এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। দিনাজপুর বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। দিনাজপুর বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান


(১)(ক) ব-ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

বাংলায় ব-ফলা (অর্থাৎ ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে 'ব' যুক্ত হওয়া) উচ্চারণে সাধারণত দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য দেখা যায়: কোথাও এর উচ্চারণ বজায় থাকে, আবার কোথাও এটি অনুচ্চারিত থাকে, তবে পূর্ববর্তী বর্ণকে দ্বিত্ব করে। এখানে ব-ফলার উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো:

১. শব্দের আদ্যক্ষরে ব-ফলা অনুচ্চারিত থাকে, কিন্তু পূর্ববর্তী স্বরবর্ণকে ও-কার করে তোলে:

* উদাহরণ:

* শ্বশান (শোঁ-শান)

* স্বদেশ (শো-দেশ)

* ম্বল (মো-বল্)

২. শব্দের মধ্য বা অন্তে ব-ফলা যুক্ত হলে প্রায়শই তা অনুচ্চারিত থাকে, তবে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনবর্ণকে দ্বিত্ব করে:

* উদাহরণ:

* পক্ব (পোক্-কো)

* বিশ্ব (বিশ্-শো)

* সমিত্ব (শমিত্-তো)

৩. কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত উ বা উ-কার যুক্ত ব্যঞ্জনের সাথে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-ফলার উচ্চারণ বজায় থাকে:

* উদাহরণ:

* উদ্বাস্তু (উদ-বাস্তু)

* উদ্বেগ (উদ-বেগ)

* সদুপ্বোদ (সদুপ-বো-দ্) (যদিও এটি ব্যতিক্রম)

৪. ক বা গ বর্ণের সাথে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-ফলা প্রায়ই উচ্চারিত হয়:

* উদাহরণ:

* দিগ্বিজয় (দিগ-বি-জয়্)

* ওয়াগ্লিং (ওয়াগ-লিং) (এটি বিদেশি শব্দ হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য)

* পক্বতা (পোক্-বো-তা) (ব্যতিক্রম)

৫. বিসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-ফলার উচ্চারণ প্রায়ই বজায় থাকে, তবে পূর্ববর্তী স্বরের উপর জোর পড়ে:

* উদাহরণ:

* দুঃখী (দুঃখী) - এখানে বিসর্গ থাকলেও ব-ফলা সরাসরি নেই, কিন্তু এর মাধ্যমে 'ব' এর প্রভাব বোঝা যায়।

* বস্তুত বাংলায় সরাসরি বিসর্গের সাথে ব-ফলার ব্যবহার প্রায় নেই। তবে, অনেক সময় এটি গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: অত্ব (অৎ-তো), যার ব-ফলা দ্বিত্বের উদাহরণে পড়ে।

* পঞ্চম নিয়মের জন্য, সাধারণত ব-ফলার ব্যতিক্রমী বা বিশেষ কিছু উচ্চারণের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম প্রযোজ্য হয়। উপরোক্ত ৪টি নিয়মই মূল। তবে, কিছু ব্যাকরণবিদ নিম্নলিখিত নিয়মটিকেও যুক্ত করেন:

যদি ব-ফলা যুক্ত শব্দে উপসর্গ থাকে, তবে উপসর্গের পরের বর্ণের ব-ফলা দ্বিত্ব করে:

* উদাহরণ:

* নিঃস্ব (নিশ্-শো)

* আহ্বান (আও-ভান্/আও-বান্) - এটি উচ্চারণভেদে ভিন্ন হয়।


(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:

এখানে প্রদত্ত শব্দগুলোর উচ্চারণ দেওয়া হলো:

  • আশ্চর্য: আশ্‌চোর্য

  • মেঘমালা: মেঘ্-মা-লা

  • মতি: মো-তি

  • রক্ত: রক্‌-তো

  • ব্রাহ্মণ: ব্রাম্-হোন

  • বিশ্বাস: বিশ্-শাশ্

  • কল্যাণ: কোল্-লান

  • নবান্ন: নো-বান্-নো


(২)

(ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মাবলী অনুযায়ী তৎসম (সংস্কৃত) শব্দের বানানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পাঁচটি নিয়ম উল্লেখ করা হলো:

১. ই-কার/ঈ-কার ব্যবহার:

* সকল তৎসম শব্দে রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।

* উদাহরণ: অর্চনা, কর্ম, শর্ত (অর্চণা, কর্ম্ম, শৰ্ত্ত ভুল)।

২. ক্ষ, জ্ঞ, ঙ্গ ব্যবহার:

* সংস্কৃত মূল 'ক্ষ', 'জ্ঞ', 'ঙ্গ' অক্ষরের ক্ষেত্রে পরিবর্তন না করে সরাসরি ব্যবহার করতে হবে।

* উদাহরণ: ক্ষমা, জ্ঞান, অঙ্গ (খা, গেয়ান, অংগ ভুল)।

৩. ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান:

* তৎসম শব্দের বানানে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ, ঋ, র, ষ-এর পর মূর্ধন্য-ণ (ণ) এবং ক-বর্গ ও প-বর্গের পূর্বে মূর্ধন্য-ষ (ষ) ব্যবহৃত হবে।

* উদাহরণ: কর্ণ, ঋণ, পাষাণ, বিষ, কষ্ট (করণ, রিন, পাশান, বিশ, কশট ভুল)।

৪. বিসর্গ:

* বিশেষণ ও অব্যয় পদের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। তবে ক্রিয়াপদের ক্ষেত্রে বা সমাসবদ্ধ পদের মাঝে প্রয়োজন হলে বিসর্গ ব্যবহার করা যাবে।

* উদাহরণ: বিশেষত, কার্যত, প্রধানত (বিশেষতঃ, কার্যতঃ, প্রধানতঃ ভুল)। কিন্তু দুঃখ, নিঃশ্বাস (এগুলো তৎসম শব্দ, এখানে বিসর্গ থাকবে)।

৫. মহা ও অন্য শব্দে ই/ঈ-কার:

* 'মহা' শব্দটির সঙ্গে যখন অন্য শব্দ যুক্ত হয়ে সমাসবদ্ধ হয়, তখন 'আ' কারের পর ঈ-কার ব্যবহৃত হবে।

* উদাহরণ: মহাকীর্তি, মহাবিদ্যা, মহাপ্রাণ (এখানে 'মহা' এর পর 'অ' বা 'ই' কারের কোনো নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বরং মূল নিয়মটি হলো - ই/ঈ এবং উ/ঊ ব্যবহার: তৎসম শব্দে ই-কার বা ঈ-কার এবং উ-কার বা ঊ-কারের ব্যবহারে প্রচলিত নিয়ম মানা হবে, অর্থাৎ মূল সংস্কৃত বানানটি বজায় থাকবে।)

* সংশোধিত নিয়ম ৫:

রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব: তৎসম শব্দে রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।

* উদাহরণ: কর্ম, সূর্য, অর্চনা (কর্ম্ম, সূর্য্য, অর্চ্চণা ভুল)।


(খ) যে কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:

এখানে প্রদত্ত শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান দেওয়া হলো:

  • বিদ্রূপ: বিদ্রুপ

  • আগন্তক: আগন্তুক

  • আইনজীবি: আইনজীবী

  • পরিস্কার: পরিষ্কার

  • ইতিপূর্বে: ইতিপূর্বে

  • মনিষী: মনীষী

  • মূহূর্ত: মুহূর্ত

  • মন্ত্রীসভা: মন্ত্রিসভা


(৩)

(ক) আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।

বাংলা ব্যাকরণে, 'আবেগ শব্দ' বলতে সাধারণত আবেগসূচক পদ বা অব্যয়-কে বোঝায়। যে সকল পদ বক্তার মনের আকস্মিক আবেগ, বিস্ময়, ভয়, ঘৃণা, আনন্দ, বেদনা, বিরক্তি, ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাদের আবেগসূচক পদ বা আবেগবাচক অব্যয় বলে। এই পদগুলো বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত হয় না এবং এদের কোনো লিঙ্গ, বচন বা কারক ভেদ হয় না।

আবেগসূচক পদকে প্রধানত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:

১. প্রশংসাবাচক আবেগ: প্রশংসা, সম্মতি বা আশীর্বাদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* সাবাশ! তুমি খুব ভালো করেছ।

* ধন্য! এমন কাজ কেবল তোমাকেই মানায়।

* বাহ্! কী সুন্দর ফুল!

২. বিরক্তি বা ঘৃণা প্রকাশক আবেগ: বিরক্তি, ঘৃণা, ধিক্কার বা উপেক্ষা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* ছি ছি! এমন কথা বলতে তোমার লজ্জা করল না?

* দূর! ওসব বাজে কথা শুনব না।

* হেই! ওদিকে যাস না।

৩. ভয় বা আতঙ্ক প্রকাশক আবেগ: ভয়, সতর্কতা বা বিপদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* বাপ রে! কী বড় সাপ!

* ওরে বাবা! এ কী কাণ্ড!

* উফ! আর ভালো লাগছে না।

৪. আনন্দ বা বিস্ময় প্রকাশক আবেগ: আনন্দ, বিস্ময় বা অপ্রত্যাশিত কিছু প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* আহা! কী সুন্দর দৃশ্য!

* আশ্চর্য! এও সম্ভব!

* উফফ! কী গরম!

৫. সম্বোধনবাচক আবেগ: কাউকে আহ্বান বা সম্বোধন করতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* ওহে! শুনছ?

* এই যে! এদিকে এসো।

* আরে! তুমি কখন এলে?

৬. অনুমোদন বা সম্মতি প্রকাশক আবেগ: কোনো কিছুতে সম্মতি বা অনুমোদন জানাতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* হ্যাঁ, আমি রাজি।

* আচ্ছা, ঠিক আছে।

৭. দুঃখ বা শোক প্রকাশক আবেগ: দুঃখ, বেদনা বা শোক প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।

* উদাহরণ:

* হায় হায়! এ কী সর্বনাশ!

* আহ্! কী কষ্ট!

আবেগ শব্দগুলো বাক্যের শুরুতে বসে এবং বাক্যের মূল অর্থের সাথে সম্পর্ক না থাকলেও বক্তার মানসিক অবস্থা ফুটিয়ে তোলে।


(খ) নিম্নরেখ শব্দগুলোর ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ কর (যে কোনো পাঁচটি) :

(i) আমার ময়না কথা কয় না।

* কয় না: অসমাপিকা ক্রিয়া + না-বাচক অব্যয় (বা ক্রিয়াপদ - অসমাধাতু + না-প্রত্যয়)

(ii) বাড়ির সকলে তো রাগিয়া আগুন।

* রাগিয়া: অসমাপিকা ক্রিয়া (বা ক্রিয়াবিশেষণ)

(iii) একদিন শোনা গেল সে মর-মর।

* মর-মর: বিশেষণ (বা দ্বিরুক্ত শব্দ - অবস্থা জ্ঞাপক)

(iv) আরে! তুমি এখন এলে?

* আরে!: আবেগসূচক অব্যয়

(v) সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল।

* ফসল: বিশেষ্য পদ

(vi) শকুনরা উড়ে এসে বসছে পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়।

* পাতাশূন্য: বিশেষণ পদ

(vii) মাসি বলে, এত রাতে?

* এত: বিশেষণ (পরিমাণবাচক)

(viii) আহা! বৃষ্টির ঝমঝম বোল।

* আহা!: আবেগসূচক অব্যয়


(৪)

(ক) উপসর্গ কাকে বলে? যে কোনো চারটি বিদেশি উপসর্গের সাহায্যে একটি করে শব্দ গঠন কর।

উপসর্গ:

উপসর্গ হলো কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা ক্রিয়াপদ বা নামপদের আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করে এবং শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন ঘটায়। উপসর্গের নিজস্ব কোনো স্বাধীন অর্থ নেই, কিন্তু শব্দের পূর্বে যুক্ত হলে এরা অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।

চারটি বিদেশি উপসর্গের সাহায্যে শব্দ গঠন:

১. আম- (আরবি/ফারসি): প্রধান, বিশেষ

* শব্দ: আমদানি, আমজনতা, আমমোক্তার

২. বে- (ফারসি): নেই, না

* শব্দ: বেহায়া, বেআক্কেল, বেপরোয়া

৩. গর- (ফারসি): অভাব, না

* শব্দ: গরহাজির, গরমিল, গররাজি

৪. বদ- (ফারসি): মন্দ, খারাপ

* শব্দ: বদনাম, বদহজম, বদমেজাজ

৫. হাফ- (ইংরেজি): অর্ধ

* শব্দ: হাফপ্যান্ট, হাফটিকিট

(যেহেতু চারটি চাওয়া হয়েছে, যেকোনো চারটি নিলেই হবে। আমি পাঁচটি উদাহরণ দিলাম।)


(খ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর (যে কোনো পাঁচটি):

এখানে প্রদত্ত সকল শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করা হলো:

  • গজানন

    • ব্যাসবাক্য: গজের ন্যায় আনন (মুখ) যার

    • সমাস: বহুব্রীহি সমাস

  • ভাষান্তর

    • ব্যাসবাক্য: অন্য ভাষা

    • সমাস: নিত্য সমাস

  • বাগদত্তা

    • ব্যাসবাক্য: বাক্যে বা কথায় দত্তা (প্রতিশ্রুতা) যে নারী

    • সমাস: বহুব্রীহি সমাস

  • আত্মীয়স্বজন

    • ব্যাসবাক্য: আত্মীয় ও স্বজন

    • সমাস: দ্বন্দ্ব সমাস

  • লালচে

    • ব্যাসবাক্য: ঈষৎ লাল (লাল যে, তা)

    • সমাস: তৎপুরুষ সমাস (বা অব্যয়ীভাব সমাস - এখানে 'ঈষৎ' এর ব্যবহার থাকায় অব্যয়ীভাব হতে পারে, তবে প্রচলিতভাবে এটি বিশেষণ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।)

  • জীবনতরী

    • ব্যাসবাক্য: জীবন রূপ তরী

    • সমাস: রূপক কর্মধারয় সমাস

  • অরুণরাঙা

    • ব্যাসবাক্য: অরুণ দ্বারা রাঙা / অরুণে রাঙা (অরুণ দিয়ে রাঙানো)

    • সমাস: করণ তৎপুরুষ সমাস

  • প্রশান্তি

    • ব্যাসবাক্য: প্রকৃষ্ট রূপে শান্তি

    • সমাস: নিত্য সমাস (এখানে 'প্র' উপসর্গযোগে গঠিত ভাববাচক বিশেষ্য, যার কোনো প্রচলিত ব্যাসবাক্য নেই।)


(৫)

(ক) বাক্য কাকে বলে? অর্থানুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।

বাক্য:

এক বা একাধিক পদের সমন্বয়ে গঠিত যে পদসমষ্টি বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে, তাকে বাক্য বলে। বাক্যের একটি আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা থাকে।

অর্থানুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ:

অর্থানুসারে বাক্যকে প্রধানত সাত ভাগে ভাগ করা যায়:

১. নির্দেশাত্মক বাক্য (Assertive/Declarative Sentence): যে বাক্য দ্বারা কোনো কিছু বর্ণনা করা হয়, কোনো ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়, বা কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়, তাকে নির্দেশাত্মক বাক্য বলে। এটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে।

* উদাহরণ:

* সে প্রতিদিন স্কুলে যায়। (ইতিবাচক)

* সে গতকাল আসেনি। (নেতিবাচক)

২. প্রশ্নবোধক বাক্য (Interrogative Sentence): যে বাক্য দ্বারা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। এই বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) থাকে।

* উদাহরণ:

* তুমি কেমন আছ?

* তোমার নাম কী?

৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য (Imperative Sentence): যে বাক্য দ্বারা আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝানো হয়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে।

* উদাহরণ:

* বইটি পড়ো। (আদেশ)

* মিথ্যা কথা বলো না। (নিষেধ)

* আমাকে সাহায্য করো। (অনুরোধ)

৪. ইচ্ছাসূচক বাক্য (Optative Sentence): যে বাক্য দ্বারা বক্তার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, আশীর্বাদ বা প্রার্থনা প্রকাশ করা হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে।

* উদাহরণ:

* তোমার মঙ্গল হোক।

* তুমি দীর্ঘজীবী হও।

৫. আবেগসূচক বাক্য (Exclamatory Sentence): যে বাক্য দ্বারা বক্তার বিস্ময়, আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি আকস্মিক বা তীব্র অনুভূতি প্রকাশ করা হয়, তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে। এই বাক্যের শেষে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) থাকে।

* উদাহরণ:

* আহ্! কী সুন্দর দৃশ্য!

* ছি ছি! কী ঘৃণ্য কাজ!

৬. কার্যকারণাত্মক বাক্য (Conditional Sentence): যে বাক্যে একটি কার্য বা ঘটনার কারণ বা শর্ত উল্লেখ করে তার ফল প্রকাশ করা হয়, তাকে কার্যকারণাত্মক বাক্য বলে। (অনেক সময় এটি জটিল বাক্যের একটি অংশ হিসেবেও দেখা হয়)।

* উদাহরণ:

* যদি মন দিয়ে পড়ো, তবে ভালো ফল করবে।

* বৃষ্টি হলে ফসল ভালো হয়।

৭. সন্দেহসূচক বাক্য (Doubtful/Dubitative Sentence): যে বাক্য দ্বারা কোনো বিষয়ে সন্দেহ, অনিশ্চয়তা বা অনুমান প্রকাশ করা হয়, তাকে সন্দেহসূচক বাক্য বলে।

* উদাহরণ:

* হয়তো সে আসবে।

* এটা কি সম্ভব? (অনেক সময় প্রশ্নবোধকের সাথেও জড়িত)


(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটি বাক্য রূপান্তর কর:

এখানে আপনার নির্দেশ অনুসারে বাক্য রূপান্তরগুলো দেওয়া হলো:

(i) এখানে আমি বহুদিন আগে এসেছি। (নেতিবাচক)

* এখানে আমি অল্পদিন আগে আসিনি। / এখানে আমি বেশিদিন পরে আসিনি।

(ii) জানিতাম না দেনাপাওনা কী স্থির হইল। (অস্তিবাচক)

* দেনাপাওনা কী স্থির হইল, তা আমার অজ্ঞাত ছিল।

(iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)

* যিনি কীর্তিমান, তাঁর মৃত্যু নেই।

(iv) প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম। (সরল)

* প্রকৃতি ও মানুষের ধর্ম এক।

(v) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবোধক)

* মানুষটা কি সমস্ত রাত খেতে পাবে না?

(vi) বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি। (ইচ্ছাসূচক)

* বাংলাদেশ চিরস্থায়ী হোক।

(vii) সংবাদটি পড়ে মর্মাহত হলাম। (আবেগসূচক)

* আহ্! সংবাদটি পড়ে মর্মাহত হলাম!

(viii) তোমাকে এই খাতায় লিখতে হবে। (অনুজ্ঞাবাচক)

* তুমি এই খাতায় লেখো।


(৬)

(ক) যে কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:

এখানে প্রদত্ত বাক্যগুলোর শুদ্ধ রূপ দেওয়া হলো:

(i) তার সাথে আমার সখ্যতা আছে।

* তার সাথে আমার সখ্য আছে। (বা: তার সাথে আমার সখ্যতা বিদ্যমান।)

(ii) আপনার কি মনে হয় না, বিধি লঙ্ঘন হয়েছে?

* আপনার কি মনে হয় না যে, বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে?

(iii) আমি স্বরস্বতী কোলে গজাননের ছোট ভাইটি।

* আমি সরস্বতী কোলে গণেশের ছোট ভাইটি।

(iv) সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি।

* সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। (বা: সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি - এটিও এখন প্রচলিত, তবে প্রথমটি অধিক শুদ্ধ।)

(v) কারো ফাগুন মাস, কারো সর্বনাশ।

* কারো ফাল্গুন মাস, কারো সর্বনাশ।

(vi) অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।

* অধ্যায়নই ছাত্রদের তপস্যা।

(vii) সে কুপুরুষের মতো কথা বলছে।

* সে কাপুরুষের মতো কথা বলছে।

(viii) মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়িগুলো থামোচ্ছে।

* মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়ি থামাচ্ছে। (বা: মিলিটারি এখন সব গাড়ি থামাচ্ছে।)


(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:

অশুদ্ধ অনুচ্ছেদ: শহরের বাজারে তরিতরকারী ফলমূলের দাম অতি চড়া। গা থেকে কিনে বাজারে গিয়ে বেঁচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভরশা হয় না সালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দাড়া হবে না তার।

শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:

শহরের বাজারে তরিতরকারি ও ফলমূলের দাম অতি চড়া। গ্রাম থেকে কিনে বাজারে গিয়ে বেচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভরসা হয় না শালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দ্বারা হবে না তার।


(৭)

যে কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ:

  • Auction: নিলাম

  • Bibliography: গ্রন্থপঞ্জি / গ্রন্থতালিকা

  • White-paper: শ্বেতপত্র

  • Delta: বদ্বীপ

  • Ethics: নীতিশাস্ত্র / নীতিবিজ্ঞান

  • Fascism: ফ্যাসিবাদ

  • Surplus: উদ্বৃত্ত

  • Hoarder: মজুতদার

  • Interim: অন্তর্বর্তীকালীন

  • Manpower: জনবল

  • Cargo: পণ্যদ্রব্য / মালপত্র

  • Pay-bill: বেতনপত্র / বেতন বিল

  • Octave: অষ্টক

  • Reform: সংস্কার

  • Thesis: অভিসন্দর্ভ


বাংলায় অনুবাদ কর:

ইংরেজি অনুচ্ছেদ: Patriotism is love for one's country. It is a powerful sentiment and wholly unselfish and noble. A patriot can sacrifice even his own life for the welfare of his country. It is an idealism that gives courage and strength, but false patriotism makes a man narrow-minded and selfish.

বাংলা অনুবাদ:

দেশপ্রেম হলো স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা। এটি একটি শক্তিশালী, সম্পূর্ণরূপে নিঃস্বার্থ ও মহৎ অনুভূতি। একজন দেশপ্রেমিক দেশের কল্যাণের জন্য নিজের জীবনও উৎসর্গ করতে পারেন। এটি এমন একটি আদর্শ যা সাহস ও শক্তি জোগায়, কিন্তু মিথ্যা দেশপ্রেম মানুষকে সংকীর্ণমনা ও স্বার্থপর করে তোলে।


(৮)

(ক) কলেজের শেষ দিনের অনুভূতি বর্ণনা করে একটি দিনলিপি লেখ।

কলেজের শেষ দিনের অনুভূতি

তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫

সময়: রাত ৯:৩০

আজ আমাদের কলেজের শেষ দিন। ভাবতে অবাক লাগছে, দেখতে দেখতে কলেজের তিনটি বছর কীভাবে যেন ফুরিয়ে গেল। আজ সকালে যখন কলেজে ঢুকছিলাম, তখন মনটা এক অদ্ভুত অনুভূতিতে ভরে উঠেছিল – একদিকে যেমন বন্ধুদের সাথে নতুন অধ্যায়ে পদার্পণের আনন্দ, তেমনি অন্যদিকে এই চেনা ক্যাম্পাস, প্রিয় শিক্ষক আর বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়ার এক বুকভরা বেদনা।

সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের পরিবেশটা ছিল অন্যরকম। সবাই শেষবারের মতো প্রিয় জায়গাগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে, সেলফি তুলছে। ক্লাসরুমে গিয়ে দেখি আমাদের সব বন্ধু জড়ো হয়েছে। স্যাররা এলেন, তাদের মুখেও ছিল একই রকম আবেগ। কেউ কেউ নিজেদের কলেজ জীবনের গল্প শোনালেন, কেউবা আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানালেন। প্রিয় [শিক্ষকের নাম] স্যার যখন বললেন, "আজ তোমাদের শেষ ক্লাস, এরপর তোমরা কলেজের স্মৃতি হয়ে থাকবে," তখন চোখের কোণে অজান্তেই জল চলে এসেছিল।

দুপুরের পর শুরু হলো বিদায় অনুষ্ঠান। জুনিয়ররা আমাদের জন্য সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তাদের গান, কবিতা আর ছোট নাটিকাগুলো মন ছুঁয়ে গেল। অধ্যক্ষ মহোদয় ও অন্যান্য শিক্ষকগণ তাদের মূল্যবান উপদেশ দিলেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছিল, আর বিদায়ের সুর বেজে উঠছিল আরও তীব্রভাবে। সবাই সবার হাতে অটোগ্রাফ নিচ্ছিল, অঙ্গীকার করছিল যোগাযোগ রাখার।

কলেজের গেট দিয়ে যখন বের হচ্ছিলাম, তখন একবার পেছনে ফিরে তাকালাম। এই ক্যাম্পাস, এই ভবনগুলো, এই মাঠ – সবই যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল। মনে পড়ল প্রথম দিনের সেই ভয়, বন্ধুদের সাথে প্রথম আড্ডা, ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার দুষ্টুমি, পরীক্ষার রাতের দুশ্চিন্তা – সবকিছু। কলেজ জীবন আমাদের জীবনে শুধু জ্ঞানই দেয়নি, শিখিয়েছে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা আর জীবনকে উপভোগ করার কৌশল।

আজ থেকে আমরা নতুন এক পথে যাত্রা শুরু করব। হয়তো এই চেনা মুখগুলোর সবার সাথে আর নিয়মিত দেখা হবে না, কিন্তু কলেজের স্মৃতিগুলো চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে। একরাশ আনন্দ আর এক বুক বেদনা নিয়েই শেষ হলো জীবনের একটি সোনালি অধ্যায়।


(খ) বন্যার পরে তোমার এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

প্রতিবেদন

শিরোনাম: সাম্প্রতিক বন্যায় [আপনার এলাকার নাম]-এর ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

প্রতিবেদকের নাম: [আপনার নাম/ক, খ, গ]

তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫

স্থান: [আপনার এলাকার নাম], চট্টগ্রাম

ভূমিকা:

চলতি [মাস, যেমন: জুন] মাসের [তারিখ] তারিখ থেকে শুরু হওয়া একটানা ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে [আপনার এলাকার নাম] এলাকায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্যায় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ:

১. ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো:

বন্যার পানিতে [আপনার এলাকার নাম]-এর প্রায় [সংখ্যা]টি গ্রামের [সংখ্যা]টিরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচাপাকা বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে; প্রায় [সংখ্যা] কিলোমিটার কাঁচা ও পাকা রাস্তা জলের নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এবং অনেক স্থানে সেতু ও কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বন্যার জল ঢুকে পড়েছে, ফলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

২. কৃষি ও মৎস্য সম্পদ:

বন্যার পানিতে শত শত একর আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। কৃষকদের রোপণকৃত আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত এবং অন্যান্য ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় [সংখ্যা] কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এছাড়া, এলাকার মৎস্য চাষীদের পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় তারা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

৩. প্রাণিসম্পদ ও স্যানিটেশন:

অনেক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিরাপদ পানীয় জলের উৎসগুলো প্লাবিত হওয়ায় বিশুদ্ধ জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে, ফলে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

৪. জনজীবন ও মানবিক সংকট:

বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ জল, আশ্রয় ও ঔষধের অভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক পরিবার উঁচু স্থানে বা আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অন্ধকারে নিমজ্জিত পুরো এলাকা।

ত্রাণ তৎপরতা ও করণীয়:

বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কিছু ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে কাজ করছে। তবে ক্ষতির ব্যাপকতার তুলনায় ত্রাণসামগ্রী অপ্রতুল। এমতাবস্থায়, অবিলম্বে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং ভেঙে পড়া অবকাঠামো মেরামতের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম পাঠানো এবং বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

উপসংহার:

সাম্প্রতিক বন্যায় [আপনার এলাকার নাম]-এর জনগণ এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।


(৯)

(ক) এইচএসসি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি জানিয়ে বন্ধুকে একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ।

বিষয়: এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় [বন্ধুর নাম],

কেমন আছিস? আশা করি ভালো আছিস। তোর এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন চলছে জানার জন্য এই ইমেইলটা লিখলাম। পরীক্ষা একদম কাছে চলে এসেছে, তাই এখন প্রস্তুতির দিকেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

আমার প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই চলছে। আমি কিছু কৌশল অবলম্বন করছি, যেগুলো তোর কাজে লাগতে পারে বলে মনে করি।

১. রুটিন মেনে পড়া: প্রথমেই একটা পড়ার রুটিন তৈরি করে নে। কোন বিষয়ের জন্য কতটা সময় দিবি, সেটা ঠিক করে ফেল। কঠিন বিষয়গুলোকে বেশি সময় দে।

২. সিলেবাস শেষ করা: পুরো সিলেবাস ভালোভাবে শেষ করার চেষ্টা কর। কোনো অধ্যায় যেন বাদ না যায়।

৩. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে জোর: প্রতিটা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বা টপিকগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর ওপর বিশেষ জোর দে। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র দেখলে এটা বুঝতে সহজ হবে।

৪. রিভিশন: পড়া শেষ হওয়ার পর নিয়মিত রিভিশন দে। রিভিশন ছাড়া পড়া মনে রাখা কঠিন।

৫. মডেল টেস্ট: সম্ভব হলে কিছু মডেল টেস্ট দে। এতে সময় ব্যবস্থাপনা এবং পরীক্ষার হলে চাপ সামলানো সহজ হবে। নিজের দুর্বলতাগুলোও বুঝতে পারবি।

৬. স্বাস্থ্য ও বিশ্রাম: পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখিস। পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খুব জরুরি। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও ভালো থাকবে না।

৭. ইতিবাচক মনোভাব: কোনো চাপ নিবি না। আত্মবিশ্বাস রাখবি এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যাবি।

যদি কোনো বিষয়ে তোর সাহায্যের প্রয়োজন হয় বা কিছু বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে জানাস। আমরা একসাথে আলোচনা করতে পারি।

তোর ভালো পরীক্ষার জন্য শুভকামনা।

শুভেচ্ছান্তে,

[তোমার নাম]

[তোমার ইমেইল ঠিকানা]


(খ) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে পৌরসভার মেয়রের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫

বরাবর,

মেয়র মহোদয়

[পৌরসভার নাম] পৌরসভা

[পৌরসভার ঠিকানা, যেমন: চট্টগ্রাম]

বিষয়: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি [আপনার এলাকার নাম] এলাকার একজন বাসিন্দা। বর্তমানে আমাদের এলাকায় এডিস মশার উপদ্রব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এই উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

আমাদের এলাকায় অনেক খোলা ড্রেন, নর্দমা এবং যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে, যেখানে বৃষ্টির জল জমে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশেও জমে থাকা জল বা অব্যবহৃত পাত্রে মশার লার্ভা দেখা যাচ্ছে। মশার কামড়ে এলাকাবাসী বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে, যা আমাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

এমতাবস্থায়, আপনার নিকট আকুল আবেদন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিম্নলিখিত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি:

  • এলাকায় নিয়মিত মশার ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা করা।

  • জমে থাকা জল অপসারণ ও ড্রেন পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ।

  • মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করার জন্য ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা।

  • জনগণকে এডিস মশা ও ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রচারণার ব্যবস্থা করা।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা, উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এলাকার মানুষকে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করতে আপনার সানুগ্রহ নির্দেশনা ও সহায়তা দানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক,

[আপনার নাম]

[আপনার ঠিকানা]

[যোগাযোগ নম্বর]


(১০)

(ক) সারাংশ লেখ:

মূল অনুচ্ছেদ:

অনেকের ধারণা এই যে, মহৎব্যক্তি শুধু উচ্চবংশেই জন্মগ্রহণ করিয়া থাকেন, নিচুকূলে মহতের জন্ম হয় না। কিন্তু প্রকৃতির দিকে দৃষ্টিপাত করিলেই দেখা যায় মানুষের ধারণা অতিশয় ভ্রমাত্মক। পদ্মফুল ফুলের রাজা। রূপে গন্ধে সে অতুলনীয়। কিন্তু ইহার জন্ম হয় পানের অযোগ্য পানিভরা এঁদো পুকুরে। পক্ষান্তরে বটবৃক্ষ বৃক্ষের মধ্যে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন বটে, অথচ বহু বৃক্ষের ফল আমরা আস্বাদন করি, এত খ্যাতনামা যে বটগাছ তার ফল আমাদের অখাদ্য।

সারাংশ:

মহত্ত্ব উচ্চবংশ বা জন্মস্থানের উপর নির্ভরশীল নয়। প্রকৃতির দিকে তাকালেই দেখা যায়, ফুলের রাজা পদ্ম পাঁকের কাদা থেকে জন্ম নেয়, আবার অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন বটবৃক্ষের ফল আমাদের খাদ্য নয়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব তার জন্মস্থান বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে নির্ধারিত হয় না, বরং তার অন্তর্নিহিত গুণাবলীই আসল।


(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে।

ভাব-সম্প্রসারণ:

"মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নহে" - এই প্রবাদ বাক্যটি মানব জীবনের গভীরতম সত্যকে তুলে ধরে। এর অর্থ হলো, মানুষের জীবনের সার্থকতা তার দীর্ঘায়ু বা বয়সের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং সে জীবনে কী কাজ করে গেল, কীভাবে মানুষের জন্য অবদান রাখল, তার উপরই নির্ভরশীল।

শারীরিক বয়স নিছকই একটি সংখ্যা। একজন ব্যক্তি শত বছর বেঁচে থাকলেও যদি তার জীবন কোনো মহৎ কাজ দ্বারা পূর্ণ না হয়, সমাজের জন্য তার কোনো অবদান না থাকে, তাহলে তার সেই দীর্ঘ জীবন অর্থহীন। অন্যদিকে, কোনো ব্যক্তি স্বল্পায়ু হলেও যদি তিনি এমন কোনো কাজ করে যান যা মানবজাতির কল্যাণে আসে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে, তাহলে তার জীবন প্রকৃত অর্থেই সফল এবং চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। যুগে যুগে এমন বহু জ্ঞানী, গুণী ও মহৎ ব্যক্তি জন্ম নিয়েছেন, যারা বয়সে তরুণ হলেও তাদের কর্মের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করেছেন। যেমন, গৌতম বুদ্ধ, যিশুখ্রিস্ট, হযরত মুহাম্মদ (সা.) – তাঁদের শিক্ষা ও কর্ম যুগ যুগ ধরে মানবজাতিকে পথ দেখাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – এঁরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমেই চিরঞ্জীব।

একজন মানুষ তখনই সমাজে স্মরণীয় হয়ে থাকেন, যখন তার কর্ম অন্যদের অনুপ্রাণিত করে, নতুন পথের দিশা দেখায়। কর্মই মানুষের পরিচয় তৈরি করে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সার্থক করে তোলার জন্য বয়সের হিসাব না করে সৎ ও মহৎ কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করা উচিত। মানবকল্যাণ, জ্ঞানচর্চা, সমাজের উন্নতি – এসবই মানুষকে মৃত্যুর পরেও বাঁচিয়ে রাখে। কর্মের মাধ্যমেই মানুষ অমরত্ব লাভ করে, বয়সের ফ্রেমে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে নয়।


(১১)

(ক) খাদ্যে ভেজাল ও তার প্রতিকার বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

সংলাপ: খাদ্যে ভেজাল ও তার প্রতিকার

রাহুল: কিরে সাব্বির, তোর মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন? শরীর খারাপ নাকি?

সাব্বির: আর বলিস না! কাল রাতে বাইরে থেকে খাবার এনে খেয়েছিলাম, তারপর থেকে পেটে ব্যথা আর বমি। মনে হয় ভেজাল খাবার ছিল।

রাহুল: হ্যাঁ রে, আজকাল তো খাদ্যে ভেজাল একটা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্ষের তেলে ভেজাল, শাক-সবজিতে বিষাক্ত স্প্রে, ফলে ফরমালিন... কী নেই!

সাব্বির: ঠিক বলেছিস। মাছ তাজা রাখতে ফরমালিন, ফল পাকাতে কার্বাইড, দুধের মধ্যে পাউডার বা ডিটারজেন্ট – শুনলে গা শিউরে ওঠে। জীবন বাঁচাতে খাচ্ছি, না জীবন হারাচ্ছি, বোঝাই মুশকিল!

রাহুল: এই ভেজালের কারণে কত মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তার কোনো হিসেব নেই। কিডনি নষ্ট হচ্ছে, ক্যানসার হচ্ছে – সব কিছুর পেছনে এই ভেজাল খাবারের বড় ভূমিকা আছে।

সাব্বির: কিন্তু এর প্রতিকার কী? কীভাবে বাঁচব আমরা?

রাহুল: প্রতিকার বেশ কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। প্রথমত, সরকারি নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শুধু জরিমানা করলে চলবে না, জেল-জরিমানা দুটোই দরকার।

সাব্বির: হ্যাঁ, এটা খুব জরুরি। অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি ভয় না পায়, তাহলে এই কাজ চালিয়ে যাবেই।

রাহুল: দ্বিতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। সাধারণ মানুষকে ভেজাল খাবার চেনার উপায় শেখাতে হবে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে যেন তারা ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো উচিত।

সাব্বির: আমরা নিজেরাও কিন্তু অনেক কিছু করতে পারি। যতটা সম্ভব খোলা খাবার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে পারি। পরিচিত বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে জিনিসপত্র কেনা ভালো।

রাহুল: একদম ঠিক। এছাড়া, আমাদের নিজেদের বাড়ির আশেপাশে ছোট পরিসরে শাক-সবজি ফলানোর চেষ্টা করতে পারি, এতে অন্তত কিছু সবজি ভেজালমুক্ত পাওয়া যাবে। আর রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়াও জরুরি।

সাব্বির: তোর কথাগুলো খুব দরকারি। ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সরকারি পদক্ষেপ, দুটোই যদি একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে হয়তো এই খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। সবাই মিলে সচেতন না হলে এটা বন্ধ করা কঠিন।

রাহুল: চল, আমরা অন্তত আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি। এই বিষয়ে আরও মানুষকে সচেতন করি।


(খ) "রক্ত দেই জীবন বাঁচাই” শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।

রক্ত দেই জীবন বাঁচাই

শহরের এক কোণে ছোট একটি চায়ের দোকান চালাত সুমন। অভাবের সংসার, তবু মুখে হাসি লেগে থাকত। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল পরোপকারিতা। কেউ বিপদে পড়লে সে ঝাঁপিয়ে পড়ত।

একদিন রাতে সুমনের দোকানে ভিড় জমেছে। হঠাৎ এক রিকশাচালক এসে হাঁপাতে হাঁপাতে জানাল, তার একমাত্র মেয়ে রেহানা হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। রক্ত লাগবে, এখনই। রক্তের গ্রুপ 'বি নেগেটিভ' — এই গ্রুপ সহজে পাওয়া যায় না। বাবার চোখে অসহায় আকুতি দেখে সুমনের মনটা কেঁপে উঠল। সে কিছুক্ষণ আগেও এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে শুনেছিল, তার রক্তের গ্রুপ 'বি নেগেটিভ'।

সময় নষ্ট না করে সুমন রিকশাচালকটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটল। ডাক্তাররা সব শুনে সুমনের রক্ত পরীক্ষা করলেন। ফলাফলে নিশ্চিত হলেন, সুমনের রক্তই রেহানার জন্য উপযুক্ত। কোনো কিছু না ভেবে সুমন রক্ত দিতে রাজি হয়ে গেল। তার মনে তখন একটাই চিন্তা – একটি নিষ্পাপ প্রাণ বাঁচানো।

রক্ত দেওয়ার পর সুমনের শরীর কিছুটা দুর্বল লাগছিল, কিন্তু তার মুখে ছিল এক অনাবিল তৃপ্তি। পরদিন সকালে খবর পেল, রেহানা আশঙ্কামুক্ত। রেহানার বাবা এসে সুমনের পা ধরে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইল, কিন্তু সুমন তাকে বুকে টেনে নিয়ে বলল, "আরে বাবা! এটুকু তো সবারই করা উচিত। আমরা মানুষ, মানুষের বিপদে মানুষই তো এগিয়ে আসবে।"

সেইদিন থেকে সুমনের চায়ের দোকানে নতুন একটি কথা ছড়িয়ে পড়ল, "রক্ত দেই জীবন বাঁচাই।" সুমনের এই কাজ দেখে এলাকার অনেকেই রক্তদানে উৎসাহিত হলো। তারা বুঝতে পারল, রক্ত শুধু একটি তরল পদার্থ নয়, এটি জীবনের প্রতীক। সুমনের সামান্য একটি পদক্ষেপ যেন সমাজের বুকে এক নতুন আলোর দিশা দেখাল, যেখানে মানবতা আর সহমর্মিতা সবার উপরে। সুমন প্রমাণ করে দিল, বড় কাজ করার জন্য বড় মানুষ হতে হয় না, একটি উদার মনই যথেষ্ট।