শ্বসন এবং গাঁজন।৫ম অধ্যায় ।Plant Physiology and Plant Nutrition ( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)

শ্বসন এবং গাঁজন।৫ম অধ্যায় ।Plant Physiology and Plant Nutrition ( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)

শ্বসন এবং গাঁজন।৫ম অধ্যায় ।Plant Physiology and Plant Nutrition ( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)
শ্বসন এবং গাঁজন।৫ম অধ্যায় ।Plant Physiology and Plant Nutrition ( অনার্স ৩য়বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)

অধ্যায় ০৫: শ্বসন এবং গাঁজন

ক-বিভাগ: অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি (Brief Questions) :

 

 ০১. শ্বসন কাকে বলে?

উত্তর: যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবকোষস্থ জটিল জৈব যৌগ জারিত হয়ে স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়, তাকে শ্বসন বলে।

০২.শ্বসনিক দক্ষতা কী? 

উত্তর: শ্বসনে উৎপাদিত মোট শক্তির শতকরা যতটুকু অংশ শ্বসনে উৎপন্ন ATP এর তৃতীয় বা সর্বশেষ উচ্চ শক্তির ফসফেট বন্ডে সঞ্চিত থাকে তাকে শ্বসনিক দক্ষতা বলা হয়।

 ০৩. পানির সালোক বিভাজন বলতে কি বুঝ?

উত্তর: সূর্যালোকের উপস্থিতিতে পানির জারণকে পানির সালোক বিভাজন বলা হয়। অর্থাৎ

সূর্যালোক →2e+2H++ +202 H₂O

০৪. শ্বসনিক হার বলতে কী বুঝ? 

উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপে শ্বসনের সময় যে পরিমাণ CO₂ ত্যাগ করে এবং যে আয়তনে O₂ গ্রহণ

করে তার অনুপাতকে শ্বাস অনুপাত বা R.Q বলে। 

০৫. শ্বসনের প্রান্তীয় জারণ (Terminal oxidation in respiration) কি? 

উত্তর: শ্বসন সংঘটিত হওয়ার সময় প্রান্তের দিকে যে জারণ ঘটে তাকে শ্বসনের প্রান্তীয় জারণ বলে।

০৬.শ্বসনিক বস্তুগুলো কী কী?

উত্তর: কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং জৈবিক অ্যাসিডসমূহকে শ্বসনিক বস্তু বলে।

০৭.লবণ শ্বসন (Salt respiration) কি? 

উত্তর: একাধিক ধাতুর ক্লোরাইড লবণের উপস্থিতিতে কোষে শ্বসনের হার বৃদ্ধি পাওয়াকে লবণ শ্বসন বলা হয়।

 ০৮. শ্বসন কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: শ্বসন দুই প্রকার। যথা: (ক) সবাত শ্বসন বা এরোবিক রেস্পিরেশন এবং (খ) অবাত শ্বসন বা অ্যানেরোবিক রেস্পিরেশন।

০৯.সবাত শ্বসন কাকে বলে?

 উত্তর: যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে CO₂, H₂O ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে।

১০. অবাত শ্বসন কাকে বলে?

উত্তর: যে শ্বসন প্রক্রিয়া মুক্ত অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই সম্পন্ন হয়, তাকে অবাত শ্বসন বলে।

 ১১. অবাত শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণটি লিখ।

উত্তর: অবাত শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণটি নিম্নরূপ: CH₁₂O%2C2H5OH+2CO₂ + শক্তি (56kcal/mole)

১২. অবাত শ্বসনকে কয়টি ধাপে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

উত্তর: দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: ১. গ্লাইকোলাইসিস এবং ২. পাইরুভিক অ্যাসিডের অসম্পূর্ণ জারণ। 

১৩. গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ATP উৎপন্ন হয় কতটি?

উত্তর: ৮টি ATP উৎপন্ন হয়।

১৪.গ্লাইকোলাইসিস কোষের কোথায় ঘটে? 

উত্তর: কোষের সাইটোপ্লাজমে গ্লাইকোলাইসিস ঘটে।

১৫. গ্লাইকোলাইসিস কাকে বলে? 

 উত্তর: শ্বসনের যে পর্যায়ে এক অণু গ্লুকোজ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিণত হয়, তাকে গ্লাইকোলাইসিস বলে।

১৬. পাইরুভিক আসিড হতে অ্যাসিটাইল Co-A সৃষ্টি কী ধরনের প্রক্রিয়া?

উত্তর:অক্সিডেটিভ-ডি-কার্বোক্সিলেশন প্রক্রিয়া।

 ১৭. ক্রেবসচক্র কাকে বলে? 

 উত্তর: শ্বসনের যে বিক্রিয়া চক্রে দুই কার্বনবিশিষ্ট অ্যাসিটাইল কো- এ চার কার্বনবিশিষ্ট অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে ছয় কার্বনবিশিষ্ট সাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে এবং চক্র শেষে পুনরায় অ্যাসিটিক অ্যাসিড উপাদানের মাধ্যমে চক্রটিকে গতিশীল রাখে, তাকে ক্রেবস চক্র বলে।

১৮. ক্রেবসচক্রকে আর কী কী নামে অভিহিত করা হয়?

 উত্তর: সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র এবং ট্রাইকার্বোক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র।

 ১৯. ক্রেবসচক্রের সকল বিক্রিয়া কোথায় সংঘটিত হয়?

উত্তর: মাইটোকন্ড্রিয়াতে।

২০. ETS এর পূর্ণরূপ কী? 

উত্তর: EIS-এর পূর্ণরূপ হলো- Electron Transport System.

২১. কোন ধাপটি ছাড়া সবাত শ্বসন পূর্ণ হয় না?

উত্তর: ETS বা Electron Transport System. 

২২.অ্যাসিটাইল কো-এ সৃষ্টির সময় কয়টি ATP উৎপন্ন হয়?

উত্তর: ৬ টি ATP উৎপন্ন হয়।

 ২৩. একটি ATP হতে কত কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়?

উত্তর: ১০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।

২৪. ফ্যাট বা চর্বির শ্বসনিক মান কত? 

উত্তর: ফ্যাট বা চর্বির শ্বসনিক কোশেন্টের মান ০.৭।

২৫.অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন বলতে কি বুঝ? 

উত্তর :শ্বসনের সময় সূর্যালোকের অনুপস্থিতি মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্রিষ্টিতে বিভিন্ন বাহক যৌগের মধ্য দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের সময় জারণ-বিজারণের ফলে ATP উৎপন্ন হওয়াকে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন বলে।

২৬.ক্রেবস চক্রটি কে আবিষ্কার করেন?

উত্তর: ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ স্যার হ্যান্স ক্রেবস।

 ২৭. ক্রেবস চক্রে ক্রিয়াশীল পাঁচটি এনজাইমের নাম লিখ।

 উত্তর: ক্রেবস চক্রে ক্রিয়াশীল পাঁচটি এনজাইমের নাম হলো- (i) কনডেনসিং এনজাইম, (ii) অ্যাকোনিটেড এনজাইম, (iii) ডিহাইড্রোজিনেজ এনজাইম, (iii) কার্বোক্সিলেজ এনজাইম ও (v) থায়োকাইনেজ এনজাইম।

 ২৮. ETS বা অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন কোথায় সংঘটিত হয়?

 উত্তর: মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্রিস্টিতে সংঘটিত হয়।

২৯. শ্বসনের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা কত? 

উত্তর: শ্বসনের অনুকূল তাপমাত্রা ২০° সে.-৪৫° সে.।

৩০. গাঁজন এর সংজ্ঞা লেখ। 

উত্তর: সজীব কোষের বাইরে জাইমেজ নামক এনজাইমের কার্যকারিতায় নিম্ন শ্রেণির উদ্ভিদে সংঘটিত বিক্রিয়াকে ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন বলে।

 

খ-বিভাগ : সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি (Short Questions) :

 

 ০১.শ্বসন ও ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন বলতে কি বুঝ? ডি: ব্যাডজম উদ্ভিদবিজ্ঞান ইজিপ্লাস 

০২.শ্বসনের গুরুত্ব বর্ণনা কর। 

০৩.উচ্চ শক্তিধর যৌগ বলতে কী বুঝ?

০৪. জীবকোষে প্রাপ্ত উচ্চ শক্তিধর যৌগের একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

০৫. টি এক অণু গ্লুকোজ জারিত হয়ে কত অণু ATP তৈরি হয় তার একটি ব্যালেন্স শীট দেখাও। 

০৬.ইংরেজিতে পূর্ণনাম লিখ। ক) এটিপি; (খ) NADP; (গ) জিটিপি; (d) ETS; (ঙ) FAD; (1) NADPH (8) TCA-চক্র।

০৭.ফটোফসফোরাইলেশন ও আক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন এর মধ্যে পার্থক্য লিখ। 

০৮.সবাত ও অবাত শ্বসনের মধ্যে পার্থক্য লিখ। 

০৯.সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের মধ্যে পার্থক্য লিখ। 

১০.পাইরুতিক এসিড থেকে এসিটাইল কো-এ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। 

১১.অবাত শ্বসন ও গাঁজদের মধ্যে পার্থক্যসমূহ লেখ। 

১২.শ্বসনিক কোশেন্ট কি?

১৩.শ্বসনিক দক্ষতা ও শ্বসনিক কোশেন্ট ব্যাখ্যা কর। 

গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্নাবলি (Broad Questions):

 

 ০১.শ্বসন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রক প্রভাবকসমূহের বর্ণনা দাও। 

০২.শ্বসনের ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট (অক্সিডেটিভ ফসফো-রাইলেশন) প্রক্রিয়াটি বর্ণনা কর। 

০৩.গ্লাইকোলাইসিস কী? গ্লুকোজ থেকে পাইরুভিক এসিড তৈরির প্রক্রিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়াসহ বর্ণনা কর।

০৪. শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ হতে কীভাবে পাইরুডিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, বর্ণনা কর।

০৫.টীকা লেখ: ফার্মেন্টেশন।

০৬.প্রাণরাসায়নিক বিক্রিয়াসহ ক্রেবস চক্রের বর্ণনা দাও। ডি

০৭. টীকা লেখ: অবাত শ্বসন 

Read more:4th chapter