বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ বায়ান্নর দিনগুলো এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।
সাজেশন
আরো পড়ুনঃ
রাজশাহী বোর্ড প্রশ্ন ও উত্তর
১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগের বৃদ্ধ উদ্যানে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল ব্রিরিতবর্ষের সাধারণ জনগণ। নির্যাতিত জনগণের মুক্তির অগ্রদূত হয়ে দেখা দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ‘মহাত্মা গান্ধী’ নামে ব্রিটিশ পুলিশ।
ব্রিটিশ শাসকশ্রেণি ও তার দেশি-বিদেশি দোসরদের এ জাতীয় অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল পরাধীন সমধিক পরিচিত এই রাজনীতিবিদ বর্ণবৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে ভারতবাসীর সমছে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রমাণ করেন এবং বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েও ব্রিটিশবিরোধী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন । অহিংস আন্দোলনের পুরোধা হলেও দেশ ও জনগণের মুক্তির প্রশ্নে কখনই আপস করেননি মহাত্মা গান্ধী।
ক) মহাত্নাগান্ধী কি রোগে ভুগছেন?
খ. “বেশি জোরে চালাবেন না, কারণ বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।” – ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ব্রিটিশ শাসকের নির্যাতন এবং ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতনের তুলনা কর।
ঘ. “মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তিকেই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন ।” – উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
ক জ্ঞান
মহিউদ্দিন আহমদ প্লুরিসিস রোগে ভুগছিলেন।
খ অনুধাবন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে যে ফরিদপুর জেলে পাঠানো হচ্ছে এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য তিনি ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
১৯৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদকে ফরিদপুর জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজে করে তাঁদের ফরিদপুর জেলে পাঠানো হবে। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন আর্মড পুলিশ ট্যাক্সি রিজার্ভ করে দাঁড়িয়ে ছিল। সে ট্যাক্সিওয়ালাকে দ্রুত ট্যাক্সি চালাতে নির্দেশ দেয়। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সি জোরে চালাতে নিষেধ করেন এবং সাবধানে ট্যাক্সি চালানোর জন্য সতর্ক করে চালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন। মূলত সময় ক্ষেপণ হয়ে কারও সঙ্গে দেখা হোক, এ প্রত্যাশা থেকেই তিনি ঐ কথা বলেছিলেন।
সারকথা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে ফরিদপুর জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন ।
বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
গ প্রয়োগ
উদ্দীপকের ব্রিটিশ শাসকদের নির্যাতন এবং ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতনের সাদৃশ্য রয়েছে। একজন দেশপ্রেমিক সবসময় দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেন। পরাধীন জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন নেতা। দখলদারদের বর্বর নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত জাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে তিনি সদা প্রস্তুত থাকেন।
উদ্দীপকে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ব্রিটিশ পুলিশের জালিয়ানওয়ালাবাগের বদ্ধ উদ্যানে নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচারে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ব্রিটিশদের এ নির্যাতনের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বর্ণিত ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর পাকিস্তানি সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের গুলি চালানোর। উভয় স্থানেই সাধারণ নিরস্ত্র মানুষকে গুলি চালিয়ে হত্যা করার বর্ণনা রয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপকে ব্রিটিশ শাসকদের সীমাহীন অত্যাচার ও নির্যাতনের সঙ্গে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার পাকিস্তানিদের অত্যাচার ও নির্যাতনের সাদৃশ্য রয়েছে।
বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
ঘ) উচ্চতর দক্ষতা
“মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তিকেই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। “- মন্তব্যটি যথার্থ।
একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দেন। পরাধীন জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে জাতিকে সঠিক পথপ্রদর্শন করেন । তাঁর দেখানো পথেই জাতি মুক্তির সোপান পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে।
পরাধীন ভারতবর্ষের জনগণ যখন ব্রিটিশ শাসকদের নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচারে জর্জরিত তখন উদ্দীপকের মহাত্মা গান্ধী নির্যাতিত জনগণের মুক্তির অগ্রদূত হয়ে দেখা দিয়েছিলেন। দেশ ও জনগণের মুক্তির প্রশ্নে তিনি কখনই আপস করেননি। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ছিলেন দেশ ও জাতির মুক্তির অগ্রদূত। পরাধীন বাংলার জনগণের মুক্তির জন্য তিনি ছিলেন নির্ভীক এক মহান নেতা।
‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আপসহীন ও নির্ভীক একজন সৈনিক হিসেবে দেখা যায়। জীবনের বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হলেও দেশের জন্য তিনি সবসময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁর দেখানো পথে হেঁটে বাংলা ও বাঙালি জাতি মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। উদ্দীপকের মহাত্মা গান্ধী এবং আলোচ্য রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দেশ ও জনগণের মুক্তির অগ্রদূত। এ দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : উদ্দীপকের মহাত্মা গান্ধী ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য আপসহীন সংগ্রাম করে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। এদিক থেকে মন্তব্যটি যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত।
বায়ান্নর দিনগুলো গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
সিলেট বোর্ড প্রশ্ন ও উত্তর
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট
বরকত সালামের খুনে লাল ঢাকা রাজপথ।
স্মৃতিসৌধ ভাঙিয়াছ জেগেছে পাষাণের প্রাণ
মৌরা কি ভুলিতে পারি খুনে রাঙা জয় নিশান ।।
ক. ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ প্রবন্ধে ডেপুটি জেলারের নাম কী?
খ. “বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।” – বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট’ উক্তিটির আলোকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান
‘বায়ান্নর দিনগুলো’ প্রবন্ধে ডেপুটি জেলারের নাম মোখলেসুর রহমান ।
খ অনুধাবন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে যে ফরিদপুর জেলে পাঠানো হচ্ছে এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য তিনি ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১শে ফেব্রুয়ারি এদেশের বীর সন্তানেরা রাজপথে মিছিল করেন। সেই মিছিলে নূরুল আমিনের পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে ছাত্র-জনতার অনেকেই শহিদ হন।
উদ্দীপকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা স্মরণ করা হয়েছে। ১৯৫২ সালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ পূর্ব বাংলায় ধর্মঘট পালন করে। এ সময় রাজপথের মিছিলে পুলিশের গুলি চালানোর কথা বলা হয়েছে। এতে সালাম, রফিক,জব্বারসহ আরও অনেকে শহিদ হন। উদ্দীপকে সেই ভাষাশহিদ বরকত ও সালামের কথা বলা হয়েছে। এই চেতনার কথা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনাতেও লক্ষ করা যায়।
ভাষা আন্দোলনের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলে রাজবন্দি। জেলে বসেই তিনি বাইরের খবর পান। তিনি লিখেছেন— “মাতৃভাষা আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই রক্ত দিল। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলেও গুলি না করে গ্রেফতার করলেই তো চলত। তবে রক্ত যখন আমাদের ছেলেরা দিয়েছে তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করে আর উপায় নাই ।” এভাবে উদ্দীপকের ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও চেতনা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনা উভয় ক্ষেত্রেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের কথা রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে।
গ প্রয়োগ
উদ্দীপকের ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট’- উক্তিটির আলোকে ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় প্রতিফলিত ভাষা আন্দোলনের চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
১৯৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদকে ফরিদপুর জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজে করে তাঁদের ফরিদপুর জেলে পাঠানো হবে। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন আর্মড পুলিশ ট্যাক্সি রিজার্ভ করে দাঁড়িয়ে ছিল। সে ট্যাক্সিওয়ালাকে দ্রুত ট্যাক্সি চালাতে নির্দেশ দেয়। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সি জোরে চালাতে নিষেধ করেন এবং সাবধানে ট্যাক্সি চালানোর জন্য সতর্ক করে চালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
মূলত সময় ক্ষেপণ হয়ে কারও সঙ্গে দেখা হোক, এ প্রত্যাশা থেকেই তিনি ঐ কথা বলেছিলেন।
সারকথা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে ফরিদপুর জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন ।
উচ্চতর দক্ষতা
উদ্দীপকের ঘটনা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার ভাষা আন্দোলনের ভাবকে নির্দেশ করে।পৃথিবীতে বাঙালি একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছে। ১৯৫২ সালে বাংলার সাহসী তরুণরা রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে মিছিলে নামেন। একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ নাম না-জানা অনেকেই শহিদ হন। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচারণমূলক রচনা। এখানে ১৯৫২ সালের সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। উদ্দীপকেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। এ দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
শেখ মুজিবুর রহমান রাজবন্দি হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু ফরিদপুর জেলে অবস্থান করেন। জেলখানায় বসেই তিনি ভাষা আন্দোলনকারীদের অনুপ্রাণিত করেন। ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন ও জেল থেকে মুক্তিলাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে।
স্মৃতিচারণে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ঢাকায় ভাষার দাবিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। কারণ এ প্রসঙ্গে তিনি যা ভেবেছেন তা পরবর্তী সময়ে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকেও ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে ভাষা স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে শহিদ মিনার গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গটিকে নির্দেশ করেছে। করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের এভাবে উদ্দীপকের ঘটনা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ আন্দোলনে শহিদদের রচনার ভাষা আন্দোলন
• সারকথা : ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জেলজীবনের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ একুশে ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের কথা বলেছেন। এ বিষয়টিই উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
এই মাসি-পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন