মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা খরচ ও কোথায় পড়বেন

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা খরচ ও কোথায় পড়বেন

কোথায় পড়বেনঃ

  • বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী
  • ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট 
  • বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ঢাকা
  • ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ট্রেনিং একাডেমি, ঢাকা
  • ওশান মেরিটাইম একাডেমি, চট্টগ্রাম 
  • এমএএস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম

Diploma in Marine Engineering আবেদনের যোগ্যতা

  • বিজ্ঞান অথবা ভোকেশনাল থেকে SSC বা সমমান পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে;
  • গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয় থাকতে হবে;
  • ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে C গ্রেডে O-Level;
  • বয়স: আবেদনের তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ১৮ বছর;
  • উচ্চতা: পুরুষ ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি
  • BMI অনুযায়ী ওজন
  • দৃষ্টি শক্তি নুন্যতম ৬/১২ এবং চশমাসহ ৬/৬ থাকতে হবে;
  • মেডিকেল ফিটনেস, চোখের কালার ভিশন ফিটনেস ও হিয়ারিং ফিটনেস;
  • বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত

Bachelor of Marine Engineering আবেদনের যোগ্যতা

  • বিজ্ঞান অথবা ভোকেশনাল থেকে SSC ও HSC বা সমমান পরীক্ষায় আলাদাভাবে নুন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে;
  • ইংলিশ মিডিয়ামের ক্ষেত্রে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, ও ইংরেজিসহ C গ্রেডে A-Level;
  • উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান থাকতে হবে
  • বয়স: আবেদনের তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ২১ বছর;
  • ইংরেজি দক্ষতা: HSC ইংরেজিতে নুন্যতম 3.00 অথবা IELTS Score 5.5 থাকতে হবে;
  • উচ্চতা: পুরুষ ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি
  • BMI অনুযায়ী ওজন
  • দৃষ্টি শক্তি নুন্যতম ৬/১২ এবং চশমাসহ ৬/৬ থাকতে হবে;
  • মেডিকেল ফিটনেস, চোখের কালার ভিশন ফিটনেস ও হিয়ারিং ফিটনেস;
  • বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা 

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বর এবং জিপিএ ২০০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি MCQ প্রশ্নের মান ০.৫। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২০০টি MCQ প্রশ্ন থাকবে। GPA-র ক্ষেত্রে SSC ৭৫ এবং HSC ১২৫ বিবেচনায় মোট ২০০ নম্বর।

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন (১০০ নম্বর)

  • পদার্থ বিজ্ঞান-২৫ (প্রশ্ন ৫০ টি)
  • উচ্চতর গণিত-২৫ (প্রশ্ন ৫০ টি)
  • ইংরেজি-২৫ (প্রশ্ন ৫০ টি)
  • বাংলা-১০ (প্রশ্ন ২০ টি)
  • সাধারণ জ্ঞান-১৫ (প্রশ্ন ৩০ টি)
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা  খরচ ও কোথায় পড়বেন

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতার বিস্তারিত

বাংলাদেশে দেশীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ৪ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। এ কোর্সগুলো করার জন্য চাইলে আপনাকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যে কোনো ক্যাটাগরি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি এক্সামের জন্য আবদেন করতে হবে এবং উত্তীর্ণ হতে হবে। একজন শিক্ষানবিশ সাধারণত পরপর ৩ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য পারে।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে আপিলের জন্য সেকেন্ডারি ও উত্তম মাধ্যমিকে সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করার জন্য হয়। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৩.৫০ GPA থাকতে হবে। এছাড়া শীর্ষ মাধ্যমিকের পদার্থ ও ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে আলাদাভাবে ৩.৫০ GPA থাকতে হবে। ইংরেজি বিষয়ে অন্তুত ৩.০০ জিপিএ অথবা আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ হতে হবে।

ক্যাডেট হওয়ার জন্য শারীরিক সক্ষমতাকে খুবই গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়। মেরিন ক্যাডেট হিসেবে ছেলেদের অন্তুত ৫.৪ ইঞ্চি ও মেয়েদের ৫.২ ইঞ্চি হতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রেও কিছু আইন মেনে ক্যাডেট ভর্তি করা হয়। মেরিন অধিনায়ক হওয়ার জন্য ৬/৬ তার সঙ্গে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ৬/১৮ হতে হবে।

এখনকার টাইমে তরুণদের স্বপ্নের ক্যারিয়ারের ভিতরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা তার সাথে এইখানে ক্যারিয়ার কিরকম এ সম্মন্ধে জানতে অধিকাংশই আগ্রহী থাকেন। প্রচুর তথ্যের অভাবে চালাক হওয়া সত্যেও পর্যাপ্ত মানুষ স্বপ্নের এ ক্যারিয়ার হতে ছিটকে পড়েন।

আজ কোর্সটিকায় আমরা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সকল তথ্য জানবো। একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে কি কি দায়িত্ব পালন করার জন্য হয়, কিরকম করে ক্যাডেট নির্বাচন করা হয়, প্রশিক্ষণাকালীন সুযোগ-সুবিধা তার সাথে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা ও উপার্জন থাকতেছে আজকের এই আলোচনায়।

পাঁচটি ধাপের ক্যাডেটদের নির্বাচন করা হয়:

লিখিত পরীক্ষা
শারীরিক যোগ্যতা তার সঙ্গে সাঁতার পরীক্ষা
সাক্ষাৎকার (VIVA)
বিশেষ দৃষ্টিশক্তি তার সঙ্গে রঙ দৃষ্টি পরীক্ষা
মেডিকেল পরীক্ষা
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আমন্ত্রণ করা হয়। একাডেমির নির্ধারিত ফর্ম না করা পর্যন্ত কোন আবেদন নয়। প্রতি বছর প্রার্থীদের নিউ করে আপিল করার জন্য হবে। একজনের প্রার্থিতার উদ্দেশ্যে পরবর্তী সালের আবেদনগুলি পরের সালের বিবেচনা করা হবে না। ক্যাডেট নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন ভ্রমণ বা দৈনিক ভাতা প্রার্থীদের তাদের ভ্রমণের জন্য বা সাময়িকভাবে অফ বয়সের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কি?

বিশ্ব বাণিজ্যের জ্যেষ্ঠ একটি চালিত হয় নানারকম দেশের নৌপথকে কেন্দ্র করে। আর এ নৌপথে পণ্য পরিবহনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো জাহাজ। জাহাজ পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ তার সঙ্গে এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের প্রবলেম সমাধানই মূলত মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং।

মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বা সামুদ্রিক প্রকৌশলী হচ্ছেন এরকম একজন পেশাদার ব্যক্তি, যিনি বিশেষায়িত এ প্রকৌশল বিদ্যায় অধ্যয়ন করেছেন তার সাথে জাহাজে থাকা যাবতীয় উত্তম যান্ত্রিক তার সঙ্গে প্রকৌশলী সরঞ্জামগুলোর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ তার সাথে মেরামতের জন্য অভিজ্ঞ।

বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতিতে বার্ষিক আয়ের প্রায় ২০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার আসে কেবল শিপিং খাত থেকে। সারাবিশ্বে প্রায় ৫ হাজার জাহাজ প্রতিদিন প্রায় ৬০০ কোটি টন পণ্য নিয়ে ১৫০ টির বহু দেশের নৌবন্দরে নোঙড় করে।

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা  খরচ ও কোথায় পড়বেন

২০২০ বছরের ইনফরমেশন অনুযায়ি সারাবিশ্বে প্রায় ১৩ লাখ সি ফেরিয়ার্স এই শিপিং শিল্পে কর্মরত। আর বড় এই কর্মযজ্ঞের হেতু বিন্দু কর্তৃত্ব করে রেখেছেন মেরিনাররা। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশ তার সঙ্গে বর্হিবিশ্বে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কেমন।

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব

একটি জাহাজের প্রতিটি পদমর্যাদার ইঞ্জিনিয়ারদের রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি তার সাথে সিস্টেম বাজেট করা হয়। এসব যান্ত্রিক অ্যারেঞ্জমেন্ট মনিটরিং তার সাথে রক্ষণাবেক্ষণ করাই তাদের নিমিত্ত দায়িত্ব। একজন প্রকৌশলী এটা নিশ্চিত করেন যে তার নিয়ন্ত্রণের অধীনে সকল যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ঘটমান কিনা।

এছাড়াও আরো কতিপয় দায়িত্ব মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের থাকে। যেমন:

নেভিগেশন: জাহাজ ওঠানামা তার সাথে যাত্রীদের সিকিউরিটির দায়িত্ব নেভিগেশন ডিপার্টমেন্টের উপর বিন্যস্ত থাকে। পাশাপাশি নাবিকদের নিরাপত্তাও দেখতে হয় এই বিভাগকে। জাহাজের ক্যাপ্টেন হলেন নেভিগেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান। পর্যাপ্ত চমৎকার না আবহাওয়ায় জাহাজ কোন পথে তার সঙ্গে কেমন করে যাবে, তা নির্ভুল করেন ক্যাপ্টেন। তাদের হেল্প করেন এই বিভাগের আদার্স ইঞ্জিনিয়াররা।

যথাযথ প্রস্তুতি ও রেকর্ড রাখা: পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ অ্যারেঞ্জমেন্ট অনুযায়ী সমুদয় যন্ত্রপাতি সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ শিওর করার জন্য ইঞ্জিন রুম বিভাগ একটি টিম হিসাবে কাজ করে। অফিসিয়াল কাগজপত্র তার সাথে রিপোর্টিংয়ের জন্য বিভিন্ন পরামিতিগুলোর যথাযথ রেকর্ড রাখা হয়।

জ্বালানি তেল বাঙ্কারিং: সামুদ্রিক প্রকৌশলীরা ১টি বাংকার স্টেশন বা বার্জ হতে জাহাজে জ্বালানি তেল স্থানান্তরও পরিচালনা করে। এটি সাধারণত ৪র্থ প্রকৌশলীর দায়িত্ব, যিনি জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্কের রোজ শব্দ গ্রহণ করেন এবং বাঙ্কারিং অপারেশনের পরিকল্পনার জন্য সেরা প্রকৌশলীকে রিপোর্ট করেন।

জরুরী ভাঙ্গন তার সঙ্গে মেরামত: সমুদ্রে থাকা সিচুয়েশনে কোন যন্ত্রপাতি কোন ডিভাইস বিকল হলে বা বিশেষ রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হলে প্রকৌশলীরা এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যদিও সামুদ্রিক প্রকৌশলীরা এ কাজে সক্ষম, তা সত্ত্বেও এ জাতীয় সময় রয়েছে যখন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন থেকে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের সমস্যাগুলো মেরামত তার সাথে সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করতে হবে।

প্রশিক্ষণাকালীন সুযোগ-সুবিধা

খাবার: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীতে প্রশিক্ষণার্থীদের অন্ন সরবারহ করা হয়। সকালে নাস্তার সাথে ডিম, রুটি/পরোটা, মাখন/জাম/জেলি তার সাথে চা পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মধ্যাহ্নভোজনের প্রথমে চা, সিঙ্গারা, বিস্কুট, রুটি দেয়া হয়। দুপুরে, সন্ধ্যায় তার সঙ্গে রাতেও ভালো খাদ্যের আয়োজন থাকে।

গ্রন্থাগার: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে সকল শিক্ষানবিশ তার সাথে অনুষদের সহায়তার জন্য রয়েছে বড় লাইব্রেরি। এ পাঠাগারে ৪০,০০০ এরও অধিক বই রয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক ল্যাবে রয়েছে কম্পিউটার, ফটোকপিয়ার, স্ক্যানার, বুকবাইন্ডার, ল্যামিনেট মেশিন, প্রিন্টিং এবং ই -মেইল সুবিধা।

ওয়ার্কশপ: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী শুরু থেকেই কর্মশালার সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে। দুইটি কর্মশালার এক্সপেরিন্সের হাত ক্যাডেটদের ইঞ্জিন রুমে তার সাথে অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজে নিরাপদে কাজ করতে যোগ্য করে।

পরীক্ষাগার: গবেষণাগারের এক্সপেরিয়েন্স শিক্ষাগত প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ তার সঙ্গে সামুদ্রিক ব্যবহারিক জীবনের জন্য ক্যাডেট রেডি করার একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। এই কারণে, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রাঙ্গনে ৪ টি ল্যাবরেটরি, যেমন: ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব, মেকানিক্যাল ল্যাব, ফিজিক্স ল্যাব এবং পিসি ল্যাব পরিচালনা করে।
সমস্ত পরীক্ষাগার অ্যাডভান্সড তার সাথে অ্যাডভান্সড ডিভাইস তার সঙ্গে সুবিধায় সজ্জিত যা ক্যাডেটদের অনুশীলন প্রদান করে। প্রফেশনাল কর্মীরা প্রকল্প তার সঙ্গে পরীক্ষা -নিরীক্ষায় ক্যাডেটদের সহায়তা ও সহায়তা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

ক্যারিয়ার সম্ভাবনা ও উপার্জন

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই স্বপ্নের এক ক্যারিয়ার। বিশ্বের নানারকম সমৃদ্ধ দেশ উদাহরণসরূপ সিঙ্গাপুর, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় চাকরির পাশাপাশি শিখর শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। বাংলাদেশেও শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন, খুলনা শিপইয়ার্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে রয়েছে চাকরির ব্যাপক চাহিদা।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী, BIWTA ও BIWTC প্রভৃতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছরই এক্সপার্ট ও অভিজ্ঞ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দেয়া হয়। পাশাপাশি বেসরকারি অবস্থায় দেশী-বিদেশী জাহাজে নাবিকসহ পর্যাপ্ত সুন্দর মানের চাকরির অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। মোটকথা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের রয়েছে বহুমুখী আলোকিত ক্যারিয়ারের হাতছানি।

এই বিভাগে উপার্জন প্রতিষ্ঠানভেদে এবং নৈপুন্যতা ও এক্সপেরিন্সের ওপর নির্ভর করে। একজন ইঞ্জিনিয়ার দেশি জাহাজ বা অন্য প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার হতে আড়াই লাখ টাকা আয় করার জন্য পারে। পক্ষান্তরে বিদেশী প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার হতে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত করা সম্ভব। একসাথে থাকা-খাওয়ার জন্যও থাকে মানসম্মত ব্যবস্থা।

উপসংহার

বর্তমানে যত ক্যারিয়ার রয়েছে তার মধ্যে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। আপনি যদি ইচ্ছুক হন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা অর্জন করে আজই লেগে পড়ুন স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ার কাজে। এইখানে পরীক্ষা দেয়ার সাহায্যে আপনি জবের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে যেতে পারবেন।

পাশাপাশি এখানে পাচ্ছেন অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সঙ্গে বিদেশে ঘোরার সুযোগ। যেহেতু পৃথিবী বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ৯০ শতাংশই পণ্য পরিবাহিত হয় শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে। এইজন্য এই বড় এ বিশাল সুযোগকে কাজে লাগাতে আজই পড়াশোনা চালু করে দিন।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

You cannot copy content of this page