চায়ের সঙ্গে কোন খাবার খেলে কী সমস্যা হতে পারে

চায়ের সঙ্গে কোন খাবার খেলে কী সমস্যা হতে পারে

চায়ের সঙ্গে কোন খাবার খেলে কী সমস্যা হতে পারে
চায়ের সঙ্গে কোন খাবার খেলে কী সমস্যা হতে পারে

চা এবং খাবারের সমন্বয়: একটি পরিচিতি

চা, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়, বহু সংস্কৃতিতে একটি আসন অধিকার করে রয়েছে। তবে চা পান করার সময় খাবার অঙ্গীকারের বিষয়টি প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। চা এবং খাবারের মধ্যে একটি সঠিক সমন্বয় স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন চা এবং কিছু খাবার পাশাপাশি খাওয়া হয়, এটি আমাদের পাচনতন্ত্রের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে এবং কখনও কখনও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

যেমন অনেক মানুষ চা পান করার সময় প্যাকেটের বিস্কুট বা প্রায়শই মিষ্টান্ন গ্রহণ করে, এটি পেশাগত এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের একটি পরিচিত চিত্র। কিন্তু এই সমন্বয়ের ফলে শরীরের শোষণের প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চা পান করার পর যদি শর্করা বা মিষ্টি কিছু খান, তবে এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এছাড়া, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে চা এবং বুকের খাবার বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এটি পাচন শক্তির অভাব এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে, কারণ চা প্রোটিন শোষণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই, খাদ্যাভ্যাসের একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনায় এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি।

চা এবং খাবারের মধ্যে একটি সঠিক সমন্বয়ের জন্য আমরা কিছু পরামর্শ গ্রহণ করতে পারি। দ্রুত খাবার পর চা পান করার পরিবর্তে, অন্তত এক ঘন্টা অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। এর ফলে খাদ্য শোষণে সহায়ক পদার্থ এবং এনজাইমগুলোর কার্যকলাপ অব্যাহত থাকবে। সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে, আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চা এবং খাদ্যের সুবিধাগুলি সর্বাধিক করতে সক্ষম হব।

চায়ের ভারসাম্যহীনতা: সমস্যা শনাক্তকরণ

চা একটি জনপ্রিয় পানীয় যা সারা বিশ্বে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, কিছু খাবার চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে বিশেষ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চা এবং খাবারের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা যে সমস্ত স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তা সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ডেইরি প্রোডাক্ট কিছু মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে যখন একই সময়ে চা পান করা হয়। এটি প্রোটিনের কারণে চায়ের উপাদানগুলির শোষণ ব্যাহত করতে পারে।

অন্যদিকে, কিছু মৌসুমী ফল ও সবজি, যেমন টমেটো এবং সাইট্রাস ফল, চায়ের স্বাদের সাথে অস্বস্তিকর ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করতে পারে। এগুলি চায়ের তাজা স্বাদকে নষ্ট করে এবং এর পুষ্টিগুণও কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও, চা যখন অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাবার সঙ্গে সংমিশ্রণ করা হয়, তখন এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। চিনি যুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি শরীরের অন্যান্য পুষ্টির শোষণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।

একটু সাবধান থাকলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব। চা পান করার সময় কোন খাবার খাওয়া হচ্ছে, তা সতর্কতার সাথে নির্বাচন করা উচিত। বদ্ধ অবস্থায়, খাবারের বালান্স এবং চায়ের সম্পূর্ণ সুফল উপভোগ করা সম্ভব হয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আদা বা মশলা যুক্ত চা শরীরে এন্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য যোগ করে, যা কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রভাবকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। ফলে, চায়ের উপাদানসমূহের প্রতি একটি বোঝাপড়া গড়ে তোলার মাধ্যমে, খাদ্য এবং পানীয়ের মধ্যে একটি সুস্থ ভারসাম্য তৈরি করা সম্ভব।

চায়ের সাথে দুধ: স্বাস্থ্যের প্রভাব

চা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়, যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আলাদা আলাদা ভাবে উপভোগ করা হয়। অনেকেই দুধের সাথে চা পান করতে পছন্দ করেন, বিশেষ করে ভারতের চায়ের সংস্কৃতি অনুযায়ী। যদিও দুধের সাথে চা পান করার কিছু স্বাস্থ্য উপকারী পক্ষ রয়েছে, তবুও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুধ এবং চায়ের সংমিশ্রণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রথমে, দুধের সাথে পান করা চা পিত্তথলির জন্য উপকারী হতে পারে। নন-ডাইরিয়েটিক উপাদানগুলির কারণে, দুধ এবং চায়ের সংমিশ্রণ কিছু ক্ষেত্রে পেটে আঘাত বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। দুধের ল্যাক্টোজ কিছু মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা দুর্বল হজম বা অন্যান্য gastrointestinal সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, যাদের প‌্যাকটিক আলার্জি থাকতে পারে, তাদের জন্য দুধের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

এছাড়া, গবেষণায় দেখা গেছে যে, চায়ের মধ্যে মজুদ অ্যন্টিঅক্সিডেন্টগুলি যেমন ক্যাটেচিন, দুধের উপস্থিতিতে কমিয়ে যায়। এই কারণে, দুধ মিশিয়ে চা পানে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কিছুটা হ্রাস পায়। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দুধের প্রোটিন চায়ের অনেকে উপকারী উপাদানের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটায়, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের অপচয় সৃষ্টি করতে পারে।

অতএব, দুধের সাথে চা পান করার সময় স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিপদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত। moderation এর মধ্যে দুধ এবং চা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হতে পারে, তবে দুধে অ্যালার্জি বা সমস্যা থাকলে তাড়াহুড়ো করবেন না।

মিষ্টির সাথে চা: বিপদ ও সুবিধা

চা এবং মিষ্টি খাবার, দুটোই আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকেই চা পান করার সময়ে মিষ্টি খাবারের স্বাদে ভোজনবিলাসী হয়ে ওঠেন। তবে, অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা এ সময় দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাবার যেমন পিষ্টক, মিষ্টি, চিনি যুক্ত খাবার এবং পাখার বিভিন্ন প্রকারের সঙ্গে চা পান করলে দেহের ওপর বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মিষ্টি খাবার খেলে শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের মধ্যে চিনি গ্রহণ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। যখন এর সাথে চা যুক্ত হয়, তখন তা হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাধারণত, চা শরীরের প্রাকৃতিক আল্সারেটিভের মতো কাজ করে, যা হজমক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এইভাবে, মিষ্টি খাবারের সাথে চা খাওয়া হলে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং অনেক সময় গ্যাস, পেট ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দেয়।

বিশেষ করে, ফ্যাটযুক্ত এবং ক্রিমযুক্ত মিষ্টিগুলি চায়ের সাথে খেলে এই সমস্যা আরও বেশি গভীর হতে পারে। এর ফলে, মাওয়াল এবং চায়ের মাঝে পেট ফাঁপা প্রকট হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া, মিষ্টির বিরতিতে অবস্থিত সুগার এবং কফির পরিমাণও বিপদজনক হতে পারে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই, মিষ্টি খাবারের সঙ্গে চা পান করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

অন্যদিকে, মিষ্টি খাবারের সাথে চা খাওয়ার কিছু সুবিধাও রয়েছে। চা শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, এবং কিছু মিষ্টি যেমন ডার্ক চকলেট, খাদ্যপদার্থের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে, উপকারিতা এবং বিপদের মাঝে সঠিক ভারসাম্য তৈরি করা জরুরি।

ফল এবং চা: একটি অদ্ভুত সংমিশ্রণ?

চা একটি জনপ্রিয় পানীয়, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। অপরদিকে, ফল মানুষের দৈনন্দিন পুষ্টির একটি অপরিহার্য অংশ, যা ভিটামিন, খনিজ ও খাদ্য আঁশে সমৃদ্ধ। তবে, ফল এবং চা একসাথে খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ফল চা’র সঙ্গে মিলে অযাচিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

যেমন, ট্যানিনসমৃদ্ধ চায়ের সঙ্গে লেবু বা কমলালেবুর মতো কিছু ফলে যক্ষ্মার প্রভাব বেশি হতে পারে। ফলগুলোর অ্যাসিডিক প্রকৃতি কেবল চায়ের স্বাদকে প্রভাবিত করে না, বরং গ্যাসের সমস্যা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। একটি সাধারণ উদাহরণ হলো, যখন আমরা পেঁপে বা কিডনি বিনের সঙ্গে চা গ্রহণ করি, তখন কিছু ব্যক্তিতে পেটের অস্বস্তি বা অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, চা’তে থাকা ক্যাফেইন অনেক সময় ফলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, ফলে উভয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ঘটতে পারে। এছাড়া, চা এবং ফল একসাথে গ্রহণ করলে কিছু লোক অ্যালার্জি সমস্যায়ও ভুগতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা ফলের ওপর অ্যালার্জিক হন। এছাড়াও, যারা গ্যাসট্রিক সমস্যা নিয়ে সমস্যায় আছেন, তাদের জন্য এই সংমিশ্রণ থেকে দূরে থাকা শ্রেয়।

অবশেষে, ফল এবং চায়ের সংমিশ্রণ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। যদিও কিছু ফলের সঙ্গে চা খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে, তবে অনেক সময় এটি অস্বস্তি বা অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং, নিজস্ব স্বাস্থ্য এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

মসলাযুক্ত খাবার এবং চা: সতর্ক থাকার প্রয়োজন

মসলাযুক্ত খাবার অনেকের কাছে অত্যন্ত প্রিয়, কিন্তু এই ধরনের খাবার চায়ের সাথে খাওয়ার ফলে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মশলা সাধারণত খাদ্যে স্বাদ বৈচিত্র্য যোগ করে, তবে যখন এগুলি চায়ের সাথে মিলিত হয়, তখন কিছু নেতিবাচক দিকের দিকে মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক।

জিরা, ধনে, ও সারস কুমড়ো বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়, যদিও চায়ের সাথে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জিরা, উদাহরণস্বরূপ, ট্রিপটফান এবং ফাইবারের প্রাচুর্যবৃদ্ধি করে, তবে চায়ের ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হলে, এটি হজমের প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে কিছু মানুষের মাঝে পেটের গ্যাস বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

অন্যদিকে, মরিচ অত্যন্ত মসলাদার একটি উপাদান, যা চায়ের সাথে খাওয়ার ফলে পেটের ঘনত্ব বাড়ায়। মরিচের তীব্রতা চা পান করলে কিছু ব্যক্তির মধ্যে অস্বস্তি বা বারবার এসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। কিছু মানুষ এসিডের প্রতি সংবেদনশীল হলে, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।

এছাড়া, আদা এবং হলুদের মতো মসলা যদিও বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আসে, কিন্তু এগুলোর অতিরিক্ত সেবন চায়ের সাথে কার্যকর নাও হতে পারে। আদা metabolism বৃদ্ধি করে, যা কিছু পরিস্থিতিতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। لذا, বিশেষ করে যখন অনেক মসলাযুক্ত খাবারের সাথে চা পান করা হয়, তখন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, একসাথে মসলাযুক্ত খাবার এবং চা খাওয়ার আগে নিজেদের শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দয়া করে চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করুন, যাতে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সঠিক যত্ন নেওয়া যায়।

অলিভ অয়েল এবং চা: একটি স্বাস্থ্যকর সংমিশ্রণ?

অলিভ অয়েল এবং চা, উভয়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যপদার্থ হিসেবে পরিচিত। অলিভ অয়েল এতে উপস্থিত সিষ্টারল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পাদকদের শরীরে উপকারী। অন্যদিকে, চা, বিশেষত সবুজ চা, প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন ও বিভিন্ন ফ্ল্যাভোনয়েড ধারণ করে, যা স্বাস্থ্যকর উপকারিতা প্রদান করে। তবে, এই দুটি খাদ্যপদার্থ মিলিয়ে খাওয়া কিছু ক্ষেত্রে একান্ত স্বাস্থ্যকর হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, অলিভ অয়েল এবং চা একসাথে খাওয়া সুস্বাস্থ্য সমর্থন করতে পারে। কারণ, দুটির জন্য উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা দেহের ফ্রি র্যাডিক্যালসকে দূর করতে সাহায্য করে, বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। বিশেষ করে, প্রমাণ আছে যে এই সংমিশ্রণ হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক হতে পারে।

কিন্তু, অলিভ অয়েল এবং চা একসাথে খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। কিছু শারীরিক অবস্থার কারণে এই মিলনের ফলস্বরূপ অসমর্থনীয় প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যারা তীব্র পেটের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা ভোগেন, তাদের জন্য এই দুটি খাদ্য একসাথে গ্রহণ খারাপ হতে পারে। তাছাড়া, অলিভ অয়েল চায়ের স্বাদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে ফল দিতে পারে, যা কিছু ব্যক্তির জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।

অতএব, অলিভ অয়েল এবং চা একসঙ্গে খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সম্ভাব্য সমস্যা উভয়কেই বিবেচনায় নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা এবং প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে আলাদা খাবার মিশ্রণের সময় সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

চা ও নোনতা খাবার: সতর্কতা বা উপকারিতা?

চা, বিশেষ করে ভারতীয় ও চাইনিজ প্রকারের, একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে। তবে, নোনতা খাবারের সঙ্গে চা খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সাধারণভাবে, চা পানির সাথে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হলে শরীরের হাইড্রেশন বাড়ায় এবং পুষ্টিগুণ বাড়াতে সহায়তা করে। কিন্তু, নোনতা খাবারের সঙ্গে এই পানীয়ের সঙ্গমে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

এটি প্রমাণিত হয়েছে যে নোনতা খাবার খাওয়ার সময় চা পান করলে হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। উচ্চ সোডিয়াম কনটেন্টশহ বিভিন্ন ধরনের সালাদ, চিপস অথবা অন্যান্য নোনতা snacks এর সঙ্গে চা খেলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। এক্ষেত্রে, চায়ের ট্যানিন কিনা খারাপ প্রভাব ফেলে, যা খাবারের উপাদানগুলি সঠিকভাবে হজমে বাধা সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে, কিছু বিশেষ ধরনের নোনতা খাবার জুড়ে চা পান করলে তা সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সামান্য মশলাদার খাবারের সঙ্গে একটি কাপ চা স্বাধিকারের অনুভূতি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এভাবে, পুষ্টিগুণগুলো একসাথে প্রভাবশালী হতে পারে।

সুতরাং, চা ও নোনতা খাবারগুলোর মিলন একটি বিষয় আসলে বিবেচনার উপযোগী। যেখানে কিছু খাবার চায়ের সঙ্গে উপকারী দিক নিয়ে আসতে পারে, অন্যদিকে কয়েকটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। একজন সচেতন সেবনকারী হিসেবে নির্বাচন করা আপনার উপর নির্ভর করে, এবং আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা অতীব জরুরি।

সর্বশেষ চিন্তা: চায়ের সাথে খাবারের পরিচ্ছেদ

চা, একের পর এক বিশেষ খাদ্য হিসেবে পরিচিত, পুষ্টি গ্রহণের প্রাধান্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তবে, এটি খাওয়া বা পান করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। চা অনেক ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল ধারণ করে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু, যখন আমরা চা এবং খাবার একসাথে গ্রহণ করি, তখন কিছু সমস্যার উদ্ভব হতে পারে যা আমাদের পুষ্টি গ্রহণকে প্রভাবিত করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্য এবং চায়ের সংমিশ্রণ সাধারণত দেহে পুষ্টির শোষণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চায়ের শামিল তামা, লৌহ, এবং ক্যালসিয়ামের মত খনিজের শোষণ কমাতে পারে। এটি মূলত চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিনের কারণে হয়ে থাকে, যা কিছু খনিজের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের শোষণের ক্ষমতা হ্রাস করে। এই কারণে, গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা খাবারগ্রহণের সাথে চায়ের সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন থাকি।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে, খাদ্য গ্রহণের পর প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে চা পান করা উপকারী হতে পারে। এতে করে অন্য পুষ্টিগুণের শোষণে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। অপরদিকে, প্রচুর পরিমাণে চা পান করা খাওয়ার আগেই ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে এবং এ কারণেই তা খাদ্য গ্রহণের অভ্যাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অতএব, চা ও খাবারের সংমিশ্রণ নিয়ে সচেতন থাকার পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয়। খাদ্য নির্বাচন এবং সময় নির্ধারণের মাধ্যমে আমরা আমাদের পুষ্টির ভাল অর্জনে সহায়তা করতে