কোষ ও এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন ২০২৫-২০২৬
কোষ ও এর গঠন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সাজেশন ২০২৫-২০২৬
প্রশ্ন-১. কোষকে জীবদেহের গঠন ও কাজের একক বলা হয় কেন?
উত্তর: কোষ হলো জীবদেহের গঠন ও কাজের একক। এর কারণ হলো, জীবদেহের সব জৈবিক ক্রিয়াকলাপ কোষের অভ্যন্তরস্থ অসংখ্য বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। জীবদেহের সব কোষের সম্মিলিত কাজের মধ্য দিয়ে জীবের গুণাবলীর প্রকাশ ঘটে। অপরদিকে, কোষ জীরে বংশগতীয় তথ্য ধারণ করে, যা কোষ বিভাজনের সময় এককোষ থেকে অন্য কোষে সঞ্চারিত হয়। কোষ অনুকূল পরিবেশে স্বাধীনভাবে টিকে থাকতে পারে। তাই কোষকে জীবদেহের গঠন ও কাজের একক বলা হয়।
প্রশ্ন-২. কোষ প্রাচীরকে উদ্ভিদকোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয় কেন? উত্তর: জড় ও শক্ত যে প্রাচীর দিয়ে উদ্ভিদকোষ পরিবেষ্টিত থাকে তাকে কোষ প্রাচীর বলে। এটিকে উদ্ভিদ কোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয়। কারণ, উদ্ভিদকোষকে চেনার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো কোষ প্রাচীর। তাছাড়াও, কোষ প্রাচীর দ্বারা সহজেই উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের পার্থক্য বোঝা যায়। উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর থাকে যা প্রাণিকোষে থাকে না। সুতরাং, উল্লিখিত কারণেই কোষ প্রাচীরকে উদ্ভিদকোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয়।
প্রশ্ন-৩. ফ্লুইড মোজাইক মডেল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্লাজমামেমব্রেনের গঠন সম্বন্ধে সিঙ্গার ও নিকলসন প্রস্তাবিত মডেলই হলো ফ্লুইড মোজাইক মডেল। ফসফোলিপিড বাইলেয়ার, মেমব্রেন প্রোটিন, গ্লাইকোক্যালিক্স ও কোলেস্টেরল হলো প্লাজমামেমব্রেনের গাঠনিক উপাদান। মডেল অনুযায়ী প্লাজমামেমব্রেন দ্বিস্তরী! অর্ধতরল ফসফোলিপিড লেয়ারের উপর প্রোটিন অণুগুলো মোজাইকের মতো যত্রতত্র ছড়ানো থাকে। এজন্য একে ফ্লুইড মোজাইক মডেল বলা হয়।
প্রশ্ন-৪. রাইবোসোমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয় কেন?
উত্তর: সকল সজীব কোষে রাইবোসোম থাকে। কিন্তু যেসব কোষে আমিষ সংশ্লেষণ বেশি হয় সেসব কোষেই রাইবোসোমের আধিক্য দেখা যায়। আদিকোষে রাইবোসোম সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে। মুক্ত রাইবোসোম আদিকোষের এটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। প্রকৃত কোষে এরা সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিওলাস, অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের পর্দায় এবং প্লাজমামেমব্রেনের গায়ে যুক্ত থাকে। রাইবোসোম মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টেও পাওয়া যায়। আদিকোষ ও প্রকৃতকোষে উপস্থিত থাকার কারণে রাইবোসোমকে সর্বজনীন অঙ্গাণু বলা হয়। প্রশ্ন-৫. লাইসোসোমকে আত্মঘাতি থলিকা বলার কারণ ব্যাখ্যা করো। মি. বো., দি. বো. ২০২৩, য. বো, ২০১৯/ উত্তর: কোষের কোনো ক্ষতি হলে বা খাদ্যাভাব দেখা দিলে লাইসোসোম অটোফ্যাগী প্রক্রিয়ায় কোষ উপাদান ও কোষ অঙ্গাণুগুলোকে বিগলিত করে ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে ধ্বংসপ্রাপ্ত কোষগুলোকে পর্দাবেষ্টিত গহ্বরে আবৃত করে পরিপাক করে ফেলে। এ জন্যই লাইসোসোমকে আত্মঘাতি থলিকা বলা হয়।
প্রশ্ন-৬. অটোফ্যাগী ও অটোলাইসিস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অটোফ্যাগী ও অটোলাইসিস এ দু’টোই কোষীয় অঙ্গাণু লাইসোসোমের বিশেষ কাজের অংশ। খাদ্যাভাব দেখা দিলে বা কোষ মৃত্যুমুখে পতিত হলে লাইসোসোম বিদীর্ণ হয়ে কোষস্থ উপাদান ও অঙ্গাণুগুলোকে ধ্বংস করে দেয় যাকে বলা হয় অটোফ্যাগী। আবার, প্রতিকূল অবস্থায় লাইসোসোম সম্পূর্ণ কোষ বা দেহকে পরিপাক করে, যাকে অটোলাইসিস বলে।
প্রশ্ন-৭. মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন?
উত্তর: কোষের যাবতীয় জৈবনিক কাজের শক্তি সরবরাহ করে বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়। এই শক্তি উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়াগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াতে সম্পন্ন হয়। ক্রেবস চক্রে অংশগ্রহণকারী সব উৎসেচক এতে উপস্থিত থাকায় এ বিক্রিয়াগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াতেই সম্পন্ন হয়। এজন্যই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
প্রশ্ন-৮. ক্লোরোপ্লাস্টকে কোষের সবুজ অনুঘটকের আধার বলা হয় কেন? উত্তর : ক্লোরোপ্লাস্ট হলো সবুজ বর্ণের প্লাস্টিড। এ অঙ্গাণুটিতে সবুজ বর্ণকণিকা অধিক মাত্রায় থাকে। এতে ক্লোরোফিল a, ক্লোরোফিল b, ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল থাকে ক্লোরোপ্লাস্ট সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে। এজন্য একে কোষের সবুজ অনুঘটকের আধার বলা হয়।
প্রশ্ন-৯. উদ্ভিদের ফুলের পাপড়ি রঙিন হয় কেন?
উত্তর: ক্রোমোপ্লাস্ট নামক এক ধরনের রঙিন বর্ণযুক্ত প্লাস্টিডের কারণে উদ্ভিদের ফুলের পাপড়ি রঙিন হয়। সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যান্য বর্ণের রঙিন প্লাস্টিডগুলোকে বলা হয় ক্রোমোপ্লাস্ট। ক্যারোটিন এবং জ্যান্থ্রোফিল নামক দু’প্রকার রঞ্জক পদার্থ বিভিন্ন অনুপাতে থাকায় এরা হলুদ, কমলা বা লাল বর্ণের হয়। এরা ফলের খোসা এবং ফুলের পাপড়িতে উপস্থিত থেকে বর্ণ বৈচিত্র্যের সৃষ্টি করে। ফুলের বিভিন্ন অঙ্গে অবস্থান করে এরা কীটপতঙ্গসহ উচ্চ শ্রেণির প্রাণীদের আকৃষ্ট করে। ফলে, পরাগায়ন হজতর হয়। এছাড়া, ফল ও বীজের বিস্তরণে এরা প্রাণীদের আকৃষ্ট করে
প্রশ্ন-১০, মাইক্রোটিউবিউলসকে কোষের কঙ্কাল বলা হয় কেন?
উত্তর : মাইক্রোটিউবিউলসকে কোষের কঙ্কাল বলা হয়, কারণ, কঙ্কাল যেমন দেহের আকৃতি প্রদান করে, তেমনি মাইক্রোটিউবিউলস কোষের সাইটোপ্লাজমে দৃঢ়তা প্রদান করে কোষকে নির্দিষ্ট আকৃতি দান করে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষে মাইক্রোটিউবিউলস বিদ্যমান। ইহা প্রোটিন নির্মিত এবং নিচু শ্রেণির উদ্ভিদের চলনেও সহয়তা করে।
প্রশ্ন-১১. ক্রোমোসোমকে বংশগতির বাহক বলা হয় কেন?
উত্তর: একটি কোষের প্রতিটি নিউক্লিয়াসে সাধারণত প্রজাতির বৈশিষ্ট্য অনুসারে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোসোম থাকে। মাতা-পিতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে তাদের সন্তান সন্ততিতে স্থানান্তরিত হওয়াকে বলে বংশগতি। বংশগতির ভিত্তি হলো বংশগতীয় বস্তু অর্থাৎ, জিন, DNA, RNA ইত্যাদি। ক্রোমোসোম এসব বস্তু বহন করে বলে একে বংশগতির বাহক বলা হয়। .
প্রশ্ন-১২. ইউক্রোমাটিন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ইন্টারফেজ পর্যায়ে ক্ষারীয় রঞ্জক দিয়ে রঞ্জিত করলে ক্রোমোসোমের যে অংশ হালকা বর্ণ ধারণ করে তাকে ইউক্রোমাটিন বলে। এ অংশে অধিক পরিমাণে DNA থাকে এবং বংশগতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এটা ক্রোমোসোমের বিস্তৃত অংশ এবং mRNA
প্রশ্ন-১৩. বংশগতি বস্তু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যেসব বস্তুর মাধ্যমে মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তান সন্তুতিতে বাহিত হয় তাদেরকে একত্রে বংশগতি বস্তু বলা হয়। বংশগতি বস্তুর প্রধান উপাদান হলো ক্রোমোসোম। এ ক্রোমোসোমে রয়েছে DNA যেখানে জিনগুলো সুসজ্জিত থাকে। জিনই জীবের সকল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেকে বংশ পরম্পরায় বহন করে নিয়ে যায়। প্রশ্ন-১৪, নিউক্লিওটাইড বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নিউক্লিওসাইডের ফসফেট এস্টার হলো নিউক্লিওটাইড। এক অণু নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারক, এক অণু পেন্টোজ শ্যুগার এবং এক অণু ফসফেট যুক্ত হয়ে নিউক্লিওটাইড গঠন করে। অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড ফসফেট-শর্করা-ফসফেট এভাবে যুক্ত হয়ে পলিনিউক্লিওটাইড গঠন করে।
প্রশ্ন-১৫, পানিগ্রাহী মস্তক ও পানিবিদ্বেষী লেজ বলতে কী বোঝ? উত্তর: কোষঝিল্লির ফসফোলিপিড স্তরের এবং ফ্যাটি হেডকে পানিগ্রাহী মস্তক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড লেজকে পানিবিদ্বেষী লেজ বলে। এখানে ফসফেট হেডটি পানির প্রতি আকৃষ্ট হয় বলে একে পানিগ্রাহী বলে এবং ফ্যাটি এসিড লেজটি পানির প্রতি আকৃষ্ট হয় না বলে একে পানি বিদ্বেষী বলে। ফ্লুইড মোজাইক মডেল অনুযায়ী, কোষঝিল্লি এই স্তর দিয়ে গঠিত। প্রশ্ন-১৬. বংশগতি নির্ণয়ে DNA-এর ভূমিকা লেখো।
উত্তর: DNA বংশগতি বিষয়ক বৈশিষ্ট্যাবলির ধারক ও বাহক। অধিকাংশ জীবের বংগতির একক অর্থাৎ, জিন DNA ছাড়া অন্য কিছু নয়। ‘জিন’ এর মাধ্যমে জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় এবং তা বংশ পরম্পরায় স্থানান্তরিত হয়। এছাড়াও, DNA বংশগতির সব ধরনের জৈবিক সংকেত বহন করার ক্ষমতা রাখে।
প্রশ্ন-১৭. অর্ধ-সংরক্ষণশীল অনুলিপন কীভাবে হয়? উত্তর : অর্ধসংরক্ষণশীল অনুলিপনে প্রতিটি অপত্য DNA অণুর দুটি সূত্রের মধ্যে একটি মাতৃ DNA অণু থেকে পেয়ে থাকে। এ ধরনের অনুলিপন পদ্ধতিতে মাতৃ DNA-র হাইড্রোজেন বন্ধনী বিলুপ্তির মাধ্যমে সূত্র দুটি পৃথক হয়ে যায় এবং প্রত্যেক সূত্রক ছাঁচ (টেমপ্লেট) হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে পরিপূরক দুটি সূত্রের সংশ্লেষণ ঘটে।
