রেইনকোট গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র)
রেইনকোট গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র): শিক্ষার্থীরা তোমাদের বাংলা গদ্য অংশ রেইনকোট এর সর্বশেষ বোর্ড প্রশ্ন উত্তরসহ এখানে দিয়েছি। আশাকরি তোমরা এখান থেকে প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ধারণা নিতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ
প্রশ্ন ১। “রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল
মনসুন” – ব্যাখ্যা কর।
[ঢা. বো, ‘১৯; কু. বো. ১৭)
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ২ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ২। “ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নতুন রূপে সে
ভ্যাবাচ্যাকা খায়।”- কে, কেন ভ্যাবাচ্যাকা খায়? [য. বো. ১৯]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ৩। “টুপির তেজ কি পানিতেও লাগল নাকি?”— বিশ্লেষণ
কর।
চ. বো. ১৯]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য। কিন্তু হয়
প্রশ্ন ৪। ‘ক্লাক ডাউনের রাত’ বলতে কী বুঝায়?
[সি. বো. ১৯]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ৫। নুরুল হুদার কাছে
মনে হয়? ব্যাখ্যা কর।
বিষয়টিকে ‘স্রেফ উৎপাত’ বলে
[ব. বো, ‘১৯]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ৬। ‘ক্রাক ডাউনের’ রাতে কী ঘটেছিল?
[রা. বো, ‘১৭)
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য
প্রশ্ন ৭। “যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর”— বাক্যটি
বুঝিয়ে লেখ।
যি. ৰো, ‘১৭)
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ৮। মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে রেইনকোটের উপর’—
উক্তিটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
বি. বো, ‘১৭]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য
প্রশ্ন ৯। ‘আব্বু ছোটমামা হয়েছে’- ছোট মেয়ের এ উক্তিতে
প্রফেসর কেন চমকে ওঠেন?
[রা. বো, ‘১৬)
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ১০। নুরুল হুদার স্ত্রী কেন বাড়ি পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে
লেগে গেলেন?
(ব. বো, *১৬]
উত্তর : সৃজনশীল প্রশ্ন ১২ (খ)-এর উত্তর দ্রষ্টব্য।
প্রশ্ন ১১। এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা’- উক্তিটি
বুঝিয়ে লেখ। [মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ
উত্তর : শহিদ মিনার সম্পর্কে পাকিস্তানি মিলিটারিদের ধারণা
দিতে গিয়ে প্রিন্সিপাল সাহেব প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন ।
প্রিন্সিপাল ডক্টর আফাজ আহমদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর
হিসেবে কাজ করতেন। নানা বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে তিনি তাদের
সাহায্য করতেন। তিনি জানতেন দেশের শহিদ মিনারগুলো
বাঙালির জাতীয় চনার প্রতীক। তাই তিনি পাকিস্তানি
সেনাদের কাছে বলেছিলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচাতে হয় তো
সব স্কুল-কলেজ থেকে শহিদ মিনার হটাও। এগুলো হলো
পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা।” উক্ত কথার মাধ্যমে দেশ ও জাতির
সঙ্গে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার ঘৃণ্য দিকটি
প্রকাশিত হয়েছে
প্রশ্ন ১২। ‘পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল কলেজ থেকে
শহিদ মিনার হটাও’— বুঝিয়ে লেখ। [আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা]
উত্তর : বাঙালির দীপ্ত চেতনার প্রতীক শহিদ মিনার নিশ্চিহ্ন করার
মধ্য দিয়ে বাঙালির চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য প্রিনসিপ্যাল
মিলিটারির বড় কর্তাদের পরামর্শ দিয়ে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিলেন ।
১৯৭১ সালে এ দেশের অনেক লোকই আত্মস্বার্থে স্বদেশ ও
স্বজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ‘রেইনকোট’ গল্পের
প্রিনসিপ্যাল তাদের একজন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের
চেতনাকে জাগ্রত রাখতে এবং শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসায় দেশের সর্বত্র স্কুল-কলেজে শহিদ মিনারে গড়ে তোলা
হয়। প্রিন্সিপ্যাল মনে করেন সেগুলো যদি ধ্বংস করা যায়, তাহলে
বাঙালিদের সহজে ধ্বংস করা যাবে। তারা স্বাধীনতার যে স্বপ্ন
দেখছে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং পাকিস্তান রক্ষা পাবে। এই চিন্তা
থেকে প্রিন্সিপ্যাল মিলিটারির বড়কর্তাকে উক্ত কথাটি বলেছেন ।
প্রশ্ন ১৩। ‘এদিককার মানুষ চোখে খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা
অস্ত্ৰ’ – এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা দাও। [পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজ,
উত্তর : এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলাদের যুদ্ধ করার
পূর্বপ্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে গেরিলারা অনেক সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তারা
নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা
করেন। গল্পে উল্লিখিত নুরুল হুদা গেরিলাদের নৌকা করে অস্ত্র
বহন করার দৃশ্যটি দেখেন। তিনি ভাবেন তার শ্যালক মিন্টুও
গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। তার বউ তার ভাই মিন্টুর কথা তুললে তার
মনে হয় অস্ত্র যেন ঘরে চলে এসেছে। মূলত নুরুল হুদার এমন
চিন্তা-ভাবনার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গেরিলা
তৎপরতার কথা প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন ১৪। “আব্বু তাহলে মুক্তিবাহিনী”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
[বীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ, দিনাজপুর]
উত্তর : নুরুল হুদা তার শ্যালক মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর রেইনকোটটি
গায়ে দিলে তার পাঁচ বছরের ছেলে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।
নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে বাড়ি থেকে চলে
গেছে। ঘরে রয়ে গেছে তার রেইনকোট। এক বৃষ্টির সকালে নুরুল
হুদার জরুরি তলব পড়ে তার কলেজে। তখন নুরুল হুদার স্ত্রী তাকে
রেইনকোটটি বের করে দেয় পরে যাওয়ার জন্য। নুরুল হুদা
রেইনকোটটি পরলে তার পাঁচ বছরের ছেলে আলোচ্য উক্তিটি করে।
প্রশ্ন ১৫। পাকিস্তানি সেনারা বাঙালির ওপর বর্বর অত্যাচার
চালিয়েছেন কেন?
[আলহেরা একাডমী (স্কুল এন্ড কলেজ), পাবনা; কুমিল্লা সিটি কলেজ]
উত্তর : বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরে মুছে দিতে
পাকিস্তানি সেনারা বাঙালির ওপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি জাতিকে দমিয়ে রাখতে এ
দেশের বুকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড শুরু করে।
তারা নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, গুম, ধর্ষণ, লুটপাট চালিয়ে এ দেশের
জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, যাতে চিরকাল বাঙালিকে
শাসন-শোষণ করা যায়। বাঙালি যেন স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে ভুলে
যায়। এজন্যই তারা বাঙালির ওপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল।
প্রশ্ন ১৬। এখন ইসহাককে কেন মিলিটারির কর্নেল বললেও
চলে?
[সরকারি ইয়াছিন কলেজ, ফরিদপুর]
উত্তর : উর্দুতে কথা বলা এবং পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা
করার কারণে ইসহাককে কর্নেল বললেও চলে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের ভয়ে বাঙালিরা
সব সময় তটস্থ থাকত। পাকিস্তানের সমর্থক হলেই সে যে শ্রেণি-
পেশারই হোক না কেন, বাঙালির ওপর তার ক্ষমতার অপব্যবহার
শুরু করেছে এবং তার সেই অপকর্মের সমর্থন করেছে পাকিস্তানি
সরকার। ‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের সামান্য পিয়ন ইসহাক
উর্দু বলতে পারায় এবং পাকিস্তানের ঘোর সমর্থক হওয়ায় তার
ভয়েও সবাই ভীত থাকত।
@ পাঠ্যবই বিশ্লেষিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১৭। “রাস্তায় বেরুলে পাঁচ কালেমা সব সময় রেডি রাখে ঠোঁটের
ওপর।”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জীবননাশের ভয়ে কলেজ শিক্ষক নুরুল হুদা সবসময়
পাঁচ কালেমা রেডি রাখে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি মিলিটারি নিরীহ বাঙালির
ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের ভয়ে পথে-ঘাটে কেউ
বের হতে পারে না। যেকোনো সময়ই তাদের হাতে মারা পড়তে
পারে। এ জন্য গল্পের কলেজ শিক্ষক নুরুল হুদাও সবসময় ভয়ে
ভয়ে থাকে আর পাঁচ কালেমা রেডি রাখে।
প্রশ্ন ১৮। “কলেজের জিমন্যাশিয়ামে এখন মিলিটারি ক্যাম্প”_
বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাক্যটি দ্বারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দৌরাত্ম্য ও বর্বরতার বিষয়টিকে নির্দেশ
করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হায়েনারা এদেশের ঘুমন্ত
মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে পাকিস্তানি
মিলিটারি তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে এ দেশের মানুষ হত্যায় মেতে
ওঠে। প্রশ্নোক্ত বাক্যে পাকিস্তানি মিলিটারিদের জবরদখলমূলক
অবস্থান এবং নির্লজ্জ ও বর্বর তৎপরতাকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ১৯। প্রিন্সিপ্যাল কেন আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করেন?
উত্তর : পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রিন্সিপ্যাল সবসময়
আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করেন।
এ দেশের দালালদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা হত্যাযজ্ঞ
চালানোর অধিক সুযোগ পায়। প্রিন্সিপ্যাল একজন দালাল
শ্রেণির লোক। তিনি বাঙালি হয়েও পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্য
প্রার্থনা করেন। অখণ্ডতা রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া
দরুদ পড়েন, কান্নাকাটি করেন।
প্রশ্ন ২০। প্রভাষক নুরুল হুদাকে তটস্থ হয়ে থাকতে হয় কেন?
উত্তর : শ্যালক মিন্টু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ায় প্রভাষক নুরুল
হুদাকে তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।
প্রভাষক নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধারা
পাকিস্তানি সেনাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এজন্য তারা
মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো আত্মীয়-
পরিজনের খোঁজ পেলেই পাকিস্তানি সেনারা তাদের হত্যা করে। এ
কারণে প্রভাষক হুদাকে সবসময় তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।
প্রশ্ন ২১। উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদকে প্রিন্সিপাল আজকাল
কেন তোয়াজ করেন?
উত্তর : উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদ জাতিতে পাকিস্তানি এবং
উর্দুভাষী। তাই জীবন রক্ষার্থে তার সঙ্গে সখ্য রাখতে প্রিন্সিপাল
তাকে তোয়াজ করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের কাছে বাঙালি হওয়াই ছিল
অপরাধ। তাই কোনো কারণ ছাড়াই বাঙালিরা হত্যার শিকার
হচ্ছিল। উর্দুর প্রফেসর আকবর সাজিদ ছিলেন উর্দুভাষী এবং
জাতিতে পাকিস্তানি। তাই প্রিন্সিপাল তার সঙ্গে খাতির
জমানোর চেষ্টা করেন নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য।
প্রশ্ন ২২। “মিলিটারি এখন যাবতীয় গাড়ি থামাচ্ছে।”- কেন?
উত্তর : সারাদেশে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতায় ভীত হয়ে পাকিস্তানি
সেনারা রাস্তায় ব্যরিকেড দিয়ে তল্লাশি করতে সব গাড়ি থামাচ্ছে।
একসময় সারাদেশে যুদ্ধের ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করে।
প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাকিস্তানি সেনারা খতম হতে থাকে।
তাই তারা সব জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে ফিরছে। এর সূত্র ধরে
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তারা তল্লাশি করত। গাড়িতে কোনো জোয়ান ছেলে
থাকলে তাদের নামিয়ে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করত।
এই মাসি-পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (এইচএসসি বাংলা ১মপত্র) ছাড়াও আরো পড়ুন