আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 〡কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ এইচএসসি শিক্ষার্থীরা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ও চর্চার জন্য এই অধ্যায়ে থাকা সম্ভাব্য সব অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা
প্রশ্ন ১। কমিউনিকেশন সিস্টেম বলতে কী বুঝ?
উত্তর : কমিউনিকেশন (Communication) বা যােগাযােগ কতকগুলাে উপাদানের সুসমন্বয়ে কোনাে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা যন্ত্রের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের একটি প্রক্রিয়া। এটি প্রেরক, প্রাপক, যােগাযােগমাধ্যম এবং কিছু যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মৌখিক কিংবা অন্য যেকোনাে ধরনের তথ্য বা বার্তা আদান-প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ২। মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মধ্যে পার্থক্য লিখ। (মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর)
উত্তর : মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মধ্যে পার্থক্য :
মডুলেশন
ডিমডুলেশন
১. ডিজিটাল সংকেতকে এনালগ সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে
মডুলেশন বলে।১. এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল
সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন বলে।
২. ডিজিটাল সংকেত পরিবর্তিত হয়ে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গে রূপান্তর হয় ।
২. এনালগ সংকেত পরিবর্তিত হয়ে (0, 1) বা ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর হয় ।
প্রশ্ন ৩। “ডেটা আদান-প্রদানে মডুলেশন-ডিমডুলেশন গুরুত্বপূর্ণ”-ব্যাখ্যা কর। (শহীদ বীর উত্তম লে. আনােয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা)
উত্তর : ডেটা আদান-প্রদানে মডুলেশন,ডিমডুলেশন গুরুত্বপূর্ণ। ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করতে হয়। কেননা কম্পিউটারে প্রদত্ত ডেটা ডিজিটাল সংকেত এবং টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে আদান-প্রদান হয় অ্যানালগ সংকেত। তাই মডুলেশন, ডিমডুলেশন প্রয়ােজন হয়।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
ব্যান্ডউইথ
প্রশ্ন ৪। ব্যান্ডউইথ বলতে কী বুঝ?
উত্তর : বর্তমান বিশ্বে আমাদের সবারই কম-বেশি ইন্টারনেট এবং তার গতি বা স্পিড় সম্পর্কে একটি ধারণা আছে। এই ইন্টারনেট এর গতি বা স্পিড় তার ব্যান্ডউইথের উপর নির্ভরশীল। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তাকে অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে। ব্যান্ডউইথ সাধারণত bit per second (bps) -এ হিসাব করা হয় ।
প্রশ্ন ৫। কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ সেখানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়ামের উপর নির্ভরশীল ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ সেখানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং মিডিয়ামের উপর নির্ভর করে। যেমন মিডিয়াম হিসেবে সাধারণ টেলিফোনের তার ব্যবহার করলে যত ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়,ফাইবার অপটিক ক্যাবলে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পাওয়া যায় ।আর ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সাথে যদি যথাযথ স্পীডের টারমিনাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা না হয় তাহলে প্রয়ােজনীয় ব্যান্ডউইথ পাওয়া সম্ভব হবে না।
প্রশ্ন ৬। বর্তমান সময়ে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট একটি বড় চ্যালেঞ্জ-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যেহেতু অনেকে ব্যবহার করে তাই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ সকল ব্যবহারকারীর মাঝে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী কিংবা একটি সার্ভিস ব্যান্ডউইথের একটা বড় অংশ দখল করে অন্যদের শেয়ার কমিয়ে দেয়। তাই একটি নেটওয়ার্কে একজন ব্যবহারকারী কতটুকু প্রকৃত ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে সেটি মাপার নানা ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন নেটওয়ার্কের ডিজাইনে কিংবা যন্ত্রপাতিতে কোনাে সমস্যা থাকলে সেগুলাে বের করা সম্ভব। এ কারণে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট বর্তমান সময়ে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন ৭। ভয়েসব্যান্ড বলতে কী বুঝ? [রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বাের্ড ২০১৮]
উত্তর : ১২০০ থেকে ৯৬০০ বিপিএস (bps) বা 9.6 kbps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথক ভয়েসব্যান্ড বলা হয়। এটি সাধারণত টেলিফোন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডউইথের ফ্রিকোয়েন্সি 200 – 3600 Hz। শ্রাব্যতার সীমার মধ্যে যে ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাংক থাকে তার সবই এই ব্যান্ডউইথে থাকে। কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে (ডায়াল-আপ মডেম, স্ক্যানার, প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদি) ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ৮। 300Mbps ব্যান্ডউইথ বলতে কী বুঝ?( সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবন)
উত্তর : একক সময়ে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তর হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। 300 Mbps ব্যান্ডউইথ বলতে বােঝায় প্রতি সেকেন্ডে 300 মেগাবিট ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয়।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড
প্রশ্ন ৯। প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন দুতগতি সম্পন্ন কেন?
উত্তর : প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশনে একসাথে ডেটা ট্রান্সমিশন করার জন্য অনেক ডেটা লাইনের সাথে প্রেরক ও গ্রাহক যন্ত্র পরস্পরের সাথে সমন্বয় করার জন্য একটি বা দুইটি কন্ট্রোল লাইনও থাকে।বিটগুলাে ঠিক একই সময়ে এক সাথে স্থানান্তরিত হয়। কম্পিউটারের ভেতরের সার্কিটে যেহেতু ডেটাগুলাে প্যারালাল পদ্ধতিতে কাজ করে সেজন্য প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশনে তার স্বাভাবিক বিন্যাস। এক্ষেত্রে একসাথে অসংখ্য লাইনে ডেটা পাঠানাে হয় বলে এটি অনেক দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রান্সমিশন পদ্ধতি। তবে অনেক দূরে ডেটা পাঠানাের ক্ষেত্রে এটি বাস্তবসম্মত নয়।
প্রশ্ন ১০। সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন একটি নির্ভরযােগ্য পদ্ধতি- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সিরিয়াল ট্রান্সমিশনে যেকোনাে দূরত্বে অবস্থিত প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে এক বিটের পর অপর একটি বিট স্থানান্তরিত করা হয়। অর্থাৎ এতে পূর্ববর্তী ডেটা বিট প্রেরণের পর অপরটি প্রেরিত হয়। এছাড়াও একটি মাত্র তার ব্যবহার হয় বলে যন্ত্রপাতি তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সাশ্রয়ী। পাশাপাশি অনেক তার নেই বলে নিজেদের ভেতর নয়েজের প্রভাব কম। এসব কারণেই বলা যায় সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন একটি নির্ভরযােগ্য পদ্ধতি।
প্রশ্ন ১১। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনকে বিরতিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন বলা হয় কেন?
উত্তর : সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনকে বিরতিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন বলা হয়। কারণ এই পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে প্রেরক যন্ত্র থেকে গ্রাহক যন্ত্রে ডেটা পাঠানাে হয়। যেহেতু প্রেরিত ডেটা ব্যবহার করে।গ্রাহক যন্ত্র তার ক্লককে সমন্বিত করে তাই প্রেরণ করার জন্য কোনাে ডেটা না থাকলেও আইডল সিকোয়েন্স হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত ডেটা পাঠানাে হয়।
প্রশ্ন ১২। বড় ধরনের নেটওয়ার্কে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয় কেন?
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ডেটার আকার ছোট হওয়ায় ডেটা রেট বেশি বলে ট্রান্সমিশনে সময় কম লাগে এবং অল্প সময়ে বেশি ডাটা ট্রান্সমিট করা যায়। বিরতিহীন ট্রান্সমিশন বৈশিষ্ট্যের জন্য এর গতি ও ট্রান্সমিশন দক্ষতা অপেক্ষাকৃত বেশি। এ কারণে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে নিকট কিংবা দূরবর্তী কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে একই সাথে কিংবা দূরবর্তী কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে একই সাথে অসংখ্য ডেটা ট্রান্সফার করা যায় । তাই বড় ধরনের নেটওয়ার্কসহ মােবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, টিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ১৩। ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক ব্যাখ্যা কর। (ঢা.ব, ‘১৯)
উত্তর : ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক, কারণ–
১। এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
২। বিরতিহীন ট্রান্সমিশন বৈশিষ্ট্যের জন্য এর গতি অপেক্ষাকৃত বেশি।
৩। প্রতিটি ক্যারেকটার ট্রান্সমিশনের জন্য সময় বিরতির প্রয়ােজন হয় না।
৪। প্রতিটি ক্যারেকটারের শুরু ও শেষে স্টার্ট ও স্টপ বিট এর প্রয়ােজন নেই।
৫। ডেটার আকার ছােট এবং তার ফলে ডেটা-রেট বেশি বলে ট্রান্সমিশনে সময় কম লাগে।
প্রশ্ন ১৪। সিনক্রোনাস এবং অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনা কর। (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা)
উত্তর : সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক বাই ব্লক আকারে ডেটা ট্রান্সমিট করে। এতে প্রতিটি ব্লকের মাঝের বিরতি সমান হয়ে থাকে। ট্রান্সমিশন দক্ষতা বেশি এবং কম সময় লাগে।অপরদিকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার আকারে ট্রান্সমিট করে। এখানে ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সব সময় সমান হয় না, ট্রান্সমিশনে দক্ষতা কম। এতে বেশিসময় লাগে।
প্রশ্ন ১৫। ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় বিরতি সবসময় সমান হয়-ব্যাখ্যা কর। [বি এ এফ শাহীন কলেজ, যশোর]
উত্তর : সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্লক বাই ব্লক ট্রান্সমিট হয় ।সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রতিটি ব্লকে সর্বনিম্ন ৮০টি থেকে সর্বোচ্চ ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে। দুটি ব্লকের মাঝখানের সময় বিরতি সর্বদাই সমান হয়। যেমন- কয়েক মিলি থেকে মাইক্রো সেকেন্ড ।
প্রশ্ন ১৬ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রাইমারি মেমোরি প্রয়োজন কেন?- ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন ১৭। কেন সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল? ব্যাখ্যা কর। (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল ঢাকা)
সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে থেকে প্রতিবারে ৮০ থেকে 132টি ক্যারেক্টারের ১টি ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের প্রতি দুটি ব্লকের মাঝখানে সময় বিরতি ১টি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকে, সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে প্রাইমারি স্টোরেজ প্রয়োজন হয়। এ প্রাইমারি স্টোরেজের জন্য সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল।
১৮। অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : এ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দুটি বৈশিষ্ট্য হলাে-
১, ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার গ্রাহকের নিকট ডেটা ট্রান্সফার হয়।
২. একটি ক্যারেকটারের পর অন্যটি অথবা তার পরবর্তী ক্যারেকটারটি প্রেরনে বা স্থানান্তরে কোনাে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না ।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
ডেটা ট্রান্সমিশন মােড
প্রশ্ন ১৯। ডেটা কমিউনিকেশন মোেড় বলতে কী বুঝ?
উত্তর : দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বা ডেটা প্রবাহের দিক নির্দেশকে ডেটা ট্রান্সমিশন বা ডেটা কমিউনিকেশন মােড বলে। কোন দিক থেকে কোন দিকে ছেটা প্রবাহ হচ্ছে এবং কতজন ডেটা প্রাপ্তির অধিকারী হচ্ছে মূলত এটিই ডেটা ট্রান্সমিশন কমিউনিকেশন মােড়। এটিকে ডেটা বাহে ডিরেকশনাল মুড হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ২০। হাফ-ডুপ্লেক্স মােড বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে ব্যবস্থাপনায় দু’টি ডিভাইসের মধ্যে উভয়ের দিকেই ডেটা প্রবাহ করা যায়, তাই হা-ডুপ্লেক্স মােড়। এতে ডেটা এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে পৌছানোর পর বিপরীত প্রান্তের ডেটা শুরুর দিকের প্রান্তে প্রবাহিত করে। যেমন- ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস,এম,এস প্রেরণ, ইনটারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি হা-ডুপ্লেক্স মােডে চলে ।
প্রশ্ন ২১। ডেটা ট্রান্সমিশনে একই সময়ে উভয় দিকে ডেটা আদান প্রদান করা সম্ভব ব্যাখ্যা কর। (মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা)
উত্তর : ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একই সময়ে ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করাযায়। অর্থাৎ প্রেরণ ও প্রাপক উভয়ই এক সাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলাের প্রায় সবগুলােই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আপা প্রদান করতে পারে।
প্রশ্ন ২২। সম্প্রচারের জন্য যে মােডটি ব্যবহৃত হয় সেটি ব্যাখ্যা কর। (ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশাের)
উত্তর : সম্প্রচারের জন্য সিমপ্লেক্স মােড় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ মােডে ডেটা শুধু এক দিকে প্রেরণ করা যায়। আমরা যখন টেলিভিশন দেখি তখন শুধু দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। এক্ষেত্রে আমরা শুধু ডেটা পাই, পাঠাতে পারি না। অর্থাৎ প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, কিন্তু প্রাপক প্রেরকের কাছে পাঠাতে পারবে না।
প্রশ্ন ২৩। “Tv সম্প্রচারের জন্য কোন ধরনের মােড ব্যবহৃত হয়- ব্যাখ্যা কর। (ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা)
উত্তর ; টিভি সম্প্রচারের জন্য সিমপ্লেক্স মােড পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ মােডে ডেটা শুধু এক দিকে প্রেরণ করা যায়। আমরা যখন টেলিভিশন দেখি তখন শুধু দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।এক্ষেত্রে আমরা শুধু ডেটা পাই, পাঠাতে পারি না। অর্থাৎ প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, কিন্তু প্রাপক প্রেরকের কাছে পাঠাতে পারবে না। তাই টেলিভিশনকে একমুখী বা সিমপ্লেক্স মােড বলা হয়।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম
প্রশ্ন ২৪। ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেরক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত যে সকল সংযােগ স্থাপন করা হয় তাই ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বা চ্যানেল। অথবা উৎস থেকে গন্তব্য পর্যন্ত যার মধ্যে দিয়ে তথ্য প্রবাহিত হয় তাই ডেটা কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম। এই চ্যানেল বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম থাকে। রেডিও, টিভি, ডিস চ্যানেল ইত্যাদি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছানাের জন্য তারযুক্ত বা তারবিহীন যে সংযােগ প্রদান করা হয়, তা হলাে মাধ্যম বা মিডিয়াম।
প্রশ্ন ২৫। ক্যাবল মডেমের তুলনায় দ্রুতগতির তারবিহীন হটস্পট প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ক্যাবল মডেমের তুলনায় দ্রুতগতির তারবিহীন হটস্পট প্রযুক্তিটি হলাে ওয়াইফাই (Wi-Fi অথবা Wireless Fidelity)। Wi-Fi হচ্ছে LAN ভিত্তিক ওয়্যারলেস ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বহনযােগ্য কম্পিউটার এর যন্ত্রপাতির সাথে সহজে ইন্টারনেট যুক্ত করা যায়। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলােকে তারবিহীন উপায়ে সংযুক্ত করার একটি কৌশল হলাে Wi-Fi। এটি WLAN এর জন্য IEEE 802.11 প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড। এটি নির্দিষ্ট এলাকা বা হটস্পট এর নেটওয়ার্ক সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত হয়।
তার মাধ্যম
প্রশ্ন ২৬। দূরপাল্লার কমিউনিকেশনে এলইডি এর পরিবর্তে লেজার ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর : দূরপাল্লায় কমিউনিকেশনে এলইডি-এর পরিবর্তে লেজার ব্যবহার করা হয়। কারণ এলইডি (LED) এর আলােতে তরঙ্গদৈর্ঘ্য সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় ফাইবারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় বিচ্ছুরণের কারণে সিগন্যালের বিচ্যুতি ঘটে। এজন্য এটি দীর্ঘ দূরত্বে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু লেজারের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সুনির্দিষ্ট বলে এটি দূরপাল্লার কমিউনিকেশনে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২৭। উঁচু ভবনের উপর টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিটার বসানাের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাধারণত যেসব জায়গায় ক্যাবল ব্যবহার করার অনুপযােগী সেসব স্থানে টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিটার বসানাে হয় মাইক্রোওয়েভ সংকেতের মধ্যে বাধা থাকলে ডেটা স্থানান্তর হয় না।তাই যােগাযােগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন এবং সুষ্ঠু করার জন্য সাধারণত বড় টাওয়ার, উঁচু ভবন বা পাহাড়ে টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার বসানাে হয়ে থাকে।
কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং
প্রশ্ন ২৮। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল হলাে বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু বিশেষ যার মধ্যে আলাের পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলাে- ১, অতি স্বচ্ছতা, ২ রাসায়নিক নিষ্কিয়তা ও ৩, তড়িৎ চৌম্বকীয় প্রভাব মুক্ত। কোর, ক্ল্যাডিং এবং জ্যাকেট এর সমন্বয়ে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল তৈরি। ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনে। ডেটা প্রেরণের জন্য আলােক উৎস হিসেবে এল.ই.ডি বা লেজার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ২৯। “অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবেন বলা হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হলাে বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু বিশেষ যার মধ্যে আলাের পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। এর ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি এবং বিদ্যুচ্চুম্বকীয় প্রভাবমুক্ত। প্রতিকূল পরিবেশেও ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়। এর মধ্য দিয়ে আলাের গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়। এই দ্রুতগতি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবােন বলা হয় ।
প্রশ্ন ৩০। অপটিক্যাল ফাইবারের সুবিধা লেখ।
উত্তর : অপটিক্যাল ফাইবারের সুবিধা হলাে—
১. আলাের গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার হয়।
২. ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি।
৩. বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় প্রভাব হতে মুক্ত।
৪. প্রতিকূল পরিবেশেও (যেমন- চাপ, তাপ ইত্যাদি) ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা হয়।
৫. দ্রুতগতি ও নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্যের কারণে নেটওয়ার্ক ব্যাকবােন (যােগাযােগ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড) হিসেবে ব্যাপকহারে সমাদৃত ও ব্যবহৃত।
প্রশ্ন ৩১। ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ইএমআই (EMI) মুক্ত কেন? [রা, বাে, ১৭]
উত্তর : ফাইবার অপটিক্স অন্তরক পদার্থ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা EMI মুক্ত। ফাইবার অপটিক্স এর উপাদানগুলাে হলাে- সােডা, বােরাে সিলিকেট, সােডা লাইম সিলিকেট এবং সােডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ । এছাড়াও ফাইবার অপটিক্স এর বহিরাবরণ হিসেবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলাে প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক্স সর্বদাই EMI মুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ৩২। ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ কেন? (ব, ৰাে, ‘১৬)
উত্তর : ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলাে বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু বিশেষ যার মধ্যে আলাের পূর্ণঅভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলাে- ১. অতি স্বচ্ছতা, ২. রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা ও ৩, তড়িৎ চৌম্বকীয় প্রভাব মুক্ত। এই ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ অত্যন্ত বেশি। প্রতিকূল পরিবেশেও (যেমন-তাপ, চাপ ইত্যাদি) এ ক্যাবলে ডেটার নিরাপত্তা রক্ষিত হয়। মূলত দ্রুতগতি এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণেই ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ।
প্রশ্ন ৩৩। কোন ক্যাবল জোড়ায় জোড়ায় পেঁচানাে থাকে কে কেন?
উত্তর : টুইটেড পেয়ার ক্যবল জোড়ায় জোড়ায় পেঁচানাে থাকে।টুইস্টেড পেয়ার প্রায়। mom চওড়া দু’টি কপার তার দ্বারা গঠিত। তার দুটিকে পেচানাে হয় কারণ দুটি সমান্তরাল তার একটি Fire anterna গঠন করে। এই ক্যাবল প্রতি সেন্টিমিটারে পরপর পেঁচানাে থাকে। ফলে পাশাপাশি দুটি তারের মধ্যে Cross talk কম হয় এবং অনেক দূরত্ব পর্যন্ত ভালাে singal পাওয়া যায়। পেঁচানাের কারণে তার দুটি electromagnetic interfence (EMI) এর প্রভাব থেকে মুক্ত, ফল তার গুলাে কম বিকিরণ করে।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
তারবিহীন মাধ্যম
প্রশ্ন ৩৪। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে সিগন্যাল জ্যাম তৈরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ওয়াই-ফাই বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। এটি উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার উপযােগী নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের জন্য কোনাে লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমােদনের প্রয়ােজন হয় না এবং যেকোনাে মানের Wi-Fi ডিভাইস পৃথিবীর যেকোনাে জায়গায় কাজ করতে পারে। বিপুল জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার সহজ হওয়ার কারণে একসাথে অনেক ব্যবহারকারী খুব সহজেই Wi-Fi ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা অধিক হওয়ার কারণেই মূলত Wi-Fi নেটওয়ার্কে সিগন্যাল জ্যাম তৈরি হতে পারে।
প্রশ্ন ৩৫। মাইক্রোওয়েভ বলতে কী বুঝ?
উত্তর : মােটামুটিভাবে। গিগাহার্টজ হতে 100 গিগাহার্টজের ভিতরে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডকেই মাইক্রোওয়েভ বলে। এ ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ সাধারণত 2 গিগাহার্টজ বা তার অধিক ফ্রিকোয়েন্সিতে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। এটি রেডিও ওয়েভের মতাে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে না, সােজাসুজি যায় ।তাই এই কমিউনিকেশনের জন্য ট্রান্সমিটার এন্টেনা ও রিসিভার এন্টেনাকে মুখােমুখি থাকতে হয় বা সংযােগ লাইন অব সাইট (Los: Line of site) অবলম্বন করতে হয়।
প্রশ্ন ৩৬।বুটুথ এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ ।
উত্তর :বুটুথ এর বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলাে-
১. এটি 245 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে।
২, এর কভারেজ এরিয়া ৩ থেকে ১০ মিটার।
৩. বিদ্যুৎ খরচ কম এবং ব্লুটুথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে।
৪. এই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ ও ডেটা ট্রান্সফার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম।
প্রশ্ন ৩৭। W-Fi এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : Wi-Fi এর বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো-
১. 2.4 থেকে 1Glz ফ্রিকোয়েন্সিতে wi-Fi কাজ করে।
২ এর কভারেজ এরিয়া 50 থেকে 200 মিটার পর্ভ হয়ে থাকে।
৩, নেটওয়ার্কের জন্য কোনাে লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমােদনের প্রয়ােজন হয় না।
৪. যেকোনাে মানের Wi-Fi ডিভাইস বিশ্বের যেকোনো স্থানে কাজ করতে পারে।
৩৮। WiMax বলতে কী বুঝ?
উত্তর : WINax দ্রুতগতির যােগাযোগ প্রযুক্তি, যেটি প্রচলিত (Digtital subscribe Line) এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে । WiMax এ প্রধান অংশ দু’টি। যথা- একটি বেস স্টেশন, যা ইনডোর ডিভাইস ও আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অন্যটি অ্যান্টেনাযুক্ত WiMax রিসিভার, যা কম্পিটারে সংযুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন ৩৯। স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব। যেমন- ব্লুটুথের মাধ্যমে সুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে তারবিহীন যােগাযােগ রক্ষা করে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর করা যায়। এটি সমন্বিত যন্ত্রপাতি সুইচ অন করার সাথে সাথে স্বল্প দূরত্বের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেট স্থানান্তরের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যােগাযোগ ঘটাতে সক্ষম হয় । ব্লুটুথ 10 সেন্টিমিটার থেকে 100 মিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
মােবাইল যােগাযােগ
প্রশ্ন ৪০। 4G এর তুলনায় 5G অনেকগুণ বেশি কর্মক্ষমতা প্রদানে সক্ষম—ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : 5G বা পঞম প্রজন্মের মােৰইল ফোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম মােবাইল ফোনের মধ্যে অত্যাধুনিক ও সর্বশেষ সংস্করণ। এই প্রজন্মের মােবাইল ফোনের পারফর্ম্যান্স 4G’র তুলনায় অনেকগুণ বেশি।এবং অনেক দ্রুতগতিতে ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে 4K টিভি বা ভিডিও (4000 x 2000 পিক্সেল) উপভােগ করা যায় । ইতোমধ্যে 2018 সালের অলিম্পিক গেমস- এ দক্ষিণ কোরিয়া 5G নেটওয়ার্কের ব্যবহার প্রাথমিকভাবে প্রদর্শন করে সফলতা দেখিয়েছে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং
প্রশ্ন ৪১। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বলতে কী বুঝ।
উত্তর : কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং হলাে দুই বা ততােধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযােগ ব্যবস্থা। এই ধরনের সংযােগ ব্যবস্থার জন্য কিছু বিশেষ ধরনের মিডিয়া এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রয়ােজন হয়।
প্রশ্ন ৪২। পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : কোনাে ব্যক্তির দৈনন্দিন ব্যবহৃত ব্যক্তিগত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলাের মধ্যে সংযােগ দাপন করে যে নেটওয়ার্ক গড়ে তােলা হয়, তাই পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা PAN। PAN এর ডিভাইসগুলাের মধ্যে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ওয়েব ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেম, পিডিএ, মােবাইল, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।
প্রশ্ন ৪৩। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বলতে কী বুঝ?
মেট্রোপলিটন এরিয়া বলতে একটি শহর বা ছােট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এলাকাকে বােঝায়, এরকম একটি বড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কতকগুলাে কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক হলাে MAN । MAN এর বিস্তৃতি LAN এর চেয়ে বড় কিন্তু WAN এর চেয়ে ছােট হয়। প্রায় ৫০ কি. মি. দূরত্ব পর্যন্ত MAN এর নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় টেলিফোন লাইন, পটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, রেডিও ওয়েভ বা টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ।
প্রশ্ন ৪৪। হাইব্রিড নেটওয়ার্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তর : পিয়ার-টু-পিয়ার ও ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক হলাে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক। এক্ষেত্রে হােষ্ট কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ও প্রসেসিং-এর পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য (যেমন- গ্লোবাল স্টোরেজ মিডিয়া) বিদ্যমান থাকার কর্পোরেট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট সার্ভারের প্রাধান্য বেশি থাকে।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
নেটওয়ার্ক ডিভাইস
প্রশ্ন ৪৫। গেটওয়েকে প্রােটোকল কনভার্টার বলা হয় কেন?
উত্তর : যে যন্ত্র ভিন্নধর্মী প্রটোকলবিশিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় সেটিই হচ্ছে গেটওয়ে। এটি মূলত নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস। নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে গেটওয়ে PAT (Protocol Address Translation) ব্যবহার করে। এজন্য গেটওয়েকে প্রােটোকল কনভার্টার বলা হয়।
প্রশ্ন ৪৬। রাউটারের চেয়ে গেটওয়ে কোন বৈশিষ্ট্যে আলাদা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : একই প্রটোকল ভিত্তিক দুই বা ততােধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযােগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার। অন্যদিকে যদি একাধিক নেটওয়ার্কের প্রটোকল ভিন্ন হয় তাহলে তাদের সংযুক্ত করতে রাউটারের চেয়ে বুদ্ধিমান একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যাকে বলা হয় গেটওয়ে ।রাউটার ও গেটওয়ে ব্যবহার করে ছােট ছােট নেটওয়ার্ককে যুক্ত করে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তােলা যায়। এক্ষেত্রে মূল পার্থক্যগত বৈশিষ্ট্য হলাে রাউটার একই প্রােটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে কিন্তু গেটওয়ে বিভিন্ন প্রােটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক যুক্ত করতে পারে।
প্রশ্ন ৪৭। রাউটারকে অতি বুদ্ধিমান ব্রীজ বলা হয় কেন?
উত্তর : একই প্রটোকলভুক্ত দুই বা ততােধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযােগ স্বাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার। কোনাে একটি ডেটা প্যাকেটকে কোন পথ দিয়ে পাঠানাে সবচেয়ে সুবিধাজনক রাউটার সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে । নেটওয়ার্কে কোনাে পথ যদি অধিক ডেটার চাপে ব্যস্ত থাকে তাহলে রাউটার সেই জায়গা পরিহার করে অন্য পথ দিয়ে ডেটা পাঠাতে পারে। এজন্য একে একটি অতি বুদ্ধিমান’ ব্রীজ বলা হয় ।
প্রশ্ন ৪৮।গেটওয়ে বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে যন্ত্র ভিন্নধর্মী প্রটোকলবিশিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় সেটিই হচ্ছে গেটওয়ে। গেটওয়ে একই বা ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলবিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের সুযােগ করে দেয়। তাই এটি মূলত নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস।
প্রশ্ন ৪৯। রাউটারের সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : রাউটারের সুবিধা হলাে-
১. একই প্রটোকবিশিষ্ট একাধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পারে।
২. শুধুমাত্র টার্গেট আই.পি অ্যাড্রেসে সংকেত পাঠায়।
৩, রাউটার ডেটা সংঘর্ষ বা কলিশনের আশংকা কমায় ।
৪. ভিন্ন ভিন্ন গঠনের নেটওয়ার্ক যেমন- ইন্টারনেট, টোকেন রিং কে সংযুক্ত করতে পারে।
কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং
প্রশ্ন ৫০। গেটওয়ের সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : গেটওয়ের সুবিধা হলাে-
১. ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলবিশিষ্ট একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করতে পারে।
২. শুধুমাত্র টার্গেট আইপি অ্যাড্রেসে সংকেত পাঠায়।
৩. ডেটা ফিল্টারিং করা সম্ভব হয়।
৪, রাউটার অপেক্ষা দ্রুতগতিসম্পন্ন ।
প্রশ্ন ৫১। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে যন্ত্র কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য আলাদা করে ব্যবহার করতে হয় তাই হচ্ছে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC)। এই ইলেকট্রনিক সার্কিটযুক্ত কার্ডকে বলা হয় নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড। এটি LAN Card বা Network Adapter নামেও পরিচিত। একটি ‘ নেটওয়ার্কের দক্ষতা কেমন হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে NIC) এর উপর। তাই নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য গতির নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা উত্তম।
প্রশ্ন ৫২। হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে কী সুবিধা পাওয়া যায় ব্যাখ্যা কর।(কু, বাে, ‘১৯)
উত্তর : স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে তার দিয়ে একটি লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটি হলাে হাব। অন্যদিকে বিভিন্ন কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্র থেকে আসা ক্যাবলগুলােকে এক সাথে যুক্ত করতে হাবের চেয়ে অধিক বুদ্ধিমান যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটাই সুইচ। হাবের ক্ষেত্রে ডেটা কলিশন বা সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে এবং বেশিরভাগ ডেটা ফিল্টারিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করলে ডেটা কলিশনের সম্ভাবনা কমে এবং ডেটা ফিল্টারিং করাও সম্ভব হয়।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
নেটওয়ার্ক টপােলজি
প্রশ্ন ৫৩। নেটওয়ার্ক টপােলজি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলাে কীভাবে অপর কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলাের সাথে সংযুক্ত হয়ে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে, তার পরিকল্পনা বা ধারণাই হলাে নেটওয়ার্ক টপােলজি। এ ব্যবস্থাপনায় নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলােকে এমনভাবে যুক্ত করা হয় যাতে সংযােগকারী । ‘তারের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান সহজসাধ্য এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযােগ্য হয় । তাই বলা চলে, লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্কভুক্তকম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিগুলাের। ভৌত সংযােগ বিন্যাস এবং নির্বিঘ্নে ডেটা আদান-প্রদানের যুক্তিনির্ভ সুনিয়ন্ত্রিত পথের পরিকল্পনা,এ দু’য়ের সমন্বিত ধারণা-ই টপােলজি।
প্রশ্ন ৫৪। বাস টপােলজির সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : বাস টপােলজির সুবিধা হলাে-
১. কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপােলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী।
২. কানেক্টর বা রিপিটার দ্বারা সহজেই নেটওয়ার্কের ব্যাকবােন বাস -এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ঘটানাে যায় ।
৩. নেটওয়ার্কে যে কোনাে সময়ে নতুন নতুন ডিভাইস বা কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায়।
৪. কোনাে কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না।
৫. নেটওয়ার্কে কেন্দ্রীয় কোনাে ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়ােজন হয় না।
প্রশ্ন ৫৫। রিং টপােলজির সুবিধা উল্লেখ কর ।
উত্তর : রিং টপােলজির সুবিধা হলো-
১. এই টপােলজিতে হােস্ট কম্পিউটার বা কেন্দ্রীয় সার্ভারের দরকার হয় না ।
২. সংকেত প্রবাহ একমুখী হওয়ায় ডেটা কমিশন বা সংঘর্ষ হয় না ।
৩, প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সমিশনে সমান গুরুত্ব পায় ।
৪. তারের পরিমাণ কম প্রয়ােজন হয়, তাই বাস্তবায়ন খরচ কম ।
প্র ৫৬।স্টার টপােলজি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে টপােলজিতে কম্পিউটার বা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন- প্রিন্টার সরসরি একটি হাৰ ৰা সুইচের মাধ্যমে পরম্পর যুক্ত থাকে তাই স্টার টপােলজি। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়ােজন হয়। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয় । হাৰ বা স্যুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপােলজির নেটওয়ার্কে কোনাে সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়।
প্রশ্ন ৫৭। স্টার টপােলজির সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : স্টার টপােলজির সুবিধা হলাে-
১. অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান হয় ।
২. সংকেত সংঘর্ষ ঘটনার আশঙ্কা কমায় ।
৩. সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যে কোনাে সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নােড যুক্ত করা যায় ।
৪. কোনাে নােড বিচ্ছিন্ন বা অচল হলেও নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সচল থাকে।
৫. সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপােলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।
৬. কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি স্বাভাবিক থাকে।
প্রশ্ন ৫৮ ট্রি টপােলজির সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : ট্রি টপােলজির সুবিধা হলাে—
১. যে কোনাে সময়ে নতুন শাখা সৃষ্টি করে এর নেটওয়ার্ক সহজেই সম্প্রসারিত করা যায় ।
২. বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠনে অন্যান্য টপােলজির তুলনায় এটি বেশি সুবিধা প্রদান করে।
৩. কোনাে নােড বিচ্ছিন্ন বা নতুন নােড যুক্ত করা হলে নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ব্যাহত হয় না।
৪, ডেটা নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি।
৫, নেটওয়ার্কের কোনাে শাখা নষ্ট হলে, সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না।
প্রশ্ন ৫৯ট্রি টপােলজিকে হায়ারার্কিক্যাল টপােলজি বলা হয় কেন?
উত্তর : যে টপােলজিতে কম্পিউটার বা নােড়গুলাে পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার ন্যায় বিন্যস্ত ও যুক্ত থাকে তাই হচ্ছে টি টপােলজি। ট্রি টপােলজি প্রকৃতপক্ষে স্টার টপােলজির একটি সম্প্রসারিত রূপ। এ সংগঠনে একাধিক স্তরের কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় হােস্ট কম্পিউটার বা নােডের সাথে যুক্ত থাকে, যাকে সার্ভার ৰা রুট নােড বলে । এই রুট নােডের সাথে হায়ারার্কি অনুসারে বিভিন্ন স্তরের ডিভাইস নেটওয়ার্ক হাৰ ৰা সুইচের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এজন্য এটিকে হায়ারার্কিক্যাল টপােলজিও বলা হয়।
প্রশ্ন ৬০। মেশ টপােলজি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে টপােলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, তাই মেশ টপােলজি। এ ধরনের সংগঠনে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলাের মধ্যে পারস্পরিক সংযােগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপােলজি নামেও পরিচিত।এই টপােলজিতে n সংখ্যক নােডের জন্য প্রতিটি নােডে (n-1) টি সংযােগের প্রয়ােজন হয়। ডেটা যােগাযােগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপােলজি ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন ৬১। হাইব্রিড টপােলজি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : স্টার, রিং, বাস, মেশ ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাই হাইব্রিড টপােলজি। বিশেষ কোনাে কাজের ক্ষেত্রে একটিমাত্র টপােলজি স্বয়ংসম্পূর্ণ না-ও হতে পারে। এজন্য এসব ক্ষেত্রে হাইব্রিড টপােলজি ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কেননা এতে প্রায় সব ধনের টপােলজির নেটওয়ার্কই সংযুক্ত আছে।
প্রশ্ন ৬২। যে টপােলজিতে সবগুলাে কম্পিউটারের সাথে সবগুলাে কম্পিউটার সংযুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।(র বাে, ‘১৯)
উত্তর : যে টপােলজিতে সবগুলাে কম্পিউটারের সাথে সবগুলাে কম্পিউটার যুক্ত থাকে তা হলাে রিং টপােলজি। এ টপােলজিতে কেন্দ্রীয় কোনাে ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়ােজন হয় না। নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা প্রেরণের জন্য সমান অধিকার পায়। এ সংগঠনে সংকেতপ্রবাহ একমুখী হয় ফলে সংকেত সংঘর্ষ হয় না। একটি নােড সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নােডের কাছে যায়।সংকেতটি ঐ নােডের জন্য হলে সেটি সে নিজে গ্রহণ করে, অন্যথায় উক্ত নােড সংকেতকে তার পরবর্তী নােডের কাছে প্রেরণ করে। সঠিক নােডে না পৌছানাে পর্যন্ত বৃত্তাকার নেটওয়ার্ক পথে সংকেত পরিভ্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে তার কাঙ্ক্ষিত নােডে পৌছে যায় ।
প্রশ্ন ৬৩। কোন টপােলজিতে নােডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে? ব্যাখ্যা কর। (ব.বাে, ‘১৯)
উত্তর : মেশ বা পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক টপােলজিতে নােডসমূহ পরম্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। যে টপােলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, ফলে যেকোনাে কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য যেকোনাে কম্পিউটারের সাথে সরাসরি দুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে তাই মেশ টপােলজি। এ পদ্ধতিতে যেকোনাে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে দুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায় ।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
ক্লাউড কম্পিউটিং
প্রশ্ন ৬৪। ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে কী বুঝ?
উত্তর : তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দরুন আজকের যুগে আমরা নিজের ঘরের কোণে বসে নিজষ ছােট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযােগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটারকে ভাড়ার মাধ্যমে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারি। এই বিশালাকার কম্পিউটারের ধারণাটিই ক্লাউড কম্পিউটিং।
প্রশ্ন ৬৫। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় কিভাবে তা ব্যাখ্যা কর। (রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বাের্ড ২০১৮)
উত্তর : স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসাের্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযােগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলাে ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকে বিধায় সার্ভিস গ্রহণকারী গ্রাহকের এসব বিষয় নিয়ে কোনাে চিন্তা করতে হয় না।
প্রশ্ন ৬৬। ক্লাউড কম্পিউটিং রিসাের্থ শেয়ারিংয়ে সুবিধাজনক কেন?(বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বগুড়া)
উত্তর : ক্লাউড কম্পিউটিং রিসাের্স শেয়ারিংয়ে সুবিধাজনক। কারণ এ প্রযুক্তিতে স্টোরেজ, মেমােরি, প্রসেসিং এবং ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন। এতে চাহিদা মােতাবেক সফটওয়্যার রিসাের্স ও তথ্যগুলাে শেয়ার বা বিনিময় করা যায় ।
আইসিটি ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর