বাংলাদেশের ফেনী জেলা: আয়তন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থা ও দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ফেনী জেলা: আয়তন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থা ও দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ফেনী জেলা
ফেনী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। নিচে জেলাটির আয়তন, জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য দেওয়া হলো:
১. আয়তন
ফেনী জেলার মোট আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গকিলোমিটার (প্রায় ৩৫৮ বর্গমাইল)। এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
২. জনসংখ্যা
-
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আনুমানিক জনসংখ্যা ১৬ লক্ষ (সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে)।
-
জনঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১,৭০০ জন।
-
উপজেলার সংখ্যা: ৬টি (ফেনী সদর, সোনাগাজী, দাগনভুঁইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া)।
৩. ভৌগোলিক অবস্থান
-
অবস্থান: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে, চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত।
-
সীমানা:
-
উত্তরে: কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলা
-
দক্ষিণে: নোয়াখালী জেলা ও ফেনী নদী
-
পূর্বে: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য
-
পশ্চিমে: বঙ্গোপসাগর (কিছু অংশ)।
-
-
নদী: ফেনী নদী, মুহুরী নদী, কালিদাস পাহালিয়া নদী।
-
ভূপ্রকৃতি: সমতলভূমি ও কিছু পাহাড়ি অঞ্চল (পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে)।
৪. দর্শনীয় স্থান
ফেনী জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো হলো:
-
শাহার শাহীদ দিঘি (মোগল আমলের ঐতিহাসিক দিঘি)।
-
মহিপাল বৌদ্ধ বিহার (মহামায়া ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির)।
-
ফেনী রিভার ভিউ পার্ক (ফেনী নদীর তীরে নির্মিত বিনোদন কেন্দ্র)।
-
কমলা রানীর দীঘি (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান)।
-
ফেনী জেলা পরিষদ পার্ক (শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সবুজ উদ্যান)।
-
শিলুয়া মঠ (হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান)।
-
বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট (সোনাগাজীতে অবস্থিত সীমান্ত বাণিজ্যিক এলাকা)।
৫. অন্যান্য তথ্য
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৪ সালে ফেনীকে স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
ঐতিহ্য: কৃষি (ধান, ডাল, সবজি), মাছ চাষ ও হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
-
যোগাযোগ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত।
ফেনী জেলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান।