট সুইচিং ব্যবহার করা হয়। 
চতুর্থ প্রজন্মের ডেটা ট্রান্সফার রেট 100 Mbps প্রথম প্রজন্মের ডেটা ট্রান্সফার রেট অত্যন্ত কম। 
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন দ্রুত গতি সম্পন্ন। প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোন ধীর গতি সম্পন্ন। 
আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ৯ (উত্তরসহ)

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর-  

ক. পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক কী? 
খ. IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। 
গ. Fig-C নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. Fig-A ও Fig-B নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজির মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক? বিশ্লেষণ কর। 

০৯নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক পৃথক সার্ভার কম্পিউটার ব্যতীত দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে রিসোর্স শেয়ার করার জন্য যে নেটওয়ার্ক গঠন করা হয় তাই পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক। 

খ)  IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তিটি হলো WiMax। এটি দ্রুতগতির একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যেটি প্রচলিত DSL (Digital Subscriber Line) এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। Worldwide Interoperabiltity for Microwave Access-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে WiMax 

এটি সাধারণত 2 থেকে 66 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং ৪০ Mbps থেকে 1 Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম। 

গ) Fig-C নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি। যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয়। 

চিত্র: বাস টপোলজি 

নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম। 

ঘ) উদ্দীপকের Fig-A নির্দেশিত নেটওয়ার্ক হলো স্টার টপোলজি এবং Fig-B নির্দেশিত নেটওয়ার্ক হলো রিং টপোলজি। স্টার টপোলজি ও রিং টপোলজির মধ্যে স্টার টপোলজি বেশি সুবিধাজনক। কারণ-

১. স্টার টপোলজিতে একটি কম্পিউটার অকেজো হলে পুরো নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায় না। কিন্তু রিঙের একটি কম্পিউটার অকেজো হলে পুরো নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায়। 

২. স্টার নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে না। কিন্তু রিং নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে তা পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত করে। 

৩. স্টার নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সহজেই সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা হলে ত্রুটি খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, Fig-A ও Fig-B নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজির মধ্যে Fig-A অর্থাৎ স্টার টপোলজি সুবিধাজনক। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন


অনুশীলন প্রশ্ন ১০ (উত্তরসহ)

মি. আরিফ তার বহুতলবিশিষ্ট ভবনে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে। তৈরি মাধ্যম দিয়ে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। ১০কি. মি. দূরে অবস্থিত অন্য একটি ভবনের সাথে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তিনি IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডবিশিষ্ট | কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। 

ক. মান্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন কী? 

খ. ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম- ব্যাখ্যা কর। ২ 

গ. বহুতল ভবনে ব্যবহৃত মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. মি. আরিফের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। 

১৩নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক নেটওয়ার্কের কোনো একটি প্রেরক থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা যদি শুধু অনুমোদিত সদস্যরা গ্রহণ করতে পারে তাকে মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন বলে । 

খ) ক্লাউড কম্পিউটিং তথ্যের জগতে বিশাল নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এই সার্ভিসে আপলোড করা তথ্য কোথায় সংরক্ষিত এবং প্রক্রিয়াকরণ হয়, তা ব্যবহারকারী জানতে পারে না। সেই তথ্য বা ডেটার উপর এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের উপর ব্যবহারকারীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অর্থাৎ তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম।

গ বহুতল ভবনে মাল্টিকম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে তৈরি মাধ্যমটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু, যদিও বিশেষায়িত কাজের জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের তৈরি ফাইবার অপটিক ক্যাবলও পাওয়া যায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500mm ) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া যায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কেন্দ্রের অংশটুকুর প্রতিসরাংক বাইরের অংশের প্রতিসরাংক থেকে বেশি।

যে অংশের প্রতিসরাংক বেশি তাকে কোর (Core) বলে এবং যে অংশের প্রতিসরাংক কম তাকে ক্ল্যাড (Clad) বলে । প্রতিসরাংকের পার্থক্যের কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে কোনো লস ছাড়াই কোরের ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে। ফাইবার অপটিক ক্যাবল প্রতিকূল পরিবেশেও (যেমন- চাপ, তাপ ইত্যাদি) ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়। দ্রুতগতি ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন (যোগাযোগ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড) হিসেবে ব্যাপক হারে সমাদৃত ও ব্যবহৃত। 

ঘ মি. আরিফের সিদ্ধান্তটি ছিল IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড। তাই এটি WiMax প্রযুক্তি। WiMax দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেটি প্রচলিত DSL (Digital Subscriber Line) এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে। এই প্রযুক্তিতে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায়। ওয়্যারলেস হওয়ায় পোর্টেবলিটির সুবিধা পাওয়া যায় এবং এর রিসিভার সহজে বহনযোগ্য। বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের মাধ্যমে শহর এবং গ্রামে পোর্টেবল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান করে। এটি একটি টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ মোবাইল, সেলুলার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তারবিহীন ব্যবস্থায় তথ্য আদান-প্রদান করা। 

উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকে মি. আরিফ ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অন্য একটি ভবনের সাথে তথ্য আদানপ্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে দূরত্ব বেশি হওয়ায় কমিউনিকেশন সিস্টেম হিসেবে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি খুবই কার্যকর হবে। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ১১ (উত্তরসহ)

মি. দিদারের অফিসের পত্রাদি অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। তার অফিসের সহকর্মীরা WCDMA স্ট্যান্ডার্ডের মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও চ্যাট করে থাকেন। 

ক. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী? 

খ. কোন টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে 

দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে? ব্যাখ্যা কর। 

গ. উদ্দীপকে পত্র পাঠানোর ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মোবাইল প্রজন্মটি বিশ্লেষণ কর।

১১নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থা। 

খ মেশ টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এই নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। প্রতিটি কম্পিউটার আন্তঃসংযুক্ত থাকার কারণে মেশ টপোলজিতে পরস্পর দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম। 

গ। উদ্দীপকে পত্র পাঠানোর ট্রান্সমিশন মোড হলো মাল্টিকাস্ট মোড। মাল্টিকাস্ট মোড : নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা যদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে কিন্তু নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোড গ্রহণ করতে পারে না তাকে মাল্টিকাস্ট মোড বলে ।

 

চিত্র। মাল্টিকাস্ট মোড 

অর্থাৎ মাল্টিকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনে সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সদস্য গ্রহণ করতে পারবে। যেমন— ভিডিও কনফারেন্সিং এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাদের অনুমতি থাকবে তারাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটি হাফ-ডুপ্লেক্স বা ফুলডুপ্লেক্স হয়ে থাকে। উদাহরণ- ওয়াকিটকি, কম্পিউটারে টেক্সট বা ভিডিও চ্যাটিং, গ্রুপ এসএমএস। 

ঘ)  উদ্দীপকের WCDMA স্ট্যান্ডার্ডের মোবাইল প্রজন্মটি হলো তৃতীয় প্রজন্ম (3G)। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (ITU) এর সংজ্ঞানুসারে, 3G বা তৃতীয় প্রজন্ম হচ্ছে এমন ধরনের এক মোবাইল স্টান্ডার্ড যাতে GSM, EDGE, UMTS এবং CDMA ২০০০ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকে। 

তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমে প্যাকেট সুইচ পদ্ধতি প্রবর্তিত হওয়ায় অতি দ্রুত শব্দ ও ছবি আদান-প্রদান করা যায়। FOMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ই-মেইল এবং অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস প্রদান করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভয়েস এবং ডেটা স্থানান্তর হয়। এ ব্যবস্থায় সিগন্যাল চারিদিকে সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। এমএমএস, ভয়েস কল, মোবাইল টিভি ও ভিডিও কলের প্রচলন শুরু হয়। তৃতীয় প্রজন্মে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্রচলন শুরু হয়। উচ্চ গতির সিগন্যাল ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে দ্রুত ডেটা পারাপার করা সম্ভব। ল্যাপটপে মোবাইল মডেম বা ওয়্যারলেস মডেমের ব্যবহার লক্ষণীয়, ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা রয়েছে, Wi-Fi, Wi-MAX ও WAP প্রটোকলের ব্যবহার করা যায়। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ১২ (উত্তরসহ)

করিম সাহেবের গ্রামের বাড়ি নিজ শহর থেকে অনেক দূরে  অবস্থিত। তিনি শহরে থাকার সময়ে বাসায় ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও স্মার্টফোনে তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর  করেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে তিনি একটি বিশেষ কোম্পানির কাছে নির্ধারিত মাসিক ভাড়া প্রদান করে জোড়ায় জোড়ায় মোচড়ানো তার দ্বারা কম্পিউটার এর সাথে সংযোগ করে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকেন।
 ক. ডেটা কমিউনিকেশন কী? 
খ. নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে করিম সাহেব শহরে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। তা ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. কমির সাহেব ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য শহর ও গ্রামে যে মাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। 

১৫নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক) ডেটা কমিউনিকেশন হলো উৎস (প্রেরণকারী) ও গ্রহণকারীর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা। 

খ) বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন— নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি দক্ষতা, ব্যাকআপ ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। তাই নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম ব্যবস্থা। 

গ উদ্দীপকে করিম সাহেব শহরে Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

Wi-Fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযোগ্য কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগসমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে তাকে WiFi বলে। এটি ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর জন্য 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। একটি নির্দিষ্ট কভারেজ এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

বিগত কয়েক বছরে Wi-Fi প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ISP প্রতিষ্ঠান প্রথমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে Wi-Fi সংযোগ দিলেও পরবর্তীতে মাসিক চাঁদার বিনিময়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা সেলফোনের মতো কাজ করে। পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেইম, স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ারে Wi-Fi এডাপ্টার থাকে তবে এটি অডিও প্লেয়ার ইন্টারনেটের সাথে Wi-Fi যুক্ত করা যায়। 

ঘ করিম সাহেব ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য শহরে তারবিহীন মাধ্যম এবং গ্রামে তার মাধ্যম ব্যবহার করেন। নিচে তার ও তারবিহীন মাধ্যমের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

তার মাধ্যম তারবিহীন মাধ্যম 
ডেটা পারাপারে উচ্চ গতি সম্পন্ন।তারবিহীন মাধ্যম নিম্ন গতিসম্পন্ন । 
ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে কো-এক্সিয়াল টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও অপটিক্যাল ক্যাবল, ফাইবার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।ট্রান্সমিশন মাধ্যম হিসেবে বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ ও ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয়।
খরচ কম। ব্যয়বহুল
উচ্চ ব্যান্ডউইথ ফ্রিকোয়েন্সি প্রদান করে। ব্যান্ডউইথ নিম্নগতির। 
হাব এবং সুইচ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ এরিয়া এক্সটেনশন করা যায়। পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক ওয়্যারলেস বেজ স্টেশন এর মাধ্যমে বিশাল এলাকাকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের মধ্যে আনা সম্ভব। 
সার্ভিস কোয়ালিটি বেশ ভালো। সার্ভিস কোয়ালিটি তুলনামূলকভাবে খারাপ
  
আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ১৩ (উত্তরসহ)


ক. ব্যান্ডউইথ কী? 
খ. মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর। 
গ. চিত্র-ক এর PR এবং QS এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে নতুন টপোলজি ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-ক ও চিত্র-খ এ উল্লিখিত টপোলজির মধ্যে সুবিধাজনক কোনটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর । 

১৩নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক)  প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ। 

খ)  মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয় ডিভাইসই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। 

গ্র চিত্র-ক এর PR এবং QS এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে নতুন টপোলজিটি হবে রিং টপোলজি। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলোসাধারণত কাছাকাছি বা একই ভবনের বিভিন্ন কম্পিউটারকে ক্যাবল দ্বারা সংযোগের ক্ষেত্রে রিং টপোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে। এই বৃত্তাকার নেটওয়ার্কে প্রথম ও সর্বশেষ কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং এতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।

চিত্র: রিং টপোলজি 

তারের পরিমাণ কম প্রয়োজন হয় বলে এর বাস্তবায়ন খরচ কম লাগে। তবে রিং টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অকেজো হয়ে যায় এবং এদের পরস্পরের মাঝে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। এতে করে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। 

ঘ। উদ্দীপকের চিত্র-ক হলো মেশ টপোলজি এবং চিত্র-খ হলো হাইব্রিড টপোলজি। মেশ ও হাইব্রিড টপোলজির মধ্যে হাইব্রিড টপোলজি সুবিধাজনক। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি টপোলজির সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। এ টপোলজিতে প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। কোনো এক অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নষ্ট না হয়ে অংশবিশেষ নষ্ট হয়। কোনো কোনো কাজের ক্ষেত্রে একটি মাত্র নেটওয়ার্ক টপোলজি স্বয়ংসম্পূর্ণ নাও হতে পারে। এজন্য সব ক্ষেত্রে হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহার করা হয়। 

অপরদিকে মেশ টপোলজিতে বেশি পরিমাণ তার ও কম্পিউটার লাগে, তাই এটি ব্যয়বহুল । বড় নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন ও কনফিগারেশন করা বেশি জটিল । সকল কাজের ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার নাও করা যেতে পারে। 

এ সকল কারণে মেশ টপোলজি থেকে হাইব্রিড টপোলজি তুলনামূলক সুবিধাজনক। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ১৪ (উত্তরসহ)

ক. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী? 
খ. ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়— বুঝিয়ে লেখ। 
গ. চিত্র-১ এ নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-২ ও চিত্র-৩ নির্দেশিত নেটওয়ার্ক টপোলজিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক তা বিশ্লেষণ করে মতামত দাও ৷ 
২০নং প্রশ্নের উত্তর : 

ক) যে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানো যায় তাই হচ্ছে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। 

খ) সার্কিট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার করে ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের যাত্রা শুরু হয়। ৩য় প্রজন্মের মোবাইলে ভিডিও কল, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিস চালু হয়। আর এসব সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট। এ মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সময় ইন্টারনেট ব্যবহার এবং চাহিদা অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে যেকোনো কিছু ডাউনলোড করা যায়। সুতরাং বলা যায়, ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। 

গ চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হচ্ছে বাস টপোলজি। 

যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয়। 

চিত্র : বাস টপোলজি 

নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম। 

ঘ চিত্র-২ হচ্ছে রিং টপোলজি এবং চিত্র-৩ হচ্ছে মেশ টপোলজি। রিং টপোলজি ও মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি বেশি সুবিধাজনক । নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

১. মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায় কিন্তু রিং টপোলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি। 

২. মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। 

৩. মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল। 

৪. মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায় ৷ উপরে বর্ণিত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজি সুবিধাজনক। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

অনুশীলন প্রশ্ন ১৫ (উত্তরসহ)

ক. মডুলেশন কী? 
খ. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর। 
গ. উদ্দীপকে চিত্র-১ এর প্রতিটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হলে যে টপোলজি তৈরি হবে তা চিত্রসহ আলোচনা কর। 
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ ও ৩নং টপোলজিগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক হবে বলে তুমি মনে কর তা বিশ্লেষণ কর। 

ক) ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করার পদ্ধতিই হলো মডুলেশন। 

খ দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বা ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলে। কোন দিক থেকে কোন দিকে ডেটা প্রবাহ হচ্ছে এবং কতজন ডেটা প্রাপ্তির অধিকারী হচ্ছে মূলত এটিই ডেটা ট্রান্সমিশন বা কমিউনিকেশন মোড। এটিকে ডেটা প্রবাহের ডিরেকশনাল মোড হিসেবেও চিহি করা হয়ে থাকে। ডেটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথা— ১. সিমপ্লেক্স, ২. হাফ-ডুপ্লেক্স ও ৩. ফুল-ডুপ্লেক্স। 

গ উদ্দীপকের চিত্র-১ এর টপোলজিটি হলো রিং টপোলজি। রিং টপোলজির প্রতিটি কম্পিউটার পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হলে মেশ টপোলজি তৈরি হবে। মেশ টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। 

চিত্র : মেশ টপোলজি 

মেশ টপোলজিতে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় সার্ভার বা ডিভাইসের দরকার পড়ে না। এ নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। কোনো কম্পিউটার বা সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। অর্থাৎ সহজে নেটওয়ার্কে খুব বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। বাকি কম্পিউটারগুলো দ্বারা কাজ চালানো যায়। এই টপোলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n–1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কে মোট তারের n (n-1)/2 । ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য, সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার করা হয়। এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা থাকে। 

ঘ উদ্দীপকের চিত্র-১নং রিং টপোলজি এবং চিত্র-৩নং স্টার টপোলজি । রিং টপোলজি থেকে স্টার টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

১।  স্টার টপোলজিতে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয়। অন্যদিকে রিং টপোলজিতে এ ক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিসম্পন্ন।

২ স্টার টপোলজিতে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময় নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে নতুন নোড সংযোজন বা বিয়োজনে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। 

৩. স্টার টপোলজিতে কোনো নোড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো নোড অকার্যকর হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ে। 

৪. সুইচ ব্যবহারের কারণে স্টার টপোলজির ডেটা নিরাপত্তা রিং টপোলজি অপেক্ষা বেশি । 

৫ স্টার টপোলজি নিয়ন্ত্রণ বা ম্যানেজ করা সহজ, কিন্তু রিং টপোলজি নিয়ন্ত্রণের জন্য জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। 

আইসিটি ২য় অধ্যায় সাজেশন

Leave a Comment

You cannot copy content of this page