অনার্স চতর্থ বর্ষ গাইডলাইন::
( নিজের অভিজ্ঞতা এর আলোকে। যদিও অধম নূন্যতম যোগ্যতা হয় নাই কাউকে জ্ঞান দেওয়ার। পোস্ট করার উদ্দেশ্য একটাই যেনো অন্য কেউ অনুপ্রেরণা পায় এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকেও যে ভালো জিপিত্র সম্ভব সেটাই)
কিছু কথা: দেখেন আপনার ফলাফল যাই হোক বা যেটাই হোক না কোনো আল্টিমেটলি এই ফলাফল আপনার চাকরিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে দেখবেন উল্লেখ থাকে স্নাতক পাশ করতে হবে। এটা বলা থাকে না মাষ্টার্স মাষ্ট থাকতে হবে, ভালো সিজিপিত্রধারী হতে হবে। "A single result can't defined your future life". এরপর ভালো ফলাফল লে কার না ভালো লাগে। আসেন শুরু করা যাক:
১.পরিসংখ্যান: দেখেন অনার্স চতুর্থ বর্ষের মধ্যে এই সাবজেক্ট টা একটা ম্যাথ রিলেটেড সাবজেক্ট। যেহেতু ম্যাথ রিলেটেড সাবজেক্ট এই সাবজেক্ট এ এ+ পাওয়া খুব সহজ। পাশাপাশি সূত্র মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটা কথা মাথায় রাখবেন " পরিসংখ্যান + মলিকুলার বায়োলজি" এই দুটো সাবজেক্ট পরীক্ষা এর রুটিন দেওয়ার বহু আগে থেকে পড়ে শেষ করে রাইখেন কেননা, এই দুটো সাবজেক্ট অনার্স চতুর্থ বর্ষের জন্য পথের কাঁটা না হয় চোখে সরষে ফুল দেখবেন। ভুলেও সাজেশন গাইড ফলো করবেন না। সাজেশন গাইডে সূত্র, মান, অঙ্কের নিয়ম ব্যাপক ভুল। পরিসংখ্যান এর জন্য সুকুমল স্যারের " কবির পাবলিকেশন্স এর বইটা বেষ্ট হবে। পাশাপাশি সিনিয়র ভাইদের বিগত বছর করা নোটগুলো কালেক্ট করবেন। এছাড়া, আপনার ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষক এর সহায়তা নিতে পারেন। প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন এনালাইসিস করবেন দেন বুজে যাবেন এ বছর কোন কোন টাইপের গণিত গুরুত্বপূর্ণ সে ওয়াইজ একটা নোট খাতা বানাবেন Type-01, Type-02 এভাবে করে সাজিয়ে ম্যাথগুলো করবেন। যেনো পরীক্ষা এর হলে যাওয়ার আগে বা পরীক্ষা এর সময় ম্যাথগুলো এক পলক দেখা যায়। বিগত সালের বোর্ড প্রশ্ন(2016-2021) পাশাপাশি ৯৯℅ গুলো ফলো করলে ভালো কিছু আশা করা যায়।
মলিকুলার বায়োলজি: দেখেন এই সাবজেক্ট টা একটা রয়েল সাবজেক্ট অবশ্যই কঠিন। তবে শুরু থেকে এবং প্রথম থেকে যদি কেউ এই সাবজেক্ট টা পড়ে এ+ পাওয়া সম্ভব। ধরেন DNA অনুলিপন কৌশল আসল আপনি সুন্দর করে চিত্র একে বর্ণনা দিলেন অথবা আসল PCR পদ্ধতি বর্ণনা কর? অথবা জেনেটিক কোড।দেখেন এই প্রশ্নগুলো কিন্তু থিওরী না যে আপনি বানাইয়া লিখবেন এগুলো একদম সলিড বই এর লেখা সো এই সাবজেক্ট যদি কেউ রপ্ত করতে পারে শুরু থেকেই ১০০℅ এ+ পসিবল। অনার্স চতুর্থ বর্ষে ৪/৫ টা সাবজেক্ট এ অনায়াসে এ+ পাওয়া যায় তার মধ্যে এটি একটি। নোট করে পড়বেন। এই সাবজেক্ট পড়তে গেলে আপনার খুব বিরক্তি আসবে। হাল ছাড়বেন না। প্রতিদিন ১ ঘন্টা মলিকুলার, ১ ঘন্টা পরিসংখ্যান আপনার রুটিনে আপনি মাষ্ট রাখবেন। বিগত বোর্ড প্রশ্ন পড়বেন। আর বইয়ে প্রতিটা প্রশ্ন সাজাইয়া লিখা আছে তাই গাইড এর পাশাপাশি বইটাও ফলো করবেন।
প্লান্ট ব্রিডিং: এটা অপেক্ষাকৃত সহজ একটি সাবজেক্ট । এই সাবজেক্ট এর একটা মজা হলো, এই সাবজেক্ট এ প্রশ্ন আসে এমন- এক্স সিটু, ইন সিটু। ভাই বিশ্বাস করেন এই এক্স সিটু ইন সিটু আপনি অনার্স চতুর্থ বর্ষের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং + বায়োডাইভার্সিটি+ প্লান্ট ব্রিডিং+ এগ্রোনমিতে পাবেন। আরেকটা মজার বিষয় হলো- সংকরায়নের গুরুত্ব, উদ্ভিদ প্রজননের গুরুত্ব, পরিসর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন( BINA, BRRI, BARI, BFRI, BJRI) এগুলোর গুরুত্ব ঘুরে ফিরে একি শুধুমাত্র ভিতরে একটু চেঞ্জ। এই বিষয়টির একটা খাতা বানাবেন নোট করার জন্য খাতায় গুরুত্বপূর্ণ চুম্বক অংশ পয়েন্ট এগুলো লিখে রাখবেন। আমার এই সাবজেক্ট এ এ+ এসেছিল। পরীক্ষা তে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নীল কালি দিয়ে হাইলাইট করতাম। আর খ- বিভাগ ১.৫ পেজ আর গ- বিভাগ ৩/৩.৫ পেজের বেশি লিখতাম ( তবে এটা ডিপেন্ড করবে আপনার লিখার উপর)। এই সাবজেক্ট নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই ৭/১২ দিন ভালো করলে প ড়বে একটা সুপার প্রিপারেশন হয়ে যাবে।
ইকোনোমিক বোটানি: অনেকে মজা করে এই বিষয়টিকে কবিরাজী সাবজেক্ট বলে। আসলে এই সাবজেক্ট এ প্রচুর বৈজ্ঞানিক নাম পাশাপাশি এর গুরুত্ব, বাণিজ্যিক নাম,স্হানীয় নাম, ব্যবহার, ঔষধি গুণাগুণ এগুলো পরীক্ষা তে আসে। সর্বপ্রথম ৫/৬ পেজের একটা A4 কাগজ নিবেন কাগজ নিয়ে সেখানে ২০২২ সাল ছাড়া বিগত বোর্ডে আসা সকল উদ্ভিদের নাম- গোত্রের নাম- ব্যবহার- গুরুত্ব ছোট করে লিখে রাখবেন। English এ যেমন synonyms, Antonyms অনেকগুলো আছে একদিনে প ড়া সম্ভব না ডেইলি পড়তে হয় ঠিক তেমনি ধরলাম এক মাসের চ্যালেঞ্জ আপনার হাতে আপনি এক মাসে প্রতিদিন ২ টা করে বৈজ্ঞানিক নাম শিখেন দেখেন ৬০+ শেষ। অথবা এক কাজ করতে পারেন কঠিন বৈজ্ঞানিক নামগুলো বড় করে লিখে দেয়ালে আপনার পড়ার টেবিলে ঝুলায় দিতে পারেন এতে করে কী হবে আপনার একটা জিনিস বাড়বাড় চোখে পড়তে পড়তে এটা ব্রেইনে রপ্ত হয়ে যাবে। এটায় এ+ পাওয়া ইজি কারণ বৈজ্ঞানিক নাম, শ্রেনিবিন্যাস এগুলো বেশি সঠিক লিখলেই সলিড মার্ক আমার এ+ এসেছিল।
-ইমরান
এগ্রোনমি ও হর্টিকালচার: দেখেন এটা প্রপার থিত্তরীটিক্যাল সাবজেক্ট এই সাবজেক্ট কে কৃষিশিক্ষা এর সাথে তুলনা দিতে পারেন। যেমন: জৈব সার, দাবা কলম, গুটি কলম, জোর কলম, কর্ষণ, শস্য পর্যায়, আগাছা, পানি সেঁচ, বীজতলা, অঙ্গজ জনন, টমেটো/ আলু/ পেঁপে/ গোলাপ/ অর্কিড/ পাট চাষাবাদ, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন পদ্ধতি, উদ্যান উদ্ভিদ বিভিন্ন টপিক আছে যেগুলোর খুব সোজা আপনি 7/8 বার পড়লেই এটায় ভালো করবেন। একটা সতর্কতা: এটা থিওরী সাবজেক্ট এটায় সকল লিখা একটু বেশি বেশি লিখবেন না হয় নাম্বার কম পাইতে পারেন। একদম প্রপার থিওরী সাবজেক্ট সুন্দর করে পয়েন্ট কইরা নীল কলম দিয়ে হাইলাইট করে পরীক্ষাতে লিখবেন যেনো পরীক্ষক আপনার খাতার মোহতে পরে যায়। আর " ক" বিভাগ সবসময় সুন্দর আর কাটাকাটিবিহীন লিখার ট্রাই করবেন। কেননা, মনে রাইখেন " First Impression is the best impression " সো, আপনি শুরুতে ক- বিভাগ সুন্দর করে লিখলে কাটাকাটিবিহীন পরীক্ষক আপনার প্রতি একটা পজিটিভ ধারণা নিয়ে নিবে শুরুতেই যার ফুল প্রভাব পুরো খাতায় পড়বে। কখোনো সব ক - বিভাগ ফুল কমন না আসলে বানাইয়া হলেও লিখে দিয়ে আসবেন। বিগত বোর্ড প্রশ্ন+ ৯৯℅ ভালো করে পড়লেই হয়ে যায়।
জীববৈচিত্র্য ও বিবর্তন: খুবি বোরিং একটা সাবজেক্ট অনেক সময় পড়তে গেলে বিরক্তি আসতে পারে। বিগত প্রশ্ন থেকে এই সাবজেক্ট এ খুব কম প্রশ্ন রিপিট হয় আর সাজেশন ও গাইডে এই প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর পাবেন না। তাই বই ফলো করবেন বইয়ে প্রতিটা পয়েন্ট খুব সুন্দর করে দেওয়া। এ সাবজেক্ট এ ভালো করার একমাত্র উপায় হলো, থিওরী গুলো ডিরেক্ট মুখস্ত করে খাতায় লিখে ফেলা। ডারউইনের সীমাবদ্ধতা, মিসিং লিংক, জেনেটিক রিসোর্স, কন্টিনেন্টাল ড্রিফট, টেকটানিক মুভমেন্ট, হট স্পট বিভিন্ন টার্ম আছে এগুলো খাতায় নোট করে ফেলবেন। নোট বলতে এমন না যে ফুল বই যা আছে তা বসে বসে খাতায় উঠাবেন তাহলে সময় নষ্ট। না আপনি গুরুত্বপূর্ণ চুম্বক অংশগুলো লিখবেন যেগুলো আপনার মনেই থাকে না। পাশাপাশি, এটাও প্রপার থিওরী সাবজেক্ট তাই খাতায় একটু বেশি লিখার ট্রাই করবেন। তবে অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেইখেন না আবার বোটানির বাইরে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : এটা সহজ ই সাবজেক্ট এবং এটায় এ+ পাওয়া খুব ইজি বেশ কিছু পড়া পাবেন এগুলো ইন্টারের বেসিক থেকে সব আসছে যেমন: টিস্যু কালচার, জিন ক্লোনিং, MS মিডিয়াম, রিকম্বিন্যান্ট DNA প্রযুক্তি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, কালচার মিডিয়াম এগুলো সব ইন্টারের বেসিক। আবার পাবেন জৈব সার ও অজৈব সার এগুলো সব এগ্রোনমিতে ছিল। বুজছেন ত কেনো নোট করতে বলছি? কেননা, কিছু কিছু রিলেট জিনিস রিপিট পাবেন। 10/12 দিন ভালো করে পড়লে এই সাবজেক্ট এ ভালো করা সম্ভব বিগত প্রশ্ন থেকে ভালো কমন আসে। এই সাবজেক্ট পড়ার সময় ইন্টারের আবুল হাসান স্যারের " উদ্ভিদবিজ্ঞান" বইটা পাশে রাখতে পারেন সহায়ক হবে। কিছু চিত্র আছে সুন্দর করে লিখবেন। আর, বাসায় ১০/১২ বার চিত্র Practice করবেন রপ্ত হয়ে যাবে। প্রতিটা বোর্ড প্রশ্ন শেষ করার পাশাপাশি ক- বিভাগ গুলোও পরে নিবেন। বুদ্ধিমান তারাই যারা প্রশ্ন মডারেশন করে খাতায় গুছিয়ে লিখতে পারে
-ইমরান
লিমনোলজি: এটা হিসেবে কঠিন সাবজেক্ট ই মানে হলো থিওরীটিক্যাল সাবজেক্ট বটে বাট কিছু পড়া আপনার মাথা দিয়ে শুধু যাবে আর আসবে। তাই এই সাবজেক্ট পড়ার সময় মেইন বই সাথে নিয়ে পড়বেন। মেইন বইয়ে খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখা আছে। আবার যারা রসায়নে ভালো তারা এগুলো ভালো পারবে- " BOD, COD, N2 গ্যাসের উৎস, পানি বিভিন্ন গ্যাসীয় পর্দার্থ, 14C পদ্ধতি, DO কমা বাড়ার কারণ, সান্দ্রতা,
ফাইটোপ্ল্যাংক্টন থেকে প্রতিবার প্রশ্ন আসে যেমন এদের ভেসে থাকার কৌশল, শ্রেণিবিন্যাস, ফাইটোপ্ল্যাক্টন প্যারাডক্স, ওয়াটার ব্লুম অর্থনৈতিক গুরুত্ব, ফাইটোপ্ল্যাক্টন কিন্তু অনার্স প্রথম বর্ষে শৈবালবিজ্ঞানে পড়ছেন। তাছাড়া নদীর ইকোলজি, জলজ চাষ, চিংড়ি চাষ, অ্যাকুয়া কালচার ইকোনমি, বিভিন্ন প্রকার হ্রদ,ল্যাংমুর ঘূর্ণন, পানির ওলট পালট বাস্তুসংস্থান, প্রাথমিক উৎপাদনশীলতা, বাংলাদেশের জলজ সম্পদ ইত্যাদি পড়া আগে থেকেই পড়ে ফেলবেন খাতায় লিখে লিখে। পরীক্ষা এর বন্ধের জন্য ওয়েট কইরেন না ওই সময় এগুলো আপনার আর মাথায় ই ঢুকবে না তাই আগেই শেষ কইরেন। পানি চক্র, নাইট্রোজেন চক্র এগুলো আগেও পড়ছেন এক্সর্টা বেনিফিট। ভুলে যাওয়া জিনিস বারবার খাতায় লিখে পড়বেন।
***কিছু পরামর্শ:
১.নতুন বই কিনতে সমস্যা হলে পুরাতন বই কিনতে পারেন।
২.পরিসংখ্যান সাজেশন থেকে কোনো ম্যাথ করবেন না দয়া করে।
৩.পরীক্ষার খাতায় নীল কলম ব্যাবহার করে খাতাকে মার্জিত করে তুলতে পারেন।
৪.কাটাকাটি কম করবেন আর টাইম ভালো মেইনটেইন করবেন।
৫.আপনার পরীক্ষা ধরলাম ১ টায় শুরু তাহলে ১ টা থেকে ১-২৫ পর্যন্ত আপনি লিখবেন ক- বিভাগ, ১-২৫ টু ২-৩০ পর্যন্ত লিখবেন খ- বিভাগ। ২-৩০ থেকে ৫-০০ অব্দি লিখবেন গ-বিভাগ খুব সুন্দর করে দেখবেন সব টাইমলি লিখতে পারবেন।
৬.সবসময় নিজের তৈরি করা একটি রুটিন ওয়াইজ পড়ালেখা করবেন। মনে রাখবেন আপনার রুটিন আপনিই ভালো বানাতে পারবেন কারণ আপনি আপনার কাজের সময় ফ্রি টাইম সব জানেন।
৭. যারা পড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম কিছু করতেছেন তাদের প্রতি আমার লাল সালাম। আপানার অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করেন, আপনারা সারাদিন পরিশ্রম শেষে চেষ্টা করবেন রাতের ফ্রি হয়ে রুটিন করে আপনার মতো পড়াটা শেষ করবেন। মনে রাখবেন “পরিশ্রমীরা কখোনো হেরে যায় না” পাশাপাশি ইবাদাত করবেন কারণ পরিশ্রম ও ভাগ্য দুটোই সহায় হতে হবে।
পরিশেষে, চেষ্টা করলাম ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে অনার্স প্রথম বর্ষে ডিপ্রেশনে ছিলাম তাই ফলাফল ভালো হয় নাই। ওভার করার চেষ্টা করেছি সব আল্লাহর ইচ্ছা
প্রাপ্ত জিপিত্র:
অনার্স প্রখম বর্ষ: 3.14
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ: 3.54
অনার্স তৃতীয় বর্ষ: 3.69
অনার্স চতুর্থ বর্ষ:3.68
শুকরিয়া আল্লাহর প্রতি
ইমরান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
সেশন- ২০১৮-১৯
(বিদ্রঃ কেউ কপি করলে কার্টেসী দিয়েন। লিখতে কষ্ট হয়েছে)
What's Your Reaction?