চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন

চলন অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন এইচএসসি জীববিজ্ঞান ২য় পত্রের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সাজেশন ও অনুশীলন হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান ভাগ

প্রশ্ন ১। টেনডন ও লিগামেন্ট বলতে কী বুঝ? (য. বো, ‘১৫)
উত্তর : টেন্ডন হলো কোলাজেন তন্তু ও ফাইব্রোব্লাস্ট দ্বারা তৈরি এবং পেশির সাথে অস্থির সংযোজক। আর লিগামেন্ট হলো যোজক কলার তৈরি ফিতা এবং অস্থির সাথে অস্থির সংযোজক।

প্রশ্ন ২। স্থিতিস্থাপক তরুণাস্থি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অস্বচ্ছ, দৃঢ়, নমনীয়, সমসত্ব, তরুণাস্থিকে স্থিতিস্থাপক তরুণাস্থি বলে। পীত তন্তুময়, হায়ালিন তরুণাস্থিকে স্থিতিস্থাপক তরুণাস্থি বলে।

প্রশ্ন ৩। কোন তরুণাস্থি হাড়ের মত শক্ত এবং কেন?
উত্তর : চুনময় বা ক্যালসিফাইড তরুণাস্থি হাড়ের মতো শক্ত। কারণ এ তরুণাস্থির ম্যাট্রিক্সে প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বনেট জমা থাকে ফলে অস্থির মতো শক্ত রূপ ধারণ করে। হিউমেরাস ও ফিমারের মস্তকে এ ধরনের তরুণাস্থি পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৪। আদর্শ কাশেরুকার অংশগুলি কী কী?
উত্তর : আদর্শ কশেরুকার বিভিন্ন অংশের নাম নিম্নরূপ-
১. দেহ বা সেন্ট্রাম বা ভার্টিব্রাল বড়ি ।
২. আর্চ। আর্চ নিম্নোক্ত অংশগুলো ধারণ করে-(i) পেডিকল, (ii) ট্রান্সভার্স প্রসেস (iii) ল্যামিনা, (iv) আর্টিকুলার প্রসেস বা জাইগাপোকাইসিস, (v) স্পাইনা প্রসেস এবং (vi)কশেরুকার ছিদ্র ও নালি।

প্রশ্ন ৫। মেরুদণ্ডের কাজ উল্লেখ কর।
উত্তর : মেরুদণ্ডের কাজ নিম্নরূপ-
১. মাথাকে অবলম্বন দেয় এবং পিভট এর মতো কাজ করে।
২. পর্শকা সংযোগের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দেহের অক্ষরূপে কাজ করে।
৩. নিউরাল নালিতে সুষুম্মা কাণ্ড সুরক্ষিত থাকে
8. চলাচলে সহায়তা করে।

প্রশ্ন ৬। আল জিহ্বাতে বিদ্যমান তরুণাস্থির নাম ও বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : আলজিহ্বাতে বিদ্যমান তরুণাস্থি স্থিতিস্থাপক বা পীত তন্তুময় তরুণাস্থি-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ-

১.এ তরুণাস্থির ম্যাট্রিক্স অস্বচ্ছ ও হালকা হলুদ বর্ণের।
২. মাট্রিক্স এ স্থিতিস্থাপক পীততন্তু ছড়ানো থাকে।
৩. বাইরের তুলনায় ভেতরের তন্তুগুলো অপেক্ষাকৃত ঘনবিন্যস্ত.

চলন অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন

পেশি টিস্যু

. প্রশ্ন ৭। ঐচ্ছিক পেশি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : মানবদেহের কঙ্কালের সাথে সংযুক্ত পেশিসমূহকে কঙ্কাল পেশি বা ঐচ্ছিক পেশি বলে। প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী এ পেশি সংকুচিত ও প্রসারিত হয় বলে এ ধরনের পেশিসমূহকে ঐচ্ছিক পেশি বলা হয়।

প্রশ্ন ৮। কঙ্কাল পেশি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : প্রাণীদের যে অংশগুলোকে মাংস বা মাংসপেশি বলা হয়, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে ঐচ্ছিক পেশি বা রৈখিক পেশি। কঙ্কালতন্ত্রের বড় বড় অস্থির সংযোগস্থলে এ ধরনের পেশি পাওয়া যায় তাই এদের কঙ্কাল পেশিও বলা হয়।

প্রশ্ন ৯ । অনৈচ্ছিক পেশিকে মসৃণ পেশি বলা হয় কেন?
উত্তর : অনৈচ্ছিক পেশি কোষের মধ্যে সমান্তরালভাবে অবস্থিত অসংখ্য সূক্ষ্ম উপতন্তু বা মায়োফাইব্রিলে কোনো প্রকার আড়াআড়ি বা ডোরাকাটা দাগ দেখা যায় না। তাই ডোরাকাটা দাগবিহীন মায়োফাইব্রিল বিশিষ্ট অনৈচ্ছিক পেশিকে মসৃণ পেশি বলা হয় ।

চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন

প্রশ্ন ১০। মাংসপেশিকে কঙ্কাল পেশি বলা হয় কেন?
উত্তর : প্রাণীদের যে অংশগুলোকে মাংস বা মাংসপেশি বলা হয়, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে ঐচ্ছিক পেশি বা রৈখিক পেশি। কঙ্কালতন্ত্রের বড় বড় অস্থির সংযোগস্থলে এ ধরনের পেশি পাওয়া যায় তাই এদের কঙ্কাল পেশিও বলা হয়।

কঙ্কালের কার্যক্রম ও ‘রডস ও লিভার’ তন্ত্র

প্রশ্ন ১১। ১ম কশেরুকা ও করোটির সংযোগস্থলকে লিভার বলা হয় কেন?
উত্তর : ১ম কশেরুকা ও করোটির সংযোগস্থলকে প্রথম শ্রেণির লিভার বলা হয়। কারণ প্রথম শ্রেণির লিভারে পিভটটি ভার ও প্রচেষ্টার মাঝখানে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে মাথার খুলি হচ্ছে লিভার, প্রথম কশেরুকা (অ্যাটলাস)-র ও করোটির সংযোগস্থলটি পিভট, মাথার পিছন থেকে আসা পেশল ক্রিয়া হচ্ছে প্রচেষ্টা এবং ভার হচ্ছে মাথার ওজন। এক্ষেত্রে প্রচেষ্টার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মাথা উঁচু হয় এবং ঝুঁকে যায়।

১২। অস্থি ও তরুনাস্থি বলতে কি বুঝ?
উত্তর : পেরিঅস্টিয়াম নামক পাতলা আবরণে আবৃত, দেহের সর্বাপেক্ষা দৃঢ়, কঠিনতম, অনমনীয় ও ভঙ্গুর প্রকৃতির যোজক কলাকে অস্থি বলে । অস্টিওব্লাস্ট, অস্টিওক্লাস ও অস্টিওসাইট কোষে এটি গঠিত। পেরিকন্ড্রিয়াম নামক পাতলা আবরণে আবৃত, নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক যোজক কলাকে তরুণাস্থি বলে। এর মাতৃকা কনড্রিন নামক এক ধরনের অর্ধকঠিন ও স্থিতিস্থাপক পদার্থে গঠিত।

চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন

প্রশ্ন ১৩। হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র বলতে কী বুঝ? ..[রা. বো. ‘১৭; দি. বো ‘১৫]
উত্তর : প্রতিটি নিরেট অস্থি অসংখ্য অস্থিক-একক নিয়ে গঠিত। নিরেট অস্থি গঠনকারি এরূপ এককগুলোকে হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র বলে। প্রতিটি হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র একটি পাতলা এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ভিত্তিবস্তু ও স্বল্প পরিমাণ কোলাজেনের তৈরি সিমেন্ট সদৃশ গঠন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।

হাঁটু সঞ্চালনে অস্থি ও পেশির সমন্বয়

প্রশ্ন ১৪। হেমাটোপয়েসিস কোথায় ঘটে?
উত্তর : হিমোটোপোয়েটিক স্টেম কোষ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন করে। স্টার্নাম, পাঁজর, কশেরুকা, করোটি এবং ফিমার ও হিউমেরাসের মস্তকে অবস্থিত অস্থিমজ্জা থেকে হিমোটোপোয়েটিক কোষ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন করে। তাই বলা যায় যে, স্টার্নাম, পাঁজর, কশেরুকা,করোঁটি এবং ফিমার ও হিউমেরাসের মস্তকে হেমাটোপয়েসিস ঘটে।

প্রশ্ন ১৫। অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। অস্থিগুলো পরস্পরের সাথে যোজক কলা দিয়ে এমনভাবে যুক্ত থাকে যাতে সংলগ্ন অস্থিগুলো বিভিন্ন মাত্রায় সঞ্চালিত হতে পারে। তাই দেখা যায়, কোনো কোনো অস্থি সন্ধি একেবারেই অনড়, যেমন-করোটির অস্থিসন্ধি। কোনোটি আবার সামান্য সঞ্চালনক্ষম, যেমন-আন্তঃকশেরুকার অস্থিসন্ধি।

সন্ধির আঘাত ও প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রশ্ন ১৬। মচকানোর প্রাথমিক চিকিৎসা-লিখ
উত্তর : মচকানোর প্রাথমিক চিকিৎসা লিখ :
১. মচকানো সন্ধিকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
২. বরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগাতে হবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিট অনবরত লাগাতে হবে। এ পদ্ধতি আঘাতের পর ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
৩. সন্ধিতে ইলাসটো কমপ্রেসন বা স্প্লিন্ট ব্যবহার করলে ফুলা ও ব্যথা কমে আসবে।
৪. সন্ধির নিচে বালিশ দিয়ে হাঁটুকে হার্টের লেবেল থেকে উঁচুতে রাখতে হবে। ফলে ফুলা কমবে।

এই চলন অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(৭ম অধ্যায়) চলন ও অঙ্গচালনা অনুধাবনমূলক সাজেশন ছাড়াও আরো জানতে ক্লিকঃ

Leave a Comment

You cannot copy content of this page