মাসি-পিসি সৃজনশীল সাজেশন ২০২৫-২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
মাসি-পিসি সৃজনশীল সাজেশন ২০২৫-২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ মাসি-পিসি এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনুশীলন
কিছুদিন থেকে আবার ওর ছোট বোনটাও এসে ওদের ঘাড়ে চড়েছে। বিয়ে দিয়েছিল ভাল ঘর দেখেই। কিন্তু কপালে সুখ লেখা না থাকলে সে কপাল পাথরে ঠুকেও লাভ নেই। … পাঁচির স্বামী নাকি কোনো এক ক্যাওয়ার মেয়েকে মুসলমান করে নেকা করেছে। কিন্তু স্বামীর অর্ধেক রাজত্বে পাঁচির মন উঠল না। একদিন তার অনাগত শিশুর শুভ সংবাদসহ অর্ধেক রাজত্বের সর্বস্বত্ব ত্যাগ করে মায়ের দুঃখের কোলেই সে ফিরে এলো।
ক) কানাই মাসি-পিসিকে কোথায় যেতে বলল?
খ) “গলা কেটে রক্ত দিয়ে সে ধার শোধ করা যদি-বা সম্ভব, অন্ন দেওয়ার ক্ষমতা কোথায় পাবে।” কথাটি কেন বলা হয়েছে?
গ) উদ্দীপকের পাঁচির বাড়িতে ফিরে আসা এবং আহ্লাদির বাবার বাড়িতে ফিরে আসার মধ্যে বৈসাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ) “ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও পাঁচি ও আহ্লাদি তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় চরম বাস্তবতার নির্মম শিকার”- মন্তব্যটি যাচাই কর।
২) দিন কাটিয়া যায়। জীবন অতিবাহিত হয়। ঋতুচক্রে সময় পাক খায়, পদ্মার ভাঙন ধরা
তীরে মাটি ধসিতে থাকে, পদ্মার বুকে জল ভেদ করিয়া জাগিয়া উঠে চর, অর্ধ শতাব্দীর
বিস্তীর্ণ চর পদ্মার জলে আবার বিলীন হইয়া যায়। জেলেপাড়ার ঘরে শিশুর ক্রন্দন কোনো
দিন বন্ধ হয় না। ক্ষুধাতৃষ্ণার দেবতা, হাসিকান্নার দেবতা, অন্ধকার আত্মার দেবতা,
ইহাদের পূজা কোনো দিন সাঙ্গ হয় না। এ দিকে গ্রামের ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণেতর ভদ্র
মানুষগুলি তাহাদের দূরে ঠেলিয়া রাখে, ওদিকে প্রকৃতির কালবৈশাখী তাহাদের ধ্বংস
করিতে চায়, বর্ষার জল ঘরে ঢোকে, শীতের আঘাত হাড়ে গিয়া বাজে। আসে রোগ,
আসে শোক। টিকিয়া থাকার নির্মম অনমনীয় প্রয়োজনে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি
করিয়া তাহারা হয়রান হয়। জন্মের অভ্যর্থনা এখানে গম্ভীর, নিরুৎসব, বিষণ্ন।
উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
““মাসি-পিসি’ গল্পের মানুষগুলোর হাহাকার, দরিদ্রতা, সমাজপতিদের
অত্যাচার, সামাজিক বৈষম্যের চিত্র সামান্যই প্রতিফলিত হয়েছে উদ্দীপকে”—
মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
মাসি-পিসি সৃজনশীল সাজেশন ২০২৪ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
8
পদ্মার ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে সুনীল আশ্রয় নেয় তারই বন্ধু সুশীলের বাড়িতে। সুশীলের
সংসারেও কেউ নেই। দুজনেই নেমে পড়ে জীবনসংগ্রামে। একসাথে তারা মাছ ধরে, বিক্রি
করে। আবার একটু বাড়তি আয়ের জন্য গ্রাম থেকে গৃহস্থের গাভীর দুধ, শাকসবজি, হাঁস-
মুরগি নিয়েও দূরের হাটে বিক্রি করে। গ্রামের মানুষেরা যেমন তাদের দিয়ে ব্যবসায় করিয়ে
সুবিধা পায়, তেমনি এভাবে ব্যবসায়ের সুবাদে দুজনের বন্ধুত্বও আরও গভীর হয়।
ক. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?
শকুনরা উড়ে এসে কোথায় বসল?
মাসি-পিসি শাকসবজির ব্যবসায় শুরু করে কেন?
ঘ.
ঘ.
১
“নিজেকে তার ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে।” ব্যাখ্যা কর।
উদ্দীপকের সুনীল ও সুশীলের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির সাদৃশ্য
। আলোচনা কর।
৩
ঘ. উদ্দীপকের চরিত্রগুলোর জীবনসংগ্রামের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা ‘মাসি-পিসি’
গল্পের আলোকে আলোচনা কর।
“এইখানে তোর বুজির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।”
অল্পদিন আগে কে শ্বশুরবাড়িতে মরেছে?
জগু কেন আহ্লাদির ওপর নির্মম নির্যাতন চালাত?
উদ্দীপকের বুজির ওপর নির্যাতনের সঙ্গে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির ওপর
নির্যাতনের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
“পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন সমাজে নারীর প্রতি বিভীষিকাময় অত্যাচারের দুটি
প্রামাণ্য দলিল উদ্দীপক এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্প”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
মেয়েদের বয়স দশ-এগারো না হতেই বিয়ে হয়ে যায় আর বছর ঘুরতে মা হতে গিয়ে অনেকেই
মারা যায়। যারা মরে না তারাও মরোমরো হয়ে বেঁচে থাকে মাত্র। রশিদ ব্যাপারীর মেয়েটা
এবার বাপের বাড়ি এসে কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাচ্ছে না। ছোট্ট মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির
অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। রশিদ ব্যাপারী এ ব্যাপারে মেয়ের ওপর জোর
খাটানোর চেষ্টা করতেই সম্পর্কে জ্ঞাতি চাচা তহম ব্যাপারী রশিদের প্রতি মারমুখী হয়ে
বললেন, “রশিদ, বলি মেয়েটাকে আমার তহুরার মতো খুন করতে শ্বশুরবাড়ি পাঠাসনে।”
ক. “মাসি-পিসি ফিরছে কৈলেশ”- এ কথা কে বলল?
গল্পের শুরুতে মাসি-পিসির আগমনের চিত্র তুলে ধর।
উদ্দীপকের তহম ব্যাপারীর কোন বৈশিষ্ট্য ‘মাসি-পিসি’ গল্পের বুড়ো রহমানের
চরিত্রে পাওয়া যায়?
উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্প উভয় ক্ষেত্রেই সমাজব্যবস্থার অসংগতি ফুটে
উঠেছে।- যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
এই মাসি-পিসি সৃজনশীল সাজেশন ২০২৬ (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন