মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৫-২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ মানব-কল্যাণ সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৫-২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন ২০২৫-২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনুশীলন

১) ঐ যে সমস্ত পৃথিবীটা চুপ করে পড়ে রয়েছে ওটাকে এমন ভালোবাসি। ওর এই গাছপালা নদী মাঠ কোলাহল নিস্তব্ধতা প্রভাত সন্ধ্যা সমস্তটা সুদ্ধ দুহাতে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে।মনে হয়, পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা যেসব পৃথিবীর ধন পেয়েছি এমন কি কোনো স্বৰ্গ থেকে পেতুম। স্বর্গ আর কী দিত জানি নে, কিন্তু এমন কোমলতা দুর্বলতাময় এমন সকরুণ আশঙ্কাভরা অপরিণত এই মানুষগুলির মতো এমন আপনার ধন কোথা থেকে দিত।

ক. কালের বিবর্তনে আমরা এখন কিসের অংশ?
খ. স্রেফ সদিচ্ছা দ্বারা মানবকল্যাণ সাধিত হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন ভাবের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে মানুষ ও মানবতার প্রতি কবির যে অনুরাগ ব্যক্ত হয়েছে তা ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মানবতাবোধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

২। গভীর চিন্তায় গিয়েও প্রতিদিনের জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝে থাকি যে,আমরা একে অন্যের জন্য বাঁচি। আমাদের জীবনযাপন প্রথমত তাদের জন্য যাদের আনন্দ ও কল্যাণের উপর আমাদের সুখ সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। যাদের আমরা চিনি না, যারা সংখ্যায় বিপুল, সেই মানুষদের নিয়তির সঙ্গেও আমাদের অস্তিত্ব সহমর্মিতার শৃঙ্খলে বাঁধা। প্রতিদিন শতবার আমি নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেই যে, আমার মনোজীবন ও দৈহিক জীবন জীবিত ও মৃত অসংখ্য মানুষের শ্রমের উপর নির্ভরশীল; যেভাবে আমি অন্যদের থেকে গ্রহণ করেছি এবং করছি সেভাবেই অন্যদেরকে আমার দান করে যাওয়াও কর্তব্য।

ক. সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ কোনটি?
খ “সে উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি।” বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”-মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।
৩। স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোর ধর্মসভায় হিন্দুধর্মের যে ব্যাখ্যা করলেন, তার বৈশিষ্ট্য এই যে, তাঁর হিন্দুধর্ম সম্পূর্ণই উপলব্ধির ধর্ম। কোনো আচার অনুষ্ঠানের কথা নেই। ব্রহ্ম বা পরমাত্মার সঙ্গে ব্যক্তি বা জীবাত্মার ঐক্যানুভূতিলাভই ধর্ম। এই ব্রহ্মই একমাত্র সত্য, ব্রহ্মই বিচিত্রের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করছেন। এটা উপলব্ধি করাই ধর্ম। সুতরাং বৈষ্ণব, শাক্ত, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীস্টান বলে যে আচরণ-বিভিন্নতা, তা শেষ সত্য নয়। কিন্তু পরম সত্যকে জানবার চেষ্টা করছে সবাই। এখানেই বিবেকানন্দ দুটি মূল্যবান চিন্তাসূত্র দিলেন একটি বিচিত্রের মধ্যে ঐক্যের উপলব্ধি-প্রয়াসই মানবতার নিদান; আর দ্বিতীয় সূত্র হলো মানুষের মধ্যে ব্রহ্মের শক্তি, তাই মানুষ মহীয়ান।

ক. Existentialism-এর বাংলা কী?
খ মানব-কল্যাণ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে? ব্যাখ্যা কর।
গ উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত মানবধর্ম ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত “মানব কল্যাণ অলৌকিক কিছু নয় এ এক জাগতিক মানবধর্ম”- এই উক্তিরই প্রতিফলন। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

৪) সকল ধরামাঝে বিরাট মানবতা মূরতি লভিয়াছে হর্ষে,
আজিকে প্রাণে প্রাণে যে ভাব জাগিয়াছে, রাখিতে হবে সারা বর্ষে,
এ ঈদ হোক আজি সফল ধন্য
নিখিল-মানবের মিলন জন্য,
শুভ যা জেগে থাক, অশুভ দূরে যাক, খোদার শুভাশিস্ পর্শে।

ক) একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়াকেও আমরা কী মনে করি?
খ) “ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ।”- ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন বিশেষ দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?— ব্যাখ্যা কর।
ঘ) “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

৫। গড়ে ওঠে অরণ্যভেদী লোকালয়
মানুষের শ্রমে,
গড়ে ওঠে মধুকুঞ্জ বংশধারা
জ্বলে ওঠে দাবানল
মানুষের প্রেমে কামে,
মানুষের ক্রোধে,
লোকালয় অরণ্য হয়।

ক. সত্যিকারের মানবকল্যাণ কী?
খ. বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে কারও কল্যাণ করা যায় না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের একটি বিশেষ দিককে নির্দেশ করে মাত্র, পুরো বিষয়কে নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৬) জীবনের মূল্য ও মহত্ত্ব সম্বন্ধে ভাবতে ভুলে গিয়েছে আজ মানুষ। ফলে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র সবই প্রায় হয়ে পড়েছে নীতিভ্রষ্ট। বুদ্ধি ও চিন্তার চর্চা মানুষকে যুক্তিবাদী ও বিবেকী করে তোলে। যে কোন অবস্থায় বিবেকী মানুষ হিরোশিমা ও নাগাসাকি ঘটাতে পারে না। বিবেকহীন সভ্যতা মানুষকে বর্বরতার কোন চরম সীমায় নিয়ে গেছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় এ দুটি নাম তার অক্ষয় স্বাক্ষর। নীতি ও জীবনের মূল্যবোধ ছাড়া যান্ত্রিক সভ্যতা ও তার প্রগতি মানুষকে কোন লক্ষ্যেই নিয়ে যায় না।

ক. লেখকের মতে দান বা ভিক্ষা গ্রহণ করার দৃশ্যটি কেমন?
খ রাষ্ট্র কীভাবে জাতির যৌথ জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোন প্রসঙ্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধে বর্ণিত হিংসাত্মক মনোভাবের পরিণতির বর্ণনা একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা কর।

এই মানব-কল্যাণ প্রবন্ধের সৃজনশীল সাজেশন (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন