এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। রাজশাহী বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান

এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র। রাজশাহী বোর্ড ২০২৫ । CQ সমাধান


(১)

(ক) অ-ধ্বনি উচ্চারণের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

বাংলায় 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ প্রধানত দুই প্রকার: সংবৃত ('ও'-কারের মতো) এবং বিবৃত ('অ'-কারের মতো)। এখানে 'অ' ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ দেওয়া হলো:

১. শব্দের আদ্যক্ষর 'অ' এরপর ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, ক্ষ, জ্ঞ, য-ফলা অথবা 'র' বা 'ল' ধ্বনির পর যদি 'অ' থাকে, তবে সেই 'অ' সংবৃত বা ও-কারের মতো উচ্চারিত হয়।

* উদাহরণ:

* অতি (ওতি)

* অদূর (ওদুর)

* অক্ষ (ওক্খো)

* প্রত্যয় (প্রোত্‌তয়্)

২. শব্দের আদ্যক্ষর 'অ' যদি 'ন' বা 'ম' ধ্বনির পূর্বে থাকে, তবে সেই 'অ' সংবৃত বা ও-কারের মতো উচ্চারিত হয়।

* উদাহরণ:

* অনামিকা (ওনামিকা)

* অমর (ওমর)

৩. 'অ' ধ্বনির পরে 'যদি' 'ই' বা 'উ' ধ্বনি থাকে (বা তাদের কার চিহ্ন), তবে প্রথম 'অ' সংবৃত হয়।

* উদাহরণ:

* কড়ি (কোড়ি)

* মধু (মোধু)

৪. উপসর্গযুক্ত শব্দের আদ্যক্ষর 'অ' বিবৃত হয় (তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়)।

* উদাহরণ:

* অকাল (অকাল)

* অনাবৃষ্টি (অনাবৃষ্টি)

৫. 'অ' ধ্বনির পর যদি সরাসরি 'আ' কার থাকে বা শব্দে কোন য-ফলা না থাকে এবং তা বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়, তবে সেই 'অ' প্রায়শই বিবৃত থাকে।

* উদাহরণ:

* কলম (কলম)

* জল (জল)

* বন (বন)

৬. শব্দের শেষে যদি 'অ' থাকে, তবে সেই 'অ' সংবৃত হয়।

* উদাহরণ:

* ফল (ফল্-ও)

* জল (জল্-ও)

* মন (মোন্-ও)


(খ) যে-কোনো পাঁচটি শব্দের উচ্চারণ লেখ:

এখানে প্রদত্ত শব্দগুলোর উচ্চারণ দেওয়া হলো:

  • অধ্যক্ষ: ওদ্ধোক্খো

  • ব্রাহ্মণ: ব্রাম্হোন

  • অভিধান: ওভিধান্

  • দক্ষ: দোক্খো

  • গ্রহণ: গ্রোহোন

  • ঐশ্বর্য: ওইশ্শোর্জো

  • আহ্বান: আওভান্ / আওবান্

  • কন্যা: কোন্না


(২)

(ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের যে কোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখ।

বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেওয়া হলো:

১. ই-কার/ঈ-কারের ব্যবহার: সকল অতৎসম (তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র) শব্দে কেবল ই-কার (ি) ব্যবহৃত হবে। তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে মূল সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত থাকবে।

* উদাহরণ:

* সরকারি (সরকার + ই), বিদেশি, পাঞ্জাবি, আরবি, আসামি, দিদি (সঠিক)

* বিদেশী, পাঞ্জাবী, আরবী, আসামী, দিদী (ভুল)

২. ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধান: তৎসম শব্দে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধানের নিয়ম বজায় থাকবে। তবে, অতৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ণ (ণ) ও মূর্ধন্য-ষ (ষ) ব্যবহৃত হবে না, কেবল দন্ত্য-ন (ন) ও দন্ত্য-স (স) ব্যবহৃত হবে।

* উদাহরণ:

* তৎসম: কারণ, ব্যাকরণ, উষ্ণ, কষ্ট (সঠিক)

* অতৎসম: কুরআন, জার্মান, পোশাক, জিনিস (সঠিক)

* কোরআন, জার্মাণ, পোষাক, জিনিষ (ভুল)

৩. বিসর্গ (ঃ) বর্জন: অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে বিসর্গ বর্জনীয়। এছাড়া, অব্যয় পদে বিসর্গ ব্যবহৃত হবে না।

* উদাহরণ:

* সাধারণত, প্রধানত, কার্যত, মূলত (সঠিক)

* সাধারণতঃ, প্রধানতঃ, কার্যতঃ, মূলতঃ (ভুল)

* দুঃখ (তৎসম শব্দ বলে থাকবে)

৪. রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব বর্জন: তৎসম ও অতৎসম উভয় প্রকার শব্দেই রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না।

* উদাহরণ:

* কর্ম, কার্য, সূর্য, অর্চনা (সঠিক)

* কর্ম্ম, কার্য্য, সূর্য্য, অর্চ্চণা (ভুল)

৫. যুক্তবর্ণের ব্যবহার: কিছু নির্দিষ্ট যুক্তবর্ণ সরলীকরণ করা হয়েছে। যেমন: ক্ + ত = ক্ত (যেমন: রক্ত), হ্ + ম = হ্ম (যেমন: ব্রহ্ম)। অনেক ক্ষেত্রে পূর্বের রূপগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, তবে পাঠের সুবিধার জন্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

* উদাহরণ:

* বিজ্ঞাপন (বিগ্‌গাপন)

* লক্ষ্য (লক্‌খো)

* হ্ম (ব্রহ্মা), ক্ত (রক্ত), ষ্ণ (কৃষ্ণ)


(খ) যে-কোনো পাঁচটি শব্দের বানান শুদ্ধ করে লেখ:

এখানে প্রদত্ত শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান দেওয়া হলো:

  • দূরাবস্থা: দুরবস্থা

  • শান্তনা: সান্ত্বনা

  • মুমূর্ষ: মুমূর্ষু

  • বাল্মিকি: বাল্মীকি

  • সমিচীন: সমীচীন

  • স্বরস্বতী: সরস্বতী

  • আকাংখা: আকাঙ্ক্ষা

  • মনিষী: মনীষী


(৩)

(ক) বিশেষ্য কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।

বিশেষ্য হলো সেই পদ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, গুণ, ধারণা, বা কাজের নাম বোঝায়। সহজভাবে বলতে গেলে, যা কিছুর নাম আছে, তাই বিশেষ্য পদ।

উদাহরণ:

  • ব্যক্তি: নজরুল, রবীন্দ্র, হাসান

  • বস্তু: বই, কলম, টেবিল

  • স্থান: ঢাকা, বিদ্যালয়, বাড়ি

  • গুণ: সততা, দয়া, শান্তি

  • জাতি: মানুষ, গরু, পাখি

  • সমষ্টি: জনতা, সভা, বাহিনী

  • ভাব/ক্রিয়া: ভোজন, গমন, দেখা

বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ:

বাংলা ব্যাকরণে বিশেষ্য পদকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা হয়:

১. নামবাচক/সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য (Proper Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান, গ্রন্থ, নদী, পর্বত, সমুদ্র, সংবাদপত্র ইত্যাদির নাম বোঝায়।

* উদাহরণ: রবীন্দ্রনাথ (ব্যক্তি), কলকাতা (স্থান), পদ্মা (নদী), হিমালয় (পর্বত), গীতাঞ্জলি (গ্রন্থ)।

২. জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে না বুঝিয়ে এক জাতীয় প্রাণী বা বস্তুর সাধারণ নাম বোঝায়।

* উদাহরণ: মানুষ, গরু, গাছ, নদী, শিক্ষক, ছাত্র।

৩. বস্তুবাচক/দ্রব্যবাচক বিশেষ্য (Material Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা গণনা করা যায় না, শুধু পরিমাপ করা যায় এমন বস্তুর নাম বোঝায়।

* উদাহরণ: চিনি, লবণ, জল, তেল, লোহা, সোনা, কাগজ।

৪. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (Collective Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা একই জাতীয় কিছু ব্যক্তি বা বস্তুর সমষ্টিকে বোঝায়।

* উদাহরণ: জনতা, সভা, দল, বাহিনী, পাল, ঝাঁক, পরিবার।

৫. গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো কিছুর গুণ, অবস্থা, ধারণা বা ভাবকে বোঝায়, যা চোখে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।

* উদাহরণ: সততা, দয়া, সুখ, দুঃখ, শান্তি, সৌন্দর্য, তারুণ্য, শৈশব।

৬. ক্রিয়াবাচক/ভাববাচক বিশেষ্য (Verbal Noun): যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়ার নাম বা কাজের ভাব বোঝায়।

* উদাহরণ: গমন (যাওয়া), ভোজন (খাওয়া), দর্শন (দেখা), শয়ন (শোয়া), অধ্যয়ন (পড়া)।


(খ) নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ লেখ:

অনুচ্ছেদ: "সকালে মা ঘুমন্ত শিশুকে জাগিয়ে গরম দুধ খাওয়ালেন। এরপর আড়াই বছরের অবুঝ শিশুটিকে নিয়ে বাগানে লাল লাল ফুল দেখালেন। সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলগুলো ছিল চমৎকারঝকঝকে রোদে পরিবেশও ছিল সুখকর।"

পাঁচটি বিশেষণ পদ:

১. ঘুমন্ত (শিশুর অবস্থা)

২. গরম (দুধের গুণ)

৩. অবুঝ (শিশুর প্রকৃতি)

৪. লাল লাল (ফুলের রঙ)

৫. চমৎকার (ফুলের গুণ)


(৪)

(ক) উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

উপসর্গ:

উপসর্গ হলো কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা ক্রিয়াপদ বা নামপদের আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করে এবং শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন ঘটায়। উপসর্গের নিজস্ব কোনো স্বাধীন অর্থ নেই, কিন্তু শব্দের পূর্বে যুক্ত হলে এরা অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।

উদাহরণ:

  • প্র + হার = প্রহার (এখানে 'প্র' উপসর্গ)

  • উপ + কার = উপকার (এখানে 'উপ' উপসর্গ)

  • হা + ভাত = হাবাত (এখানে 'হা' উপসর্গ)

উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা:

বাংলা ভাষায় উপসর্গের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। এর প্রধান কারণগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

১. নতুন শব্দ গঠন: উপসর্গ হলো নতুন শব্দ তৈরির একটি শক্তিশালী উপায়। একই মূল শব্দের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ যোগ করে ভিন্ন ভিন্ন অর্থের নতুন শব্দ তৈরি করা যায়।

* যেমন: 'হার' (পরাজয়) + 'আ' = আহার (খাওয়া), 'প্র' = প্রহার (মার), 'বি' = বিহার (ভ্রমণ), 'উপ' = উপহার (ভেট)।

২. শব্দের অর্থের পরিবর্তন: উপসর্গ শব্দের মূল অর্থকে পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ দান করতে পারে।

* যেমন: 'পূর্ণ' (ভরা) + 'পরি' = পরিপূর্ণ (সম্পূর্ণ ভরা); 'দান' (দেওয়া) + 'প্র' = প্রধান (মুখ্য)।

৩. শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ বা সংকোচন: উপসর্গ যুক্ত হয়ে শব্দের অর্থকে প্রসারিত বা সংকুচিত করতে পারে।

* সম্প্রসারণ: 'জ্ঞান' (জানা) + 'বি' = বিজ্ঞান (বিশেষ জ্ঞান)।

* সংকোচন: 'কাল' (সময়) + 'সু' = সুসময় (ভালো সময়)।

৪. বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: উপসর্গের প্রয়োগ বাক্যে শ্রুতিমাধুর্য ও অর্থের গভীরতা বাড়ায়। এটি ভাষার প্রকাশভঙ্গিকে আরও সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর করে তোলে।

সংক্ষেপে, উপসর্গ বাংলা শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে, শব্দের অর্থের বহুমুখিতা আনে এবং ভাষার প্রকাশভঙ্গিকে আরও কার্যকর ও সুন্দর করে তোলে।


(খ) যে-কোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর:

এখানে প্রদত্ত সকল শব্দের ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করা হলো:

১. তেপান্তর

* ব্যাসবাক্য: তিন প্রান্তরের সমাহার

* সমাস: দ্বিগু সমাস

২. জলচর

* ব্যাসবাক্য: জলে চরে যা/যে

* সমাস: উপপদ তৎপুরুষ সমাস

৩. উদ্বেল

* ব্যাসবাক্য: উর্ধ্বে বা ওপরে যে বেল (কূল/সীমা)

* সমাস: প্রাদি সমাস

৪. মৃগনয়না

* ব্যাsbakya: মৃগীর ন্যায় নয়ন যার

* সমাস: বহুব্রীহি সমাস (উপমান বহুব্রীহি)

৫. আমরা

* ব্যাসবাক্য: তুমি, আমি ও সে

* সমাস: একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস

৬. মুখচন্দ্র

* ব্যাসবাক্য: মুখ চন্দ্রের ন্যায়

* সমাস: উপমান কর্মধারয় সমাস (বা মুখরূপ চন্দ্র - রূপক কর্মধারয় সমাস)

৭. দেশান্তর

* ব্যাসবাক্য: অন্য দেশ

* সমাস: নিত্য সমাস

৮. অনাচার

* ব্যাসবাক্য: ন আচার (নয় আচার)

  • সমাস: নঞ তৎপুরুষ সমাস

(৫)

(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।

গঠন অনুসারে বাক্যকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: সরল বাক্য, জটিল বাক্য (বা মিশ্র বাক্য), এবং যৌগিক বাক্য

১. সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া এবং একটি মাত্র কর্তা থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। এটি একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে।

* উদাহরণ:

* ছেলেটি বই পড়ে।

* বৃষ্টি হচ্ছে।

* সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।

২. জটিল বাক্য (মিশ্র বাক্য): যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে যুক্ত থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। অপ্রধান খণ্ডবাক্যগুলো সাধারণত 'যে', 'যিনি', 'যা', 'যখন', 'যদি', 'যদিও' ইত্যাদি সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয় দিয়ে শুরু হয়।

* উদাহরণ:

* যে কঠোর পরিশ্রম করে, সে জীবনে সফল হয়।

* যখন বিপদ আসে, তখন বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়।

* যদিও সে গরিব, তবুও সে সৎ।

৩. যৌগিক বাক্য: দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য যখন সংযোজক অব্যয় (যেমন: 'এবং', 'ও', 'আর', 'অথবা', 'কিংবা', 'কিন্তু', 'তবু', 'সুতরাং', 'অতএব', 'নতুবা' ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করে, তাকে যৌগিক বাক্য বলে। এই বাক্যগুলোর প্রতিটি অংশই স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

* উদাহরণ:

* সে গরিব, কিন্তু সৎ।

* আমি বাড়ি যাব, এবং সেখানে পড়াশোনা করব।

* সে অসুস্থ, সুতরাং আজ স্কুলে আসবে না।


(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটির বাক্যান্তর কর:

এখানে বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে বাক্যান্তরগুলো দেওয়া হলো:

(i) আজকাল কোনো জিনিসই সুলভ নয়। (অস্তিবাচক)

* আজকাল প্রায় সব জিনিসই দুষ্প্রাপ্য/দুর্লভ।

(ii) কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। (জটিল)

* যিনি কীর্তিমান, তাঁর মৃত্যু নেই।

(iii) বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। (প্রশ্নবোধক)

* বাংলাদেশ কি একটি উন্নয়নশীল দেশ?

(iv) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)

* মাতৃভূমিকে কেউ ঘৃণা করে না।

(v) এটি ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়বাচক)

* কী লজ্জার কথা এটি!

(vi) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ। (সরল)

* লোকটি ধনী হয়েও কৃপণ।

(vii) কী ভয়ংকর ঘটনা! (নির্দেশাত্মক)

* ঘটনাটি খুব ভয়ংকর।

(viii) সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (যৌগিক)

* সত্য কথা বলিনি, তাই বিপদে পড়েছি।


(৬)

(ক) যে-কোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:

এখানে প্রদত্ত বাক্যগুলোর শুদ্ধ রূপ নিচে দেওয়া হলো:

(i) তার সাথে আমার সখ্যতা আছে।

* তার সাথে আমার সখ্য আছে।

(ii) আপনার কি মনে হয় না, বিধি লঙ্ঘন হয়েছে?

* আপনার কি মনে হয় না যে, বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে?

(iii) আমি স্বরস্বতী কোলে গজাননের ছোট ভাইটি।

* আমি সরস্বতী কোলে গণেশের ছোট ভাইটি।

(iv) সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি।

* সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

(v) কারো ফাগুন মাস, কারো সর্বনাশ।

* কারো ফাল্গুন মাস, কারো সর্বনাশ।

(vi) অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।

* অধ্যায়নই ছাত্রদের তপস্যা।

(vii) সে কুপুরুষের মতো কথা বলছে।

* সে কাপুরুষের মতো কথা বলছে।

(viii) মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়িগুলো থামোচ্ছে।

* মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়ি থামাচ্ছে।


(খ) নিচের অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:

অশুদ্ধ অনুচ্ছেদ: শহরের বাজারে তরিতরকারী ফলমূলের দাম অতি চড়া। গা থেকে কিনে বাজারে গিয়ে বেঁচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভরশা হয় না সালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দাড়া হবে না তার।

শুদ্ধ অনুচ্ছেদ:

শহরের বাজারে তরিতরকারি ও ফলমূলের দাম অতি চড়া। গ্রাম থেকে কিনে বাজারে গিয়ে বেচে আসে তারা, কিছু রোজগার হবে। একা মাসির ভরসা হয় না শালতি বেয়ে অতদূর যেতে, যাওয়া-আসাও একার দ্বারা হবে না তার।


(৭)

(ক) যে-কোনো দশটি শব্দের পারিভাষিক রূপ লেখ:

এখানে প্রদত্ত শব্দগুলোর পারিভাষিক রূপ দেওয়া হলো:

  • Dialect: উপভাষা

  • Agenda: আলোচ্যসূচি

  • Bankrupt: দেউলিয়া

  • Editor: সম্পাদক

  • Embargo: অবরোধ

  • Legend: কিংবদন্তি

  • Idiom: বাগধারা

  • Data: উপাত্ত

  • Public works: গণপূর্ত

  • Deed of gift: দানপত্র

  • Galaxy: ছায়াপথ

  • Dynamic: গতিশীল

  • Justice: বিচার

  • Chancellor: আচার্য

  • Global: বৈশ্বিক


(খ) নিচের অনুচ্ছেদটি বাংলায় অনুবাদ কর:

ইংরেজি অনুচ্ছেদ: Smoking is very harmful. It is expensive too. It pollutes the environment. Those who smoke cannot live long. Smoking causes cancer, heart attack and diseases of the respiratory organs. So everyone should give up smoking.

বাংলা অনুবাদ:

ধূমপান অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি ব্যয়বহুলও বটে। এটি পরিবেশ দূষিত করে। যারা ধূমপান করে, তারা বেশিদিন বাঁচতে পারে না। ধূমপানের কারণে ক্যানসার, হৃদরোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগ হয়। তাই সবার ধূমপান ত্যাগ করা উচিত।


(৮)

(ক) একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ।

গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি

তারিখ: ১৫ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময়: রাত ৯:০০টা

আজ এক দারুণ অভিজ্ঞতা হলো! বিকেলে বন্ধুদের সাথে পাশের গ্রামে গিয়েছিলাম মেলা দেখতে। বহুদিন পর এমন একটা খাঁটি গ্রাম্যমেলা দেখার সুযোগ পেলাম। শহর থেকে দূরে, সবুজ ধানক্ষেতের পাশে মেলাটি বসেছিল।

মেলায় ঢুকতেই এক অন্যরকম কোলাহল আর সুবাস আমাকে ঘিরে ধরল। নানা রঙের বেলুন, খেলনা আর বাঁশির শব্দে চারদিক মুখরিত। একপাশে নাগরদোলা ঘুরছে, আর তাতে চড়ে ছেলেমেয়েরা আনন্দে চিৎকার করছে। কাঠের ঘোড়া আর ঢেঁকিও ছিল। মাটির জিনিসপত্রের দোকানে দেখলাম সারি সারি পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল আর শখের জিনিস। লোকশিল্পীরা তাদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে বসেছিলেন। কাঠের তৈরি নানা রকম খেলনা, পাটের শিকা, নকশিকাঁথা – সব যেন বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরছে।

খাবারের দোকানগুলো থেকে লুচি-ছোলা, জিলিপি, ঘুগনি আর মেলার বিশেষ মিষ্টির গন্ধ আসছিল। গরম গরম জিলিপি আর মুড়মুড়ে পাঁপড় ভাজা খেলাম। যাত্রার প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসছিল হারমোনিয়াম আর ঢোলের আওয়াজ। ছোটবেলায় দাদু-ঠাকুমার মুখে এমন মেলার গল্প শুনতাম, আজ যেন সেই গল্পগুলোই চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল।

গ্রামের সাধারণ মানুষের সরলতা আর উৎসবের আনন্দ আমাকে মুগ্ধ করেছে। শহরের কৃত্রিমতা থেকে দূরে এই মেলা যেন এক টুকরো বিশুদ্ধ বাংলার ছবি। সন্ধ্যা নামার পর রঙিন আলোয় মেলাটা আরও ঝলমলে হয়ে উঠল। ফিরে আসার সময় মনে হচ্ছিল, এমন সহজ আনন্দের মুহূর্তগুলো যেন ফুরিয়ে না যায়। আজকের দিনটি আমার মনে এক ভিন্নরকম স্মৃতি হয়ে থাকবে।


(খ) 'পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় চাই বৃক্ষরোপণ' - এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লেখ।

প্রতিবেদন

শিরোনাম: পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় চাই বৃক্ষরোপণ

প্রতিবেদকের নাম: [আপনার নাম/ক, খ, গ]

তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫

স্থান: চট্টগ্রাম

ভূমিকা:

পরিবেশগত ভারসাম্য বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ। জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য হ্রাস - এসবই পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার ফল। এই সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ একটি অপরিহার্য হাতিয়ার, যা পরিবেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা:

বৃক্ষ আমাদের জীবনচক্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু অক্সিজেন উৎপাদন করে পরিবেশকে শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য রাখে না, বরং আরও অনেক উপায়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে:

১. অক্সিজেন উৎপাদন ও কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ: গাছ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরি করে এবং ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে উষ্ণায়নের প্রভাব কমায়।

২. ভূমিক্ষয় রোধ ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: গাছের শিকড় মাটি আঁকড়ে ধরে ভূমিক্ষয় রোধ করে। এটি বন্যার প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে। পাতা ঝরে পড়ে মাটিতে জৈব সারের সৃষ্টি হয়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়।

৩. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ: গাছপালা অসংখ্য প্রাণী ও অণুজীবের আশ্রয়স্থল। বৃক্ষরোপণ বাস্তুতন্ত্রের উন্নতি ঘটায় এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে।

৪. জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: বৃক্ষ বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে এবং জলচক্রকে সচল রাখে। এটি স্থানীয় ও আঞ্চলিক জলবায়ুর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৫. অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব: গাছ থেকে প্রাপ্ত কাঠ, ফল, ঔষধিসহ বিভিন্ন বনজ সম্পদ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, বৃক্ষ ছায়া প্রদান করে এবং নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করে মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

বর্তমান পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ:

অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন, বন উজাড় এবং কৃষিজমির সম্প্রসারণের কারণে বিশ্বজুড়ে বৃক্ষের আচ্ছাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে, বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি প্রকট।

করণীয়:

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • ব্যাপক বৃক্ষরোপণ অভিযান: সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সারাদেশে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করা।

  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি: বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা।

  • আইনের কঠোর প্রয়োগ: বন উজাড় রোধে এবং অবৈধ বৃক্ষনিধন বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন।

  • শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্তিকরণ: পরিবেশ শিক্ষা এবং বৃক্ষরোপণের গুরুত্বকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।

  • স্থানীয় উদ্যোগকে উৎসাহিত করা: ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কমিউনিটি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।

উপসংহার:

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা কেবল আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্যই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃক্ষরোপণ এই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। প্রতিটি নাগরিকের উচিত এই দায়িত্বশীল কাজে অংশগ্রহণ করা, যাতে একটি সবুজ ও সুস্থ পৃথিবী নিশ্চিত করা যায়।


(৯)

(ক) বড় বোনের বিবাহ উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুর কাছে একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ।

বিষয়: বোনের বিয়েতে তোমার নিমন্ত্রণ!

প্রিয় [বন্ধুর নাম],

কেমন আছিস? আশা করি ভালো আছিস। অনেকদিন তোর সাথে দেখা নেই, কথা নেই। এবার তোর সাথে দেখা হওয়ার একটা দারুণ সুযোগ এসেছে।

জানিস তো, আমার বড় বোন [বোনের নাম]-এর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে! আগামী [তারিখ], [স্থান]-এ বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। আমরা সবাই খুব খুশি আর আনন্দের মধ্যে আছি। বিয়ের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ।

এই শুভ অনুষ্ঠানে তুই উপস্থিত না থাকলে আমার একদমই ভালো লাগবে না। তাই, আমি তোকে বিশেষভাবে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তুই অবশ্যই [তারিখ] তারিখের আগেই চলে আসিস, যাতে আমাদের সাথে দু-চারদিন থাকতে পারিস এবং আমরা একসাথে মজা করতে পারি। তোর উপস্থিতি আমাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

তোর আসার অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছান্তে,

[তোমার নাম]

[তোমার ঠিকানা/যোগাযোগের বিবরণ]

[তোমার ইমেল ঠিকানা]


(খ) শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ: ২৯ জুন, ২০২৫

বরাবর,

অধ্যক্ষ

[কলেজের নাম]

[কলেজের ঠিকানা]

বিষয়: শিক্ষা সফরে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা প্রসঙ্গে।

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার কলেজের [শ্রেণি] শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী। আমরা কিছুদিন ধরে একটি শিক্ষা সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমাদের শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য হলো ঐতিহাসিক স্থান [স্থান]-এর (যেমন: মহাস্থানগড়, সোনারগাঁও, পাহাড়পুর ইত্যাদি) পুরাকীর্তি ও নিদর্শনগুলো সরাসরি দেখা এবং সেগুলো সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করা। এতে আমাদের পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে।

আমরা আগামী [তারিখ] থেকে [তারিখ] পর্যন্ত শিক্ষা সফরে যেতে ইচ্ছুক। আমাদের সাথে শিক্ষক হিসেবে [শিক্ষকের নাম][শিক্ষকের নাম] স্যার (বা ম্যাডাম) থাকবেন বলে সম্মতি জানিয়েছেন। শিক্ষা সফরের আনুমানিক ব্যয়ভার আমরা নিজেরাই বহন করব।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা, উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদেরকে শিক্ষা সফরে যাওয়ার অনুমতি দানে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক,

আপনার একান্ত বাধ্যগত ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ,

[শ্রেণি] শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে,

[তোমার নাম]

[রোল নম্বর]


(১০)

(ক) সারাংশ লেখ:

মূল অনুচ্ছেদ:

আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যভাবে অর্থের বা বিত্তের উপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল আগে যাবার নেশায় লক্ষ্যহীন প্রচণ্ডবেগে শুধু আত্মবিনাশের পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষ যদি এ মূঢ়তাকে জয় না করতে পারে, তবে মনুষ্যত্ব কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখান থেকে আর হয়তো নামবার উপায় নেই, এবার উঠবার সিঁড়িটা না খুঁজলেই নয়। উঠবার সিঁড়িটা না খুঁজে পেলে আমাদের আত্মবিনাশ যে অনিবার্য তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।

সারাংশ:

বর্তমান বিশ্ব অর্থনির্ভর। লাভ ও লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ কেবল আত্মবিনাশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই মূঢ়তাকে জয় করতে না পারলে মানবতা বিলুপ্ত হবে। জীবনে উন্নতির পথ খুঁজে না পেলে মানুষের অনিবার্য ধ্বংস নিশ্চিত।


(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।

ভাব-সম্প্রসারণ:

"দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য" - এই উক্তিটি মানব জীবনের এক গভীর সত্য তুলে ধরে। এর অর্থ হলো, কোনো ব্যক্তি যদি জ্ঞান বা বিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী হন, তবুও তার চরিত্র যদি মন্দ হয় অর্থাৎ তিনি যদি দুর্জন হন, তবে তাকে অবশ্যই ত্যাগ করা উচিত। বিদ্যা মানুষকে আলোকিত করে, জ্ঞান দান করে এবং সঠিক পথের দিশা দেখায়। একজন বিদ্বান ব্যক্তি সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র হন এবং তার জ্ঞান মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহৃত হওয়ার কথা।

তবে, বিদ্বান হলেও যদি কোনো ব্যক্তি অসৎ, স্বার্থপর, ঈর্ষাপরায়ণ বা অন্যের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকেন, তবে তার সেই বিদ্যা সমাজের জন্য কল্যাণকর না হয়ে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একজন দুর্জন ব্যক্তি তার বিদ্যাকে অপব্যবহার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেন এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে পারেন। তার জ্ঞান তখন ধ্বংসাত্মক শক্তিরূপে কাজ করে। তাই, তার বিদ্যা বা জ্ঞানের জন্য তাকে প্রশংসা করা গেলেও, তার অসৎ চরিত্রের কারণে তাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়

সৎ চরিত্র ও নৈতিকতা বিদ্যার চেয়েও বড়। যে জ্ঞান মানুষের মধ্যে মানবিকতা, সহানুভূতি ও মূল্যবোধের জন্ম দেয় না, সে জ্ঞান মূল্যহীন। একটি সুস্থ সমাজ গঠনে জ্ঞানী ও গুণী মানুষের অবদান অনস্বীকার্য, তবে তাদের অবশ্যই সুচরিত্রের অধিকারী হতে হবে। নতুবা, তাদের বিদ্যা সমাজের বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেয়। এজন্যই বলা হয়েছে, দুর্জন যতই বিদ্বান হোক না কেন, তাদের সংস্পর্শ ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।


(১১)

(ক) বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

সংলাপ: বই পড়ার গুরুত্ব

রাফি: কিরে সজল, আজকাল দেখি বইয়ের দোকানে বেশ আনাগোনা করছিস? কী ব্যাপার?

সজল: হ্যাঁ রে রাফি, ইদানীং বই পড়ার প্রতি একটা টান অনুভব করছি। আর যখন পড়ছি, তখন এর গুরুত্বটা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছি।

রাফি: তাই নাকি? কী এমন গুরুত্ব দেখছিস? স্মার্টফোনের যুগে বই পড়া যেন কেমন সেকেলে লাগে।

সজল: একদম ভুল ভাবছিস! স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট তাৎক্ষণিক তথ্য দিলেও, গভীর জ্ঞান বা চিন্তাভাবনার খোরাক বই-ই দিতে পারে। বই পড়লে আমাদের চিন্তাশক্তি বাড়ে, কল্পনার জগৎ প্রসারিত হয়। নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারি, যা আমাদের মনকে সমৃদ্ধ করে।

রাফি: তা ঠিক। স্কুলের পাঠ্যবই ছাড়া তেমন পড়া হয় না। কিন্তু সেগুলো তো কেবল পরীক্ষার জন্য।

সজল: শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য পড়া আর সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়া এক জিনিস নয়। পাঠ্যবইয়ের বাইরে যখন অন্য ধরনের বই পড়ি, তখন অন্য লেখক বা মনীষীদের চিন্তা-ভাবনার সাথে পরিচিত হই। এতে আমাদের জীবনবোধ বাড়ে, দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃত হয়। তাছাড়া, বই পড়া মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, যা আজকালকার দিনে খুব দরকারি।

রাফি: আচ্ছা, সেটাও একটা কথা। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিই, কিন্তু সেভাবে কিছুই শিখি না।

সজল: ঠিক ধরেছিস! বই পড়লে নতুন শব্দ শেখা যায়, লেখার মান উন্নত হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। গল্পের বই হোক, আত্মজীবনী হোক বা ইতিহাসের বই, সবকিছুর মধ্যেই নতুন কিছু শেখার আছে।

রাফি: তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে বই পড়ার অভ্যাসটা আমিও শুরু করব। কোন ধরনের বই দিয়ে শুরু করা যায় বল তো?

সজল: তোর পছন্দের ওপর নির্ভর করে। উপন্যাস দিয়ে শুরু করতে পারিস, অথবা তোর আগ্রহ আছে এমন কোনো নন-ফিকশন বইও বেছে নিতে পারিস। চল, একদিন লাইব্রেরিতে যাই, সেখানেই কিছু ভালো বই খুঁজে দেখা যাবে।

রাফি: দারুণ বলেছিস! চল তাহলে। সত্যিই, বই পড়া যে এত উপকারী হতে পারে, আগে সেভাবে ভাবিনি। তোর সাথে কথা বলে চোখ খুলে গেল।

সজল: এ তো সবে শুরু! একবার অভ্যাসটা গড়ে উঠলে দেখবি, এর আনন্দই আলাদা।


(খ) 'স্বনির্ভরতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি' শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা কর।

স্বনির্ভরতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি

শ্যামল ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত সে বড় কিছু করবে। কিন্তু তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বাবা দিনমজুর, মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। শ্যামল দেখত, তার বাবার শরীরটা অল্প বয়সেই ভেঙে যাচ্ছে, মায়ের হাতে ফুটে উঠেছে কঠিন পরিশ্রমের ছাপ। সে বুঝল, এই দুরবস্থা থেকে বের হতে হলে তাকেই কিছু করতে হবে।

স্কুলে সে ছিল মেধাবী ছাত্র। কিন্তু নবম শ্রেণিতে উঠে যখন তার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো, তখন সে গভীর সংকটে পড়ল। তার বন্ধুরা যখন শহরের কলেজে ভর্তির স্বপ্ন দেখত, শ্যামলের মনে তখন শুধু একটাই প্রশ্ন - কীভাবে সে নিজের পায়ে দাঁড়াবে?

একদিন এক বৃদ্ধ শিক্ষক তাকে বললেন, "শ্যামল, দারিদ্র্য একটা পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় জেতার জন্য দরকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। যদি তুমি মনেপ্রাণে কিছু চাও, তবে পথ ঠিকই খুলে যাবে।" শিক্ষকের এই কথাগুলো শ্যামলের মনে গভীর রেখাপাত করল।

সেদিন থেকেই শ্যামলের মনে জন্ম নিল এক নতুন সংকল্প। সে ঠিক করল, পড়াশোনা সে থামাবে না। দিনে যখন স্কুল খোলা থাকত, সে মন দিয়ে পড়াশোনা করত। স্কুল ছুটির পর সে কাছের বাজারে গিয়ে ছোটখাটো জিনিসপত্র বিক্রি করা শুরু করল। কখনো চা-পানি, কখনোবা খবরের কাগজ। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পড়া নিয়ে বসত। রাত জাগা তার নিত্য অভ্যাস হয়ে দাঁড়াল। সহপাঠীরা যখন তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, সেদিকে সে ভ্রুক্ষেপও করত না। তার চোখে ছিল কেবল ভবিষ্যতের স্বপ্ন।

অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শ্যামল স্কুল পেরিয়ে কলেজে, তারপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গেল। সে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের খরচ চালাত এবং পরিবারকেও সাহায্য করত। আজ শ্যামল একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত। তার পরিবারে এখন আর অভাবের ছায়া নেই। শ্যামল প্রমাণ করে দিয়েছে, পথ যতই বন্ধুর হোক না কেন, অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ স্বনির্ভর হতে পারে এবং নিজের ভাগ্য নিজেই গড়তে পারে।


(১২)

যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা কর:

আপনার পছন্দ অনুযায়ী আমি 'তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ' বিষয়টি নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করছি।

(খ) তথ্য-প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ

ভূমিকা:

একবিংশ শতাব্দী জ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তি (Information Technology - IT) এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, এই বৈশ্বিক প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করছে। তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।

তথ্য-প্রযুক্তি কী?

তথ্য-প্রযুক্তি বলতে বোঝায় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময়ের জন্য ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ও টেলিযোগাযোগের সমন্বিত প্রক্রিয়া। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতি:

গত এক দশকে বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' ধারণার বাস্তবায়ন এই অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে।

১. যোগাযোগ ও ইন্টারনেট: মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা গ্রামীণ ও শহুরে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ফোরজি ও ফাইভজি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ তথ্যের আদান-প্রদানকে আরও দ্রুত ও সহজ করেছে।

২. শিক্ষা খাত: অনলাইন ক্লাস, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই বিশ্বের সেরা শিক্ষা উপকরণগুলিতে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।

৩. অর্থনৈতিক খাত: মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও ফিনটেক (FinTech) সেবা মানুষের আর্থিক লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করেছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

৪. সরকার ও প্রশাসন (ই-গভর্নেন্স): সরকারি পরিষেবা যেমন - জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট আবেদন, পরীক্ষার ফলাফল, কর প্রদান ইত্যাদি এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এতে সেবাপ্রাপ্তি সহজ হয়েছে এবং দুর্নীতি কমেছে।

৫. স্বাস্থ্য খাত: টেলিমেডিসিন সেবা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। ডিজিটাল হেলথ রেকর্ড সিস্টেম স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সুসংগঠিত করছে।

৬. কৃষি খাত: কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং বাজার দর সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৭. শিল্প খাত: শিল্প ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, রোবোটিক্স এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের ব্যবহার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করছে। গার্মেন্টস শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।

চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা:

বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উন্নতির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ডিজিটাল বৈষম্য, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি, দক্ষ জনবলের অভাব এবং উচ্চগতির ইন্টারনেটের সুষম বন্টন নিশ্চিত করা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা, তরুণ প্রজন্মের প্রযুক্তিপ্রীতি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে।

উপসংহার:

তথ্য-প্রযুক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' থেকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথ্য-প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ শুধু আর্থ-সামাজিক উন্নতিই নয়, বিশ্ব মঞ্চেও এক নতুন পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্য-প্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে, যা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সহায়তা করবে।