পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক পদে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে করণীয়
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক পদে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে করণীয়

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক পদের ভাইভা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন? আপনার প্রস্তুতিকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে এই লেখাটি আপনার জন্য। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) সাধারণত খুব দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। তাই লিখিত পরীক্ষার পরেই ভাইভার জন্য ডাক আসতে পারে। দেরি না করে এখনই ভাইভার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।
ভাইভা পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতির জন্য কিছু জরুরি বিষয় আছে, যেগুলোর উপর বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। মূলত পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আপনাকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। চলুন, সেই ক্ষেত্রগুলো জেনে নেই:
১. সাম্প্রতিক দেশ ও বিদেশের খবর:
ভাইভা বোর্ডে রিসেন্ট সময়ের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক নানান ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। তাই এখন থেকেই দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর দিকে নজর রাখুন এবং সেগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে খবরের কাগজ হতে পারে আপনার সেরা বন্ধু। বিশেষ করে, এই সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, যেমন জুলাই মাসের ঘটনা, অন্তর্বর্তী সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বা সম্মেলনগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।
২. বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ:
ভাইভা বোর্ডে বাংলাদেশের ইতিহাস, বিশেষ করে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়কালের ওপর প্রশ্ন করা হতে পারে। আমাদের দেশের বর্তমান উন্নয়ন এবং নানা সমস্যা কিভাবে ইতিহাসের সাথে জড়িত, সেটা বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী উত্তর তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্থানীয় ও জাতীয় ঘটনাগুলো সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে।
৩. আপনার একাডেমিক জ্ঞান:
আপনি যে বিষয়ে গ্রাজুয়েশন বা মাস্টার্স করেছেন, সেই বিষয়ে আপনার ভালো দখল থাকা প্রয়োজন। ভাইভা বোর্ডে জানতে চাওয়া হতে পারে, এই পদের জন্য আপনার শিক্ষা কিভাবে কাজে লাগবে। তাই আপনার মূল বিষয়, সেই বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বই এবং ব্যবহারিক দিকগুলো ভালোভাবে ঝালিয়ে নিন। আপনার পড়ালেখার মূল বিষয়গুলোর থিওরি, বাংলাদেশে সেগুলোর প্রয়োগ, বিখ্যাত তাত্ত্বিক বা বিজ্ঞানীরা এবং কিছু দরকারি বইয়ের নাম ভাইভার জন্য শিখে রাখতে পারেন।
৪. বাপবিবো এবং বিদ্যুৎ খাত:
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কী কাজ করে, এর উদ্দেশ্য কী, এবং দেশের জন্য এর গুরুত্ব কতটুকু—এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে হবে। বাপবিবোর ওয়েবসাইট থেকে তাদের কাজকর্ম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। পাশাপাশি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত, দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি এবং নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।
৫. নিজের পরিচয় ও এলাকা:
ভাইভা বোর্ডে আপনার নাম এবং এলাকা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। নিজের নামের মানে কী, আপনার নামের সাথে বিখ্যাত কোনো ব্যক্তি বা ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা, জেনে নিন। নিজের জেলার ইতিহাস, সেখানকার বিদ্যুৎ খাতের কাজ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার জেলার অবদান কেমন ছিল, এই তথ্যগুলোও জেনে রাখা ভালো।
ভাইভা পরীক্ষার মূল চাবিকাঠি হলো সুন্দর ও গুছানো উত্তর দেওয়া। আত্মবিশ্বাসের সাথে, সহজ ভাষায় নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করুন। নার্ভাস হওয়া বা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন। সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অভ্যাস করলে ভাইভা পরীক্ষায় ভালো ফল করা সম্ভব। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো!