জীবাশ্মের প্রকার ও জীবাশ্মের গঠন প্রক্রিয়া।। ২য় অধ্যায় ।Gymnosperm Palaeobotany and Palynology( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)
জীবাশ্মের প্রকার ও জীবাশ্মের গঠন প্রক্রিয়া।। ২য় অধ্যায় ।Gymnosperm Palaeobotany and Palynology( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)
অধ্যায় ০২ :জীবাশ্মের প্রকার ও জীবাশ্মের গঠন প্রক্রিয়া
(ফসিল ও ফসিলাইজেশন প্রক্রিয়ার প্রকার)
ক-বিভাগ : অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি (Brief Questions):
০১. Fossil শব্দটির শাব্দিক অর্থ কি?
উত্তর: Fossil অর্থ জীবাশ্ম। Fossil শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Fossilis থেকে এসেছে। যার অর্থ মাটি খুঁড়ে তোলা।
০২. জীবাশ্ম বা ফসিল কি?
উত্তর: পৃথিবীর বিভিন্ন ভূ-স্তরে প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত জীবের দেহ বা দেহের কোনো অংশের চিহ্নকে জীবাশ্ম বলে।
০৩. আকারের উপর ভিত্তি করে জীবাশ্মগুলো কি কি?
উত্তর: (ক) মেগা-ফসিল বা জীবাশ্মা, (খ) মাইক্রো- ফসিল বা জীবাশ্ম ও (গ) ন্যানো-ফসিল বা জীবাশ্ম।
০৪. মেগা-ফসিল বা জীবাশ্ম কাকে বলে?
উত্তর: যেসকল জীবাশ্ম বা ফসিল খালি চোখে পরীক্ষা- ০১ নিরীক্ষা করা যায় বা দেখা যায় তাকে মেগা-ফসিল বা জীবাশ্ম বলে।
০৫. মাইক্রো-ফসিল বা জীবাশ্ম কি?
উত্তর: যেসব ফসিল বা জীবাশ্ম দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় তাকে মাইক্রো-ফসিল বা জীবাশ্ম বলে।
০৬. ন্যানো-ফসিল বা জীবাশ্ম কি?
উত্তর: অতি অণুবীক্ষণিক ফসিল বা জীবাশ্মকে ন্যানো- ফসিল বা জীবাশ্ম বলে।
০৭. ন্যানো-জীবাশ্ম কোনটি?
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া বা তার সমআকৃতির কোনো জীবন ।
০৮. আমাদের ব্যবহৃত দুটি জীবাশ্ম বা ফসিলের নাম লিখ
উত্তর: (ক) কয়লা, (খ) পেট্রোলিয়াম।
০৯. Fossil সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলো কি?
উত্তর: Fossil সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলো হলো- (ক) ভৌত প্রক্রিয়া ও (খ) রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
১০-জীবাশ্ম সৃষ্টির দুটি মতবাদের নাম লিখ।
উত্তর: (১) অনুপ্রবেশ মতবাদ; (২) অণু দ্বারা অণু- প্রতিস্থাপন মতবাদ।
১১.রাসায়নিক জীবাশ্ম কি?
উত্তর: বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যখন জীবাশ্ম হিসেবে বিবেচিত হয় তখন তাকে রাসায়নিক জীবাশ্ম বলে।
১২. জৈব জীবাশ্ম কি?
উত্তর: কোনো জীবের দেহ বা দেহের অংশ বিশেষ যখন জীবাশ্যে পরিণত হয় তখন তাকে জৈব জীবাশ্ম বলে।
১৩. সূচক জীবাশ্মগুলো কী কী?
উত্তর: সামুদ্রিক পরিবেশের প্ল্যাংটন, নেকটন প্রভৃতি
১৪. দৃশ্যমান জীবাশ্ম কী কী?
উত্তর: ড্যাডোজাইলন, টিলোফাইলোম প্রভৃতি।
১৫.সূচক জীবাশ্ম কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত প্রাণী বা উদ্ভিদ অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রুত হারে বিবর্তিত হয়ে চারদিকে বিস্তৃত এবং বহু সংখ্যায় পরিণত হয়, যারা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় পরিবেশের সাথে অভিযোজনক্ষম, যাদের অঙ্গসংস্থান বিশেষভাবে শক্ত সামর্থ্য, দেহ কাঠামো সুস্পষ্ট এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, তাদের জীবাশ্মগুলোকে সূচক জীবাশ্ম বলে।
১৬-কৃত্রিম গণ বলতে কী বুঝ? অথবা, কৃত্রিম গণ কাকে বলে?
উত্তর: জীবাশ্ম থেকে কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর অংশ বিশেষ সংগ্রহ করে কৃত্রিমভাবে যে গণ তৈরি করা হয়, তাকে কৃত্রিম গণ বলা হয়।
১৭- অ্যাম্বার কাকে বলে?
অথবা, অ্যাম্বার কী?
উত্তর: কনিফার জাতীয় উদ্ভিদ নিঃসৃত রেজিনে কীটপতঙ্গ বা উদ্ভিদের অংশবিশেষ পতিত হলে বহু বছর ব্যবধানে তা যে বিশেষ ধরনের জীবাশ্ম গঠন করে তাকে অ্যাম্বার বলে।
১৮- অপ্রকৃত জীবাশ্ম বা Pseudo fossil কী?
উত্তর: জীবদেহ ব্যতীত বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ ভূ-গর্ভে। শক্ত হয়ে যে পাথুরে দেহ গঠন করে এবং তা এক ধরনের ছাপ বহন করে। এমন ছাপকে অপ্রকৃত জীবাশ্ম বলে।
১৯. মমিফিকেশন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রাণীর মৃতদেহ বিশেষ করে প্রাচীন মিশরীয় মানবদেহ মমি করার প্রক্রিয়াকে মমিফিকেশন বলে।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি (Short Questions);
০১. সূচক জীবাশশ্ম বা কৃত্রিম গণ বলতে কী বুঝ?
০২. জীবাশ্মের নামকরণ কিভাবে করা হয়?
০৩. ফর্ম জেনাস এবং অ্যাম্বার সম্বন্ধে যা জান লিখ।
০৪-জীবাশ্ম কী? জীবাশ্মের ধর্মাবলী উল্লেখ কর।
অথবা, জীবাশ্ম বা ফসিল কি? এর ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখ।
০৫. জীবাশ্ম সৃষ্টির প্রভাবকসমূহ লেখ।
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্নাবলি (Board Questions):
০১-জীবাশ্মের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা কর।
০২-বিভিন্ন প্রকার জীবাশ্ম-এর গুরুত্বের বর্ণনা দাও। ০৩-জীবাশ্মের গুরুত্ব লিখ
০৪-জীবাশ্মের বা ফসিলের তাৎপর্য বা গুরুত্ব, আলোচনা কর।
০৫-উদ্ভিদ জীবাশ্ম এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা কর।
০৬-ফসিল কি? চিত্রসহ বিভিন্ন ধরনের ফসিলসমূহ বর্ণনা কর।
০৭-জীবাশ্ম কি? এর প্রকারভেদ বর্ণনা কর।
অথবা, বিভিন্ন প্রকার জীবাশ্ম বা ফসিল সম্পর্কে আলোচনা কর।
০৮-জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।
Read more:1st chapter