প্রশ্ন-১৮. ট্রান্সক্রিপশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : প্রোটিন সংশ্লেষণের আগে কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতর DNA অণুর একটি সূত্রককে ছাঁচ হিসেবে কাজে লাগিয়ে যে প্রক্রিয়ায় mRNA সূত্রের আবির্ভাব ঘটে তাকে ট্রান্সক্রিপশন বলে। ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন— DNA ছাঁচ, RNA পলিমারেজ এনজাইম, মুক্ত রাইবোনিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট, রাসায়নিক শক্তি এবং কিছু সহযোগী প্রোটিন।
প্রশ্ন-১৯. ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর: mRNA থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রান্সলেশন। এ প্রক্রিয়ায় DNA-এর ভাষাকে mRNA-এর মাধ্যমে প্রোটিনের ভাষায় রূপান্তর করা হয়। ট্রান্সলেশনের জন্যে RNA, বিশ প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড, রাইবোসোম, অ্যাকটিভেটিং এনজাইম ইত্যাদি উপাদান ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-২০, অপেরন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: আদি কোষে জিন প্রকাশের ইউনিটই হলো অপেরন। অপেরন চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা— i. গাঠনিক জিন, ii. প্রোমোটার জিন, iii. অপারেটর জিন এবং iv. রেগুলেটর জিন।
প্রতিটি আদিকোষী জীবে একাধিক অপেরন থাকে। যেমন- ল্যাক্টোজ অপেরণ, ট্রিপ্টোফ্যান অপেরন ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২১. জেনেটিক কোড বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নাইট্রোজেনের যে গ্রুপ কোনো অ্যামাইনো এসিডের সংকেত গঠন করে তাদের বলা হয় জেনেটিক কোড। DNA অণুতে পাশাপাশি অবস্থিত তিনটি নাইট্রোজেন বেস মিলিতভাবে একটি সক্রিয় জেনেটিক কোড হিসেবে কাজ করে। প্রোটিন সংশ্লেষণে AUG সূচনা কোড হিসেবে এবং UAA, UAG অথবা UGA-এর যে কোনো একটি সমাপ্তি কোড হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন-২২. ট্রিপলেট কোডন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: অ্যামিনো অ্যাসিডের সংকেত গঠনকারী তিনটি নাইট্রোজেন বেসের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপকে বলা হয় ট্রিপলেট কোডন। প্রতিটি জেনেটিক কোডই হলো এক একটি ট্রিপলেট কোডন। প্রতিটি ট্রিপলেট কোডন কোনো একটি সুনির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডকে নির্দেশ করে।
প্রশ্ন-২৩. জেনেটিক কোডকে ট্রিপলেট কোড বলা হয় কেন?
উত্তর: নিউক্লিওটাইড বা নাইট্রোজেন বেসের যে গ্রুপ কোনো অ্যামিনো অ্যাসিডের সংকেত গঠন করে তাকে বংশগতীয় সংকেত বা জেনেটিক কোড বলে। ফ্রান্সিস ক্রিক ও তার সহযোগিবৃন্দ পরীক্ষার দ্বারা নিশ্চিত হন যে, জেনেটিক কোড তিন অক্ষর বিশিষ্ট বা ট্রিপলেট কোড। তারা এনজাইমের সাহায্যে একটি ভাইরাসের DNA থেকে ক্ষারক বিয়োজন বা DNA এর সাথে ক্ষারক সংযোজন করে দেখতে পান যে, একটি, দুটি, চারটি বা পাঁচটি ক্ষারক সংযোজন বা বিয়োজন করা হলে ভাইরাস কণা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে না কিন্তু তিনটি ক্ষারক যুক্ত বা বিযুক্ত হলে ভাইরাসটি সংক্রমণের উপযুক্ত হয়। এ থেকে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, জেনেটিক কোড তিন অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয়। এজন্য জেনেটিক কোডকে ট্রিপলেট কোড বলা হয়।