পল্লিসাহিত্য গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ

পল্লিসাহিত্য গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ

পল্লিসাহিত্য গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ
পল্লিসাহিত্য গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ

পল্লিসাহিত্য গল্পের পাঠ বিশ্লেষণ এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে। তাই এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করো এবং অনুশীলন অব্যাহত রাখো। তোমাদের জন্য শুভকামনা।

পাঠ বিশ্লেষণ (Text Analysis) 

ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন

১৮৬৬ সালে মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, লোকসাহিত্যবিশারদ। তিনি সর্বপ্রথম ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থে বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের গৌরব ও মর্যাদা বিশ্বসাহিত্যের দরবারে তুলে ধরেন। তিনি ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলোশীপ’ অর্জন করেন। এর আওতায় তিনি ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ সম্পাদনা করেন। তাঁর মৌলিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘রামায়ণী কথা’, ‘বৃহত্বঙ্গ’, ‘বেহুলা’, ‘সতী’, ‘ফুল্লরা’, ‘জড়ঙরত’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৩৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। 

মৈমনসিংহ গীতিকা

ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব গীতিকা সংগৃহীত হয়েছিল তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ নামে চার খণ্ডে প্রকাশিত হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাংশে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জের বিল, হাওর ও বিভিন্ন নদ-নদী প্লাবিত বিস্তৃত ভাঁটি অঞ্চলে বাংলার শ্রেষ্ঠ গীতিকার যে শতদলগুলো বিকশিত হয়েছিল তাই মৈমনসিংহ গীতিকা’ নামে পরিচিত। 

রোমাঁ রোলাঁ— 

বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ও দার্শনিক রোমাঁ রোলাঁ ১৮৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ‘জা ক্রিস্তফ’ তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। তিনি ১৯১৫ সালে এই উপন্যাসের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৩৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। 

শেকসপিয়র— 

ইংরেজ কবি ও নাট্যকার শেকসপিয়র ২৬ এপ্রিল ১৫৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ও নাট্যকার। তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকীর্তি ‘হ্যামলেট’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘ম্যাকবেথ’ বিয়োগান্ত নাটক হিসেবে বিশ্বনন্দিত। তিনি ২৩ এপ্রিল ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

পুরাতত্ত্ববিদ। যিনি পুরনো দিনের লিপি বা লেখা, মুদ্রা বা ধ্বংসাবশেষ প্রভৃতি থেকে তথ্য নির্ণয় করেন এবং এসবের সময়কাল সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। 

পল্লিসমাজ সংক্রান্ত সাহিত্য হলো পল্লিসাহিত্য। যেখানে স্থান পায় গ্রামবাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য। 

পল্লিসাহিত্যের মূল উপাদান বাংলার সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র। পল্লিসাহিত্যের বিভিন্ন শাখা হলো- পল্লিগান, প্রবাদ, ডাক ও খনার বচন, উপকথা, রূপকথা ইত্যাদি। 

কলা ৱুয়ে না কৈটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত। পিঁড়েয় বসে পেঁড়োর খবর- এগুলো পল্লিসাহিত্যের অংশ। অন্যান্য গানের সঙ্গে পল্লিগানের পার্থক্য হলো, এই গানের সুরে ও কথায় গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবন বিবৃত হয়। পল্লিসাহিত্য টিকিয়ে রাখতে হলে জনসচেতনতা দরকার। জনগণ সচেতন হলে তারা পল্লিসাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হবে। নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করবে। বাংলার পল্লিসাহিত্য অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক উন্নত। অথচ অবহেলা ও অযত্নের কারণে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ‘এবার ফিরাও মোরে’ কবিতাটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । একসময় পাণ্ডুয়া বাংলার রাজধানী ছিল । 

রোমা রোলাঁ ফরাসি সাহিত্যিক ও দার্শনিক, মৈমনসিংহ গীতিকার মদিনা বিবির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন। মনসুর বয়াতি বিখ্যাত পল্লিকবি। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি তিনি রচনা করেন। 

জটিল ও দুরূহ পাঠ সহজীকরণ 

Folklore Society

এই সোসাইটির কাজ হলো বিভিন্ন লোক উপাদান সংগ্রহ করে সেগুলো সংরক্ষণ করা। লোকগান, ছড়া, খেলাধুলা, উৎসব অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানা এবং সেগুলো প্রচার করা। 

● উপকথা

পল্লিসমাজে নানান গল্প চালু আছে, যেগুলোতে বাস্তবতা ও কল্পকথার সংমিশ্রণ থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পল্লিসমাজে এ ধরনের উপকথাগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ছিলেন শিশু সাহিত্যিক। সেই সঙ্গে তিনি লোকগাথা এবং রূপকথাও লিখেছেন। তিনি ১২৮৪ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ হলো ‘ঠাকুরমার ঝুলি। 

খনা এক বিদুষী নারী যিনি জ্যোতির্বিদ্যার পারদর্শী ছিলেন। তিনি বচন রচনায় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আনুমানিক ৮০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। তাঁর বচনগুলো ৪ ভাগে বিভক্ত। যেমন— (ক) কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার, (খ) কৃষিকাজ, ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান (গ) আবহাওয়া জ্ঞান, (ঘ) শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ। 

খনার বচন

খনা কর্তৃক রচিত বচনগুলোই ‘খনার বচন’ নামে পরিচিত। যেমন

“চিনিস বা না চিনিস, খুঁজে দেখে গরু কিনিস।” 

মানুষের অতীত ও বর্তমান অবস্থার বিভিন্ন আলোচনা হলো নৃতত্ত্ব বা নৃবিজ্ঞান। ১৬৪৭ সালে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম এটির ধারণা দেয়। Proleteriat সাহিত্য

খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সাহিত্য। এই সাহিত্য শ্রেণি সচেতনতার কথা বলে মানুষকে অধিকার সচেতন করে। মনসুর বয়াতি 

বাংলা পল্লিসাহিত্যের কবি। তাঁর আবির্ভাব আনুমানিক আঠারো শতকে। মনসুর বয়াতি ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালা রচনা করে বিখ্যাত 

আরো পড়ুনঃ