মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ মাসি-পিসি এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।

মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

প্রশ্ন ১। “অতি সন্তর্পণে তারা বিছানা ছেড়ে ওঠে।”- কাদের সম্পর্কে এবং কেন বলা হয়েছে?

প্রশ্ন ২। ‘বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।’ – কেন? বুঝিয়ে দাও ।

প্রশ্ন ৩। “ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়,” – এখানে ‘পাষাণ’ কথাটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?

প্রশ্ন ৪। ‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি’-ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন ৫। “নিজেকে তার ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে।”— কার, কেন?

শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ৬। মাসি-পিসি কেন কানাই চৌকিদারের সাথে গেল না?
উত্তর : তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যেতে পারে ভেবে মাসি-পিসি কানাই চৌকিদারের সঙ্গে গেল না। হঠাৎ এক রাতে কানাইয়ের সঙ্গে গোকুলের তিনজন পেয়াদা এসে মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়ি যেতে বলে। মাসি জানতে চায় তাদের দুজনের মধ্যে একজন গেলে হবে কিনা। কিন্তু কানাই তাতে অসম্মতি জানায়। মাসি-পিসি জানে তারা দুজনে কাছারিবাড়ি গেলে সাধু বৈদ্য-ওসমানেরা এসে রাতের আঁধারে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যাবে। আর সেজন্যই মাসি-পিসি কানাই চৌকিদারের সঙ্গে গেল না।

প্রশ্ন ৭। কেন মাসি-পিসি কানাইয়ের সাথে কাছারিবাড়ি যেতে রাজি হয়নি? বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : আহ্লাদির নিরাপত্তার কথা ভেবেই মাসি-পিসি কানাইয়ের সঙ্গে কাছারিবাড়ি যেতে রাজি হয়নি। আহ্লাদি তার মাসি-পিসির সঙ্গে থাকত। এক রাতে কানাই তিনজন পেয়াদা নিয়ে আসে মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।

কানাইয়ের সঙ্গে গোকুলের যে তিনজন পেয়াদা এসেছে তাদের মাসি-পিসি চিনতে পারে, মাথায় লাল পাগড়ি-আঁটা লোকটা তাদের অচেনা। তারা আরও দেখতে পায় ডোবার ধারে কাঁঠাল গাছের ছায়ায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে আছে। পরিস্থিতি দেখে মাসি-পিসি ভালোভাবেই বুঝতে পারে যে, তারা কানাইয়ের সঙ্গে কাছারিবাড়িতে গেলে আড়ালে ঘুপটি মেরে থাকা লোকগুলো এসে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যাবে। তাই কানাইয়ের সঙ্গে মাসি-পিসি কাছারিবাড়ি যেতে রাজি হয়নি।

প্রশ্ন ৮। ‘সেই এখানকার কর্তা, সেই সর্বেসর্বা’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

[ভোলা সরকারি কলেজ

উত্তর : “সেই এখানকার কর্তা, সেই সর্বেসর্বা।”- কথাটির দ্বারা

লেখক পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষের প্রাধান্য তুলে ধরেছেন।

– মাসি-পিসি রান্নাঘরে আহ্লাদির ভবিষ্যতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে

আলাপ-আলোচনা করে। এরই এক পর্যায়ে তারা জামাই জগুর

সম্পর্কে কথা তোলে। জামাই যদি আসে, তারা জামাইকে

যথাযথ খ্যাতির-যত্ন করবে, এমনকি মেয়েকে শিখিয়ে দেবে যে,

স্বামী এসেছে বলে সে যেন আহ্লাদে গদগদ হওয়ার ভাব দেখায়।

যে কদিন জামাই থাকে সে যেন অনুভব করে সে-ই এখানকার

কর্তা, সে-ই সর্বেসর্বা। সে আহ্লাদির সঙ্গে অতীতে কী করেছে

বা ভবিষ্যতে কী করবে সেটা বড় কথা নয়। এখানে একটি বিষয়

স্পষ্ট হয় যে, পুরুষ হলো সমাজের মাথা। তারা যত অন্যায়

করুক না কেন, তাদের মর্যাদা সর্বদা উপরে।

প্রশ্ন ৯। মাসি-পিসি খালি ঘরে আহ্লাদিকে রেখে যাওয়ার সাহস

পায় না কেন?

[চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ]

উত্তর : আহ্লাদির নিরাপত্তার কথা ভেবে মাসি-পিসি খালি ঘরে

তাকে রেখে যাওয়ার সাহস পায় না।

আহ্লাদির বাবা-মা, ভাই বেঁচে নেই। আপনজন হিসেবে শুধু

আছে মাসি ও পিসি। বিধবা ও নিঃসন্তান মাসি-পিসিই তাকে

আগলে রাখে। গ্রামের খারাপ লোকেরা আহ্লাদিকে একা পেয়ে

তার ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে মাসি-পিসি খালি ঘরে

আহ্লাদিকে একা রেখে যাওয়ার সাহস পায় না।

প্রশ্ন ১০। বাকি রাতটুকু মাসি-পিসি কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন

করে? ব্যাখ্যা কর। [বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা; ক্যান্ট,

পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, লালমনিরহাট]

উত্তর : বাকি রাতটুকু মাসি-পিসি আহ্লাদিকে না জাগিয়েই

নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে।

গ্রামের খারাপ লোকেরা রাতে মাসি-পিসিদের আক্রমণ করতে

পারে বা ঘরে আগুন দিতে পারে সেজন্য মাসি সজাগ থাকার

কথা বলে। পিসি কাঁথা-কম্বল ভিজিয়ে রাখে যাতে আগুন থেকে

রক্ষা পাওয়া যায়। হাঁড়ি-কলসে আরও জল এনে রাখে। বঁটি

আর রামদা হাতের কাছেই রাখে। এভাবে তারা যেকোনো বিপদ

প্রতিহত করার সাহস আর মনোবল নিয়ে প্রস্তুত থাকে।

প্রশ্ন ১১। মাসি-পিসির ডাকে আশেপাশের অনেক মানুষ কেন

ছুটে এসেছিল? কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু ডিগ্রি কলেজ, কুমিল্লা)

উত্তর : বিপদে পড়েছে ভেবে অসহায় মাসি-পিসির ডাকে

আশপাশের অনেক মানুষ ছুটে এসেছিল।

গ্রামের অসহায় মানুষদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়-অত্যাচার

করে আসছিল দারোগাবাবু আর গোকুলের লোকেরা। তাদেরই

অনুগত কানাই চৌকিদার আর গোকুলের তিন পেয়াদা এক রাতে

মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়িতে নিয়ে যেতে আসে। প্রতিবাদী মাসি-

পিসি রাতে কাছারিবাড়ি যেতে চায় না। পেয়াদারা জোর করতে

এলে সাহায্যের আশায় মাসি-পিসি আশপাশের মানুষজনকে

হাঁকডাক শুরু করে। বিপদ অনুমান করে মাসি-পিসিদের সাহায্য

করতে তখন আশপাশের অনেক মানুষ ছুটে এসেছিল।

পদ্য চ

প্রশ্ন ১২। “ঈষৎ তন্দ্রার ঘোরে শিউরে ওঠে আহ্লাদি”– কেন?

কক্সবাজার সিটি কলেজ

উত্তর : মাসি-পিসিকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতে গিয়ে ঈষৎ

তন্দ্রার ঘোরে আহ্লাদি শিউরে ওঠে।

আহ্লাদি মাসি ও পিসির দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার

কথা মনে করে। কিন্তু মাসি-পিসির কথা মনে হলে সে আঁতকে ওঠে।

শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সময় মাসি-পিসিকে ছেড়ে

থাকার অসম্ভব কল্পনা তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সে ভাবে, মাসি-

পিসিকে ছাড়া তার ঘুমই আসবে না। এ কারণে মাসি-পিসিকে ছেড়ে

থাকার কথা ভাবতে গিয়ে আহ্লাদি শিউরে ওঠে।

বোঝায়?

প্রশ্ন ১৩। “পেটে শুকিয়ে লাথি ঝাঁটা খেতে?” বলতে কী

[সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ, গাজীপুর)

উত্তর : উক্তিটির মাধ্যমে আহ্লাদির ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের

অত্যাচারের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।

আহ্লাদির স্বামীর বাড়ির মানুষগুলো মানুষরূপী পশু। তারা

আহ্লাদির ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাত। সেখানে সে

ঠিকমতো খেতে পায় না উপরন্তু লাথি-ঝাঁটার বাড়ি তো আছেই।

কখনো কখনো স্বামীর কলকে পোড়ার ছ্যাঁকাও খেতে হয়

তাকে। প্রশ্নোক্ত উক্তিতে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন ১৪। মাসির ওপর পিসির একটা অবজ্ঞার ভাব ছিল কেন?

[সৃষ্টি কলেজ অব টাঙ্গাইল)

উত্তর : পিসির বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেওয়ার কারণে

মাসির ওপর পিসির একটা অবজ্ঞার ভাব ছিল।

আহ্লাদির মায়ের বোন মাসি আর বাবার বোন পিসি দুজনেই

আহ্লাদির বাবার বাড়িতে আশ্রিত। তবে পিসি এ বাড়ির মেয়ে

অর্থাৎ এটা তার বাবার বাড়ি। আর মাসি আত্মীয়তার সূত্রে এ

বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছে। এ কারণে মাসির ওপর পিসির একটা

অবজ্ঞার ভাব ছিল।

Ahs

We

প্রশ্ন ১৫। আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসতে হয় কেন?

[ফুলতলা মহিলা কলেজ, খুলনা]

উত্তর : স্বামী জগুর পাশবিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই ঘর

ছাড়তে বাধ্য হয় আহ্লাদি।

আহ্লাদির বিয়ের পর কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তার পিতা-মাতা ও ভাই

মারা যায়। ফলে তার জীবনে ভীষণ কষ্ট নেমে আসে। তাকে জগু

কষ্ট দিত, নানাভাবে নির্যাতন করত। তাকে সে কলকেপোড়া ছ্যাঁকা

দিত, দিনভর-রাতভর খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখত। এসব কারণে

‘নিরুপায় হয়ে আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছাড়তে হয়েছিল ।

@ পাঠ্যবই বিশ্লেষিত প্রশ্ন  উত্তর

প্রশ্ন ১৬। “হাতে দুটো পয়সা এলে তোমারও স্বভাব বিগড়ে যায়

কৈলেশ”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : “হাতে দুটো পয়সা এলে তোমারও স্বভাব বিগড়ে যায়

কৈলেশ”— উক্তিটি দ্বারা পিসি কৈলাশের চারিত্রিক অধঃপতনের

ইঙ্গিত করেছে।

‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি অভাগী এক নারী চরিত্র। জগুর সঙ্গে

তার বিয়ে হলেও স্বামীর ঘর করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

তাই স্বামীর ঘর ছেড়ে আহ্লাদি চলে আসে মাসি-পিসির কাছে।

কাজেই কৈলাশ যখন পুনরায় আহ্লাদিকে জগুর কাছে পাঠানোর

জন্য সুপারিশ করে, তখন তার প্রতি রাগান্বিত হয়ে পিসি জগুর

সঙ্গে তুলনা করে কৈলাশকে এ কটূক্তি করে।

প্রশ্ন ১৭ । জগু মামলা করতে চাইল কেন?

উত্তর : জগু মামলা করতে চাইল আহ্লাদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।

আহ্লাদি তার স্বামী জগুর ঘর ছেড়ে চলে এলে সে অনেকবার

তাকে ফিরিয়ে নিতে আসে। তখন আহ্লাদি যেতে চায় না। মাসি-

পিসিও তাকে যেতে দেয় না। তাই জগু কৈলাশের মাধ্যমে

স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, সে বউকে নেওয়ার জন্য মামলা করবে।

প্রশ্ন ১৮। “বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো।”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাঙালি সমাজে জামাই যেমনই হোক না কেন, জামাইকে

আদর করতে কমতি রাখে না- প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ

কথাই প্রকাশিত হয়েছে।

আহ্লাদির স্বামী সবসময় আহ্লাদিকে নির্যাতন করত। তাই স্বামীর ওপর

অতিষ্ঠ হয়ে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু এত কিছুর পরও যখন

জগু শ্বশুরবাড়ি আসে তখন মাসি-পিসি জামাইয়ের আদরে কমতি

রাখে না। তারা ছাগল বিক্রি করে জামাইকে ভালো-মন্দ দশটা জিনিস

খাইয়ে আদর-যত্ন করে। তাই কৈলাশ যখন মাসি-পিসিকে আহ্লাদিকে

ফেরত পাঠাতে বলে তখন মাসি-পিসি বলে, মেয়ে না পাঠালেও

জামাই এলে তার আদর-যত্নের কমতি হবে না।

প্রশ্ন ১৯। রাতের বেলা কানাই পেয়াদা নিয়ে এসেছিল কেন?

উত্তর : মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়ি দারোগাবাবুর কাছে হাজির করার

উদ্দেশ্যে রাতের বেলায় কানাই তিনজন পেয়াদাকে নিয়ে এসেছিল।

সেদিন মাসি-পিসি সরকারবাবুর সঙ্গে বাজারের তোলা নিয়ে

ঝগড়া করেছিল। তাই তাদের বিচারের জন্য কাছারিবাড়িতে

নিয়ে যেতে কানাই পেয়াদা নিয়ে আসে। কিন্তু সেটা তাদের

আসল উদ্দেশ্য নয়। তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল আহ্লাদিকে

গোকুলের হাতে তুলে দেওয়া। মাসি-পিসিকে বাড়ি থেকে বের

করতে পারলেই তাদের ঐ কাজটা সহজ হয়।

প্রশ্ন ২০ । মাসি-পিসি কানাইকে কীভাবে প্রতিহত করেছিল? হঠ

উত্তর : বঁটি ও কাটারি হাতে নিয়ে এবং প্রতিবেশীদের ডেকে

এনে মাসি-পিসি কানাইকে প্রতিহত করেছিল ।

রাতের বেলায় তাদের কাছারিতে নিয়ে যাওয়াটা মাসি-পিসির

কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। তাছাড়া তারা ঝোপের আড়ালে

লুকানো সাধু বৈদ্য ওসমানদের দেখে ফেলে। তাই তারা ঘরে

গিয়ে বঁটি আর কাটারি নিয়ে বেরিয়ে আসে। তারপর

প্রতিবেশীদের জোরে জোরে ডাকতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে

এলে কানাই দলবলসহ পালিয়ে যায়। মূলত অদম্য সাহস আর

আহ্লাদির প্রতি মমত্ববোধই মাসি-পিসিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে

কানাইকে প্রতিহত করতে।

প্রশ্ন ২১। গ্রামবাসী মাসি-পিসিকে কীভাবে সাহায্য করেছিল?

উত্তর : মাসি-পিসির হাঁক শুনে প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত

বাড়িয়ে এগিয়ে আসে।

….

প্রথমে বিনা পরামর্শেই মাসি-পিসি গলা ছেড়ে ডাকাডাকি শুরু

করে দেয়। আশপাশের বাসিন্দাদের নাম ধরে— “ও বাবাঠাকুর!

ও ঘোষ মহাশয়! ও জনাদ্দন! ওগো কানুর মা, বিপিন, বংশী

বলে ডাকাডাকি শুরু করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। তাদের এ

চরম বিপদের কথা জানতে পেরে গ্রামবাসী অনেকে ছুটে আসে,

আবার কেউ জানালা খুলে বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করে। তখন

ভয় পেয়ে কানাই দলবলসহ পালিয়ে যায়।

2)

মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)

এই মাসি-পিসি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন