অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২৫-২০২৬
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২৫-২০২৬ : এখানে জানবেন কিভাবে অনলাইনে নতুন জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন? এবং ফরম পূরণ করবেন? কি কি ডকুমেন্ট লাগব? জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও আবেদন ফি কত এসব বিস্তারিত এই পোষ্টে জানতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার নিজের কিংবা শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই র্আটিকেলটি অনেক কাজে আসবে । কারণ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম( Jonmo Nibondhon Abedon Form Online) পূরণ করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং নির্ভুলভাবে ও নিখুঁতভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো ।
বর্তমানে আগের মতো হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায়না । তাই আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরন করতে হবে ।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য নতুন আবেদন
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুসারে ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। নিয়ম দেখুন
বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন ( Jonmo Nibondhon ) করিয়ে নিবেন এবং নিতেই হবে।
নাহলে, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় যা অনেক বেশি ঝামেলা পূর্ণ।
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
- ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র লাগবে
- হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ লাগবে
- আবেদনকারী পিতা বা মাতার মোবাইল নম্বর দিতে হবে
বয়সভেদে শিশুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে এবং জন্ম নিবন্ধন করার নিম্মোক্ত কাগজপত্রও প্রয়োজন হবে;
শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলে কি করবেন?
- ইপিআই (টিকা) কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র নিবেন।
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ লাগবে।
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর লাগবে
- পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে সেই সাপেক্ষে লাগবে)
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগবে (যদি থাকে)
শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলেঃ
- ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ) লাগবে।
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে) লাগবে।
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে) লাগবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ) লাগবে।
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ লাগবে।
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর লাগবে।
- Jonmo nibondhon form online আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ
- বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী) লাগবে।
- সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে।
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে ) লাগবে।
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে) লাগবে।
- অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র লাগবে।
- অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে) লাগবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম( নতুন)
আমাদের অনেকেই জানেন না কিংবা বুঝতে পারেন্না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এখানে বিস্তারিত দেখুনঃ
এখন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/ এটা।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
কাজ #১: নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির আইডেন্টিটি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের চিত্রের মত একটি পেইজ পাবেন।
আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করতে হবে-
অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখতে হবে।
যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখতে হবে।
যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশই খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখতে হবে।
সেইমভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে নেক্সটে যান।
কাজ #২: পিতা ও মাতার তথ্য ( Father’s and Mother’s Information)
এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিয়ে পূরণ করুন।
এখন পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসতে থাকবে। এইগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।
তাই, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিতে হবে। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা সিউর।
নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল হয়েছে ক্যেছ?
জন্মনিবন্ধন যাচাই লিঙ্ক
এখানে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।
কাজ #৩: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ( Present and Permanent Address)
এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করুন। এবং নিচের ছবিটি দেখুন।
এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর নিচের ছবির মত হুবহু ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।
স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিতে হবে (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলেও (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিতে হবে।
তা নাহলে, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং এগিয়ে যান।
কাজ #৪: আবেদনকারীর তথ্য
এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিন। একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। সূতরাং শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।
এছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করতে হবে। নতুবা , পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন।
কাজ #৫: নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
সফলভাবে jonmo nibondhon online ফরমটি সাবমিট হওয়ার পর আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিন।
এরপর আবেদন প্রিন্ট করার সময় খেয়াল করবেন, প্রিন্টে Headers and Footers information গুলো দেখা যায়। কারণ Header Information এ আপনার আবেদনের Application ID থাকবে এবং Application ID আর কোথাও দেখা যায় না।
সূতরাং Application ID ছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি খুঁজে বের করা যাবে না, তাই জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট কপিতে অবশ্যই থাকে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রিন্ট করার সময়, Print Option থেকে More Settings এ ক্লিক করতে হবে। এরপর Headers and Footers অপশনে টিক দেয়া না থাকলে টিক দিয়ে প্রিন্ট করতে হবে। এখন আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করবেন অনলাইন থেকে।
আপনার আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করে জেনে নিন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়েছে কিনা নাকি হইনি।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিস যেখানে আবেদন করেছেন ঐখানে যেতে হবে। আবেদন বাতিলের জন্য অবশ্যই আবেদনের Application ID জানবেন। আবেদনটি কেন বাতিল করতে চান তার কারণ দেখিয়ে আবেদন বাতিল করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।
এছাড়া নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দিলে তা অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।
আপনি যদি আবেদনে কোন প্রকার ভুল করে থাকেন, আবেদনটি বাতিল করে আবার নতুনভাবে ফরম পূরণ করতে পারবেন। অফিসে গিয়ে বাতিল না করতে পারলে সেক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করূন। এরপর আবার আবেদন করুন ।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে ।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে?
শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে । বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে । জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?
এখন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয় ।
জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?
সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম । তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক । এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ ।
জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
এখানে জন্ম নিবন্ধনের ফির পরিমাণ জানতে পড়ুন জন্ম নিবন্ধন ফি
জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
না । জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না । স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে ।
কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে হয়?
কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন তা বিস্তারিত দেখতে পড়ুন – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?
না । জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই । পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে ।
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?
২০২৩ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক । পিতা- মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না ।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘ পসিবল ডুপ্লিকেট ’ সমস্যার সমাধান কি?
‘ পসিবল ডুপ্লিকেট ’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক( স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন । ‘ পসিবল ডুপ্লিকেট ’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে । এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে । এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে ।
৫টি ‘ প্যারামিটার ’ মিলে গেলে ‘ পসিবল ডুপ্লিকেট ’ ১০০ ‘ ডুপ্লিকেট ’ হিসাবে প্রতীয়মান হয় । প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ । ‘ ডুপ্লিকেট ’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮/ ১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ ডুপ্লিকেট ’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০ হয়ে যায় ।
জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক কোনটি?
বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https//bdris.gov.bd/
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন টিপস, পরামর্শ ও তথ্য জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন
আরো পড়ুনঃ অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার নিয়ম