এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান
এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান
প্রশ্নের শেষে উত্তর দেওয়া আছেঃ
Question 1 (Marks: 5):
-
(ক) অ-ধ্বনি উচ্চারণের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
(Write any five rules of 'অ' sound pronunciation with examples.)
-
(খ) যে-কোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ লেখ: অধ্যক্ষ, ইতোমধ্যে, উদ্যোগ, ঐকতান, কল্যাণ, চর্যাপদ, ধন্যবাদ, পদ্ম।
(Write the correct pronunciation of any five of the following words: Adhyokkho, Itomoddhye, Udyog, Oikotan, Kollyan, Chorjyapôd, Dhônnôbad, Pôdmo.)
Question 2 (Marks: 5):
-
(ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
(Write any five rules of Standard Bengali spelling formulated by Bangla Academy with examples.)
-
(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ: অধ্যায়ন, অপরাহ্ন, আমাবস্যা, গ্রামীন, দন্ডবিদি, প্রতিযোগীতা, বিভিসিকা, রেজিষ্ট্রেশন।
(Correct the spelling of any five of the following words: Adhyayon, Oporahno, Amabosshya, Gramin, Dondobidhi, Protijogita, Bibhisika, Registration.)
Question 3 (Marks: 5):
-
(ক) উদাহরণসহ ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
(Discuss the classification of verbs with examples.)
-
(খ) নিম্নরেখ যে-কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর:
(Identify the grammatical category of any five of the underlined words:)
-
(i) পয়লা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন।
-
(ii) আজ নয় কাল সে আসবেই।
-
(iii) হে বন্ধু, বিদায়।
-
(iv) তুমি যে আমার কবিতা।
-
(v) মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা।
-
(vi) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
-
(vii) আমিন ও সামিন দুই ভাই।
-
(viii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
-
Question 4 (Marks: 5):
-
(ক) বাংলা ভাষায় উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
(Explain the necessity of prefixes in Bengali language.)
-
(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর: কাগজ-কলম, তেপান্তর, নবীনবরণ, মুখচন্দ্র, গণশিক্ষা, বনবাস, সিংহাসন, কাজলকালো।
(Determine the Samas (compound) with Vyasabakya (analytical phrase) for any five of the following words: Kagoj-kolom, Tepanotor, Nobinboron, Mukhchondro, Gonoshikkha, Bonobas, Shinghashon, Kajolkalo.)
Question 5 (Marks: 5):
-
(ক) বাক্যের গঠনগত শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
(Discuss the structural classification of sentences.)
-
(খ) নির্দেশ অনুসারে যে-কোনো পাঁচটি বাক্যান্তর কর:
(Transform any five sentences as per instruction:)
-
(i) জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়। (প্রশ্নবোধক) (Museum gives us joy. (Interrogative))
-
(ii) সর্বদা তার মনে দুঃখ। (বিস্ময়বোধক) (Always sorrow in his mind. (Exclamatory))
-
(iii) তিনি ধনী কিন্তু দাতা নন। (সরল) (He is rich but not generous. (Simple))
-
(iv) সূর্যোদয়ে পদ্ম ফুটে। (জটিল) (Lotus blooms at sunrise. (Complex))
-
(v) তাদের ভুলটা ভাঙতে দেরি হয় না। (অস্তিবাচক) (Their mistake doesn't take long to break. (Affirmative))
-
(vi) কী ভয়ংকর ঘটনা! (নির্দেশাত্মক) (What a terrible incident! (Declarative))
-
(vii) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক) (Man is mortal. (Negative))
-
(viii) জ্ঞানী বলেই তিনি বিনয়ী ছিলেন। (যৌগিক) (He was humble because he was wise. (Compound))
-
Question 6 (Marks: 5):
-
(ক) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগ সংশোধন কর: নিরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান শোনায়। অনুভুতির কান দ্বারা সে গান শুনিতে হবে। তাহলে বুঝতে পারা যাবে জিবনের মানে বৃদ্ধি, ধম্মের মানে ও তাই।
(Correct the misuses in the following paragraph: In silent language, trees sing the song of our success. That song must be heard by the ears of feeling. Then it will be understood that the meaning of life is growth, and the meaning of dharma is also the same.)
-
(খ) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:
(Correct any five of the following sentences:)
-
(i) আমিনা বুদ্ধিমান মেয়ে। (Amina is an intelligent girl.)
-
(ii) সব ছাত্ররা উপস্থিত আছে। (All students are present.)
-
(iii) তিনি স্বপরিবারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত। (He is present at the event with his family.)
-
(iv) সে এ মোকদ্দমায় সাক্ষী দিয়েছে। (He testified in this case.)
-
(v) অশ্রুজলে বুক ভেসে গেল। (The chest was flooded with tears.)
-
(vi) পরবর্তীতে আপনি আবার আসবেন। (You will come again later.)
-
(vii) মাদকাশক্তি ভালো নয়। (Drug addiction is not good.)
-
(viii) সাবধান পূর্বক চলবে। (Will proceed cautiously.)
-
Question 7 (Marks: 10):
-
(ক) যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ: Republic, Eye-wash, Ethics, Global, Home Ministry, File, Legend, National Assembly, Organization, Passport, Pension, Range, Symbol, Sanction, Workshop.
(Write the official/technical term for any ten of the following words: Republic, Eye-wash, Ethics, Global, Home Ministry, File, Legend, National Assembly, Organization, Passport, Pension, Range, Symbol, Sanction, Workshop.)
-
(খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর: Smoking is very harmful. It is expensive too. It pollutes the environment. Those who smoke cannot live long. Smoking causes cancer, heart attack and diseases of the respiratory organs. So everyone should give up smoking.
(Translate the following paragraph into Bengali.)
Question 8 (Marks: 10):
-
(ক) যে কোনো ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের ঘটনা নিয়ে দিনলিপি রচনা কর।
(Write a diary entry about visiting any historical place.)
-
(খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(Write a report on the price hike of daily necessities.)
Question 9 (Marks: 10):
-
(ক) মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ক্ষতিগুলো উল্লেখ করে বন্ধুকে একটি ই-মেইল প্রেরণ কর।
(Send an email to a friend mentioning the harms of mobile phone misuse.)
-
(খ) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
(Write an application for appointment to the post of Assistant Teacher.)
Question 10 (Marks: 10):
-
(ক) সারাংশ লেখ: স্বাধীন হওয়ার জন্য যেমন সাধনার প্রয়োজন হয়, তেমনই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার। সত্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধহীন জাতি যতই চেষ্টা করুক, তাদের আবেদন নিবেদনে ফল হয় না। যে জাতির অধিকাংশ ব্যক্তি মিথ্যাচারী, সেখানে দু-চারজন সত্যনিষ্ঠকে বহু বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু মানুষ জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে সে কষ্ট সহ্য না করে উপায় নেই।
(Write a summary of the following passage: Just as devotion is needed to be free, so truthfulness and righteousness are needed to protect freedom. A nation without respect for truth, no matter how hard it tries, its pleas and offerings yield no results. In a nation where most individuals are liars, a few truthful individuals have to endure much harassment and suffering. But if humanity is to stand tall as a nation, there is no way to avoid this suffering.)
-
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: তুমি অধম-তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
(Expand the idea: You are bad - so why should I not be good?)
Question 11 (Partial, Marks: 10):
-
(ক) লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
(Write a dialogue between two friends about establishing a library.)
-
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর: মাকে সেবা করতে না পারার যন্ত্রণায় দগ্ধ হয় হাসান ……………………………
(Write a short story based on the given prompt: Hasan burns with the pain of not being able to serve his mother...)
It looks like you've provided the final part of the Bengali exam paper. This image shows Question 12, which is an essay writing section.
Question 12 (Marks: 20):
-
যে কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা কর: (Write an essay on any one of the following topics:)
-
(ক) শিষ্টাচারের গুরুত্ব (Importance of Etiquette/Manners)
-
(খ) ইন্টারনেট: বিশ্বের সেতুবন্ধন (Internet: Bridge of the World)
-
(গ) একুশের চেতনা (Spirit of Ekushey)
-
(ঘ) বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প (Tourism Industry of Bangladesh)
-
(ঙ) রোহিঙ্গা সমস্যা ও সমাধান (Rohingya Problem and Solution)
-
প্রশ্ন ও উত্তর
Got it! You've provided a complete set of Bengali language exam questions. I will now give detailed answers to each question as requested.
Question 1 (Marks: 5)
(ক) অ-ধ্বনি উচ্চারণের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
বাংলায় 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ প্রধানত দুই প্রকারের হয়: সংবৃত ('ও'-কারের মতো) এবং বিবৃত ('অ'-কারের মতো)। এখানে 'অ' ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো:
১. আদি 'অ' সংবৃত: শব্দের প্রথম 'অ' ধ্বনির পরে যদি ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ক্ষ, জ্ঞ, য-ফলা, র-ফলা, বা ল-ফলা থাকে, তবে সেই 'অ' সংবৃত বা 'ও'-কারের মতো উচ্চারিত হয়।
* উদাহরণ:
* অতি (ওতি)
* অদূর (ওদুর)
* অক্ষ (ওক্খো)
* প্রত্যয় (প্রোত্ তয়্)
২. মধ্য 'অ' সংবৃত (ই/উ-কারের প্রভাবে): শব্দের মধ্যে থাকা 'অ' ধ্বনির পরে যদি ই-কার বা উ-কার (বা তাদের কার চিহ্ন) থাকে, তবে সেই 'অ' সংবৃত হয়।
* উদাহরণ:
* কঠিন (কোঠিন)
* মধুর (মোধুর)
৩. নঞর্থক 'অ' বিবৃত: নঞর্থক (নেতিবাচক) উপসর্গ 'অ' বা 'অন' যুক্ত শব্দে 'অ' ধ্বনি বিবৃত হয় (অর্থাৎ 'অ' রূপেই উচ্চারিত হয়)।
* উদাহরণ:
* অকাল (অকাল)
* অজানা (অজানা)
৪. যুক্তব্যঞ্জনের পূর্ববর্তী 'অ' বিবৃত: যুক্তব্যঞ্জনের পূর্ববর্তী 'অ' ধ্বনি সাধারণত বিবৃত থাকে, যদি না কোনো বিশেষ নিয়ম থাকে।
* উদাহরণ:
* কলম (কলম)
* জল (জল্)
৫. শব্দের অন্তিম 'অ' সংবৃত: বাংলা শব্দে সাধারণত শব্দের শেষের 'অ' ধ্বনিটি সংবৃত বা 'ও'-কারের মতো উচ্চারিত হয়, যদিও লেখা হয় 'অ'।
* উদাহরণ:
* ফল (ফল্-ও)
* করল (কর্-লো)
(খ) যে-কোনো পাঁচটি শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ লেখ:
-
অধ্যক্ষ: ওদ্ধোক্খো
-
ইতোমধ্যে: ইতোমোদ্ধে
-
উদ্যোগ: উদোগ্
-
ঐকতান: ওইকোতান্
-
কল্যাণ: কোল্-লান
-
চর্যাপদ: চোর্যাপদ
-
ধন্যবাদ: ধোন্ নবাদ্
-
পদ্ম: পোদ্-দো
Question 2 (Marks: 5)
(ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।
বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মাবলী থেকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেওয়া হলো:
১. ই-কার / ঈ-কার ব্যবহার: সকল অতৎসম (তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র) শব্দে কেবল ই-কার (ি) ব্যবহৃত হবে। তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে মূল সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত থাকবে।
* উদাহরণ:
* সঠিক: সরকারি, বিদেশি, পাঞ্জাবি, আরবি, আসামি, দিদি
* ভুল: বিদেশী, পাঞ্জাবী, আরবী, আসামী, দিদী
২. ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান: তৎসম শব্দের বানানে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধানের নিয়ম বজায় থাকবে। তবে, অতৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ (ণ) ও মূর্ধন্য-ষ (ষ) ব্যবহৃত হবে না, কেবল দন্ত্য-ন (ন) ও দন্ত্য-স (স) ব্যবহৃত হবে।
* উদাহরণ:
* তৎসম (সঠিক): কারণ, উষ্ণ, কষ্ট
* অতৎসম (সঠিক): কুরআন, জার্মান, পোশাক, জিনিস
* ভুল: কোরআন, জার্মাণ, পোষাক, জিনিষ
৩. বিসর্গ (ঃ) বর্জন: অ-তৎসম শব্দের শেষে বিসর্গ বর্জনীয়। এছাড়া, অব্যয় পদে (বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হলেও) বিসর্গ ব্যবহৃত হবে না।
* উদাহরণ:
* সঠিক: বিশেষত, কার্যত, প্রধানত, মূলত
* ভুল: বিশেষতঃ, কার্যতঃ, প্রধানতঃ, মূলতঃ
* (তবে, তৎসম শব্দ 'দুঃখ' - এখানে বিসর্গ থাকবে)
৪. রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব বর্জন: তৎসম ও অতৎসম উভয় প্রকার শব্দেই রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।
* উদাহরণ:
* সঠিক: কর্ম, কার্য, সূর্য, অর্চনা
* ভুল: কর্ম্ম, কার্য্য, সূর্য্য, অর্চ্চণা
৫. অনুস্বার (ং) ও ঙ (অ)-এর ব্যবহার: বাংলা শব্দে যেখানে ক-বর্গীয় ধ্বনির আগে ঙ থাকে, সেখানে ঙ বসবে। অন্যথায় অনুস্বার (ং) বসবে। বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা হবে।
* উদাহরণ:
* সঠিক: রং, বাংলা, সঙ্গ, ইংলিশ
* ভুল: রঙ্গ, বাঙলা, সঙ্ঘ
(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:
-
অধ্যায়ন: অধ্যয়ন
-
অপরাহ্ন: অপরাহ্ণ
-
আমাবস্যা: অমাবস্যা
-
গ্রামীন: গ্রামীণ
-
দন্ডবিদি: দণ্ডবিধি
-
প্রতিযোগীতা: প্রতিযোগিতা
-
বিভিসিকা: বিভীষিকা
-
রেজিষ্ট্রেশন: রেজিস্ট্রেশন
Question 3 (Marks: 5)
(ক) উদাহরণসহ ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
যে পদ দ্বারা কোনো কিছু করা, ঘটা বা কোনো কাজ সম্পন্ন হওয়া বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। এটি বাক্যের অপরিহার্য অংশ এবং বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে।
ক্রিয়া পদকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো:
১. কর্ম অনুসারে ক্রিয়াপদ:
* **সকর্মক ক্রিয়া:** যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। 'কী' বা 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া যায়, তবে তা সকর্মক ক্রিয়া।
* **উদাহরণ:** আমি **ভাত খাই**। (কী খাই? – ভাত)
* সে **বই পড়ছে**। (কী পড়ছে? – বই)
* **অকর্মক ক্রিয়া:** যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।
* ** উদাহরণ:** ছেলেটি **ঘুমায়**।
* পাখি **উড়ছে**।
* **দ্বিকর্মক ক্রিয়া:** যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে (একটি মুখ্য কর্ম ও একটি গৌণ কর্ম), তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। সাধারণত ব্যক্তিবাচক কর্ম গৌণ কর্ম এবং বস্তুবোচক কর্ম মুখ্য কর্ম হয়।
* **উদাহরণ:** মা **শিশুকে চাঁদ দেখালেন**। (কাকে দেখালেন? – শিশুকে; কী দেখালেন? – চাঁদ)
* শিক্ষক **ছাত্রদের ব্যাকরণ শেখাচ্ছেন**। (কাকে শেখাচ্ছেন? – ছাত্রদের; কী শেখাচ্ছেন? – ব্যাকরণ)
২. গঠন অনুসারে ক্রিয়াপদ:
* **মৌলিক ক্রিয়া (একক ক্রিয়া):** যে ক্রিয়াকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। এটি ধাতু থেকে গঠিত হয়।
* **উদাহরণ:** সে **যায়**, আমি **করি**, তুমি **পড়**।
* **সাধিত ক্রিয়া:** একাধিক অংশ দ্বারা গঠিত ক্রিয়াকে সাধিত ক্রিয়া বলে। এটি মূলত দুটি উপায়ে গঠিত হতে পারে:
* **নামধাতু থেকে গঠিত ক্রিয়া:** বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকরণ অব্যয়ের সঙ্গে 'আ' প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে নামধাতু বলে এবং তার থেকে গঠিত ক্রিয়াকে নামধাতু থেকে গঠিত ক্রিয়া বলে।
* **উদাহরণ:** আমি তোমাকে **বেতাচ্ছি** (বেত + আ)।
* ছেলেটি **ঘুমাচ্ছে** (ঘুম + আ)।
* **প্রযোজক ক্রিয়া:** কর্তা যখন নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে কাজ করায়, তখন সেই ক্রিয়াকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।
* **উদাহরণ:** মা **শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন**। (মা নিজে দেখছেন না, শিশুকে দেখাচ্ছেন)
* শিক্ষক **ছাত্রদের পড়াচ্ছেন**।
* **যৌগিক ক্রিয়া (মিশ্র ক্রিয়া):** বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বনাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কৃদন্ত বা সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। এই ক্রিয়ায় দুইটি ক্রিয়াপদ থাকে, যার একটি সমাপিকা ও অন্যটি অসমাপিকা।
* **উদাহরণ:** সে **কাজটা করে ফেলল**। (করে – অসমাপিকা, ফেলল – সমাপিকা)
* তার কথা **শুনে রাখো**।
৩. ভাব অনুসারে ক্রিয়াপদ:
* **সমাপিকা ক্রিয়া:** যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করে এবং বক্তার মনোভাব পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ করে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
* **উদাহরণ:** আমি **ভাত খাই**।
* সে **স্কুলে যায়**।
* **অসমাপিকা ক্রিয়া:** যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করতে পারে না এবং আরও কিছু শোনার বা বলার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। এই ক্রিয়া সাধারণত 'ইয়া', 'ইলে', 'ইলে', 'লে', 'তে' ইত্যাদি প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়।
* **উদাহরণ:** আমি **ভাত খেয়ে** বাজারে যাব। (খেয়ে – অসমাপিকা)
* সে **বই পড়ে** ঘুমাল। (পড়ে – অসমাপিকা)
(খ) নিম্নরেখ যে-কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্দেশ কর:
(i) পয়লা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন।
* বাঙালির: বিশেষ্য (জাতিবাচক বিশেষ্য / সম্বন্ধবাচক পদ)
(ii) আজ নয় কাল সে আসবেই।
* নয়: অব্যয় (নঞর্থক অব্যয়)
(iii) হে বন্ধু, বিদায়।
* হে: অব্যয় (সম্বোধনবাচক অব্যয়)
(iv) তুমি যে আমার কবিতা।
* কবিতা: বিশেষ্য (সাধারণ বিশেষ্য)
(v) মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা।
* গরব: বিশেষ্য (গুণবাচক বিশেষ্য)
(vi) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
* দুঃখ: বিশেষ্য (গুণবাচক বিশেষ্য / ভাববাচক বিশেষ্য)
(vii) আমিন ও সামিন দুই ভাই।
* ও: অব্যয় (সংযোজক অব্যয়)
(viii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
* মিছিল: বিশেষ্য (সমষ্টিবাচক বিশেষ্য)
Question 4 (Marks: 5)
