জলজ উদ্ভিদসমূহ । ৮ম অধ্যায়। Limnology and Aquaculture ( অনার্স ৪র্থ বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)।
জলজ উদ্ভিদসমূহ । ৮ম অধ্যায়। Limnology and Aquaculture ( অনার্স ৪র্থ বর্ষ উদ্ভিদবিজ্ঞান সাজেশন)।
৮ম অধ্যায়:- জলজ উদ্ভিদসমূহ
ক-বিভাগ
১. প্ল্যাংকটন কী?
অথবা, প্ল্যাংকটন বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ইংরেজি প্ল্যাংকটন (Plankton) শব্দটি গ্রিক শব্দ ০০০ ০২. দুটি নীলাভ সবুজ প্লাঙ্কটনিক শৈবালের নাম লিখ ।‘Planktos' হতে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ হচ্ছে ভেসে যাওয়া। আভিধানিক অর্থে প্ল্যাংকটন হচ্ছে জলাশয়ের ঐসব জীব (উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী) যারা পানিতে পরোক্ষভাবে ভেসে বেড়ায় কিংবা হালকাভাবে সাঁতার কেটে বিচরণ করে।
২. দুটি নীলাভ সবুজ প্লাঙ্কটনিক শৈবালের নাম লিখ ।
উত্তর : দুটি নীলাভ সবুজ প্লাঙ্কটনিক শৈবালের নাম হলো : (i) Nostoc ও (ii) Anabaena।
৩. ফাইটোপ্ল্যাংকটন কী?
উ : পানির বিভিন্ন গভীরতার মুক্ত ভাসমান অবস্থায় বসবাসকারি এবং স্রোত কিংবা বাতাসের প্রভাবে স্থানান্তরযোগ্য, চলাচলে অক্ষম আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদ গোষ্ঠীকে ফাইটোপ্ল্যাংকটন বলে। ফাইটোপ্ল্যাংকটনকে পানি ঘাসও বলা হয়।
৪. ইপিপ্ল্যাংকটন কী?
অথবা, ইপিপ্ল্যাংকটন কাকে বলে?
উত্তর : জলাশয়ের আলোকিত অঞ্চলে বসবাসকারী প্ল্যাঙ্কটনকে ইপিপ্ল্যাঙ্কটন বলে।
৫. স্বভোজী প্ল্যাংকটন কারা?
উত্তর: এ ধরনের ফাইটোপ্ল্যাংকটন সবুজ ও স্বভোজী, নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে সক্ষম। শৈবাল এ ধরনের ফাইটোপ্ল্যাংকটন। এদেরকে উৎপাদকও (Producer) বলা হয়। যেমন- Volvox.
৬. আদিকোষী প্ল্যাংকটন কী?
উত্তর: যে সকল ফাইটোপ্ল্যাংকটনের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই অর্থাৎ আদি প্রকৃতির কোষ তাদেরকে আদিকোষী প্ল্যাংকটন বলে। যেমন- সায়ানোফাইসি শ্রেণির শৈবাল- Microcystis
৭. শৈবাল কী?
উত্তর: শৈবাল হলো সালোকসংশ্লেষণকারী অভাস্কুলার উদ্ভিদ যাদের Sporangia এককোষী, জনন অঙ্গ ব্যক্ত এবং জাইগোট স্ত্রী জনন অঙ্গে থাকা অবস্থায় কখনও বহুকোষী ভ্রূনে পরিণত হয় না।
৮. জলজ শৈবাল কী?
উত্তর:পানিতে মুক্ত ভাসমান অবস্থায় কিংবা পানির তলদেশে, মাটি কিংবা অন্য কোনো শক্ত বস্তুর সাথে সংলগ্ন হয়ে নিমজ্জিত অবস্থায় বসবাসকারী শৈবালকে জলজ শৈবাল বলে।
৯. জলজ শৈবাল কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : জলজ শৈবাল দুই প্রকার। যথা:-
(ক) স্বাদু বা মিঠা পানির শৈবাল ও
(খ) সামুদ্রিক শৈবাল লোনা পানির শৈবাল।
১০. স্বাদু পানির শৈবাল কী?
উত্তর :নদী-নালা,পুকুর, ঝরনা,খাল,বিল,হাওড় ইত্যাদি স্বাদু বা মিঠা পানিতে বসবাসকারী শৈবালকে স্বাদু পানির শৈবাল বলে।
১১. বেনথোস কী?
উত্তর: জলাশয়ের তলদেশে অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলে কসবাসকারী প্ল্যাংটনকে বেনথোস বলা হয়।
১২. ওয়াটার ব্লুম কি?
উত্তর: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাদু পানির হ্রদ, পুকুর, দীঘি, নদ-নদী বা জলাশয়ে ফসফরাস, নাইট্রোজেন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হলে ফাইটোপ্ল্যাংকটনের আধিক্য এত বেশি হয় যে পানির ওপর নানা বর্ণের আস্তরণ পড়ে। পানির ওপরের এ আস্তরণকে 'ওয়াটার-ব্লুম' বলে।
১৩. সবচেয়ে বড় শৈবালের নাম কী?
উত্তর: Microcystis.
১৪. অ্যাকুইফার কী?
উত্তর:যে ভূতাত্ত্বিক স্তরের মধ্যদিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে, ক্ষরিত ২য় এবং পরিপূরিত হয় সেই স্তর পানি ভাণ্ডার রূপে অবস্থান করে। একে অ্যাকুফার বলে।
১৫. সামুদ্রিক শৈবাল কী?
উত্তর: সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে বসবাসকারী শৈবালকে সামুদ্রিক শৈবাল বলে। এ সকল শৈবালগুলো মূলত যে সকল পানিতে দ্রবীভূত লবণের পরিমাণ ৩০-৪৫ পিপি এম থাকে সে সকল স্থানে জন্মে। সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে এ সকল শৈবাল প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
১৬. এপিফাইটিক শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল অন্য কোনো শৈবাল প্রজাতি বা অন্য কোনো জলজ উদ্ভিদের উপর আশ্রয় গ্রহণকারী শৈবাল হিসেবে বসবাস করে বা অবস্থান করে তাকে এপিফাইটিক শৈবাল বলে।
১৭.এপিজুয়িক শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল বিভিন্ন জলজ প্রাণীর (কচ্ছপ বা শামুক, প্রভৃতি) খোলসের উপর বসবাস করে তাকে এপিজুয়িক শৈবাল বলে। যেমন : Cladophora শামুক ও কচ্ছপের খোলসের উপর বসবাস করে। এদেরকে Calcifilic শৈবালও বলা হয়।
১৮. এন্ডোজুয়িক শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল জলজ প্রাণীর দেহের অভ্যন্তরে বসবাস করে তাদেরকে এন্ডোজুয়িক শৈবাল বলে। যেমন : Stigeoclonium মাছের নাকের অভ্যন্তরে বসবাস করে। Chlorella নামক শৈবাল Hydra এবং স্পঞ্জ এর অভ্যন্তরে বসবাস করে।
১৯. অন্তঃবাসী (Endophytic) শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল অন্য কোনো উদ্ভিদের পাতা বা মূলের কোষের অভ্যন্তরে বাস করে তাদেরকে অন্তঃবাসী (Endophytic) শৈবাল বলে। যেমন : Nostoc শৈবালটি Antheceros এর থ্যালাসের অভ্যন্তরে বাস করে।
২০. মিথোজীবী শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ দেহের অভ্যন্তরে জন্মায় এবং আশ্রয়দাতার সাথে পারস্পরিক সুবিধা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয়েই উপকৃত হয় সেগুলোকে মিথোজীবী শৈবাল বলে। যেমন: Nostoc, Zoochlorella, Anabaena (Cycas এর মূল, Azolla পত্রে থাকে)।
২১. পরজীবী শৈবাল কী?
উত্তর : যে সমস্ত শৈবাল অন্য উদ্ভিদ বা পাতায় জন্মে এবং সেখান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে এবং রোগ সৃষ্টি করে সে সমস্ত শৈবালকে পরজীবী শৈবাল বলে।
২২. Macrophytes বলতে কী বুঝ?
অথবা, বৃহৎ জলজ উদ্ভিদ কী?
উত্তর : যে সমস্ত উদ্ভিদ সিক্ত স্থানে অথবা পানিতে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত অবস্থায় জন্মায় এবং যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় এমন বৃহদাকৃতির জলজ উদ্ভিদকে ম্যাক্রোফাইটস বা বৃহৎ জলজ উদ্ভিদ বলে।
২৩.নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ কী?
উত্তর : যে সমস্ত উদ্ভিদ পানির নিচে জন্মায় এবং বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শ থাকে না, তাদেরকে নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ বলে। সাধারণত এ রকম উদ্ভিদ পুকুর, হ্রদ অথবা পানির অন্য কোনো উৎসের তলদেশে আবদ্ধ থাকে।
২৪. ভাসমান জলজ উদ্ভিদ কী?
উত্তর : যে উদ্ভিদ পানির পৃষ্ঠে অথবা পৃষ্ঠের সামান্য নিচে ভেসে থাকে, তাকে ভাসমান জলজ উদ্ভিদ বলে।
২৫. আমাদের জাতীয় ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম লিখ।
উত্তর : আমাদের জাতীয় ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম (শাপলা)- Nymphaea nouchali.
২৬.রিও-প্লাংকটন কী?
উত্তর : রিওপ্ল্যাঙ্কটন এমন এক ধরনের প্ল্যাঙ্কটনকে বোঝায় যা প্রবাহিত জলে, বিশেষ করে নদীতে বাস করে । এটি নদী বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।
২৭. মিঠাপানিতে ওয়াটার ব্লুম সৃষ্টিকারী দুটি ফাইটোপ্লাংকটনের নাম লেখ।
উত্তর : মিঠাপানিতে 'ওয়াটার ব্লুম' সৃষ্টিকারী দুটি ফাইটোপ্লাংকটনের নাম হলো - Microcystis ও Anabaena.
খ-বিভাগ
১. প্ল্যাংকটন সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, প্ল্যাংকটন বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
২. ফাইটোপ্ল্যাংকটন কী? ফাইটোপ্ল্যাংকটনের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
৩. শৈবাল কী? এর বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
৪. বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের নান্দনিক মূল্য সম্পর্কে লিখ।
৫. ফাইটোপ্লাংকটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখ।
অথবা, ফাইটোপ্ল্যাংকটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা কর।
৬. জলজ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।
৭. বাসস্থানের উপর ভিত্তি করে ফাইটোপ্লাংটনের শ্রেণিবিন্যাস বর্ণনা কর।
৮. ম্যাইক্রোফাইটস-এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব লিখ।
অথবা, বৃহদাকার জলজ উদ্ভিদে অর্থনৈতিক গুরুত্ব।
অথবা, জলজ ম্যাক্রোফাইটসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব লিখ।
অথবা, Aquatic macrophyte এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখ।
গ-বিভাগ
১. বৃহদাকৃতির জলজ উদ্ভিদ কী? বৃহদাকৃতির জলজ উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস বর্ণনা কর।
অথবা, প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ Macrophytes-এর শ্রেণিবিন্যাস কর।
অথবা, বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণসহ বৃহদাকৃতির জলজ উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস কর।
অথবা, বৃহৎ জলজ উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস প্রক্রিয়া উদাহরণসহ বর্ণনা কর।
২. ফাইটোপ্লাঙ্কটনিক প্যারাডক্স কী? উদাহরণসহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
৩. ফাইটোপ্লাংকটনের শ্রেণিবিন্যাস বর্ণনা কর।
অথবা, ফাইটোপ্ল্যাংকটন কী? ফাইটোপ্ল্যাংকটনের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা কর ।
৪. (ক) ফাইটোপ্লাংটনের ভেসে থাকার কৌশল বর্ণনা কর।
অথবা, ফাইটোপ্ল্যাংকটনের ভেসে থাকার কৌশল আলোচনা কর ।
(খ) ফাইটোপ্লাংটনের জৈবিক গুরুত্ব লেখ।
৫. টীকা লেখ : (ক) ওয়াটার-ব্লুম;