(ক) বাংলা ভাষায় উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উপসর্গ হলো কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা ধাতু বা নামপদের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে এবং শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন ঘটায়। উপসর্গের নিজস্ব কোনো স্বাধীন অর্থ নেই, কিন্তু শব্দের আগে যুক্ত হলে এরা অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা:
বাংলা ভাষায় উপসর্গের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এর প্রধান কারণগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. নতুন শব্দ গঠন: উপসর্গ বাংলা শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার একটি অন্যতম প্রধান উপায়। একই মূল শব্দের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যুক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন অর্থের নতুন শব্দ তৈরি করা যায়। এটি ভাষার গতিশীলতা বাড়ায় এবং নতুন নতুন ধারণা প্রকাশের সুযোগ করে দেয়।
* উদাহরণ: 'হার' একটি শব্দ যার অর্থ পরাজয় বা গলার হার। এর সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যোগ করে ভিন্ন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয়:
* আ-হার (খাওয়া)
* প্র-হার (মার)
* বি-হার (ভ্রমণ)
* উপ-হার (ভেট)
* পরি-হার (ত্যাগ)
২. শব্দের অর্থের পরিবর্তন: উপসর্গ শব্দের মূল অর্থকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে একটি নতুন বা বিপরীত অর্থ দান করতে পারে।
* উদাহরণ: 'পূর্ণ' শব্দের অর্থ 'ভরা'। কিন্তু 'পরি' উপসর্গ যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ (সম্পূর্ণ ভরা); 'দান' শব্দের অর্থ 'দেওয়া'। 'প্র' উপসর্গ যোগ করে প্রধান (মুখ্য)।
৩. শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ: কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গ শব্দের মূল অর্থকে আরও বিস্তৃত বা প্রসারিত করে।
* উদাহরণ: 'জ্ঞান' শব্দের অর্থ 'জানা'। 'বি' উপসর্গ যুক্ত হয়ে বিজ্ঞান (বিশেষ জ্ঞান বা বিশেষরূপে জানা) অর্থ প্রকাশ করে।
৪. শব্দের অর্থের সংকোচন: আবার কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ শব্দের অর্থকে সংকুচিত বা সুনির্দিষ্ট করে।
* উদাহরণ: 'কাল' শব্দের অর্থ 'সময়'। 'সু' উপসর্গ যুক্ত হয়ে সুসময় (ভালো সময়) অর্থ প্রকাশ করে।
৫. বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও প্রকাশভঙ্গির বৈচিত্র্য: উপসর্গের প্রয়োগ বাক্যে শ্রুতিমাধুর্য ও অর্থের গভীরতা বাড়ায়। এটি ভাষার প্রকাশভঙ্গিকে আরও সুনির্দিষ্ট, কার্যকর ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে, যা সাহিত্যের সৌন্দর্য এবং ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সংক্ষেপে, উপসর্গ বাংলা ভাষার শব্দভান্ডারকে অগণিত নতুন শব্দ দিয়ে সমৃদ্ধ করে, শব্দের অর্থের বহুমুখিতা আনে এবং ভাষার প্রকাশভঙ্গিকে আরও কার্যকর ও সুন্দর করে তোলে। এটি ভাষার প্রাণবন্ততা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর:
এখানে প্রদত্ত সকল শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করা হলো:
১. কাগজ-কলম
* ব্যাসবাক্য: কাগজ ও কলম
* সমাস: দ্বন্দ্ব সমাস
২. তেপান্তর
* ব্যাসবাক্য: তিন প্রান্তরের সমাহার
* সমাস: দ্বিগু সমাস
৩. নবীনবরণ
* ব্যাসবাক্য: নবীনকে বরণ
* সমাস: চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস (বা সম্প্রদান তৎপুরুষ সমাস)
৪. মুখচন্দ্র
* ব্যাসবাক্য: মুখ চন্দ্রের ন্যায় (সুন্দর)
* সমাস: উপমান কর্মধারয় সমাস (অথবা মুখরূপ চন্দ্র - রূপক কর্মধারয় সমাস)
৫. গণশিক্ষা
* ব্যাসবাক্য: গণ (সাধারণ মানুষ) এর শিক্ষা
* সমাস: ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
৬. বনবাস
* ব্যাসবাক্য: বনে বাস
* সমাস: সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস
৭. সিংহাসন
* ব্যাসবাক্য: সিংহ চিহ্নিত আসন
* সমাস: মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
৮. কাজলকালো
* ব্যাসবাক্য: কাজলের ন্যায় কালো
* সমাস: উপমান কর্মধারয় সমাস
Question 5 (Marks: 5)
(ক) বাক্যের গঠনগত শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
গঠনগতভাবে বাক্যকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: সরল বাক্য, জটিল বাক্য (বা মিশ্র বাক্য) এবং যৌগিক বাক্য।
১. সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া এবং একটি মাত্র কর্তা থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। এটি একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে।
* উদাহরণ:
* ছেলেটি বই পড়ে।
* বৃষ্টি হচ্ছে।
* সে প্রতিদিন স্কুলে যায়।
২. জটিল বাক্য (মিশ্র বাক্য): যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে যুক্ত থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। অপ্রধান খণ্ডবাক্যগুলো সাধারণত 'যে', 'যিনি', 'যা', 'যখন', 'যদি', 'যদিও' ইত্যাদি সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয় দিয়ে শুরু হয়।
* উদাহরণ:
* যে কঠোর পরিশ্রম করে, সে জীবনে সফল হয়।
* যখন বিপদ আসে, তখন বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়।
* যদিও সে গরিব, তবুও সে সৎ।
৩. যৌগিক বাক্য: দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য যখন সংযোজক অব্যয় (যেমন: 'এবং', 'ও', 'আর', 'অথবা', 'কিংবা', 'কিন্তু', 'তবু', 'সুতরাং', 'অতএব', 'নতুবা' ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করে, তাকে যৌগিক বাক্য বলে। এই বাক্যগুলোর প্রতিটি অংশই স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে পারে।
* উদাহরণ:
* সে গরিব, কিন্তু সৎ।
* আমি বাড়ি যাব, এবং সেখানে পড়াশোনা করব।
* সে অসুস্থ, সুতরাং আজ স্কুলে আসবে না।
(খ) নির্দেশ অনুসারে যে-কোনো পাঁচটি বাক্যান্তর কর:
(i) জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়। (প্রশ্নবোধক)
* জাদুঘর কি আমাদের আনন্দ দেয়?
(ii) সর্বদা তার মনে দুঃখ। (বিস্ময়বোধক)
* সর্বদা কী দুঃখ তার মনে!
(iii) তিনি ধনী কিন্তু দাতা নন। (সরল)
* তিনি ধনী হলেও দাতা নন।
(iv) সূর্যোদয়ে পদ্ম ফুটে। (জটিল)
* যখন সূর্যোদয় হয়, তখন পদ্ম ফোটে।
(v) তাদের ভুলটা ভাঙতে দেরি হয় না। (অস্তিবাচক)
* তাদের ভুলটা দ্রুত ভাঙে।
(vi) কী ভয়ংকর ঘটনা! (নির্দেশাত্মক)
* ঘটনাটি খুব ভয়ংকর।
(vii) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
* মানুষ অমরণশীল নয়। (বা, মানুষ অমর নয়।)
(viii) জ্ঞানী বলেই তিনি বিনয়ী ছিলেন। (যৌগিক)
* তিনি জ্ঞানী ছিলেন এবং তাই বিনয়ী ছিলেন।
Question 6 (Marks: 5)
(ক) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগ সংশোধন কর:
অশুদ্ধ অনুচ্ছেদ: নিরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান শোনায়। অনুভুতির কান দ্বারা সে গান শুনিতে হবে। তাহলে বুঝতে পারা যাবে জিবনের মানে বৃদ্ধি, ধম্মের মানে ও তাই।
শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:
নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান শোনায়। অনুভূতির কান দ্বারা সে গান শুনতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই।
(খ) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:
(i) আমিনা বুদ্ধিমান মেয়ে।
* আমিনা বুদ্ধিমতী মেয়ে।
(ii) সব ছাত্ররা উপস্থিত আছে।
* সব ছাত্র উপস্থিত আছে। (বা, সকল ছাত্র উপস্থিত আছে।)
(iii) তিনি স্বপরিবারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত।
* তিনি সপরিবারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত।
(iv) সে এ মোকদ্দমায় সাক্ষী দিয়েছে।
* সে এ মোকদ্দমায় সাক্ষ্য দিয়েছে।
(v) অশ্রুজলে বুক ভেসে গেল।
* অশ্রুতে বুক ভেসে গেল। (বা, অশ্রুজলে বাক্যটি প্রচলিত হলেও 'অশ্রু' মানেই জল, তাই 'অশ্রুতে' অধিক শুদ্ধ।)
(vi) পরবর্তীতে আপনি আবার আসবেন।
* পরে আপনি আবার আসবেন। (বা, পরবর্তীতে আপনি আবার আসবেন - এটি এখন প্রচলিত, তবে প্রথমটি অধিক শুদ্ধ।)
(vii) মাদকাশক্তি ভালো নয়।
* মাদকাসক্তি ভালো নয়।
(viii) সাবধান পূর্বক চলবে।
* সাবধানে চলবে। (বা, সাবধানতার সাথে চলবে।)
Question 7 (Marks: 10)
(ক) যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ:
-
Republic: প্রজাতন্ত্র
-
Eye-wash: লোকদেখানো/চোখে ধুলো
-
Ethics: নীতিশাস্ত্র/নীতিবিদ্যা
-
Global: বৈশ্বিক
-
Home Ministry: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
-
File: নথি
-
Legend: কিংবদন্তি
-
National Assembly: জাতীয় সংসদ
-
Organization: সংস্থা
-
Passport: ছাড়পত্র/পাসপোর্ট
-
Pension: অবসরভাতা
-
Range: সীমা/পাল্লা
-
Symbol: প্রতীক
-
Sanction: অনুমোদন/মঞ্জুরি/নিষেধাজ্ঞা
-
Workshop: কর্মশালা
(খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর:
ইংরেজি অনুচ্ছেদ: Bangladesh is the land of our birth. The blue sky and the fresh air of this land are very dear to us. It is our duty to build up our dear Bangladesh. It is our sacred duty. If we do our respective duties, then only our country will make progress.
বাংলা অনুবাদ:
বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি। এই দেশের নীল আকাশ আর নির্মল বাতাস আমাদের কাছে খুব প্রিয়। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য। এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। যদি আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি, তবেই আমাদের দেশের উন্নতি হবে।1
Question 8 (Marks: 10)2
(ক) যে কোনো ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের ঘটনা নিয়ে দিনলিপি রচনা কর।3
দিনলিপি: মহাস্থানগড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা4
তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫5
সময়: রাত ১০:০০6টা
আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে আমরা বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সকাল ৭টায় আমাদের বাস কলেজের গেট থেকে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ যাত্রাপথে বন্ধুদের সাথে গান আর আড্ডায় সময়টা ভালোই কাটছিল।
বেলা ১১টা নাগাদ আমরা মহাস্থানগড়ে পৌঁছাই। বাস থেকে নেমেই যেন ইতিহাসের এক প্রাচীন পাতায় পা রাখলাম। চারদিকে কেবল প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ আর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ছড়াছড়ি। প্রথমেই আমরা জাদুঘরে প্রবেশ করলাম। সেখানে মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন যুগের মুদ্রা, শিলালিপি, পোড়ামাটির ফলক, মূর্তি এবং অন্যান্য প্রত্নবস্তু দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শিক্ষক আমাদের প্রতিটি জিনিসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছিলেন, যা দেখে আমার মনে হচ্ছিল যেন হাজার হাজার বছর আগের সভ্যতা চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
এরপর আমরা মূল প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাগুলো ঘুরে দেখলাম। গোকুল মেধ (বেহুলার বাসরঘর), মহাস্থানগড় দুর্গ, শুঁড়ঙ্গ পথ, কালীদহের ঘাট—প্রতিটি স্থানই যেন নিজস্ব গল্প বলছিল। বিশেষ করে দুর্গপ্রাচীর এবং এর বিশালতা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছিলাম এই স্থানে কীভাবে একসময় সমৃদ্ধ এক জনপদ গড়ে উঠেছিল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত, মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করত। সেই প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষগুলো আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বিকেলের দিকে সূর্য যখন অস্ত যাচ্ছিল, তখন মহাস্থানগড়ের পরিবেশে এক অদ্ভুত মায়াময়তা নেমে আসে। সেই দৃশ্য চিরকাল আমার মনে গেঁথে থাকবে। ইতিহাসের পাতায় পড়া বিষয়গুলো যখন বাস্তবতার সাথে মিশে যায়, তখন তার আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়। এই ভ্রমণ কেবল বিনোদনমূলক ছিল না, এটি আমার ঐতিহাসিক জ্ঞানকেও সমৃদ্ধ করেছে। নতুন কিছু শেখার এবং প্রাচীন সভ্যতার সাথে পরিচিত হওয়ার এক অসাধারণ সুযোগ ছিল এটি। রাত ৮টায় ফিরে এলাম, কিন্তু মহাস্থানগড়ের স্মৃতি আজও আমার মনকে আবিষ্ট করে রেখেছে।
(খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
প্রতিবেদন
শিরোনাম: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব
প্রতিবেদকের নাম: [আপনার নাম/ক, খ, গ]
তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫
স্থান: চট্টগ্রাম
ভূমিকা:
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এক চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, সবজি থেকে শুরু করে প্রতিটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণসমূহ:
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করা যায়:
১. সরবরাহ সংকট ও সিন্ডিকেট: অনেক সময় কৃত্রিমভাবে সরবরাহ সংকট তৈরি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখানো হয়।
২. উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি: কৃষি উৎপাদন ও শিল্প পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি (যেমন: সার, বীজ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি) পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৩. পরিবহন খরচ বৃদ্ধি: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের খুচরা মূল্যও বৃদ্ধি পায়।
৪. আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব: বিশ্ববাজারে কাঁচামাল বা আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাড়লে তার প্রভাব দেশীয় বাজারেও পড়ে।
৫. বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ: অতিবৃষ্টি, বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হলে বা উৎপাদন ব্যাহত হলে বাজারে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে।
৬. নিয়ম-নীতির দুর্বলতা ও তদারকির অভাব: সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির সুযোগ করে দেয়।
৭. মুদ্রাস্ফীতি: টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়াও মূল্যবৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ।
জনজীবনে প্রভাব:
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে:
-
খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত: নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে পুষ্টিকর খাবার কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
-
স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা।
-
শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে প্রভাব: নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পেছনে বেশি খরচ করতে গিয়ে মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনোদনসহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
-
অর্থনৈতিক চাপ: সীমিত আয়ের মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে, ফলে তাদের সঞ্চয় কমে যাচ্ছে এবং অনেকেই ঋণগ্রস্ত হচ্ছে।
-
সামাজিক অস্থিরতা: দীর্ঘমেয়াদী মূল্যবৃদ্ধি সমাজে অসন্তোষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিকার ও সুপারিশ:
এই সমস্যা মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
-
বাজার তদারকি জোরদার: নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ: অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনে পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা।
-
কৃষি খাতে ভর্তুকি: কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে সার, বীজ ও বিদ্যুৎসহ কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখা।
-
জ্বালানি তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখা: পরিবহন খরচ নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা।
-
জনসচেতনতা বৃদ্ধি: সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা।
উপসংহার:
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি জাতীয় সমস্যা, যা সমাধানের জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাসমাজ – সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করা সম্ভব।
Question 9 (Marks: 10)
(ক) মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ক্ষতিগুলো উল্লেখ করে বন্ধুকে একটি ই-মেইল প্রেরণ কর।
বিষয়: মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে কিছু জরুরি কথা
প্রিয় [বন্ধুর নাম],
কেমন আছিস? আশা করি ভালো আছিস। আজ তোকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য ইমেইল করছি, যেটা আজকাল আমাদের সবার জন্যই খুব প্রাসঙ্গিক। সেটা হলো মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো।
আমরা জানি, মোবাইল ফোন যোগাযোগ এবং তথ্য পাওয়ার জন্য দারুণ একটি সহায়ক যন্ত্র। কিন্তু ইদানীং এর অপব্যবহার এতটাই বেড়েছে যে, মনে হয় সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে।
প্রথমত, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখ ব্যথা হয়, ঘুম কমে যায়, এবং মানসিক চাপ বাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানোয় পড়াশোনা বা কাজের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এটি সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট করছে। দেখবি, এখন আমরা সামনাসামনি বসেও একজন আরেকজনের সাথে কথা না বলে ফোনে ব্যস্ত থাকি। এতে পারিবারিক বন্ধন ও বন্ধুদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয়ত, মোবাইলের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ ও ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে। ফিশিং, হ্যাকিং, বা গুজব ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটছে, যা আমাদের নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি নষ্ট করে।
সবচেয়ে বড় কথা, এটি আমাদের সময় এবং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে। পরীক্ষার আগে দেখবি, বন্ধুদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বা গেমে এত বেশি সময় নষ্ট করে যে, পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না।
আমার মনে হয়, আমাদের সবারই মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া দরকার। নিজের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া ভালো, যখন ফোন ব্যবহার করব না। পড়াশোনার সময় ফোন দূরে রাখা, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা - এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলোই অনেক কাজে দেবে।
তুই কী ভাবছিস এই ব্যাপারে? তোর মতামত জানাস।
ভালো থাকিস।
শুভেচ্ছান্তে,
[তোমার নাম]
[তোমার ইমেইল ঠিকানা]
(খ) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক/সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদ
[বিদ্যালয়ের নাম]
[বিদ্যালয়ের ঠিকানা, যেমন: চট্টগ্রাম]
বিষয়: সহকারী শিক্ষক (বাংলা/ইংরেজি/গণিত - আপনার বিষয় উল্লেখ করুন) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, গত [তারিখ] তারিখে [সংবাদপত্র/ওয়েবসাইট-এর নাম] পত্রিকায় প্রকাশিত আপনার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা/ইংরেজি/গণিত) পদের শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে আমি উক্ত পদে আমার প্রার্থীতা পেশ করছি। আমি উক্ত পদের জন্য একজন আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।
আমি [আপনার নাম]। আমি [বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের নাম] থেকে [আপনার বিষয়] বিষয়ে [স্নাতক/স্নাতকোত্তর] ডিগ্রি অর্জন করেছি। [যদি থাকে: আমি [প্রতিষ্ঠানের নাম] থেকে [বিষয়] বিষয়ে [ডিগ্রি/ডিপ্লোমা] সম্পন্ন করেছি।] শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি এই আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করা হলো।
আমি মনে করি, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) এবং শিক্ষকতার প্রতি গভীর আগ্রহ আমাকে এই পদের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। আমি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে সহায়তা করতে এবং তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে আমি সাধ্যমতো অবদান রাখতে পারব।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার উপর সদয় বিবেচনাপূর্বক আমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দানে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক,
[আপনার পূর্ণ নাম]
পিতা: [পিতার নাম]
মাতা: [মাতার নাম]
স্থায়ী ঠিকানা: [গ্রাম/মহল্লা], [উপজেলা/থানা], [জেলা]
যোগাযোগের নম্বর: [আপনার ফোন নম্বর]
ই-মেইল: [আপনার ই-মেইল ঠিকানা]
সংযুক্তি:
-
পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (CV)
-
সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি
-
জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি
-
চারিত্রিক সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি
-
পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি (২ কপি)
Question 10 (Marks: 10)
(ক) সারাংশ লেখ:
মূল অনুচ্ছেদ:
স্বাধীন হওয়ার জন্য যেমন সাধনার প্রয়োজন হয়, তেমনই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার। সত্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধহীন জাতি যতই চেষ্টা করুক, তাদের আবেদন নিবেদনে ফল হয় না। যে জাতির অধিকাংশ ব্যক্তি মিথ্যাচারী, সেখানে দু-চারজন সত্যনিষ্ঠকে বহু বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু মানুষ জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে সে কষ্ট সহ্য না করে উপায় নেই।
সারাংশ:
স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষার জন্য সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতা অপরিহার্য। মিথ্যাচারী জাতি কখনোই উন্নতির মুখ দেখে না। যে সমাজে মিথ্যাচার প্রবল, সেখানে সত্যবাদীদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। তবে, জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইলে এই কষ্ট স্বীকার করে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা অপরিহার্য।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: তুমি অধম-তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
ভাব-সম্প্রসারণ:
"তুমি অধম-তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?" - এই উক্তিটি মানবীয় আচরণ ও নৈতিকতার এক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে। এর মূল অর্থ হলো, কোনো ব্যক্তি যদি নিম্নমানের বা মন্দ আচরণ করে, তার মানে এই নয় যে আমাকেও তার মতো অধম হতে হবে। বরং, এমন পরিস্থিতিতে আমার উচিত নিজের উত্তম চরিত্র ও নৈতিক আদর্শ বজায় রাখা।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বাস করে, যাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনা ভিন্ন হয়। কিছু মানুষ সংকীর্ণমনা, স্বার্থপর, ঈর্ষাপরায়ণ বা অসৎ হতে পারে। তাদের মন্দ আচরণ দেখে আমাদের মনে প্রতিশোধপরায়ণতা বা ঘৃণা জন্ম নেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই উক্তিটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যের মন্দ কাজ দেখে প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। কেউ যদি অমানবীয় আচরণ করে, তার প্রত্যুত্তরে যদি আমরাও একই ধরনের আচরণ করি, তাহলে আমাদের নিজেদের নৈতিক মান নেমে যায়। এতে সমাজের সামগ্রিক অধঃপতন ঘটে।
উত্তম চরিত্র এবং সুব্যবহার কেবল ব্যক্তিগত গুণই নয়, এটি একটি সামাজিক দায়িত্ব। আমাদের উচিত নিজেদের নৈতিক আদর্শে অটল থাকা, অন্যের মন্দ আচরণকে নিজেদের মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ না করা। বরং, নিজের সততা, উদারতা ও সহনশীলতা দিয়ে অন্যের মন্দতাকে পরাজিত করার চেষ্টা করাই প্রকৃত মহত্ত্ব। এর মাধ্যমে আমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি এবং নিজেকে একজন উন্নত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। এই নীতি ব্যক্তি ও সমাজ উভয়কেই উন্নত করার প্রেরণা যোগায়। কারণ, একজন আদর্শবান ব্যক্তি তাঁর চারপাশের পরিবেশকেও প্রভাবিত করতে পারেন এবং মন্দকে ভালোতে রূপান্তরিত করার শক্তি রাখেন।
Question 11 (Marks: 10)
(ক) লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
সংলাপ: লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার ভাবনা
অমিত: কিরে রাহুল, আজকাল দেখি তোর হাতে সবসময় বই থাকে? কী ব্যাপার, হঠাৎ এত বইপ্রেমী হয়ে গেলি?
রাহুল: হ্যাঁ রে অমিত, ইদানীং বই পড়ার প্রতি একটা টান অনুভব করছি। আর যখন পড়ছি, তখন এর গুরুত্বটা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছি আমাদের এলাকায় একটা ভালো লাইব্রেরির কত প্রয়োজন!
অমিত: লাইব্রেরি? সেটা আবার কেন? এখন তো সবই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়।
** রাহুল:** সব কিছু ইন্টারনেটে পাওয়া গেলেও বই পড়ার অভিজ্ঞতাটা কিন্তু অন্যরকম। আর সবার পক্ষে তো সব বই কিনে পড়া সম্ভব নয়, তাই না? একটা লাইব্রেরি থাকলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে গরিব শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বা কম খরচে বই পড়ার সুযোগ পাবে।
অমিত: হুম, কথাটা মন্দ বলিসনি। আমাদের এলাকায় তো একটাও ভালো লাইব্রেরি নেই। লাইব্রেরি থাকলে ছেলেমেয়েরা স্মার্টফোন আর গেমের পেছনে সময় নষ্ট না করে বই পড়তে উৎসাহিত হবে। তাতে পড়ার অভ্যাসও গড়ে উঠবে।
রাহুল: ঠিক তাই। লাইব্রেরি শুধু বই পড়ার জায়গাই নয়, এটা একটা জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। এখানে মানুষ এসে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে, নতুন কিছু শিখতে পারবে। লাইব্রেরিতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাও রাখা যেতে পারে, যাতে সবাই সমসাময়িক বিষয়ে জ্ঞান রাখতে পারে।
অমিত: কিন্তু একটা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা তো সহজ কাজ নয়। অনেক টাকা লাগবে, জায়গার প্রয়োজন হবে।
রাহুল: জানি, কাজটা কঠিন। তবে আমরা যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি, তাহলে হয়তো সম্ভব। প্রথমে আমাদের একটা কমিটি গঠন করা উচিত। তারপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি এবং বইপ্রেমীদের সাথে আলোচনা করতে পারি। একটা ছোট পরিসরে শুরু করা যেতে পারে, তারপর ধীরে ধীরে বড় করা যাবে।
অমিত: আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ! আমি তোর সাথে আছি। চল, আজই কয়েকজন বন্ধুর সাথে বসে একটা প্রাথমিক পরিকল্পনা করি। আমাদের এই স্বপ্নটা যদি সত্যি হয়, তাহলে সমাজের অনেক বড় একটা উপকার হবে।
রাহুল: সেটাই তো! একটা লাইব্রেরি শুধু একটি ভবন নয়, এটা জ্ঞানের আলো ছড়ানোর এক কেন্দ্র। চল, আজ থেকেই শুরু করি।
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর: মাকে সেবা করতে না পারার যন্ত্রণায় দগ্ধ হয় হাসান ……………………………
স্বনির্ভরতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি
গ্রামের একমাত্র ভরসা ছিল হাসান। তার বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের অসুস্থ শরীর আর ছোট দুই বোনের দায়িত্ব এসে পড়েছিল কাঁধে। পড়াশোনায় ভালো হলেও, টাকার অভাবে আর এগোতে পারেনি। দিনমজুরি করে যা রোজগার করত, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। মায়ের মুখে ভালো খাবার তুলে দেওয়া বা চিকিৎসার জন্য টাকা জমানো তার পক্ষে সম্ভব হতো না। প্রতি রাতে যখন মায়ের কাশি আর ব্যথার শব্দ শুনত, হাসানের বুকটা মোচড় দিয়ে উঠত। মাকে সেবা করতে না পারার যন্ত্রণায় দগ্ধ হতো হাসান, যেন আগুন লেগেছে তার ভেতরে।
একদিন শহরে এক আত্মীয়ের কাছে খবর পেল, সেখানে ভালো বেতনে কাজের সুযোগ আছে। মায়ের অসুস্থতার কথা ভেবে হাসান স্থির করল, তাকে শহরে যেতেই হবে। চোখের জল ফেলে মাকে রেখে সে পাড়ি জমাল শহরের উদ্দেশে। প্রথম কয়েকটা মাস খুব কষ্টে কাটল। দিনের পর দিন না খেয়েও কাজ করে যেত সে। একটাই স্বপ্ন দেখত – একদিন অনেক টাকা রোজগার করে মায়ের উন্নত চিকিৎসা করাবে, বোনদের মুখে হাসি ফোটাবে।
প্রায় দু'বছর পর, যখন হাসান ভালো একটা কাজ জোগাড় করে টাকা পাঠাতে শুরু করল, তখন তার মনে কিছুটা শান্তি এলো। প্রতি মাসেই সে মায়ের জন্য টাকা পাঠাত, খোঁজ নিত। কিন্তু কাজের চাপে আর গ্রামের পথঘাটের জটিলতার কারণে মায়ের কাছে যেতে পারত না।
একদিন মাঝরাতে বোনের ফোন এলো। “ভাইয়া, মা আর নেই!” কথাটা শুনে হাসানের পৃথিবীটা যেন থমকে গেল। ফোনটা হাতে নিয়েই সে বসে পড়ল। তার মনে হতে লাগল, সে এত কীসের জন্য কষ্ট করল? মায়ের সেবা করবে বলে শহরে এসেছিল, টাকা রোজগার করল, কিন্তু মা চলে গেলেন। মা যে শেষ সময়ে তার পাশে থাকতে চেয়েছিলেন, সেই আকাঙ্ক্ষা সে পূরণ করতে পারল না।
হাসান ছুটে গ্রামে ফিরে এলো, কিন্তু মায়ের নিষ্প্রাণ দেহের দিকে তাকিয়ে তার মনে হলো, তার সমস্ত অর্জন বৃথা। মায়ের শেষ নিঃশ্বাস ফেলার সময় সে পাশে ছিল না। আজ তার কাছে টাকা আছে, কিন্তু তার মা নেই। সেইদিন থেকে মাকে সেবা করতে না পারার যন্ত্রণায় দগ্ধ হয় হাসান। এই যন্ত্রণা তাকে সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে, এক অমলিন ক্ষত হয়ে বুকে বিঁধে থাকবে।
Question 12 (Marks: 20)
যে কোনো একটি বিষয় অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা কর: (খ) ইন্টারনেট: বিশ্বের সেতুবন্ধন
ইন্টারনেট: বিশ্বের সেতুবন্ধন
ভূমিকা:
একবিংশ শতাব্দী জ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, আর এই যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী আবিষ্কারগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নয়, এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, যা বিশ্বকে এক বৃহৎ গ্রামে পরিণত করেছে। এটি ভৌগোলিক দূরত্ব ঘুচিয়ে মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে, যা আক্ষরিক অর্থেই 'বিশ্বের সেতুবন্ধন' হিসেবে কাজ করছে।
ইন্টারনেট কী?
ইন্টারনেট হলো বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, যা তথ্য আদান-প্রদান এবং যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহার করে। এটি এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা ব্যবহারকারী যেকোনো তথ্য বা সেবায় প্রবেশ করতে পারে এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
ইন্টারনেট যেভাবে বিশ্বের সেতুবন্ধন:
১. যোগাযোগের মাধ্যম: ইন্টারনেট ব্যক্তিগত ও পেশাগত যোগাযোগকে সহজ করে দিয়েছে। ই-মেইল, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ভিডিও কলিং এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ইত্যাদি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মীরা এখন মুহূর্তের মধ্যেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, যা ভৌগোলিক দূরত্বকে অর্থহীন করে তুলেছে।
২. তথ্য ও জ্ঞানের উৎস: ইন্টারনেট জ্ঞানের এক বিশাল ভাণ্ডার। গুগল, উইকিপিডিয়া, অনলাইন লাইব্রেরি এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট যেকোনো তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করেছে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স করতে পারছে, গবেষকরা সহজে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে এবং সাধারণ মানুষ যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। এর ফলে জ্ঞানের আদান-প্রদান অবাধ হয়েছে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়তা করছে।
৩. অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য: ইন্টারনেট বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন, আলিবাবা, দারাজ ইত্যাদি ছোট-বড় সব ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অনলাইন ব্যাংকিং ও ডিজিটাল লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাকে গতিশীল করেছে।
৪. শিক্ষা ও গবেষণা: অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবিনার, ডিজিটাল ক্লাসরুম ইত্যাদি শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও সহজলভ্য করেছে। শিক্ষকরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারছেন এবং শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যেকোনো জ্ঞানভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ ও সহযোগিতার সুযোগ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫. সংস্কৃতি ও বিনোদন: ইন্টারনেট বিভিন্ন সংস্কৃতির আদান-প্রদানকে সম্ভব করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গান, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা এবং সাহিত্য এখন হাতের মুঠোয়। ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাইয়ের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বিনোদনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বেড়েছে এবং মানুষ বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে।
৬. সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব: ইন্টারনেট মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নাগরিক সাংবাদিকতা, অনলাইন পিটিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সংগঠিত হতে পারছে।
চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার:
ইন্টারনেটের সুবিধার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সাইবার অপরাধ, গুজব ও ফেক নিউজ ছড়ানো, ডিজিটাল বৈষম্য, তথ্যের সুরক্ষা এবং আসক্তি - এগুলি ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন সাইবার নিরাপত্তা আইন জোরদার করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ইন্টারনেটের দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা।
উপসংহার:
ইন্টারনেট নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং 'বিশ্বের সেতুবন্ধন' হিসেবে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটি মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ, দ্রুত এবং আরও সংযুক্ত করেছে। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, তবে এর বহুমুখী সুবিধা মানবজাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইন্টারনেটকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি মানব সভ্যতাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, যেখানে বিশ্ব সত্যিই একটি unified community হিসেবে কাজ করবে।